নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেরিনার
জাহাজে আমার কাজ কি??? দেশে গেলে এটা আমার কাছে সব থেকে কঠিন প্রশ্ন।
তুমি কি জাহাজ চালাও??? ক্যামনে বুঝামু জাহাজরে বাস ট্রাক এর মতো হাতে স্টিয়ারিং ধরে চালানো লাগে না।
তাইলে জাহাজ ক্যামনে চলে??? মুন চাই হাত পা ছুইড়া কান্দি। ম্যাপ রে যে আমরা চার্ট বলি এইড়া বুঝাইতে গেলেইতো হাঁপানি উঠে জাপান যাইতে হইবো আর কম্পাস জিপিএস ক্যামনে বুঝামু।
সংক্ষেপে কই আমরা তিনজন নেভিগেটিং অফিসার চব্বিশ ঘন্টা জাহাজটা ওয়াচ করি।
উল্টা প্রশ্ন, ওয়াচ? মানে খালি দেখলেই চলে?? কই হু খালি দেখলেই চলে। সব অটোমেটিক সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখলেই চলে।
যদিও আমি নিজে জানি এইডা ডাহা মিথ্যা কথা। জাহাজে মুষ্টিমেয় কিছু কাজ অটোমেটিক্যালি হয়।
কৌতুহলি জনতার কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয় না। আমি আর একটু বলি।
আমার কাজ হচ্ছে রুট প্লান করা। জিপিএস থেকে জাহাজের অবস্থান দেখে সেই রুট ধরে ধরে এগিয়ে যেতে হয়।
ক্যাপ্টেন অভারঅল কমান্ডে, চীফ অফিসার কার্গো লোডিং আর থার্ড অফিসার হল সেফটি। এইভাবে জাহাজ চলে। জনতা মাথা চুলকায়।
প্রশ্ন করে এত্ত বড় জাহাজ। সব কিছু কোত্থেকে দেখো। আমি কই 'ব্রীজ থাইক্যা'।
-কোন ব্রীজ??? হেই ব্রীজ কি যমুনা ব্রীজের থেকেও বড়???
ওরে কেউ আমারে ধর। ক্যামনে বুঝাই এই ব্রীজ হেই ব্রীজ না। এইড়া হইলো জাহাজের কন্ট্রোল রুম।
এটা আমার জাহাজী জীবনে প্রতিবার জাহাজ থেকে নামার পরের ফেসবুকের স্ট্যাটাস। জানি আমাদের জীবনটা সকলের থেকে একটু অন্যরকম। আর অন্যরকম জীবনের অধিকারী মানে অন্যজাতের মানুষ। আর তাই স্বীকার করি সবাইকে আমাদের জীবন সম্পর্কে ধারনা দেয়া আমার দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। আমি একজন মেরিনার হিসেবে সামুতে আছি। আমার বিভিন্ন বিভিন্ন লেখায় ঘুরে ফিরে জাহাজ প্রসঙ্গ চলে আসে। এখনেও অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাহাজী জীবন সম্পর্কে। তো চলুন দেখি ছবি ও গল্পে আপনাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি জাহাজ থেকে।
আমি জাহাজ থেকে নেমে স্পিড বোর্ট থেকে এই ছবিটি তুলছিলাম। জাহাজটি মিশরের সুয়েজ ক্যানেল ট্রানজিটের মুখে নোঙর করে আছে। ওখানে একটা নির্দিষ্ট সময়ে কয়েকটা জাহাজকে গ্রুপ করে ক্যানেল পার করানো হয়। এই গ্রুপকে কনভে বলে। গ্রুপ করার কারন হচ্ছে সুয়েজ ক্যানেল দিয়ে একসাথে দুই পাশ দিয়ে জাহাজ চলাচল করতে পারে না। এইজন্য একএকটা কনভে তৈরির জন্য জাহাজগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়।
সুয়েজ পার হচ্ছে আমাদের জাহাজ।
জাহাজের যে কন্টোল রুমের কথা বললাম এই সে কন্টোল রুম। প্লেনে এটাকে ককপিট বলে আর জাহাজে বলে নেভিগেশন ব্রীজ(Navigation Bridge) । ছবিটি যেখান থেক তোলা সেই জায়গার নাম ব্রীজ উইং। মানে হল ব্রীজের ব্যলকনি। আর JINDAL VARAD হল জাহাজটির নাম।
ব্রীজের কয়েকটি ভেতরের ছবি নিচে দেয়া হল। মাঝখানে দাড়িয়ে দুই পাশের ছবি নেয়া। চর্তুদিকে গ্লাসে মোড়ানো ব্রীজ থেকে জাহাজের সামনে পিছে সব দিক দেখা যায়।
