নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীনের আগমণ; সামুর নিয়মিত ব্লগাররা কেন স্বাগত জানাবে না?

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

সময় অনেক বদলেছে। এখন নবীন লেখকদের সাহিত্যচর্চা হয়ে গেছে অনলাইন নির্ভর। কিন্তু আমাদের সময়টা ছিল অন্যরকম। আমি লেখালেখি শুরু করেছিলাম কলেজ লাইফে। বাংলা স্যারের পারমিশন নিয়ে নিজের সম্পাদনায় প্রথম দেয়ালিকা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের লেখা অন্যের সামনে তুলে ধরা শুরু করি। নাম ছিল 'বর্নালী'। গুনিজনের বাহবা পেয়ে যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা গুলোর সাহিত্য সাময়িকিতে লেখা পাঠানো শুরু করি। পুরো ছয় মাস ধরে কয়েকটা পত্রিকাতে খালি লেখা পাঠাতেই থাকি। একটাও প্রকাশ হয়না। হালছেড়ে দেবদেব করছি এমন সময় একটা পত্রিকার ঈদ সংখ্যায় আমার একটা গল্প ছাপা হয়। আমি সেদিন যে আনন্দ পেয়েছিলাম রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেয়েও অতো আনন্দ পেয়েছিল কিনা জানিনা।



এরপরে ঐ পত্রিকার শুক্রবারের সাময়িকিতে আমার লেখা আসতে থাকে নিয়মিত। লেখালেখি জগতের মোড় ঘুরে যায় আমার। যশোরের অনান্য পত্রিকা সহ ঢাকার পত্রিকাতে লেখালেখি শুরু করি। প্রথম আলোর বন্ধুসভা আমাকে সাদরে গ্রহণ করে। লিখি ছুটিরদিনের ঘরমন জানালা'য়। এইজগতে আরো একধাপ এগিয়ে যাবার জন্য যুক্ত হই ব্যক্তিগত প্রকাশনায়। অনুপ্রাশ জাতীয় কবি সংগঠনের সাথে জড়িয়ে ছিলাম আরো আগে। ওখান থেকে প্রকাশিত "রক্তপলাশ" লিটল ম্যাগের একুশে ফেব্রুয়ারী সংখ্যার সহসম্পাদকের কাজ করি।



তারপর সম্পূর্ন নিজে কিছু করার জন্য এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ঘুরে ঘুরে নতুন লেখিয়ে কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করে বের করি "প্রিয়তা"। প্রিয়তার প্রথম সংখ্যা মাত্র বিশ কপি বের করতে পেরেছিলাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে সম্পূর্ন নিজের খরচে এর বেশী করার ক্ষমতা ছিল না। এইভাবেই কয়েকটা সংখ্যা বের করার পরে হঠাৎ প্রিয়তার গায়ে রং লাগে। আমার এক দুঃসম্পর্কের দুলাভাই ছিল একটা এনজিওর চেয়ারম্যান। অনেকদিন ধরে তার পিছে ঘুরে ঘুরে তাকে পটিয়ে আমার পত্রিকা স্পন্সর করাতে রাজি করিয়ে ফেলি। বন্ধুসভায় বন্ধুদের কাছে লেখা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিই। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার লেখা এসে জমা হয় আমার পোষ্ট অফিসে। আমার দিন রাতের ঘুম হারাম হারাম হয়ে যায়। সামনেই এইচএসসি পরিক্ষা কিন্তু পড়াশুনা সিকেই ওঠে।



এরপরে যেদিন প্রেস থেকে চার কালারের মলাটে বত্রিশ পৃষ্ঠার প্রিয়তার ছয়শ কপি বের হয় সেদিন আমি আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছিলাম। সদ্য প্রেস থেকে বের হওয়া ম্যাগাজিন গুলোর মধ্যে নাক ডুবিয়ে কয়েক ঘন্টা পার করে দিয়েছিলাম আমি। নতুন বইয়ের সে গন্ধ্য ছিল আমার কাছে মাতাল করার মতো।



