নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেরিনার
বর্তমানে শিপিং বিজনেসের বেহাল দশার কারনে আমরা মংলা থ্যাইকা সিঙ্গাপুর পর্যন্ত মাথা মোড়ানো গরুর মতো আইলাম। গরুকে বাজারে নেয়ার সময় যেমন চোখ বাইন্ধা রাখা হয় আমরাও তেমনি কই যাইতাছি কিছুই কইতে পারি না। আন্ধার মতো চইল্যাও সাড়ে তিন দিনের মাথায় মালাক্কা স্ট্রেইটের মুখে আইস্যা পডছি। শেষে স্ট্রেইটে ঢুকুম কি ঢুকুম না করতে করতে সিঙ্গাপুর পার।
হর্সবার্গ লাইট হাউজ পার হইয়া ব্রিজে ক্যাপ্টেন সহ প্লান করতাছি এখন কি করুম। হেডিং কি নর্থে নাকি সাউথে দিমু? নাকি ইঞ্জিন বন্ধ কইরা খাড়ায় থাকুম? ক্যাপ্টেন কইলো চলো মালয়েশিয়ার OPL এ এ্যংকর করি। কইলাম চলেন। তয় একটু কোষ্টের কাছাকাছি করিয়েন। আমার কাছে মালয়েশিয়ার একটা সিম আছে কিনা
ম্যানুওভারিং এর জন্য ইঞ্জিন রুমে ওয়ান আউয়ার নোটিশ প্রায় দিমু দিমু করতাছি এমন সময় ভয়েজ ইন্সাকশান(Voyage Instruction) আইস্যা পড়লো। টাস্কি খাইলাম। কি পারফেক্ট টাইমিং বাব্বা।
কিন্তু আমার জন্য আরো বড় টাস্কি অপেক্ষা করতেছিল। তন্ন তন্ন করে খুইজ্যাও গালফ অফ থাইল্যান্ডের কোন চার্ট পাইলাম না। বাংলাদেশি জাহাজ অথচ থাইল্যান্ডের ইষ্ট কোষ্টের কোন চার্ট থাকবে না বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্চিল। কিন্তু আমি কষ্ট পাইলে তো আর লাভ নাই। কষ্ট পাইতে হইবো কাপ্তান সাহেবকে।
কিন্তু কাপ্তান সাহেব কোন কষ্টই পাইলেন না। ল্যাপটপ খুইল্যা আমারে জিগালো তুমি কদ্দুর যাইতে পারবা। কইলাম, আট ডিগ্রি নর্থ। তাও ক্যানসিল চার্ট।
ভাগ্যিস OpenCPN প্রোগ্রামটা আছিল। যদিও ২০১১ 'র পরে কোন আপডেট নাই তবু আমি আর ক্যাপ্টেন দুজনে মিল্যা একটা আন্ধা প্লান করলাম। ক্যাপ্টেন কইলো একটু চোখ কান খোলা রাইখ্যা যাইতে হইবো।
আমরা চোখ কান খোলা রাইখ্যাই জাহাজ চালাইলাম। কিন্তু যখন ঘুমে থাকি তখন তো আর চোখ কান খোলা রাখতে পারি না। আর সেই সুযোগে আমার ষষ্ট ইন্দ্রিয় আমাকে আজব আজব স্বপ্ন দেখানো শুরু করলো। দেখি সামনে বিশাল একটা ব্রিজ। আমি ব্রিজের তলা দিয়া যাইবার পথ খুঁজতাছি কিন্তু কোন পথ নাই। পরপর কয়েকটা জাহাজ ধাক্কা ধাক্কি কইরা আমার রাস্তা আগলায়া খাড়ায় আছে।
বুঝলাম না হ্যাগো এই বেহাল দশা হইলো ক্যামতে। আমি না হয় আন্ধা প্লানে জাহাজ চালাইত্যাছি কিন্তু ওরা এইভাবে একটার পিছে আর একটা লাগায় দিল কেন???
