নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বাংলাদেশী: ইন্ডিয়ানদের চোখে

১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১৭



দুবাই এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাস ক্লিয়ার করে এক্সেলেটরে পা রাখলাম। আমার সামনে ছিল এক ইন্ডিয়ান। সে আমাকে উপরে উঠতে দেখে নিচের দিকে ইশারা করল। আমি নিচের দিকে তাকালাম। হ্যা ঐ দিকেও প্লেনে ওঠার রাস্তা। তবে সেটা আমার রাস্তা নয়। আমার টিকেট বিজনেস ক্লাসের।



আমিরাতস এয়ারলাইন্সের সব থেকে বড় এই বিমানটির সুবিধা হল এটি টু-স্টোরেড। উপরে বিজনেস ক্লাস আর নিচে ইকোনোমি ক্লাস। আমার সামনের ইন্ডিয়ানটি একজন বিজনেস ক্লাসের যাত্রী। আমাকে দেখেই তার মনে হয়েছে আমি বাঙালী হয়ে কিভাবে বিজনেজ ক্লাসের প্যাসেঞ্জার হতে পারি? মেজাজটা খিচড়ে গেল। দ্যা হেল অফ ইন্ডিয়ান আমাদেরকে ভাবেটা কি???



প্রচন্ড রাগ চাপলেও কিছু বললাম না। গাম্ভীর্যের মুখোশ পরে প্লেনে নিজের সিটে এসে বসলাম। প্লেন চলতে শুরু করলো। আপ্যায়নের শুরুতে এয়ারহোস্টেস বিভিন্ন ধরনের ড্রিংস নিয়ে আসল। সফট ড্রিংস, কোল্ড ড্রিংস, হার্ড ড্রিংস ইত্যাদি। আমার পাশে বসা আমার এক বাঙালী ভাইটিকে দেখলাম একটু কনফিউজড। তার হয়তো শখ হচ্ছিল একটু ওয়াইন টোয়াইন চেখে দেখবে। কিন্তু চক্ষু লজ্জায় পড়ে গেছে মনে হয়। শেষে অর্ডার করলো ম্যাংগো জুস। আমার হার্ডের ওপর তেমন কোন দূর্বলতা নেই। নিলাম পাইনঅ্যাপেল। পাশের ভাইটি আবারও কনফিউজড হল। ভাবলো ম্যাংগোর থেকে পাইনঅ্যাপেল বোধ হয় ভালো হবে। সে এয়ার হোস্টেসের কে বললো ম্যাংগো না পাইনঅ্যাপেল চাই তার।



মিষ্টি একটা কন্ঠে শুনলাম, " স্যার য়্যু হ্যাব অর্ডারড ফর ম্যাংগো"। ডাইরেক্ট রিফিউজড? আমি থ। একজন বিজনেস ক্লাসের প্যাসেঞ্জার একবার ম্যাংগো একবার পাইনঅ্যাপেল চাইবে মন চাইলে তরমুজও চাইবে তাই বলে এইভাবে প্রত্যাখ্যান ???? নাহ ! ব্যাপারটা ঠিক দুইবার চাওয়াই না। ব্যাপারটা রঙে। কোন আমেরিকান যদি বলত তবে আরবীয় হোস্টেস গার্লটি তার কোলে দশ মিনিট বসেও থাকতো আমি সিওর। ম্যাংগো তো বহুত সিম্পল কি বাত !! বুঝলাম রঙে ঢঙে আমরা যত ফেয়ারই হই না কেন আমরা ডার্ক, সাদা নয়।



সবচেয়ে অবাক হলাম হিথরো এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে। আমি বিজনেস ক্লাস ট্রাভেল করার সুবিধা হিসেবে একটা ফার্স্ট ট্রাক কুপন পেয়েছিলাম। যেটার সাহায্যে আমি ভি আই পি হিসেবে গন্য হয়ে ছোট্ট লাইনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন পার হতে পারবো। নতুবা আমাকে গিয়ে দাড়াতে হবে দুই তিনশ লোকের পেছনে।



আমি যখন ফার্স্ট ট্রাকের লাইনে দাড়িয়ে ছিলাম আমার সামনে আর মাত্র তিন জন ছিল। আমি লক্ষ্য করছিলাম ভলেন্ডিয়ার গোছের একটা লোক আমাকে লক্ষ্য করছে। লোকটা একজন ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি। ভালো করে দেখে বুঝলাম লোকটা ইন্ডিয়ান। হয়তো পার্সি। গায়ের রঙ অনেকটা গোরাদের মতো। আমার হাতে আমার বাংলাদেশী নীল পাসপোর্ট। আমার কেন জানি মনে হল লোকটি কিছু না কিছু গোলমাল পাকাবে। আমার আশংকা সত্যি করে দিয়ে লোকটা আমার কাছে আসল। লোকটার সরাসরি প্রশ্ন, ' তুমি ফার্স্ট ট্রাক লাইনে কেন?



