নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্যারাময় ঈদের জার্নি

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

ইহাকে মনে হয় প্যারা বলে...

আগেরদিন পানির অভাবে গুসল করবার পারিনাই। রাইতে ট্যাপের ভেতরে ফিস্‌ ফিস্‌ কইরা একটু পানি আইছিলো। বাসায় আমরা ছাড়া আরো একজন উপস্থিত ছিল। সেই পানি সে খরচ করিয়া ফেলিবে এই ভয়ে বাথরুমে তালা মারিয়া রাখিলাম। :-0 :-0

বিকালে একটা ট্রাস্ট ক্যাব ঠিক করে রাখছিলাম। মিটারের থেকে দুইশত টাকা বেশী দিব এই কন্ট্রাক্টে সে এত সকালে আসার জন্য রাজি হইছিল। সকালে টেনেটুনে প্রত্যাহিক কর্ম সম্পাদন করিয়া(পানির অভাবে) ক্যাবের ড্রাইভারকে ঘুম থেকে উঠাইয়া বাহির হইলাম। যাত্রা পথে অশুভ কিছু থাকলে মানুষ হোঁচট খায়। আমিও খাইলাম। কোন বদ পুলা লিফটের মধ্যে হিসু করিয়া রাখিয়াছে। X( এতপরে হোঁচট খাইলাম ট্যাক্সিতে উইঠ্যা। দেহি মিটারে দেড়শ টাকা বিল উঠে আছে। বুঝলাম ড্রাইভার গ্যারেজ থেকে গাড়ি স্টার্ট দিয়েই মিটার চালু করেছে। কি আর কমু।

ঈদের গাড়ি যথাসময়ে ছাড়িবে এই আশা ছিল না। তবু আমরা যথা সময়েই কাউন্টারে পৌছালাম। কিন্তু মনে মনে দুই তিন ঘন্টা কাউন্টারে বসে থাকার ইচ্ছা(প্রস্তুতি) থাকলে গাড়ি কর্তৃপক্ষ আমাকে হতাশ করিল। ঠিক সকাল সাড়ে ছয়টায় আমাদেরকে শ্যামলী থেকে গাড়িতে ওঠার জন্য ডাকা হল। আমিতো খুশি হইয়া গেলাম। কিন্তু পরক্ষনেই বুঝলাম এত আনন্দের কিছু নাই, আমাদেরকে গাড়িতে নয় উঠতে বলা হল একটা কোষ্টার বাসে। ভাবলাম গাবতলী থেকে বড় গাড়িতে উঠাবে। কিন্তু কোষ্টারটি গাবতলীর গরুর হাটের মধ্যে দিয়া জ্যাম ছাড়াইতে ছাড়াইতে এগুতে থাকলো। শুনলাম আমাদের সাভার পর্যন্ত যাইতে হবে। বড় গাড়ি আসিতেছে।

সেই রুপকথার গল্পের মতো আমাদের কোষ্টার গাড়ি যাইতে যাইতে যাইতেই থাকিল। কোষ্টারের মধ্যে একটা বাচ্চার হাসফাস দেখিয়া খুবই খারাপ লাগছিল। গাড়ির এসির কথা চিন্তা কইরা এই গরমের মধ্যে সে বেচারাকে মোটা কাপড় পরাইয়া আনছে। এখন সে না পারছে জামা খুলে ফেলতে না পারছে গরম সহ্য করতে।



এই গাড়ী নিয়া আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। ঢাকা যশোর লাইনে এই প্রথম হুন্দাই সিরিজের বিজনেস ক্লাস গাড়ী ছাড়ছে। আমি সহজ ডট কম থেকে দুইটা টিকেট সাইত্রিশো দুই টাকা দিয়া কাটছিলাম আরাম কইরা বাড়ি আসুম দেইখ্যা। কিন্তু আরামের খেতা পুড়ে আমরা আমরা মানিকগঞ্জ পর্যন্ত ননএসি কোষ্টার বাসে আইস্যা বড় গাড়ি পাইলাম।

ইয়েলো লাইনের হুন্দাই সিরিজের গাড়ির টিকিট কইরা কোষ্টারে করে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত আসলে পড়ে কত করে? :((

দ্বিতীয় প্যারা অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। গাড়িতে উইঠ্যা দেহি এসি নষ্ট। মনে হইত্যাছে হুন্দাই রে *ন্দাই। X(