জাহাজ চালানোর জন্য ব্যবহৃত স্টিয়ারিং হুইল। তবে এই স্টিয়ারিং এর ড্রাইভার কোন আরামদায়ক সিটে বসে স্টীয়ারিং করে না। তাকে দাড়িয়েই থাকতে হয়। জাহাজের স্টিয়ারিং এর জন্য নিদির্ষ্ট লোক থাকে যাকে হেলমসম্যান বলে। একটা জাহাজে তিনজন হেলমসম্যান থাকা আবশ্যক। মজার ব্যাপার হল জাহাজের স্টিয়ারিং করতে হলে সামনে তাকানোর কোন প্রয়োজন নেই। একটা কম্পাসই হল জাহাজের পথ চলার নির্দেশক। টাইম টু টাইম হেলমসম্যানকে স্টিয়ারিং এর নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে হাতে স্টিয়ারিং করার প্রয়োজন পড়ে যখন একটা জাহাজ কোন দেশে এপ্রোচ করে। গভীর সমুদ্রে হাতে স্টিয়ারিং কোন দরকার নেই। সেজন্য আছে অটো পাইলট। এই পাইলট কম্পাসে ডিউটি অফিসারের সেট করে দেয়া কোর্স অনুযায়ী জাহাজ চালাতে থাকে।
এটি একটি কম্পাস রিপিটার। জাহাজের বিভিন্ন জায়গায় কম্পাসের রিপিটার বসানো থাকে। তবে একটা জিনিস বলে রাখি। প্রাক্টিক্যালি জাহাজে যে কম্পাস ব্যবহার করা হয় সেটা ম্যাগনেটিক কম্পাস নয়। ইলেকট্রিক। একে বলে জাইরো কম্পাস(Gyro compas)। এটি প্রচন্ড একটা ঘুর্ননের মাধ্যমে ট্রু নর্থ মানে উত্তর দিক খুজে বের করে। আর ম্যাগনেটিক কম্পাস জাহাজে থাকে ইমার্জেন্সির জন্য। ইন কেজ জাইরো কম্পাস নষ্ট হয়ে গেলে কাজ চালানোর জন্য।
এটিই হল একটা জাহাজের পথ চলার রাস্তা। যাকে বলা যায় পেন্সিলে আকা পথ। এই ম্যাপকে আমাদের জাহাজী পরিভাষায় বলা হয় নেভিগেশন চার্ট। WHO মানে ওয়ার্ল্ড হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাজাইশেন পুরো পৃথিবীর প্রত্যকটা জায়গার জন্য এরকম চার্ট বানিয়ে রেখেছে। একটা চার্টে পানির গভীরতা সহ সমুদ্রের তলদেশ ও আশেপাশের ল্যান্ডের সমস্ত তথ্য দেয়া থাকে। এই চার্ট আবার বছরে বছরে আপডেট করা হয়। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয় কোন চার্টে কোন ধরনের পরিবর্তন আসছে কিনা।
পেন্সিলের পথটাতে দেখবেন ঘণ্টায় ঘণ্টায় জাহাজের অবস্থান বসানো হয়েছে। জায়গাটা থাইল্যান্ড আর ইন্দোনেশিয়ার মধ্যবর্তী মালাক্কা প্রনালি। ছবিতে আরো ইন্টারেস্টিং যে ব্যপারটা দেখা যাচ্ছে তা হল আমরা এই পথে যাবার সময় পূর্বনির্ধারিত পথ থেকে একটু থাইল্যান্ডের দিকে সরে গেছি। কেন বুঝতে পারছেন? মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য। আমাদের জাহাজে অনেকের কাছে থাইল্যান্ডের সিম কার্ড থাকাতে আমরা পথিমধ্যের এই সুবিধাটা থেকে বঞ্চিত হতে চাইনি। এই আনঅফিশিয়াল ব্যপারটাকে আমরা বলে থাকি সেলফোন নেভিগেশন।
যাইহোক জাহাজী জীবনের ছবি আর গল্প বলে শেষ করা যাবে না। তবে আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের ভালো লাগলে ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক কিছু হয়তো আপনাদের কাছে নতুন তবে এটাই আমাদের কর্মজীবন। শেয়ার করতে পেরে আমারো ভালো লাগছে।
শুভেচ্ছা জানবেন স্বপ্নবাজ অভি।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪১
মুদ্দাকির বলেছেন: চমৎকার সব ছবি দেখতে চাই , যে গুলো হয়ত কখনো দেখতে পারবো না !!!