আমার মনে হল কইস্যা একটা চড় লাগাই। কিন্তু সেটা করা যায় না। তাকে আমার বিজনেস ক্লাসের টিকেট দেখালাম। তা স্বত্তেও লোকটি আমাকে লাইন থেকে আলাদা করে নিয়ে গেল। তার বক্তব্য হল যেহেতু আমি সীম্যান সেহেতু ফার্স্ট ট্রাকের সুবিধা আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু আমি সিওর ছিলাম এরকম কোন নিয়ম হতে পারে না। কিন্তু বিদেশী এয়ারপোর্ট বিশেষ করে ইমিগ্রেশন জায়গাটা আমাদের জন্য বেশ সেন্সেটিভ। তা না হলে নির্ঘাত শালা ইন্ডিয়ানের সবগুলো দাঁত ফেলে দিতাম।



মাঝে মাঝে ভাবি কেন এভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেবৈষম্যের শিকার হচ্ছি আমরা? এ দায় কার? আমার জন্মের? বাঙালী হয়ে জন্ম নেয়াটা কি আমার অপরাধ ছিল? নাকি যারা বিদেশে আমার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারিনা এটাই আমার অপরাধ? ইন্ডিয়ানের পা চাটা কুত্তা হয়ে থাকাটা কি আমার জন্য গর্বের নাকি এই গর্বকে জুতার তলে পিষে ফেলার চেতনাটা আমার অহংকার ???

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইন্ডিয়ানের পা চাটা কুত্তা হয়ে থাকাটা কি আমার জন্য গর্বের নাকি এই গর্বকে জুতার তলে পিষে ফেলার চেতনাটা আমার অহংকার ???

সুযোগ পেলে অবশ্যই আপনি পিষে দেবেন । এই দাবি রেখে গেলাম ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অপেক্ষায় আছি

আমার চেতনারও দাবী এটি।

শুভেচ্ছা রইল আপ্নাকে।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৫১

ম.র.নি বলেছেন: হিথ্রোতে ইমিগ্রাশান অফিসার থেকে শুরু করে লাগেজ হ্যান্ডেলার,আজাইরা গুরাগারা বহু ইন্ডিয়ান সিক, গুজরাতী শুয়র কাজ করে।বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলেই ওদের লেজ নাড়া শুরু হয়ে যায়।আর আমাদের নামের আগে মোহাম্মদ থাকলেতো তো কথাই নাই!জেক পট!!দেশের কিছু মানুষ যখন ঐ ইন্ডিয়ান শুয়রদের দালালী করে তখন খুবই রাগ লাগে।

হিথ্রোতে যতক্ষন আপনি কোন নিয়ম ভাংছেন না বা কোন অবৈধ কিছু করছেন না দেন নাথিং টু বি এফ্রেইড অফ।ঐ শুয়রদের বলবেন তোর শাদা বাপডের ডাক তার সাথে কথা বলব, দেখবেন লেজ গুটায়া ঠান্ডা হয়ে গেছে।

এখানে অনেক বাংলাদেশেীদের জন্য দেশের ভাবমূর্তী এখন আগের থেকে অনকে ভালো।শুুয়রগুলা এখন আমাদের কম্পিটিটর মনে করে।নেক্সট টাইম চান্স পেলে উচিৎ জবাব দেয়ার অনুরোধ রইল।

ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
আপনার মন্তব্য পড়ে একটা কথা মনে পড়লো। সম্প্রতি মিডল ইষ্ট থেকে বাংলাদেশীদের ছাটাই করা হচ্ছে। আমার এলাকার কিছু ছেলের সাথে কথা বলে জানলাম সুক্ষভাবে ইন্ডিয়ানদের পলিটিক্স এর শিকার।