এইসমস্ত নষ্টালজিক ব্যপার স্যপার ইদানিং বারবার সামনে চলে আসে। কারণ এখন চর্তুদিকে তাকালে দেখি লেখালেখির স্টাইল পাল্টেছে। প্রিন্টিং মিড়িয়া চাপা পড়ে গেছে ইলেক্ট্রনিক মিড়িয়ার কাছে। প্রিন্টিং মিড়িয়ার সুবিধা হল লেখা প্রকাশের জন্য অতো বেশী স্ট্রাগল করতে হয় না। তবে প্রকাশের পরে কতোটুকু বাহবা পেলেন সেটা দেখার বিষয়।



এখনকার জেনারেশনের মধ্যে ফেসবুকের যে একটা ক্রেজ তৈরি হয়েছে সেটা এর আগে কোন কিছু নিয়ে এরকম হয় নি। ফেসবুক যেন হয়ে উঠেছে তাদের জীবন চলার পথে দিন রাতের সঙ্গী। রাতে ঘুমেতে যাবার আগ পর্যন্ত আর ঘুম থেকে উঠেই বাসি বিছানায় ফেসবুকের নিউজফিড নটিফিকেশন চেক করা নিত্য রুটিন। শুধু আউলা ঝাউলা পোলাপান না সাহিত্য চর্চা করা অনেক ছেলেকেও দেখি ফেসবুক নির্ভর হয়ে পড়েছে।



তবে প্রথমেই যেটা বললাম, ইলেকট্রনিক মিড়িয়াতে লেখা প্রকাশ হওয়া যত সহজ সমাদর হওয়া ততো কঠিন। ফেসবুকের কবিতার অপেন গ্রুপ গুলাতে গ্রুপ মেম্বাররাই অন্যের লেখায় মন্তব্য করে না।



বর্তমানে আমাদের দেশে সাহিত্য চর্চা বা লেখালেখির জন্য ফেসবুকের বাইরে সামহয়ারইনব্লগ ও চর্তুমাত্রিক বেশ জনপ্রিয়। তবে এখানেও নতুনরা খুব সহজে জায়গা পাচ্ছে না। যারা পুরানো ব্লগার আছেন এবং যারা নিয়মিত ব্লগে থাকেন আমার দৃষ্টিকোন থেকে তারা খুবই স্বার্থপর টাইপের ব্লগার। বর্তমান সময়ের ফেসবুকের আগ্রাসণ থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকে আসেন সামুতে। ভালোভালো লেখা দেন। কিন্তু সেই সমস্ত লেখাগুলো কেউ পড়েও না। নতুন নতুন ব্লগারের অনেক ভালো ভালো লেখা দেখি মাত্র বিশ ত্রিশ বার পঠিত হয়। কমেন্ট হয়তো দু একটা। এতে করে নতুন ব্লগাররা সামুতে লেখালেখি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আই মিন সামু তাদেরকে গ্রহন করেনা। সবাই খালি সামুতে লিখতে চায়। অন্যের লেখা পড়ে কমেন্ট করতে খুব যেন সন্মানে লাগে।



এটা কি স্বার্থপরতা কিংবা আত্ম অহংকার নয়? নতুন কেউ যদি ভালো লেখে তবে সে কি বাহবা পাবার অধিকার রাখে না?

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

সুমন কর বলেছেন: যারা পুরানো ব্লগার আছেন এবং যারা নিয়মিত ব্লগে থাকেন আমার দৃষ্টিকোন থেকে তারা খুবই স্বার্থপর টাইপের ব্লগার। বর্তমান সময়ের ফেসবুকের আগ্রাসণ থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকে আসেন সামুতে। ভালোভালো লেখা দেন। কিন্তু সেই সমস্ত লেখাগুলো কেউ পড়েও না। নতুন নতুন ব্লগারের অনেক ভালো ভালো লেখা দেখি মাত্র বিশ ত্রিশ বার পঠিত হয়। কমেন্ট হয়তো দু একটা। এতে করে নতুন ব্লগাররা সামুতে লেখালেখি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আই মিন সামু তাদেরকে গ্রহন করেনা। সবাই খালি সামুতে লিখতে চায়। অন্যের লেখা পড়ে কমেন্ট করতে খুব যেন সন্মানে লাগে।