গাড়ির ড্রাইভার, হেল্পার, সুপারভাইজার আর প্যাসেঞ্জাররা মিইল্যা গুতাগুতি কইরা গাড়ীর এসি ঠিক করে গাড়ি চলতে শুরু করিল। কোষ্টারে থাকা কালিন সময়ে গাড়ীর সব প্যাসেঞ্জার গাড়ি ব্যবস্থাপনার গুষ্টি উদ্ধার করছিল। কিন্তু এসি গাড়িতে উঠে সবাই যেন আহ্লাদে আটখানা হইয়া চুপ মারিয়া গেল। কিন্তু আমি স্বভাবজাত কারনে চুপ থাকতে পারলাম না। এহেন ভোগান্তির জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে একটু নাড়া দেবার উদ্দেশ্যে আমার টিকিটের কপি সুপারভাইজারের কাছে জমা দিলাম না। ইচ্ছে মতো পানি ঘোলালাম। সুপারভাইজার, চেকার আমার পাশে আইস্যা গাইগুই কইরা ডুপ্লি চায়। আমি কই তোমাদের জিএম কে আমার কাছে ফোন কইরা মাফ চাইতে বলো।

কিন্তু জিএম আমার কাছে মাফ চাইলো না। তবুও আমি শেষমেষ ডুপ্লি দিলাম না। হয়তো আমার একার প্রতিবাদে তাদের কিছু আসলো গেলো না তবে আমার মতো একই কাজ যদি গাড়ির সব প্যাসেঞ্জার করতো তবে মনে হয় তারা সোজা হতো।

ফেরী পার হলাম কোন জ্যাম ছাড়াই। ভাবছিলাম প্যারা বুঝি শেষ হইলো। কিন্তু আল্লাহ যারে দেয় তারে ছাপ্পর মাইরা দেয়। যশোর পৌছানোর পনের কিলোমিটার বাকী থাকতেই গাড়ি আবার নষ্ট হইয়া গেল। কিসের একটা বেল্ট নাকি ছিড়ে গেছে। এই বেল্ট যশোর থেকে কিনে নিয়ে গিয়ে গাড়ীতে লাগালে গাড়ি চলবে। সুপারভাইজার জানালো সব মিলিয়ে ঘন্টা দুয়েক লাগবে।

বাড়ির কাছে এসে দুই ঘন্টা বসে থাকার মতো ধৈর্য্য পেলাম না। একটা সিজারিয়ান ইজি বাইক ঠিক করে আমরা উঠে পড়লাম। ইজি বাইক হল ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা। আর সিজারিয়ান ইজি বাইক হলো সেই রিক্সার ব্যাটারি অকেজো হয়ে যাবার পরে তাতে স্যালো মেশিনের ইঞ্জিন লাগানো।

আমরা হুন্দাই সিরিজের বিজনেস ক্লাস থেকে নেমে ভটভট করতে করতে হাইওয়ে দিয়ে ঝাকি খাইতে খাইতে বাড়ির দিকে আসছিলাম। মেজাজ খুব বেশী খিচড়ে থাকায় একটা সেলফি তুললাম না। তবে এই ভটভটিতে করেও যদি বাড়ী ফিরতে পারতাম তবু হত। কিন্তু হল না। ভটভটি শহরে ঢোকার মুখে হঠাৎ একটা সতের আঠার বছরের ছেলে এসে আমাদের ভটভটির ড্রাইভারের নাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিল। শহরের বাইরের গাড়ি শহরে ঢোকার কি সব নীতিমালা নিয়ে তাদের পূর্ব গোলযোগ ছিল।

শোকরিয়া আদায় করলাম ভাগ্যিস একটা ঘুষি আমার নাকে লাগেনি। তাড়াতাড়ি আমরা নিজের নাক বাঁচাবার তাগিদে সেই ভটভটি থেকে নেমে অন্য একটা ইজি বাইকে করে অবশেষে বাসায় আসলাম।

