নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখ ফুলে যাবার সমাধান: বেশী বেশী পানি খান।

২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

ছুটবেলায় আমার একটা এইম ইন লাইফ ছিল। আমি আঁতেল হইতে চাই না। কিন্তু ইদানিং কেন জানি মনে হচ্ছে আমি একটা আঁতেল হয়ে যাচ্ছি। আক্কোলসে নেহি সক্কোলসে। বঊ আমাকে আদর করে ভুটো ডাকে। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি ভুটো না। কিন্তু এই বিশ্বাসের গায়ে ফাটল দেখলাম যেদিন সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য ছবি তুলতে গেছি। এমনিতে সাড়ে এগারোটায় ঘুম থেকে উঠি। ডেক ক্যাডেট মিলন সেদিন একটু আগেই ডাকলো। ভিসার জন্য সবার ছবি তোলা হচ্ছে। সবারটা হয়ে গেছে শুধু আমি বাকি। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম। ম্যাগনেট ক্লিপ দিয়ে বাল্কহেডের গায়ে সাদা চাদর লাগানো হয়েছে। আমার পোজ দিয়ে দাড়ালাম। ক্লিক করার পরে মিলন রে কইলাম দেহি কি তুলছো? ছবি পছন্দ হইলো না। কইলাম আবার তুল। আবার ক্লিক হল। আবার দেখলাম। খুব বাজে টাইপ ছবি উঠছে। পুরো মুখ ফোলা ফোলা। মানলাম ঘুম থেকে উঠলে এমনি মুখ ফোলা ফোলা লাগে তাই বলে এত? মিলনকে দিয়ে পাচছয়বার ক্লিক করাইলাম। কইলাম ভালো করে ছবি তুল, এমন মুখ ফোলা আসে কেন? মিলন মনে হয় বিরক্ত হচ্ছিল। কইলো, স্যার আপনার মুখ তো এমনিই ফোলা।



খ্যামা দিলাম। কিন্তু মাথার মধ্যে টেনশন ঢুকে গেল। ডিউটি শেষ করে আয়নার সামনে গিয়ে মনে হল আসলেই মুখে মাংশ জমেছে একটু। বিচ্ছিরি ব্যাপার। নিজেকে ড্যাসিং হ্যান্ডসাম বলেই জানি। যদি আলু হয়ে যাই তবে তো কেলেঙ্কারি হবে।



তাড়াতাড়ি গুগুল মামারে জিগাইলাম ব্যাপার কি? মামাই কইলো ভাগিনা বেশি বেশি পানি খাও। পানি কম খাইলে নাকি বডি মনে করে আমার দেহে পানি সরবরাহের এ্যবিলিটি কম। তাই সে ইমার্জেন্সির জন্য কিছু পানি জমিয়ে রাখে। এবং এই জমানো পানির বেশিরভাগ রাখে মুখে। এই কারনেই মুখ ফোলা ফোলা লাগে। আরেব্বাহ। কি মাইন্ডব্লোইং ব্যাপার। মুখ হইচে পানির কলস।



এই কাহিনি বউরে কইতেই হাসিতে লাফাতে থাকলো। বলে এইরকম মজার ব্যাখ্যা নাকি সে কখনো শোনেনি। গুগুল তোমারে ভাওতা দিসে।



কিন্তু আমার তা মনে হইলো না। খালি ইংলিশ টু বেঙ্গলী ট্রান্সসিলেট করতেই গুগল মামার মাথা একটু আওলায়া যায়। বাকি টাইমে তো ঠিকই দেখছি। তাই ডিশিসন নিয়া ফালাইছি আর কিপ্টামি কইরা পানি খামুনা। জাহাজে মিনারেল ওয়াটারের লিটার তেইশ টাকা। সো নো কিপ্টামি।



পুনশ্চ: গোপন সুত্রে খবর পাইছি বাসার পানির consumption বেড়ে গেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.