নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোমালীয় কায়দায় সিঙ্গাপুর স্ট্রেইটে জলদস্যুতা, নেপথ্য কি আমেরিকার কোন স্বার্থ আছে?

১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

পৃথিবীর বুকে জাহাজ ব্যবসা একটি আদি ব্যবসা। এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য পরিবহনের এটিই সবথেকে সহজ মাধ্যম। যার কারনে গ্লোবালাইজাশনের এই যুগে যেমনি ক্রমাগত জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি জাহাজ রিলেটেড অনান্য সব কিছুর প্রসার ঘটেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী সমুদ্রপরিবহেনের অপরিহার্যতায় জাহাজ শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি জলদস্যুতা নামক কিছু অপ্রতিকর ঘটনা আন্তজার্তিক অর্থনীতিতে খারাপ ভূমিকা রেখেছে।



শুধুমাত্র নিজেদের নৌসীমায় মৎসজীবী সম্প্রদয়ায়ের স্বার্থ রক্ষার্থে সোমালিয়া দস্যুবত্তির সূচনা হয়েছে বলে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জরিপে বলা হয়। ডিআইডব্লিউ এবং মার্কিন হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটির মতে, বিদেশী জাহাজ দ্বারা সোমালী জলের মধ্যে বিষাক্ত বর্জ্য ডাম্পিং করার ফলে স্থানীয়দের(মেরিন লাইফ) পরিবেশ বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। এর প্রতিবাদে সোমালি জেলেরা সসস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে বিদেশী জাহাজ এ অঞ্চলে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করে। সময়টা সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে শুরু হয়। ২০০৫ সাল থেকে IMO অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ও WHO তথা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার জলদস্যুতা বৃদ্ধির উদ্বেগে ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জরিপে বলা হয় , জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় ৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে। জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জড়িপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গেছে।



জলদস্যুতার নেপথ্যে জলসীমার পরিবেশ রক্ষার ব্যাখ্যাটা কতটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে বলাবাহূল্য। ব্যাখ্যায় বলা হয় সোমালিয়া উপকুলীয় সম্প্রদায় তাদের জলসীমার মধ্যে মাছধরার পরিবেশ রক্ষার জন্য বিদেশী জাহাজের অনুপ্রবেশ বন্ধের এই উদ্যোগ কে সমর্থন করে। স্থানীয় জেলেদের সাথে পরবর্তীতে যোগ দেয় দেশে গৃহযুদ্ধের ফলে চাকরীচুত সামরিক বাহিনীর লোকজন। পরবর্তীতে তারা অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে জাহাজগুলো থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জাহাজ ছিনতাই শুরু করে। এবং তাদের এই জলদস্যুতায় উপকূলীয় ৭০ শতাংশ গোষ্ঠির সমর্থন সহ কিছু সরকারী কর্মকর্তা এবং জাতীয় সেচ্ছাসেবক কোষ্টগার্ড নামক সোমালিয় কোষ্টগার্ডের প্রাথমিক প্রেরনা ছিল বলে জানানো হয়।



২০০৮ সালে ৯৪ টি জাহাজ সোমালিয় জলদস্যু কর্তৃক মুক্তিপনের দাবিতে আটক করা হয়। ব্যপারটা জাহাজ ব্যবসায়ীদের জন্য তথা আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ব্যপক প্রভাব ফেলে। যার ফলে আন্তর্জাতিক জোট সমূদ্রে জলদস্যুতা প্রতিরোধের জন্য তখন সোমালিয় অঞ্চলে তথা এডেন উপসাগরে জলদস্যুতা প্রতিরোধের জন্য মেরিটাইম সিকিউরিটি প্রটোকল গঠন করে। আমেরিকার হস্থক্ষেপে বানানো হয় সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স।