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কালেকশন অনেক লম্বা। বেশী ইন্টারেস্ট দেখালে হয়তো পরে দেখতে দেখতে চোখ পচে যাবে।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমিও ধন্য হইয়া গেলাম।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক। আপনাদের ভালো লাগলে আরো অনেক কিছু শেয়ার করার আছে আমার।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই আমার ছটো বেলার স্বপ্ন ছিল আপনার মত জাহাজ চালানোর কিন্তু তা সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে ,আর হোয়া উঠলো না যাই হোক আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সাথে থাকুন। আপনার স্বপ্ন ছবি আর গল্পে কিছুটা হলেও পূরণ করে দিব।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৬
আই ঠগ বলেছেন: আপনার কাছে একটা পরমর্শ চাই
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১
আই ঠগ বলেছেন: আমার এক স্বজন "শিপ মেকিং "
(ডিপ্লমা) চান্স পেয়েছে । একই সাথে ইলেক্টিক্যাল (ডিপ্লমা) এও চান্সে পেয়েছে . কোনটা ভাল হবে ??
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু আসলে মার্চেন্ট মেরিনের সাথে নেভাল আর্কিটেকচার বা ইলেক্ট্রিকাল কোন কিছুরই কোন সম্পর্ক নেই। তাই বলতে পারলাম না কোনটা ভালো হবে।
মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আপনার লেখার হাত দারুন্। ভ্রমণকাহিনীগুলো জমবে ভালো, সেই সাথে ছবি এবং সত্যিকার জীবনচিত্র।প্লিজ লিখুন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেখি জমাতে পারি কিনা।
৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার একটা অভিজ্ঞতার ব্লগ ...
সুন্দর উপস্থাপনায় ভালোলাগা...
শুভকামনা রইলো...
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:০৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সুন্দর রেটিং পেয়ে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৬
তার ছিড়া আমি বলেছেন: কাহিনীর অধ্যায়টা এত তাড়াতাড়ি শেষ করলেন !
অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তি অধ্যায়ের জন্য।
বুঝতেই পারছেন, আমার কত ভালেগেছে আপনার অভিজ্ঞতার দুরুন পোষ্ট।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সবাই কিভাবে গ্রহন করলো একটু ওজন নিতে চাইলাম আরকি আমারো ভালো লাগছে সবার ভালো লেগেছে জেনে। পোষ্ট কন্টিনিউ হবে ইনশাল্লাহ।
ভালো থাকবেন।
১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৬
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: দারুণ এ্যাডভেঞ্চার লাইফ মজায় লাগে কিন্তুু আপনি জানেন কতটা কষ্টের!
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঘটনা সত্যি ।
১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০০
নতুন বলেছেন: আরো কাহিনি থাকার দরকার ছিলো... খুবই ছোট হইয়া গেছে লেখা...
আরো কাহিনি চাই...
একবার টাইটানিকের মতন ক্রুজে ভ্রমনের ইচ্চা আছে.... সাগর দেখতে হইবো..
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হু ছোট বৈকি।
জাহাজ দেখার আমন্ত্রন রইলো। এই মাসের ১৬ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে সুন্দরবন আসতে পারলে জাহাজ দেখামু।
১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩
নতুন বলেছেন: এরাবিয়ান গল্ফে আইছে দেখতে যাইতে পারি...
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: নিমন্ত্রনটা তুইলা রাইখেন। আইলে জানামুনে।
১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫
নতুন বলেছেন: এরাবিয়ান গল্ফে আইলে দেখতে যাইতে পারি...
১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:১৬
নতুন বলেছেন: অবশ্যই জানাইবেন...