দারুণ বলেছেন। +++++++
লাইক দিলাম।

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: খ্যাতিমান ব্লগাররা নিজেদের সার্কেলের বাইরে খুব বেশী আসেন না। নিজেরা নিজেদের লেখায় মন্তব্যের বন্য বইয়ে দেন কিন্তু নতুনদের লেখা খুলেও দেখেন না।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

মীর মফিজুল ইসলাম মানিক বলেছেন: ১০০ ভাগ সত্যি কথা। ফেসবুক খুব ফেন্সি টাইপের হয়ে গেছে। সামু তে ঘুরাঘুরি করলে ভাল কিছু, দারুন কিছু, নতুন কিছু পাওয়া যায়। ভিন্নমতের যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

নতুন রা কিছু লিখলে পুরোনোদের গঠনমূলক আপ্রিসিয়েশন পাওয়া যায় না। হতাশ।

১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপ্রিসিয়েশন ছাড়া পথ চলাটা আসলে অনেক ডিফিকাল্ট।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমি যদিও নতুন ।
তবুও আমি প্রত্যেক নতুন আইডি গুলোকে স্বাগত জানিয়ে আসি ।

১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার চেতনা সবার মাঝে আসুক এই কামনা করি।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

যেনী বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই-----আমিও অনেক ভালো ভালো লেখা পড়ি কিন্তু দেখি কমেন্ট মাত্র কয়েকটা, তখন খুুব কষ্ট পাই----অনেক ধন্যবাদ সত্য কথাটি এভাবে বলার জন্য।

১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে। আসলে আমরা সবাই লেখক হবার জন্য ব্যতিব্যস্ত। পাঠক হতে আমাদের যত আলসেমি।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

হেডস্যার বলেছেন:
পুরাতনের মধ্যে বেশিরভাগই নিজেকে এলিট শ্রেনীর ব্লগার মনে করেন।
তারা চান তাদের পোষ্ট সবাই পড়বে, কমেন্ট করবে কিন্তু নিজেরা নতুনদের পোষ্টে কমেন্ট করতে কার্পণ্য দেখান।

ওনারা ব্রাহ্মণ আর বাকিরা সব নমশুদ্র।

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:৪৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হেডস্যার হেডস্যারের মতোই দিয়েছেন। তবে পৈত্যে সাপ্লাইয়ের জন্য একজন পন্ডিত দরকার।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নতুন পুরাতন সবাইকে স্বাগত জানাই।পুরাতনরা ব্লগকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে এটা তাদের কৃতিত্ব। আর নতুনরা পুরাতনদের সঙ্গে নিয়েই এটাকে আগামীতে নিয়ে যাবে। কোয়ালিটি টিকে যায় নতুন পুরাতন টপকে। নতুন পুরাতনে শ্রেনীভেদ সমর্থন করিনা।

পুরাতন ব্লগার অহংকার করার মতন বিষয় নয়। তবে একজন পুরাতনের উৎসাহে কযেকজন কোয়ালিটি ব্লগার সৃষ্টি হওয়া গর্বের ব্যাপার।

কারন মানুষ অপার সম্ভাবনার। সে সময়কে জয় করতে পারে কর্ম দিয়ে ক্যারিশমা দিয়ে।

ডেডিকেশন ইজ ফ্যাক্ট নাথিং ইলস।

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সামু কতৃপক্ষ একজন ব্লগারকে লেখার অনুমোদন দিয়ে থাকে মাত্র তাকে স্বাগত জানানোর দ্বায়িত্ব আমরা যারা ব্লগার আছি তাদের। আপনার স্বীকারোক্তি শুনে ভালো লাগলো। হয়তো আপনার অনুপ্রারনায় অনেক স্বাগতিক ব্লগে স্থায়ী হয়েছে।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

মরণের আগে বলেছেন: হেডস্যার বলেছেন:
পুরাতনের মধ্যে বেশিরভাগই নিজেকে এলিট শ্রেনীর ব্লগার মনে করেন।
হেডস্যার আসলেও হেডস্যার =p~

আমি মনেকরি পুরাতন রা আমাদের (নতুনদের )ত্রুটি গুলো দেখিয়ে দিবেন
জাতে আমারা নতুনরা জাতে উঠতে পারি

সুন্দর একটি বিষয় লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:



আমার কাছে নতুন পুরাতন কোন সমস্যা বলে মনে হচ্ছে না। আমার মতে ব্লগে ব্লগার যেভাবে বেড়েছে ঠিক সেভাবে পাঠক সংখ্যা কমেছে। আবার কিছু পাঠক আছেন পোস্ট পড়ে ভালো মন্দ কোন কিছু জানিয়ে জান না। কেউ আছে আপনি তার পোষ্টে কমেন্ট না করলে আপনার পোষ্টেও সে কমেন্ট করবেন না।


অনেক পুরাতন ব্লগার নতুনদের পোষ্টে কমেন্ট করেন না। এটা আমার চোখেও পড়েছে। হয়তো সময়ের অভাবে তারা পারানো অনুসারিত ব্লগারদের পোস্ট দেখে চলে জান। আমিও মাঝে মাঝে সময় কম থাকলে পরিচিত নিক যারা ভালো লিখে আসছেন তাদের এক দুইটা পোস্ট পড়ি। তাই তাদের বিষয়টাকে আমি আমার এই দিক দিয়ে বিবেচনা করি।



তবে এটাও সত্য সামুতে কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগার ঠিকি লাইম লাইটে আসবে। হয়তো একটু সময় লাগবে।



শুভকামনা জানবেন।

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এক্সপ্লানেশনটা ঠিক আছে। ব্লগে আসলেই পাঠক সংখ্যা অনেক কম। যারা ব্লগে নিয়মিত আসেন তার বেশীর ভাগই ব্লগার।

আর যে কথাটা বলেছেন 'সময় সল্পতা'। ব্লগাররা যদি শুধু ব্লগে আসেন লেখা পোষ্ট করতে তবে ব্লগ এগিয়ে যাবে কিভাবে?

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭

অথৈ শ্রাবণ বলেছেন: একগুচ্ছ ++++++++++++++++++++++++++++++++

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

নীল জোসনা বলেছেন: নিয়মিত ভালো লিখলে অবশ্যই আপনার যোগ্য সম্মানের জায়গায় পৌছতে পারবেন ।

স্বাগতম জানাই আপনার প্রচেষ্ঠা কে ।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার এরকম পর্যবেক্ষণের যুক্তি আছে। নতুনেরা হয়তো পর্যাপ্ত মনোযোগ পাচ্ছে না। যদিও আমি সময় পেলেই নতুন ব্লগ পড়ি এবং মন্তব্যৗ দিই।

আমি এমনও দেখেছি, দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন ব্লগারের লেখা নির্বাচিত পাতায় যেতে। হয়তো সংখ্যাটি আরও বেশি হওয়া উচিত।

শুরুতে সাহিত্য প্রকাশনার জগতে আপনার ভ্রমণের কাহিটি ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:১০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ আমার লেখাতে মন্তব্য করার জন্য।

একটা জিনিস দেখবেন, বিষয়ভিত্তিক লেখাগুলো নিয়ে যদিও একটু নাড়াচাড়া হয় কিন্তু সাহিত্য তো একেবারে অবহেলিত। খুব ভালো ভালো মৌলিক গল্পও দেখি পঞ্চাশজনেও পড়ে না। প্রিন্টিং মিড়িয়ায় লেখা প্রকাশের আনন্দটা এখানে পাওয়া যায় না।

১২| ২০ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো সাধারণত অন্য একজন ব্লগারই পড়ে থাকেন। ব্লগার হিসেবে নিবন্ধিত নন এরকম পাঠক অবশ্যই আছেন, তবে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ব্লগার পড়েন অন্য ব্লগারের লেখা। লেখার বিষয় বা তাৎপর্য যা-ই হোক আমরা একে বলি, ব্লগ পোস্ট। পড়ার পর কেউ মন্তব্য দেন, কেউ দেন না। অনেকেই মন্তব্য দেন, বিনিময়ে আরেকটি মন্তব্য পাবার জন্য। বিনিময় পাঠক – মানে পড়ার বিনিময়ে পড়া। ‘আপনার লেখা আমি পড়ে দেবো, বিনিময়ে আপনি আমার লেখা পড়ে দেবেন। এখানে বিনিময়ের বিষয়টি হলো মন্তব্য। মন্তব্যে মন্তব্য আনে, যেমন টাকায় টাকা আনে। শুনতে ‘শ্রোতিকটু’ হলেও বাস্তবের সমীকরণটি এরকমই। বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে অথবা লেখার তাৎপর্যে আকৃষ্ট হয়ে পড়তে এসেছেন, ব্লগে এরকম পাঠক খুবই কম। পুরো সমাজেই পাঠক কম, ব্লগের পাঠক আসবে কোত্থেকে! ওই রকমের পড়াকে ‘সামাজিক পড়া’ বলা যায়।