এই গেল বাড়ি ফেরার প্যারা। আর যাবার প্যারা শুরু হইলো টিকিট কাটা দিয়েই। আসার সময় বাস জার্নির এহেন দূর্দশায় পতিত হইয়া প্লান করিলাম আর নয়। এবার ট্রেনে করিয়া ফিরিবো। আমার বাড়ী থেকে আবার স্টেশনের দূরত্ব খুব বেশী না। আমি স্টেশনে গিয়ে শুনে আসলাম ৯ তারিখের টিকিট ৫ তারিখে দেয়া হবে। আমি ৪ তারিখ বিকালে স্টেশনে গেলাম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। টিকিট কাউন্টারে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে টিকিট পেতে হলে ঠিক কখন স্টেশনে আসতে হবে। সে আমাকে টিকেট কাটার লাইনের মুখে একটা চেয়ার দেখিয়ে বললো, একজন অলরেডী লাইনে দাড়িয়ে গেছে। আমি কোন মানুষ দেখলাম না, দেখলাম খালি একটা চেয়ার রেলিংয়ের সাথে তালা মারে রাখা আছে। জিজ্ঞেস করলাম, এই রকম হয় নাকি? সে জানালো হয়। শুনে আমি ছুটলাম বাড়ির দিকে। চেয়ার নিয়ে আমি যতক্ষন স্টেশেন ততক্ষনে আরো চারটি চেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। :-P

চেয়ারের ওপর পুরোটা ভরসা না করে ভোর বেলা গিয়ে নিজের চেয়ারের জায়গা দখল করলাম। ততক্ষণে চেয়ারের পেছেন জনা পনের লোক লাইনে দাড়িয়ে গেছে। সকাল নয়টায় টিকিট দেয়া শুরু হলে লাইনের পাঁচ নম্বর পজিশনে থেকে আমি যখন শেষের দুইটা এসি টিকিট পাইলাম মনে হল সোনার হরিণ হাতে পাইলাম।

আজ রাত নয়টায় আমার ফিরতি যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। তবে জানিনা নয়টার ট্রেন কয়টায় আসবে। সেদিন শুনলাম রেলমন্ত্রী বলছেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের জন্য বিরোধী দল দায়ী। এখন দেখা যাক বিরোধী দল আমার জন্য কতোটা প্যারা রেখেছে।

---------------------------------------------------------

এই গেল আমার প্যারা। ঈদ উপলক্ষে সবার প্যারার কাহিনী শুনতে চাই। আমার এক শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই বলেছেন তিনি প্যারাকে পেয়ারা মনে করে গাড়ীতে উঠেছেন। তিনি ঢাকা থেকে ২৫ ঘণ্টায় নীলফামারী পৌছিয়েছিলেন। জানিনা ২৫ ঘণ্টায় তার পেয়ারা তাজা ছিল কিনা।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

শুভ্র গাঙচিল বলেছেন: হা হা হা... প্যারা খাইতে খাইতে তো ভ্রাতার প্যারাসিটামল হইয়া যাইবার উপক্রম। এখন দেখেন সামনে আপনার জন্য আর কি কি অপেক্ষা করছে। দোয়া থাকলো আপনার জন্য। যাত্রা শুভ হোক :D :D :D

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: প্যারাকে যদি প্যারাসিটামল বানাইতে পারতাম তাইলে তো ভাই বাইচ্যা যাইতাম। আর জীবনে মাথা ব্যথা করতো না। :-P

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

♥কবি♥ বলেছেন: "অশেষ ভোগান্তির দেশ
আমার সোনার বাংলাদেশ"
ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দারুণ বলেছেন কবি।

আমার সোনার বাংলাদেশের গিফটের কোন শেষ নেই।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কিছু কইতাম না.... =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এত্ত হাইসেন না। মুখের দাঁত কিন্তু আর মুখে থাকবে না =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপ্নে জানেন না, দাঁত এখন মুখে গজায় না, মাথায় গজায় ;) :P

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কঙ্কি?? কবেত্তে??? :| :|

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: আহারে...

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যি হই গেলাম আপু। এত্ত দিন পর !!