সোমালিয় জলদস্যুতা নিয়ে একটা প্রতিবেদনে বলা হয় এই পুরো ব্যাপারটা আমেরিকার একটা গেম প্লান ছাড়া আর কিছুই না। কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে এই মেরিটাইম সিক্যুরিটি প্রোটকলের আওতায় মেরিটাইম সিক্যুরিটি ফোর্স গঠন করা। আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের সব অবসর প্রাপ্ত সৈনিকদের নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে যারা হাই রিস্ক এরিয়াতে বানিজ্যিক জাহাজ প্রটেকশন দিয়ে থাকে। সাউথে মাদাগাস্কার মরিসাস থেকে এদিকে শ্রীলঙ্কা আর ইন্ডিয়ার ওয়েষ্ট কোষ্ট থেকে পারসিয়ান গালফ, গালফ অফ এ্যডেন, রেড সি এই সমস্ত এলাকাগুলো সোমালিয়া আক্রমণ জোন হিসেবে বিবেচনা করে এদিকে ভ্রমনরত জাহাজগুলোকে মেরিটাইম সিক্যুরিরিটি’র দুইজন বা তিনজন গার্ড দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়। এই ভাবে ভাবে একটা বিশাল সংখ্যক সিক্যুরিটি গার্ডের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার উদেশ্যে জাহাজ শিল্পে সোমালিয়া আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। এর মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত ইউএস এবং ইউকে সোলজারের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মাঝখান দিয়ে নেপথ্যের মহানায়কেরা বিপুল পরিমান মুক্তিপনের টাকা হাতিয়ে নিতে পেরেছে বিভিন্ন দেশের জাহাজ মালিকের কাছ থেকে।



এই ব্যাখ্যাকে একেবারে উডিয়ে দেয়া যায় না। কারন আমেরিকার হাত না থাকলে সোমালিয়া এই ভাবে সবার নাকের ডগা দিয়ে দস্যুবৃত্তি করতে পারতো না। তাছাড়া মুক্তিপনের টাকাগুলোর গতিপথ নিয়ে আমেরিকার জড়িত থাকার বিষয়টা বেশখানিকটা সন্দেহের দাবিদার। এবং সিক্যুরিটি প্রটোকলের প্রটেকশনে ২০১০ সালে আটককৃত জাহাজের সংখ্যা ৮৬ থেকে নেমে ৩৩ টিতে নেমে আসে। পরবর্তিতে দেখা যায় হাই রিস্ক এরিয়াতে ট্রাভেল করা জাহাজের মধ্যে সিক্যুরিটি প্রটোকলে সাক্ষরকৃত জাহাজ যেখানে মেরিটাইম সিক্যুরিটি গার্ড অনবোর্ড তারা সোমালিয় দস্যুবৃত্তির কবলে আর পড়ছেনা।



এখন লেখার নামকরনের দিকে একটু নজর দিই। এই সোমালিয়া দস্যুতার সাথে সিঙ্গাপুরের সম্পৃক্ততা কিভাবে আসলো? ব্যাপারটা আসলে নৌ রুটের জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে। সোমালীয়া উপকুলের এই গুরুত্বপূর্নতা সুয়েজ ক্যানেলের কারনে। রেড সি এবং ভূমধ্যসাগরকে জুড়ে দেয়ায় সুয়েজ ক্যানেল জাহাজ বানিজ্যে হাজার হাজার মাইল দূরত্ব কমিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগে একটি জনপ্রিয় রুট হয়ে ওঠে। পৃথিবীর এইরকম আর একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হল সিঙ্গাপুর স্ট্রেইট। আমরা সকলেই জানি আজকের এই যে সিঙ্গাপুর তার উন্নতির মূল চাবিকাটিই জাহাজ ব্যবসা। ভৌগলিক ভাবে সিঙ্গাপুর এমন একটা জায়গায় অবস্থিত যে জাহাজ চলাচলের জন্য এটি আর একটি কমন রুট। আর এই রুটটিকে কাজে লাগিয়ে সিঙ্গাপুর দিনে দিনে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করেছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় আয়ের প্রধান অংশই আসে জাহাজ শিল্প থেকে। সিঙ্গাপুরে আছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কন্টেইনার টার্মিনাল। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার কন্টেইনার লোড আনলোড হচ্ছে যার কোনটায় সেই দেশের প্রযোজনে আমদানি বা রপ্তানির জন্য নয়। তার জাস্ট একটা মিড়িয়া হিসেবে কাজ করছে। পৃথিবীর ম্যক্সিমাম বড় ছোট কোম্পানিগুলোর সিঙ্গাপুরে একটা জোনাল অফিস থাকে। যার কারন সিঙ্গাপুর থেকে একটা জাহাজ কন্ট্রোল করার অনেক সুবিধা রয়েছে। রয়েছে সহজ চার্টারিং এর সুবিধা।