২০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি ঠিক এটা না তবে যে নগ্ন সত্যটা জানালেন তার জন্য ধন্যবাদ। অনেকে এই ব্যপারটাও স্বীকার করেন না। অনেক খ্যতিমান ব্লগার আছেন যারা আসলেই ভালো লেখেন তারাও কেউ কেউ( সবাই না) মনে করে তাদের লেখার কমেন্টগুলো তাদের যোগ্যতার। অথচ দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট সার্কেলে তারা সবসময় মন্তব্য করে থাকেন এবং মন্তব্য পেয়ে থাকেন। তবে আমার পর্যবেক্ষন ভুলও হতে পারে। আমি লেখালেখিতে পুরানো হলেও অনলাইন মিড়িয়াতে নতুন।

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:







ধন্যবাদ সুন্দর একটি টপিকস তুলে ধরার জন্য।

ব্লগারদের কমেন্ট করা দিয়ে ব্লগ এগিয়ে যায়না। ব্লগ এগিয়ে যায় ব্লগারদের ভালো ভালো টপিকস নিয়ে পোস্ট করার মাধ্যমে। যত ভালো ভালো বিষয় নিয়ে পোস্ট আসবে মানুষের জানার কিছু থাকবে অটোম্যাটিক ভাবে ব্লগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাবে। তবে নতুন ব্লগার যারা আছেন তাদের মধ্যে যারা ভালো লিখেন তাদের লেখা কতটুকু ভালো হচ্ছে তা দেখা এবং তাদেরকে আর ভালো লেখার জন্য উৎসাহ দেয়া পুরানো ব্লগারদের কর্তব্য। সময়ের সমস্যাটা চিরকালই থেকে যাবে। আজকে আমি আপনি ব্লগে যে পরিমাণ সময় দিতে পারছি হয়তো কোন একসময় তা দেয়া সম্ভব হবে না।
মূল কথা হলো প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করে না। আজকে আমি যা করছি না কালকে আরেকজন সেই কাজটি করবে। কারো জন্য কোন কিছু দাড়িয়ে থাকবে না।


ভালো থাকুন নিরন্তর!!!

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করেনা। একদম রাইট বলেছেন। আজকে আপনি যেখানে আছেন কালকে এই জায়গায় আর একজন কে বসতে হবে। কিন্তু যে এই জায়গায় বসবে তাকে হাত ধরে জাতে ওঠানোর দ্বায়িত্ব কিন্তু আপনারই।

ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই। ব্লগে কেউ একজন(বিশেষ কোন এক অখ্যাত ব্লগার) একটা ভালো কবিতা লিখলো। খ্যাতিমান দু একজন হয়তো পড়ে মন্তব্য করলো। তবে বেশিরভাগ মন্তব্যের ধরণ 'ভালো লাগলো' 'দারুণ লিখেছেন' টাইপের। এখানে কাব্যিক বিশ্লেষণটা খুব কম হচ্ছে। আমি যতটুকি জানি সাহিত্য শুধুমাত্র লেখার বিষয় না চর্চারও বিষয়। আলোচনা সমালোচনা বিশ্লেষণটা এখানে খুব জরুরি। আর এইগুলা কে করবে? সাধারণ পাঠক?