আমার হাতে পায়ে কোন ব্রেক নাই। আমিও লাগাইয়া দিলাম। ধাক্কা খাইয়া আমার জাহাজের মাথা উঠে গেল আর একটার পিছে। আমি ব্রিজ ফালাইয়া দৌড় দিলাম। এক লাফে সামনের জাহাজটিতে নেমে যেই না আমার জাহাজের বাল্বাজ বাউ(জাহাজের সামনের অংশ) ধরছি ধাক্কা দিমু অমনি ক্রিং ক্রিং। ধড়মড় করে উঠে দেখি পৌনে বারোটা।
ব্রীজে আইস্যাই ক্যাপ্টেনকে ফোন দিলাম। ব্যাচারা ঘুমায় গেছিল। কইল, কি হইচে সেকেন্ড?
- স্যার অফিসে ফোন দিয়া বলেন স্কান(scan) চার্ট পাঠাইতে।
- বলছি। কিন্তু মনে হয় লাভ নাই। চোখ কান খোলা রাখ।
আমি আর কি করুম। ফার্স্ট এইড বক্স থেকে একটা বদ হজমের ট্যাবলেট নিয়ে মুখে দিলাম। শুনেছি পেঁটে গ্যাস হইলে মানুষ আজে বাজে স্বপ্ন দ্যাখে। তারপর ডিউটি এবি রে কইলাম চোখ কান খোলা রাখেন। আর আমার নিজের কানের ওপরে যে চুলগুলো শোভাবর্ধন করে সবসময় সেইগুলাকেও গুজে দিলাম কানের নিচে।
গুনিজনে যে কয় সব স্বপ্ন সত্যি হয় না। মনে হয় কথাটা ঠিক। কারণ আমরা সহি সালামতে থাথং পৌছালাম।
থাথং এ্যংকরেজে লোডিং চলছে। জিপসাম। আমি ডিউটি শেষ করে ইদানিং বোর্ট ডেকে বসি। কেবিনে ভালো নেটওয়ার্ক পায় না।
হঠাৎ একটা শিশুর কান্নার আওয়াজ কানে এল। অবাক হলাম। জাহাজে কারো ফ্যামিলি অনবোর্ড নেই। সো বাচ্চা থাকার তো কথা না।
লোডিং গ্যাং আছে কিছু পুরুষ মহিলা। কিন্তু এই কয় দিনে তাদের কারো বাচ্চা আছে বলেও দেখি নি। এদিকে কান্না ক্রমাগত বাড়ছে। কারো আবার বাচ্চা টাচ্চা হয়ে গেল নাতো??? ধুর তা কি সম্ভব??
কেউ কি কেবিনে ফুল ভলিউমে মুভি দেখছে?? কিন্তু লোহার বদ্ধ কেবিনে যেখানে নেটওয়ার্ক ঢুকে না সেখানে এত জোরে বাইরে আওয়াজ আসার কথা না। তাছাড়া সিনেমার বাচ্চারা এভাবে কাঁদে না। এটা কোন চিমটি দেয়া কান্না নয়।
একটু পরে উঁকি ঝুকি দিয়া কান্নার উৎস খুজে পেলাম। কান্না আসছে বার্জ থেকে। বার্জ মানে যে সমস্ত ছোট ছোট লাইটার বোর্টে করে এ্যংকরে থাকা জাহাজে গুলোতে কার্গো আনা হয়।
এই একটা ব্যাপার আমি এখানে খেয়াল করেছি। থাইল্যান্ডে এরকম কয়েক হাজার লাইটার বার্জ আছে। আছে সেগুলোকে টেনে আনার জন্য টাগবোর্ট। এরকম এক একটা বোর্ট বা বার্জ চালনা বা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আছে এক একটা ফ্যামিলি। তারা এখানেই খায় এখনেই ঘুমায় এখানেই চাকরি করে আবার এখানেই বাচ্চা জন্ম দেয় আবার বাচ্চা লালন পালন ও করে।
আমার মনে হতে লাগলো তাদের এই ভ্রাম্যমান সংসার জীবন কি আমাদের থেকে ভালো নয়?? জলের ওপর তাদের চাকরি আর আমাদেরও। কিন্তু তারা এই জলের চাকরিটাকে একটা ফ্যামিলিতে কনভার্ট করেছে। কিন্তু আমরা এভাবে ফ্যামিলি ছাড়া একাকি জীবন বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। হায় যদি বউকে নিয়ে এরকম কোন বার্জেও চাকরি করতে পারতাম তবে জীবনটা হয়তো আরো মধুর হতো।