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ভালই লাগল আপনার কোষ্টার, এসি বাস, সিজারিয়ান ইজি বাইকের ও ট্রেনের টিকেট পাওয়ার ভোগান্তি ও কস্টের কাহিনী।
"অশেষ ভোগান্তির দেশেও ভাল কিছু করবার আশায়"

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এত কিছুর পরেও আমি যখন নিজের বাসার দরজা দিয়ে প্রবেশ করলাম তখন সেই স্নিগ্ধ হাসি ফুটে উঠলো যেটা লাখ টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না।

ভালো থাকবেন।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

বনসাই বলেছেন: তারপরও ঈদে বাড়ি যেতে চাই!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আবার জিগায় B:-/ B:-/

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিটা বাড়িফেরা মানুষ কোন না প্যারার মধ্য দিয়ে বাড়ি পৌছেছে । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত সুস্থ ভাবেই বাড়ি যেতে পেরেছেন এটাই বড় কথা । ফেরাটা আনন্দময় হোক ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একটা উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ফেরার এই উৎসব পৃথিবীর আর কোন দেশের মানুষের মধ্যে আছে কিনা আমার সন্দেহ। এটাই আমাদের আনন্দ। এটাই আমাদের বাঙালীত্ব।

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনিযে প্যারামুক্ত জীবন যাপন করেন এটার জন্য আমরা হিংসিত। /:)

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হা হা হা আমার কোন প্যারা নাই। ঈদের দিন রাতে একটা রেষ্টুরেন্টে বেশ জমকালো একটা পার্টি ছিল। পাশের বাসার এক ভাবীর বাচ্চা প্রথম স্কুলে যাবে সে খুশিতে। পুরো বার্লিনের বেশির ভাগ বাঙ্গালীই ছিল। সেটাই বেশ এনজয় করেছি।

তবে আপনার অভিজ্ঞতা হয়ত দেশে থাকলে আমারও হত। যাই হোক কিভাবে ফিরলেন , কেমন ভুগলেন সেটার আপডেট জানাইয়েন।

ভাল থাকা হোক।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: তাহলে বলতে হয় আপনি লুজার। এই প্যারাতে যে কি মজা তা বুঝতে পারলেন না। জাহাজে থাকতে আমার ঈদ একবারে প্যারাহীন কাটে। সেই ঈদটা থাকে বড্ড পানসে ঈদ।।

যাই হোক সুন্দর একটা ঈদ কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ভবিষ্যৎ ঈদগুলোও ভালো কাটুক।



কেমন আছেন???

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুমন কর বলেছেন: মজা পেলুম !!! =p~ B-)

বেশ রসালো করেই লিখেছেন। ১ম +।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি চামে চামে প্রথম হয়ে গেলেন। :-P :!>

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: প্রতিটা বাড়িফেরা মানুষ কোন না প্যারার মধ্য দিয়ে বাড়ি পৌছেছে । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত সুস্থ ভাবেই বাড়ি যেতে পেরেছেন এটাই বড় কথা । ফেরাটা আনন্দময় হোক ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেখা যাক। আর কয়েক ঘন্টা পরেই শুরু হবে সেকেন্ড রাউন্ড।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: না ভাই মৃদুল আমি জার্নি প্যারায় পড়িনি তবে লাইফ টাইম ফাঁড়ায় পড়েছিলাম :(

আমি যে কোন সমস্যায় ডিপ্লোম্যাটিক আচরণ করে সমস্যার সমাধান করে থাকি।কিন্তু এইবার ধরা খেয়েছি।আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের সাথে তাত্বিক মত দ্বৈততা দেখা দেয় ঈদের কয়েকদিন আগে।আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে গিয়েছিলাম।জানিনা আমার সেই প্রিয় মানুষটি আমার অবস্থানটা বুঝতে পেরেছে কিনা।মনটা এখনও অস্থিরতার মধ্যেই আছে।

বোকা ভাইয়ের মন্তব্যে ও অাপনার প্রতি উত্তরে বেশ মজা পেলাম =p~

ভালভাবে ফিরে আসুন এ কামনা রইলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভাইয়া আমার মনে হয় আপনার সেই প্রিয় মানুষটিও আপনার সাথে তাত্বিক দৈন্যতায় বেশ খানিকটা কুকড়ে গেছে। তার আনপ্রফিশনাল আচারনের জন্য সে নিজেও অনেক লজ্জিত।

তবে ব্যপার যাই হোক অস্থিরতার আর কোন কারন নেই। আপনার কাছে যেটা সঠিক সেটা বলতে দ্বিধা করবেন না। বড় ভাই হিসেবে মাথা পেতে নিব।