ব্যপারটা এইরকম।
একই কোম্পানিতে বাইরে একই চাকরী করে সবসময় একজন ইন্ডিয়ান একজন বাংলাদেশীর থেকে বেশী বেতন পায়। ব্যপারটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এইটা নিয়ে ইন্ডিয়ান কুত্তাগুলো প্রথমে বাংলাদেশীদের খুব কাছের বন্ধু হয়। তারপর উস্কানি দিতে শুরু করে। তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনে যেতে বলে। অনেক মাথামোটা ওদের উস্কানিতে উস্কেও যায় মাঝে মাঝে। আর স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজেদের অবস্থান আরবদের কাছে খারাপ করে ফেলে ফাইনালি।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

অন্যসকাল বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার লেখাটা!
আমি একবার এক ভারতীয় ওডেস্ক ক্লায়েন্টকে বল্লাম, তার সাথে আমি কাজ করতে আগ্রহী নই। লোকটা কারন জানতে চাইল। আমি সত্যি কথাটা তাকে বললাম,যে তার ওডেস্কে কোন অভিজ্ঞতা নেই। লোকটা আমার ওপর ক্ষেপে পুরো বাংলাদেশীেদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করলো। বললো তার অভিজ্ঞতা নেই বলেই নাকি সস্তা বাংলাদেশীকে সে ভাড়া করতে চাইছিলো। আমি এর যথাযথ উত্তর দিয়েছি কিন্তু এখনো তার অপমান গা থেকে ঝাড়তে পারিনি।

হিন্দি সিরিয়াল দেখে দেখে আমরা বাঙালীরা হিন্দি বুঝতেই পারি! এটা আমাদের ব্যাপার। কিন্তু- ইন্ডিয়ানরা বাঙালী দেখলে হিন্দিতেই কথা বলতে চায় আর আমরাও ছাগলের মতো তাদের হিন্দিতে উত্তর দিয়ে আনন্দ পাই। কিছু ভুল তো আমাদের নিজেদেরই!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
আসলেই কিছু কিছু অপমান সারাজীবন শরীরের মধ্যে টগবগ করে ফুটতে থাকে।

আর হিন্দির কথা বললেন? আজকাল আমাদের বাঙালীদের ঘরের মধ্যেই দেখবেন খুব সুন্দরভাবে হিন্দি চর্চা হচ্ছে। ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে ক্ষুধা লাগ তার মাকে বলে, ভুক লাগিয়ে !!!!

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত একটা ইন্ডিয়ান পা চাটা বেহায়া, সে দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের মানুষের কাছে সম্মান পাওয়ার আশা করাটা একরকম দুরাশাই বটে!

আপনি বেশি আশা করে ফেলেছেন

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই অনেক বেশী।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: একজন বিজনেস ক্লাসের প্যাসেঞ্জার একবার ম্যাংগো একবার পাইনঅ্যাপেল চাইবে মন চাইলে তরমুজও চাইবে তাই বলে এইভাবে প্রত্যাখ্যান ???? ;) ;)

যারা বিদেশে আমার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারিনা এটাই আমাদের অপরাধ...

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: উত্তরটা জলের মতোই পরিষ্কার। বুঝতেই পারছেন।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০০

রেজা এম বলেছেন: indian muslim der obostha apnader theke khub ekta valo na.

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হিন্দুস্থানে তো সব মুসলমানদের ওরা জাস্ট উদ্বাস্তু ভাবে।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এতো ভয়াবহ রেসিজম! রেন্ডিয়ানরা নিজেদের ভাবেটা কী!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
রেন্ডিয়ানরা ভালো করেই জানে রেন্ডিগিরি না করলে আমাদের সাথে মেধা মনন ও যোগ্যতায় কোন দিক দিয়েই পারবে না। যার কারনেই সবখানে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা।

মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

বলাকাবিহঙ্গ বলেছেন: Brother - why Mango!? Why not GoatMilk???

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ম্যা ম্যা তো ছাগলেই করে। সো যাহাই ছাগলের দুধ তাহাই ম্যাংগো জুস। :-) :-)

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: আগে ধারণা ছিল না, ঘটনাটা পড়ে জানলাম এমনও হয়। সতর্ক থাকবো এমন অবস্থায় পরলে। আপনার ক্ষোভ থেকে লেখা টা হলেও পোস্টটা করে উপকার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পারলে আগেই ওদের ল্যাং মারবেন। তাইলে আপনার থেকে দুরে থাকবে।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫০

তার ছিড়া আমি বলেছেন: মালা্উনের বাচ্চারা আমাদেরকে ভুদাই ভাবে
আমরাও কেন জানি ভুদাই বনে যাই।