--------------------------------------------------------
কিছু জাহাজী শব্দের অজাহাজী অর্থঃ
হর্সবার্গ লাইট হাউজঃ সাউথ চায়না সী থেকে সিঙ্গাপুর স্ট্রেইটে ঢোকার দিক নির্দেশনা কারী।
OPL: Out of port limit. (যেখানে জাহাজ এ্যংকর করে থাকলে কাউকে ভাড়া দেয়া লাগে না)।
ম্যানুওভারিংঃ গভীর সমূদ্রে পূর্ণ গতিতে চলমান অবস্থা থেকে গতি নিয়ন্ত্রন অবস্থায় পরিবর্তন।
ওয়ান আউয়ার নোটিশঃ 1 hour notice.
ভয়েজ ইন্সাকশানঃ পণ্য পরিবহনের জন্য কোন তৃতীয় পক্ষের কাছে জাহাজ ভাড়া হবার চুক্তি তথা ঐ পক্ষের প্রয়োজনীয় শর্তাবলি।
ক্যানসিল চার্টঃ যে ম্যাপ বাতিল বলে ঘোষিত হয়েছে।
ব্রিজঃ জাহাজের কন্ট্রোল রুম।
বল্বাজ বাউঃ জাহাজের একেবারে সামনের নাকের মতো অংশ।
স্কান চার্টঃ ইমেইলে পাওয়া ম্যাপ যা জাহাজের প্রিন্টারে প্রিন্ট নিয়ে ক্রমানুসারে সাজিয়ে ইমার্জেন্সিতে ম্যাপের প্রয়োজন মেটানো হয়।
থাথংঃ থাইল্যান্ডের একটা রিমোট এ্যংকরেজ পোর্ট।
লোডিং গ্যাংঃ কার্গো লোডিং আনলোড কর্মে নিয়োজিত পোর্টের জনবল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এইডা তো আমাদের সব জাহাজীর জাতীয় কষ্ট। আর আমাদের কাছে রম্যের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। সামান্য কিছুতেই আমরা হো হো করে হাসি।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
সুমন কর বলেছেন: রম্য তেমন খুঁজে পেলাম না। তবে অজাহাজী অর্থগুলো ভাল লেগেছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কাছাকাছি কোথাও অনুবীক্ষণ যন্ত্র আছে কিনা দ্যাখেন। রম্য পাইলেও পাইতে পারেন।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: জাহাজী শব্দগুলা ভালা পাইলাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জাহাজী ডিকশোনারি এক আজব ডিকশোনারি। বাল্বাজ বাউ কে ভালো ভাবে উচ্চারণ করলে বউ বলে। সেই বউয়ের আবার ব্রেষ্ট হুক আছে।
এরকম আরো অনেক শব্দ আছে।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২২
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: এত কষ্ট আগে থেকে পুষে রাখলে ক্যামনে চলব!! জাহাজী জীবন ---আক্ষেপ কিন্তু ভাবুন আমাদের দেশে অনেক প্রবাসী পরিবার রেখে আসে দেশে । ২/৩ বছর পর একবার যায়। আপনারা ছুটি কেমন পান বছরে?
ভাল না লাগলে ছেড়ে দিবেন চাকুরী এটাত বাধ্যবাধকতা নাই তাই নয়কি?