সিঙ্গাপুর টাচ করা সকল জাহাজগুলোতে তার খাদ্য পানি স্পেয়ার পার্টস ও জ্বালানি সরবরাহ করে তারা বিপুল পরিমান ব্যবসা করছে। এবং অধিকাংশ জাহাজ কোম্পানিগুলো সিঙ্গাপুর থেকে ষ্টোর সাপ্লাই নিতে আগ্রহি থাকে কারন তাদের কোয়ালিটি ও মূল্য অনান্য পোর্টের থেকে লাভজনক। এছাড়া জাহাজের ক্রু সাইন অন সাইন অফের জন্যও সিঙ্গাপুর ট্রানজিট একটি আদর্শ জায়গা। এই ভাবে সব মিলিয়ে আজকের দিনে সিঙ্গাপুর হয়ে উঠেছে জাহাজ ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু।



সিঙ্গাপুর থেকে বেরিয়ে পশ্চিমে মানে ভারত মহাসাগর হয়ে ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, গালফ আই মিন মিডল ইষ্টের সব দেশ, ও গালফ অফ এডেন হয়ে সুয়েজ ক্যানেল পার হয়ে ইউরোপে এবং আফ্রিকা ও আফ্রিকা হয়ে ইউরোপের দিকে অথবা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকার দিকে যাবার জন্য জাহাজগুলো মালায়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখান দিয়ে আড়াশ থেকে তিনশো মাইলের মতো দীর্ঘ মালাক্কা স্ট্রেইট ব্যবহার করে। আর পূর্ব দিকের জাহাজ গুলো সিঙ্গাপুর স্ট্রেইট পার হয়ে সাইথ চায়না সি হয়ে জাপান চায়না কোরিয়া রাশিয়া তাইওয়ান ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়া আমেরিকার দিকে ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার ভেতর দিয়ে অষ্টেলিয়ার দিয়ে চলাচল করে থাকে। এইভাবে আমেরিকা, ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া, ফার ইষ্ট ও মিডল ইষ্টের চলাচল কারি জাহাজ গুলোর মালাক্কা স্ট্রেইট ও সিঙ্গাপুর স্ট্রেইট ব্যবহার করে। যার কারনে এই রুট পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ততম রুট। এই পুরো এরিয়াটা সিঙ্গাপুর ও মালায়েশিয়ান কৃর্তপক্ষ ভ্যাসেল ট্রাফিক সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।



এই পুরো এরিয়াটায় ইন্দোনেশিয়া একটা বিস্তৃত ভূখন্ড দখল করে আছে। তুলনামূলক ভাবে দরিদ্র হবার কারনে ইন্দোনেশিয়ার লোকজন অনেক আগে থেকেই জলদস্যু বৃত্তির সাথে জড়িত ছিল। তবে গত দশ বছরে সিঙ্গাপুর ও মালায়েশিয়ান নেভির যৌথ তৎপরতায় মালাক্কা ও সিঙ্গাপুর স্ট্রেইটে জলদস্যুতা কমে যায়। এর মধ্যে আলোচনায় চলে আশে সোমালিয়া। সোমালিয়ান জলদস্যুতা যখন তুঙ্গে তখন এদিকে পাইরেসি এটাক টা ছিলনা বললেই চলে। কয়েক বছরের ব্যবধানে যখন সোমালিয়ায় জলদস্যুতা কমে আসে তখনি আবার লাইমলাইটে আসে সিঙ্গাপুর তথা মালাক্কা স্ট্রেইটে জলদস্যুতা।



সোমালিয়া জলদস্যুতা আজকে আলোচনার জন্য একটি বাসী খবর ছিল। বর্তমানে এটি চাঞ্চল্যকর কোন বিষয় না। তবে এই চাঞ্চল্যতা আজকে আবার ফিরে আসছে সিঙ্গাপুর স্ট্রেইটের কিছু ঘটনায়।