শুভকামনা এবং পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দিতেই হয় ব্যাপারটা সামনে নিয়ে আসার জন্য । নতুন একজন ব্লগার অবশ্যই পুরনোদের কাছ থেকে ওয়েলকাম আশা করবে । রেগুলার ব্লগারদের উচিত নতুন ব্লগারকে ওয়েলকাম করা, তার পোস্ট পড়ে মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করা । তারপর যদি সেই নতুন ব্লগার তার পোস্টের কোয়ালিটি দিয়ে কিংবা ইন্টারেকশন দিয়ে ব্লগে একটা অবস্থান করে নিতে পারে, ভালো ।

ফেসবুকের এই ফার্স্টমুভিং সময়েও ব্লগ টিকে আছে, সামনের দিন গুলোতেও ব্লগ ভালো ভাবেই টিকে থাকবে । ব্লগে মানুষ ভিন্নতার খোজেই আসে, এবং এখানে তা পাওয়াও যায় । পুরনো অনেক ব্লগারই এখন আসেন না । তাই অনেকে মনে করেন ব্লগের এখন পড়তি সময় । কিন্তু আমি তা মনে করি না । পুরনোরা না থাকলেও ব্লগে এখনো প্রচুর ব্লগার আছে, এবং দিন দিন নতুন ব্লগার যোগ হচ্ছে । পোস্টের কোয়ালিটি কিংবা বিচিত্রতাও কোন অংশে কম নয় ।

এখন শুধু একটা জিনিসের অভাব, ব্লগে ব্লগীয় ইন্টারেকশন অনেক কমে গেছে । নতুন-পুরাতন বেশিরভাগ ব্লগারই নিজে একটা ভালো পোস্ট লেখাকেই ব্লগিং মনে করেন । তারা অন্য কারো পোস্ট পড়ার প্রয়োজন বোধ করেন না, তেমনি অন্যরাও তাদের পোস্টে আসেন না । কিন্তু এই কমিউনিটি ব্লগিংয়ে নিজে লেখাই শুধু ব্লগিং নয়, অন্য পোস্টে না গেলে এটাকে ব্লগিং বলা যাবে না । সুতরাং নবীন-প্রবীন সব ব্লগারকেই আগে সামাজিক মানসিকতা অর্জন করতে হবে, তারপর আসবে ব্লগিং এর কথা ।

আপনার জন্য শুভকামনা ।

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি আসলেই চমৎকৃত। আপনার মতো নামি ব্লগার আসছেন আমার পোষ্টে মন্তব্য করতে।

লেখার মূল ইস্যু ছিল এটাই। আমার লেখালেখি অনলাইন ভার্সন হয়েছে খুব বেশী দিন না। আমি ভালোবাসতাম লিটল ম্যাগে লিখতে। কিন্তু জাহাজী জীবনে প্রিন্টিং মিড়িয়ার সংস্পর্শে আসাটা খুব কঠিন। তাই নিজেকে নিজেকে একটু ঘষে মেজে অনলাইন ভার্সন করেছি। যদিও বিষয়ভিত্তিক ব্যপার তবু সবার মন্তব্যে আমি সামনে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।

অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

রাজিব বলেছেন: যে কোন কিছুর মত ব্লগিং এ সাফল্য পেতে সময় লাগে। আপনি এলাকা বদলিয়ে নতুন পাড়ায় গেলে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে পরিচিত হতে, বিশ্বাস অর্জন করতে কিছুটা সময় লাগবে। ঠিক তেমনি নতুন ব্লগার হিসেবে সবার সঙ্গে পরিচিত হতে একটু সময় লাগবেই। এ নিয়ে মন খারাপ করার বা হতাশ হবার কিছু নেই। নিয়মিত লিখতে থাকলে আস্তে আস্তে অনেক ব্লগারের সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান হবে এবং একসময় আপনি পুরনো ব্লগার হয়ে যাবেন।

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৫

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: একজন নতুন ব্লগার হয়ে বলছি, আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমাদেরকে যদি উৎসাহিত করা না হয় তাহলে আমরা লিখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো। তবে একটা কথা না বল্লেই নয়, আমি অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখক দেখেছি, ওনারা কিন্তু মানসম্মত লেখা হলে নতুনদের লেখার ও প্রশংসা করেন, তবে এদের সংখ্যা খুবই কম।

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্লগিও ইন্টারএকশন অনেক কমে গেছে, তবে এটা ঠিক যে কন্টেন্ট ভাল পেলে সেটা দাম পাবে এবং মানুষ অবশ্যই পড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.