বেশ আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেছেন ।
যাক বুঝলাম আপনার কষ্ট। আর
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কষ্টের তুলনা যদি কষ্ট দিয়ে করি তবে দুনিয়ার কোন কিছুতেই আর কষ্ট থাকে না। কিন্তু বলিন তো আসলেই কি সেটা করা সম্ভব?? আমার কষ্ট শুধুমাত্রই আমার নয়কি???
স্বার্থপরের মতো কথা হয়ে গেল?? হয়তো গেলো। কিন্তু কি করবো বলেন!! হতাশা কখনো কখনো এমনি নিজে থেকেই আসে, তাকে ডেকে নিয়ে আশা লাগেনা।
হ্যা চাকরী করার কোন বাধ্যবাধকতা যদিও নেই তবু পাশবিক(সাংসারিক) নিডস তো আছেই।
আর হ্যা আঞ্চলিক শব্দগুলো নাকি আধুনিক সাহিত্যে। চেষ্টা করলাম আধুনিক হবার।
ভালো থাকবেন।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: এরকম এক একটা বোর্ট বা বার্জ চালনা বা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আছে এক একটা ফ্যামিলি। তারা এখানেই খায় এখনেই ঘুমায় এখানেই চাকরি করে আবার এখানেই বাচ্চা জন্ম দেয় আবার বাচ্চা লালন পালন ও করে।
কিন্তু এই জীবনটা আমার কাছে কেমন জানি লাগল!! যদিও পরিবারের সবাই একসাথে আছে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কথায় আছে না নেই মামার থেকে কানা মামা ভালো। আমাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। আমাদের দেশে কোষ্টাল যে সমস্থ বার্জ গুলো আছে সেগুলোতে কেউ ফ্যামিলি নিয়ে জব করে না। অথচ চায়না, থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনামে দেখেছি সব খানেই তারা ফ্যামিলি লাইফটাকে অনেক বেশী প্রাধ্যান্য দিয়ে থাকে। সব ধরনের কোষ্টাল বার্জ সহ অনেক সওদাগর বোট থাকে যারা এ্যংকরে থাকা জাহাজে সওদা নিয়ে আসে তারাও দেখেছি একটা ছোট্ট নৌকার মধ্যেই তাদের ফ্যামিলি লাইফ কনটিনিউ করছে। আমরাই আমাদের ফ্যামিলি লাইফের মূল্য দিই না।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
ডি মুন বলেছেন: বাংলাদেশি জাহাজ অথচ থাইল্যান্ডের ইষ্ট কোষ্টের কোন চার্ট থাকবে না বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্চিল। কিন্তু আমি কষ্ট পাইলে তো আর লাভ নাই। কষ্ট পাইতে হইবো কাপ্তান সাহেবকে।
কিন্তু কাপ্তান সাহেব কোন কষ্টই পাইলেন না।
আমরা চোখ কান খোলা রাইখ্যাই জাহাজ চালাইলাম। কিন্তু যখন ঘুমে থাকি তখন তো আর চোখ কান খোলা রাখতে পারি না। আর সেই সুযোগে আমার ষষ্ট ইন্দ্রিয় আমাকে আজব আজব স্বপ্ন দেখানো শুরু করলো।
এরকম এক একটা বোর্ট বা বার্জ চালনা বা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য আছে এক একটা ফ্যামিলি। তারা এখানেই খায় এখনেই ঘুমায় এখানেই চাকরি করে আবার এখানেই বাচ্চা জন্ম দেয় আবার বাচ্চা লালন পালন ও করে।
মৃদুল ভাইকে ফ্যামিলি নিয়ে জাহাজে চাকরি করার সুবিধা দেয়া হো্ক। কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মৃদুল ভাইকে ফ্যামিলি নিয়ে জাহাজে চাকরি করার সুবিধা দেয়া হো্ক। কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানা
আপনার দাবীর সমর্থনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
(গোপনে কই, আমি আর একটা প্রমোশন পাইলে ফ্যামিলি নিয়ে জাহাজে সেইল করার ইলিজিবিলিটি পাবো।)
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
খাটাস বলেছেন: ভাই এর আগে এক খানা কমেন্ট লেখলাম, কারেন্ট চলে গেল।