ঢাকায় ফেরাটা বেশ সুখকর হইছে। কোন প্যারার ছাড়া পৌছে গেছি।

আপনার ঈদ প্যারাহীন কেটেছে জেনে ভালো লাগলো।

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: আমি ভাবছি আগামী ঈদে যশোর টু ঢাকা ইউএস বাংলা ফ্লাইটে রিটার্ন টিকিট কাটুম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: শুধু ভাবা না। একেবারে ফাইনাল ডিশিসন নিয়ে নিন। কোণ ঝামেলা ছাড়াই এটাই উত্তম।

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২২

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আছি মোটামুটি, কিছুটা ব্যস্ততা, কিছুটা নিরবতা এইত। আপনি কেমন আছেন?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বেশ কাটছে। ছুটির দিনগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে আসছে।

আবার হয়তো যে কোন সময় সমুদ্রের ডাক চলে আসবে। যতটা পারছি উপভোগ করে নিচ্ছি।

১৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কথায় আছে সমস্যা নাকি একা একা আসে, সঙ্গীসাথী জুটিয়ে তারপর আসে। জগৎ প্যারাময় :( প্রার্থনা করি ফেরার পথে কোনরূপ প্যারার সন্মুখীন না হোন। ফিরতি পথের শুভকামনা রইলো :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: তাইলে মনে হয় আমি প্যারার মিছিলের সামনে পড়েছি। যদিও ফেরার পথে কোন প্যারা হয়নি তবে অন্য একটা প্যারার মধ্যে পড়েছি। :| :|

১৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হাহাহাহা দুঃখে হাসি ভ্রাতা , মাইন্ড খাইয়েন না আবার :)


ভালো থাকবেন সবসময় :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মাইন্ড খাইছি :!> :!>

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:২০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :|| :|| :| :| =p~ =p~ =p~ ভাই প্যারাটা আপনারে অনেক কষ্ট দিছে কিন্তু প্যারা নিয়ে লেখাটা কিন্তু মজা দিছে । :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হুন্দাই গাড়ির মধ্যে একটা সেলফি দিছিলাম। পরে যখন ইঞ্জিন ভটভটিতে উঠি তখনও মন চাইছিল একটা সেলফি দিই। কিন্তু বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়ায় মন ভালো ছিল না বলে দেয়া হয় নি।

তাই মজা নেবার জন্য পরে মজা করে লিখছি।

ভালো থাকুন।

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ট্রেনে আমার সিটের দুই সারি আগে তিনটা সিটের ওপর এসির পানি পড়ছে গল গল করে। সরকারী ব্যপার, দেখার কেউ নেই। এক বেচারা ফ্যামিলি নিয়া দাড়ায় আছে।

তারে প্যারায় পাইছে। আর আমি চোক্ষের ওপর রুমাল দিয়া ঘুমাইতাছি।

মোবাইল থেকে রি কমেন্টস কর্তে পার্ছি না। তাই কমেন্টস করলাম। ;) B:-/ ;) (মোবাইল ভার্সন দিয়ে ইমো দেয়া যায়। ইয়াহু :-P কি মজা। )

১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩০

আবু শাকিল বলেছেন:
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কথায় আছে সমস্যা নাকি একা একা আসে, সঙ্গীসাথী জুটিয়ে তারপর আসে। জগৎ প্যারাময় :(


মৃদুল শ্রাবন ভাই...

কুনো ভাই এইগুলা কি কয় !!! উনি কি আপনার ঈদ যাত্রাপথের সেলফিতে এখনো জেলাস !!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ২০১৫ সাল নাকি উনার বিয়ের বছর। আমরা আশা করছি ২০১৫ সালটা কুনো ভাইয়ের সেলফির বন্যায় ভেসে যাবে।

ভালো থাকবেন শাকিল ভাই।

২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩১

ব্ল্যাক পাইরেট বলেছেন: কি কয়াম আর আমি, যা কইতে চাই কমেন্টে দেখি আমার কথাই সবাই লিখে বসে আছে, যাইহোক আমি একা এত গুলো লেখার প্যারা থেকে বাইচা গেলাম :!> ফেরার আপডেট জানান জলদি

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মতো বুদ্ধি যদি আমার থাকতো তবে আমিও প্যারা থাইক্যা বাইচা যাইতাম। সবাই প্যারা খাইতে খাইতে বাড়ি যাইতো আর আমি না গিয়া বসে ভাবতাম যাক আমি বেচে গেলাম। আমাকে আর প্যারা খাইতে হল না। :-P :-P

ফেরাটা সুখকর হইচে। কোন প্যারা খাইনি। তবে একজনকে প্যারা খাইতে দেখেছি। ১৮ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য।

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আহা! :(
আন্তরিক সমবেদনা রইলো......