কিছু দিন আগের একটা খবর। খবরটি জাহাজ শিল্পের জন্য মোটামুটি চাঞ্চল্যকর। মালাক্কা স্ট্রেইটে একটা ট্যাংকার জাহাজ পাইরেটসের কবলে পড়েছে। ইদানিং মাঝে মাঝেই এই ধরনের টুকটাক পাইরেটস আক্রমনের খবর পাচ্ছি সিঙ্গাপুরের আশেপাশে। কিন্তু এবারের খবরটা আর টুকটাক বলে চালাতে পারছি না। এবারের আক্রমনের ধরনটা বেশ সোমালীয় কায়দায় হয়েছে বলে মনে হয়েছে। দশজন হেভী আর্মড পাইরেটস জাহাজে উঠে প্রথমে জাহাজের কমিউনিকেশন সিস্টেম নষ্ট করে। তারপর জাহাজটিকের তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আর একটা ট্যাংকার জাহাজ এল্যংসাইড করিয়ে সেটাতে জাহাজের মূল্যবান কার্গো মানে তেল ট্রান্সফার করে। তারপর জাহাজের এবং ক্রু দের মূল্যবান প্রপার্টি সহ টাকাপয়সা সব নিয়ে জাহাজের তিনজন ক্রু মেম্বারকে কিডন্যাপ করে পালিয়ে যায়।



এটাকে কি আর টুকটাক বলা যায়? গত কয়েক বছর ধরে যে সোমালীয়া আতঙ্ক ছিল জাহাজ মালিক ও মেরিনারদের মধ্যে তা অনেকটা কমে এসেছিল। এখন আবার সিঙ্গাপুর ট্রানজিটের জাহাজ গুলোর মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করে, এই না জানি নতুন কোন অধ্যায়ের শিকার হতে হয় তাকে। সবার মনে একটাই আশঙ্কা কাজ করে, নেপথ্যের সেই ভিলেনটির নজর কি এখন এখানে? এই রুটের জাহাজগুলিকে সিক্যুরিটি প্রটোকলের আওতায় এনে যদি সিক্যুরিটি গার্ডের অস্থায়ী চাকরীর ব্যবস্থা করা যায় তবে আসলেই বিপুল পরিমান অবসর প্রাপ্ত ইরাক যুদ্ধ ফেরত, আফগানিস্থান যুদ্ধ ফেরত সৈনিকের কর্মসংস্থানের জন্য আর চিন্তা করা লাগবে না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: মালাক্কা প্রণালীর ইতিহাস অনেক পুরোনো । ১৯৮৫/৮৬ সালে ইন্দোনেশিয় ডাকাতরা শুধুমাত্র জাহাজের ক্যাশ টাকা লুঠের জন্য রাতে চলমান জাহাজে এই ডাকাতি করত । এরা অতি দ্রুত জাহাজের গায়ে দড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারে । কয়েকটি খুন হবার পর সরকার কিছু নজর দিয়েছিল । এখন তো আবার জিহাদিস্ট জমানা , ইন্দোনেশিয়ায় ওরা নতুন তৎপরতা শুরু করেছে ডাকাত ব্রাদার আল শাবাবের উৎখাতে ।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই ব্যাপারটা একসময় ওরকমই ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের পাইরেসির স্টাইল পাল্টে গেছে। প্রতিদিন কোন না কোন জাহাজে তাদের সশস্ত্র আক্রমনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আপনার প্রদত্ত তথ্যটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

ভারসাম্য বলেছেন: ইন্টারেস্টিং!

ব্রিটিশরা আর পরে আমেরিকানরা এই করে করেই চলে এসেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা শুরু হওয়া দরকার মনে হয়।

পোস্টে প্লাস ও প্রিয়তে।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো করে খেয়াল করুন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিন্তু চলছে

প্লাসের জন্য শুকরিয়া। :-)

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

ভারসাম্য বলেছেন: তা চলছে অবশ্য। এখন চলছে আইসিসের খেলা। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া দরকার। :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.