আপনার জাহাজি জীবন পড়ে আমার যাইতে ইচ্ছা করতেছে। আপনার রম্যে আপনার শেষোক্ত আফসোস শুনিয়া প্রান খুলে দোয়া করি, আপনার জব বারজে তে কনভার্ট হোক। আমার ছাত্র জীবন কনভার্ট হইয়া মেরিন হয়ে যাক। আমি ও খুশি, আপনি ও খুশি।
পড়ে ভাল লাগল।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: লোডশেডিং এর যন্তনায় আপনার আসল মন্তব্যখানা মিস করলাম। আফসুস। তবে পরবর্তী যে মন্তব্য করেছেন,
"আপনার জব বারজে তে কনভার্ট হোক। আমার ছাত্র জীবন কনভার্ট হইয়া মেরিন হয়ে যাক। আমি ও খুশি, আপনি ও খুশি।"
ঘটনা যদি এই হয় তবে আমরা কেউই খুশি হয়তে পারুম না। কারন, মাদার ভ্যাসেলে চাকরি কইরা লাইফ স্টাইলের খরচ যা দাড়াইছে বার্জে চাকরী কইরা পুষাইতে পারুম না। মাঝে মাঝে এই টাইপের আফসুস খালি আফসুসের জন্যই আফসুস।
আর আপনার যদি স্টুডেন্ট লাইফ মেরিনে কনভার্ট হয় তবে আপনার অবস্থাও বেহাল হইয়া যাইবো। কারণ মেরিনের জুনিয়রদের চাকরীর বাজার এখন ছ্যারাব্যারা অবস্থা।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এইটা কিছু হইল? "রম্য" না পাইয়া "হতাশ" হইলাম।
গল্পও পাইলাম না, তবে কিছু "ডেফিনিশন" শিখতে পারিলাম।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: রম্যহতাশ সাহেব আপনের লগে লুকোচুরি খেলিছে। তাই ইহাকে খুজিয়া পাওয়া খুবই শক্ত।
আর এই গল্প তো স্টোরি নয়, এটা লাইফ স্টোরি ভাই!!!
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
রম্যর থেকে তো প্রিয়জনের দূরে থাকার কষ্টই ফুটে উঠেছে বেশি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সেটাইতো ওঠে সবসময়। কিন্তু এত দুঃখি হয়ে থাকতে ভালো লাগে না তাই রম্যের সাইনবোর্ট লাগিয়ে দুঃখকে চাপা দেবার ট্রাই করলাম ভাই।
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮
আবু শাকিল বলেছেন: কাহিনী তে কোন রম্য নাই।পরিবারেরে র পাশে না থাকার হাহাকার।
লেখার ধরন টাই রম্য হিসেবে নিয়েছি।লেখার স্টাইল দারুন লেগেছে।
সমাপ্তিতে কিছু জ্ঞান আহরণ করলাম।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি সবসময় ঠিক জায়গায় হাত দেন শাকিল ভাই।
আসলে তো কিছু নেই তাই স্টাইলটাই ভরসা। মানে আমাদের জাহাজী বোরিং লাইফে নিজেরাই কার্টুন সেজে আনন্দিত হবার মতো অবস্থা হইছে এখানে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
বৃতি বলেছেন: ভালো লাগলো জাহাজীর গল্প নিজের অভিজ্ঞতা গল্পের থেকেও কখনো কখনো সুন্দর। এই ব্লগে জাহাজের সব অভিজ্ঞতা জার্ণালের মত জমাবদ্ধ রাখতে পারেন- আমরাও নতুন কিছু জানতে পারলাম। শুভকামনা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছোট বেলায় জলদস্যুদের গল্প পড়তে ভালো লাগতো। আন্ডার দ্যা সি, ট্রেজার আইল্যান্ড, মিসটেরিয়াস আইল্যান্ড এই গুলো ছিল আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায়। কিন্তু নিজে যে কখনো অথৈ সাগরে ভেসে বেড়াবো এই সপ্ন ছিল না।
কিন্তু যে ভাবেই হোক আজ আমার দিন কাটে সাগরে সাগরে। অনেক বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবন পার হয়ে যাচ্ছে।
আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আমার ব্লগটা ঘুরে দেখার নিমন্ত্রন রইলো।
অনেক দেরীতে প্রতিউত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