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :-< :-< :-<
১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২০
পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। জাইরো কম্পাস দেখেছি কিন্তু প্রচলিত কম্পাসের মত নয় দেখে কিছুই বুঝিনি, আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম।নেভীগেশন চার্টদেখে রুটপ্ল্যান করা কঠিন কিছুনয়, কিন্তু বিষয়টি মজার কারন আপনি জাহাজটাকে আপনার নির্দেশিত পথে চলতে নির্দেশ দিচ্ছেন বা বাধ্য করছেন আবার জাহাজটির নিরাপদে চলার দায় দায়িত্ব আপনার ঘাড়ে বর্তাচ্ছে। চার্ট পজিশন আর জিপিএস পজিশন সিনক্রোনাইজ হলেই কাজ শেষ।আমি এই লাইনের মানুষ নই । আপনি এই লাইনের মানুষ আপনার বর্ননা উপস্হাপনা ও রসিকতার রস সংযোগ লেখাটিকে চমৎকার উপভোগ্য করেছে । লিখতে থাকুন।
অঃটঃ আই ঠগ আপনার প্রশ্নটি পরিষ্কার নয়, চলন্ত জাহাজে মনে হয় দুটো গ্রুপ থাকে, নেভিগেশন ও ইন্জিনরুম ইন্জিনিয়ার। ক্যপ্টেন সবার কমান্ডে থাকেন। আপনি মনেহয় শীপ বিল্ডিং এর কথা বলতে চাইছেন। সেখানে আর্কিটেকচার,ডিজাইনার,ইলেকট্রিক্যাল,মেক্যানিকাল,অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারের অনেকরকম কাজ আছে প্রত্যেকটাই গুরুত্বপূর্ন সুতরাং আপনার স্বজন যে বিষয়টিতে বেশী সাবলিল সেটাতে যোগ দিতে বলুন।ধন্যবাদ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি বেলাইনের লোক হইয়াও সব কিছু কেমন চমৎকার বুঝে গেলেন। আপনার মতো এমন দু একজন আমার এলাকায় দর্কার।
চার্ট প্লান যেটাকে আমরা প্যাসেজ প্লান বলি সেটা আসলেই ইন্টারেস্টিং। হাজার হাজার মাইলের একটা রুট আগে পেন্সিলে একে ফেলতে হয়। এই রুট আকার সময় অনেক কিছুই লক্ষ্য রাখতে হয়। যেখান দিয়ে আমি জাহাজটি নিয়ে যাবার জন্য প্লান করলাম সেখানকার পানির গভীরতা আমার জাহাজের জন্য সাফিসিয়েন্ট কিনা, কোন রেক(wreck) আছে কিনা বা লোকাল কোন রেগুলেশন আছে কিনা সব দেখতে হয়। তারপর এই রুটটাকে GPS এর ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি আমার মনে হয় আপনি বুঝে গ্যাছেন ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১১
আদম_ বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি শেষ কর্লেন ক্যা
ভদ্দ পুলার মতো অতি দ্রুত আর একখানা পুস্টু দেন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঘুম পাইত্যাছিল খুব। তাছাড়া রোজার মাসে একটা দীর্ঘ গল্প লিখ্যা ভালো লম্বর পাইলাম না। তাই বড় কিছু ডেলিভারী দিতা চাইনাই। তয় আপ্নে যখন কইত্যাছেন....
১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২১
হাসান রাজু বলেছেন: আপনার রাইটিং নেভিগেশন অনেক ভাল হয়েছে ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পার্ফেক্ট কমেন্টস
১৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০০
সোহানী বলেছেন: দারুন লিখা সঙ্গে দারুন ভাবে উপস্থাপনা।
আমি কিছুটা আপনাদের লাইফ সর্ম্পকে জানি... আমার বাবা মেরিন একাডেমিতে ছিলেন আর আমার কাকা ক্যাপ্টন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
আমি কিছুটা আপনাদের লাইফ সর্ম্পকে জানি... আমার বাবা মেরিন একাডেমিতে ছিলেন আর আমার কাকা ক্যাপ্টন।
স্যালুট ক্যাপ্টেনের ভাতিজি। উনি কোন কোম্পানিতে আছেন?
২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
মুহাই বলেছেন: ভাল্লাগছে।।। কিন্তু বিশাল জলরাশিরর কথা মনে হলেই ভয় লাগে!!আপনার লাগে না?(`_^)
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: লাগে আবার লাগে না।
২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
মুহাই বলেছেন: ওহ!আপনি কি আগের সেই 'জাহাজী পোলা'?????