ভাই, অনুরোধ রইলো, সুযোগ পেলে ছেড়ে দেবেন না।

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মতো করে রাগতে পারিনাই বলেই সেদিন ছেড়ে দিয়েছি। তবে আর নয়। অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম। B:-/ B:-/

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

রাজিব বলেছেন: যারা দিন রাত ২৪ ঘণ্টা গালি দিয়ে ভারতের জিনিস কেনেন তারা যদি দিনে মাত্র ১ ঘণ্টা সময় দিতেন বাংলাদেশের পন্যকে প্রমোট করার জন্য তাহলে আমাদের দেশে একটা ছোট খাট নয় বরং বড় ধরনের বিপ্লব ঘটে যেত এতদিনে।
মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর। এখন ব্লগ, ফেইসবুক আর ইউটিউবের যুগ। ভারতের সিরিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি না পারি ব্লগ, ফেইসবুক আর ইউটিউবকে তো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারি।
বাংলাদেশী ফ্যাশন হাউজকেও কিছুটা মূল্যছাড় দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আর সবার আগে দরকার বড় একটা ফেইসবুক গ্রুপ, ইউটিউব গ্রুপ, সামু গ্রুপ যারা ডেডিকেটেড ভাবে বাংলাদেশের পন্যকে প্রমোট করবে। বাংলাদেশের পোশাকের ছবি তুলে আপলোড করবে, ভিডিও দেবে, বাংলাতে লিখবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবে। ফেইসবুকে লাইকের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে, ইউটিউবে ১০ লাখ বার দেখবে।
চাল ডাল পিয়াজ থেকে শুরু করে টিভি সিরিয়ালের ব্যাপ্রে যদি আমরা ভারতের উপর নির্ভর করি তাহলে তারা সুযোগ নেবেই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: প্রসাঙ্গিক ভাবে খুব একটা দিক তুলে এনেছেন। ঠিক ভারতীয় পণ্য বর্জন নয় তবে ভারতীয় পন্যের পাশাপাশি বাংলাদেশী পণ্যকে আমাদের দেশের মানুষদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আসলেই মাইক্রোফোন হাতে পেলে বড় বড় লেকচার দিতে কার্পণ্য করিনা কিন্তু আমাদের মধ্যে আসলেই দেশপ্রেমের অভাব। আমরা সভা সমাবেশে, ফেসবুকে ভারতের নামে গালাগালি করি আবার ঘরে ফিরে নিজের পরিবারের মানুষের জন্য ভারতীয় পোষাক কিনে দিই। হতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা এখনো ভারত থেকে রপ্তানিকরা পন্যের উপর নির্ভরশীল তবে যেক্ষেত্রে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ সেক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে পারি। যেমন গার্মেন্টস সেক্টর। আমাদের দেশের তৈরি গার্মেন্টস সামগ্রী বিশ্বে সমাদৃত। আর আমরা সেখানে দেশে আমাদের তৈরি পোশাকের কদর না করে ভারতের তৈরি পোষাক নিয়ে বাড়াবাড়ি করি।


আপনার প্রস্তাবটা আমার পছন্দ হয়েছে। বড় একটা ফেইসবুক গ্রুপ, ইউটিউব গ্রুপ, সামু গ্রুপ যারা ডেডিকেটেড ভাবে বাংলাদেশের পন্যকে প্রমোট করবে। বাংলাদেশের পোশাকের ছবি তুলে আপলোড করবে, ভিডিও দেবে, বাংলাতে লিখবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবে। ফেইসবুকে লাইকের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে, ইউটিউবে ১০ লাখ বার দেখবে। আমরা যারা অনলাইনে জনসচেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করছি তাদের আসলেই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসা দরকার।

শুভকামনা ও ঈদ মোবারক নিবেন রাজীব ভাই।

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

রাজিব বলেছেন: আমার এই কমেন্ট টিকে দয়া করে পারসনালি নিয়েন না। আমরা যদি ভারতীয়দের সব কিছুকেই সেরা বলে মনে করি এবং সেই মর্যাদা দেই গদগদ ভাবে তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে এরকম খারাপ আচরন করবেই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমার এই কমেন্ট টিকে দয়া করে পারসনালি নিয়েন না

কখনোই সেটা করার অভ্যেস নেই। যেটা বলেছেন সেটাই বুঝেছি, বেশী বুঝিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.