শুভকামনা রইলো।
১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
মামুন রশিদ বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
এটা জাহাজী জীবনের এক টুকরো হতাশার গল্প।
উপস্থাপন করেছি রম্য হিসেবে। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ডি মুন বলেছেন: মৃদুল ভাই তাড়াতাড়ি আরেকটা প্রোমোশন পেয়ে যাক, আর আমাদের ব্লগের সবাইরে নিয়ে বিরাট এক পার্টির আয়োজন করু্ক.... আমিন
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।
তবে প্রমোশনের জন্য আমাকে আর একটা কম্পিটেন্সি পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে সিঙ্গাপুর অথবা ইনল্যান্ড থেকে। আশা করছি আগামী বছর পরীক্ষা দিতে যেতে পারবো।
পাট্টি দেবার জন্য রেডি আছি যে কোন সময়। অক্টোবর মাসে ঢাকায় আসলে আওয়াজ দিবেন।
১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: বিয়া কইরাইলাইলেই তো পারেন
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি কন ভাই?
জাহাজে বঊ নিয়ে থাকার যোগ্যতা শুধুমাত্র বিয়া কইরালাইলেই হয় না।
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মনে হলো আপনার পাশে বসে ছিলাম !
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি পাশে ছিলেন দেখেইতো আন্ধা প্লানে জাহাজ চালানোর সাহস পাইছিলাম।
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
বোকামানুষ বলেছেন: ডি মুন বলেছেন:মৃদুল ভাইকে ফ্যামিলি নিয়ে জাহাজে চাকরি করার সুবিধা দেয়া হো্ক। কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাই
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ফ্যামিলি নিয়ে জাহাজতো দূরকি বাদ দেশে থাকার সুবিধাও পাচ্ছি না। (দেশে থাকলে খামু কি?)
১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: যাক কিছু জাহাজী জ্ঞান আহরন করা হল । পড়ে ভাল লাগলো ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্প বলার স্টাইলটা দারুণ রম্য!
কেমন আছেন মৃদুল শ্রাবন?
প্রচন্ড কাজের চাপে আছি।প্রায় ৭দিন পর ব্লগে আসলাম।আরও কিছুদিন এভাবে চলবে।খুব মিস করি.....
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেশে আসলে আমারো দৌড়াদৌড়িটা বেড়ে যায় তাই ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনা।
অনেক দেরীতে রিপ্লে দিলাম ভাই। কিছু মনে করবেন না।
ভালো আছি।
১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
একলা ফড়িং বলেছেন: জাহাজী জীবন! ভাবলে অদ্ভুত লাগে আমার কাছে! খুব ইচ্ছে করে কিছুদিন জাহাজী জীবন কাটাতে।
অজাহাজী শব্দগুলোর জন্য স্পেশাল থ্যাঙ্কস!
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:১৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ আমার পোষ্টে আপনি কতদিন আগে মন্তব্য করে রেখেছেন আর আপনার সাথে গতকাল আমার পরিচয় হল। আপনিই তো ঘাসফড়িং না?
জাহাজী জীবন নিয়ে আপনার আগ্রহের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। কারণ জাহাজী জীবন মেয়েদের খুব বেশী পছন্দ নয় বলেই দেখেছি।
আপনার কেউ কি "আমি জাহাজী?" না মানে টাইমলাইনে দেখলাম।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
সোহানী বলেছেন: রম্য পোস্টেতো কোন রম্য পেলাম না পেলাম বউ এর বিরহে বিরহী স্বামী