ঘটনাক্রমে আমাদের ঈদ ভ্রমণে তত ‘প্যারাময়’ ছিল না...


বিগত ঈদের মোবারকবাদ জানাই, প্রিয় মৃদুল শ্রাবণ :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

আপনার শান্তিময় ঈদ ভ্রমণের জন্য হিংসে :P

২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

তুষার কাব্য বলেছেন: অভিজ্ঞতা ;)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই !

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঈদের ভুড়িভাজির মতো বাসী ঈদ মোবারক।

২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা..... এতো খুবই সাধারন জার্নি.... টিকেট কাটার পর ও ঘাড়ের উপর যাত্রী উঠাই নাই ... ওইটাই তো বেশী। আর মানিকগন্জ পর্যন্ত নিসে, যশোর পর্যন্ত যে নেই নাই তাইতো ভাগ্য !!! B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) :#) :#) :#) :#)

আমি গতবারের বাসের তলায় পরার এক্সপেরিয়েন্স এর পর খোদ বাসে যাই..... আর টিকেট !!! ওটার কথা কি বলবো !!!! সেটা আরেক এক্সপেরিয়েন্স ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার গতবারের কাহিনী কি? বাসের তলায় গেছিলেন কেন? চাকার ওপর সিট কাটছিলেন নাকি?
:-0 :-0

২৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপনার যে বড় ভাই ঢাকা থেকে ২৫ ঘণ্টায় নীলফামারী পৌছিয়েছিলেন তার জন্য সমবেদনা :P

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :P :P :P :P :P :P

২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৫:০৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হি হি দারুণ মজার তো পেয়ারাটা। ব্যাপক মজা পেলাম ভাইয়া বিশেষ করে চেয়ারের লাইনে দাঁড়ানোর ব্যাপারটায়।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সেদিন এক দোকানে পেয়ারা কিনতে গেছি দেখি পেয়ারাওয়ালা বলছে এখদম খাটি থাই পেয়ারা। তার কাছে জাম্বুরাও ছিল। আমি তাকে জগাইলাম মামা জাম্বুরা কি আফ্রিকান??

আর চেয়ারের কথাটা আমিই বা কি কমু। প্রথমটাই আমিও মজা পেয়েছিলাম। আমার বাসার তিনতলা থেকে চেয়ারটা বের করে আমি মোটর সাইকেলের পেছেন আর এক জনের হাতে চেয়ার ধরিয়ে দিয়ে স্টেশনে গিয়েছিলাম, পরে আমি সকালে স্টেশন থেকে আসার সময় আমার সাথে কোন সঙ্গী ছিল না। আমি একা মানুষ মোটর বাইক চালিয়ে চেয়ার নিয়ে ক্যামনে বাসায় আসবো সেটা ছিল বেশ খানিকটা জটিলতার বিষয় !!! :!> :!> :!>

২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা... চাকার উপর সিট না রে ভাই.. খোদ সিট সহ চাকার তলে চলে গেছিলাম আর কি!!! আল্লাহর ইচ্ছায় জানে বেঁচেছি বাট গাড়িখানা বিসর্জন দিতে হয়েছে :(( :(( :(( :(( :((

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার সেই দুঃস্বপ্নের ভ্রমণের জন্য সমবেদনা।

দোয়া করি আপনার ভবিষ্যৎ ভ্রমণগুলো নিরাপদ হোক।

২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

রোদেলা বলেছেন: ঈদের পর দিন কক্সবাজার গিয়েছিলাম বন্ধুরা মিলে,ওইটা ছিলো বিরাট প্যাড়া।পড়ে দেখতে পারেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Rodela77/29985674

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

ছয় মাস পরে রিপ্লে দিলাম। :!> :!>

২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫২

খেলাঘর বলেছেন: ১৭ কোটী মানুষের প্রয়োজন অনুসারের যোগাযোগ ব্যবস্হা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.