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: না ভাই। সে আরো ভালো লেখে।
২২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
আই ঠগ বলেছেন: @পুলক ডালি ;
আপনার সাথে আর একটু শেয়ার করতে চাই ।
দয়া করে > [email protected]" target="_blank" >http://www.facebook.com/[email protected]
২৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২০
টেকনিসিয়ান বলেছেন: আচ্ছা ধরে নিলাম জাহাজ অটো পাইলটে চলছে... এতে দুটো জাহাজ কি কখনো মুখোমুখি হবার চান্স আছে ? বা তখন কি সর্তক এল্যার্ম বেজে ওঠবে?
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ্যা আছে। আমরা ডিউটিরা সেটাই মনিটর করি সবসময়।
২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভালো লাগবেনা মানে? অসাধারন লেগেছে...
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমিও তো সেইটাই জিগায়, ভালো লাগবেনা মানে?
২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
নতুন বলেছেন:
এই রকমের ঝড়ের সময়ের অভিঙ্গতা আছে? সেইটা নিয়া লিখবেন...
তবে প্রাথনা করি এই রকমের বিপদে যেন না পড়তে হয় আপনার...
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক এতটা না হলেও পড়েছি। লেখার ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ।
২৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট! অনেক ভালো লাগল।
এই বিষয়ে একটা সিরিজ চলুক।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা। আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। সিরিজ লেখার ইচ্ছা আছে।
২৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
পাজল্ড ডক বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট! অনেক ভালো লাগল।
এই বিষয়ে একটা সিরিজ চলুক।
একমত,সিরিজ চলুক।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাহাজী জীবন নিয়ে আপনাদের আগ্রহ দেখে ভালো লাগছে। সিরিজ চলবে ইনশাল্লাহ।
২৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১২
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: সিরিজের সাথে আছি। চলুক।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ http://www.somewhereinblog.net/blog/rubelbd । লেখা রেডি হচ্ছে। আগামীকাল সেকেন্ড পর্ব পেয়ে যাবেন আশা করি।
২৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৩
বাবুই পািখ বলেছেন: খুব আকর্ষণীয় বর্ণনা । ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইলো।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ বাবুই পািখ।
ভালো থাকবেন।
৩০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
আদম_ বলেছেন: জাহাজের কি ব্রেক আছে? টিভি সিনেমায় তো দেখে জাহাজের স্টিয়ারিং হুইল অনেক বড় অথচ আপনাদের টা এত ছোট কেন? জাহাজের ফুয়েল কী? জাহজটার দাম কতো?
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ম্যালা কোশ্চেন এক লগে কইরাল্যাছেন। এখন অল্প কইর্যা দিই।
১) জাহাজের ব্রেক নাই। তবে প্রোপেলার উল্টা ঘুরাইয়া সম্মুখ গতি রোধ করা যায়। তবে সেটাও সময় সাপেক্ষ।
২) সিনেমার গরু গাছে উঠে।
৩) জাহাজের ফুয়েল হইল গিয়ে তেল। মানে হেভি ওয়েল। আলকাতরার মতো আঠালো।
৪) এই ব্যাপারে আমরা এখনো আদার বেপারী।
৩১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। আরও আরও জানতে চাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। আপাতত কবিতা মুডে আছি। জাহাজী জীবনের গল্প নিয়ে আবার আসছি কয়েকদিন পরে।
শুভকামনা রইলো।
৩২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
আই ঠগ বলেছেন: @ মৃদুল ভাই ,আপনার সাথে সখ্যতা চাই ।
মেরিন ডিপ্লমা >সীপ বিল্ডিং সম্পর্কে এর সংকট ও সম্ভাবনা কেমন । দেশ বিদেশে চাকরীর সুযোগ কেমন ।
৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
আলম৪৩৪ বলেছেন: জাহাজের TRIM AND HEEL সর্ম্পকে যদি একটু বিস্তারিত বলতেন তা হলে আমার একটু উপকার হতো
৩৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯
স্বপ্নসমুদ্র বলেছেন: হা হা হা! এই সেলফোন নেভিগেশন যে জাতির জন্য কতটা গুরত্তপূর্ণ তা যদি জাতি বুঝত!! পোস্ট ভালা পাইছি...
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ !