নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি গানের রিভিউঃ ভোট ফর ঠোট

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১



শুনেছি বুড়োমানুষের মাঝে মাঝে ভীমরতি ধরে। কিন্তু কখন ক্যামনে ধরে জানতাম না। কিন্তু কয়েকদিন আগে একটা মিউজিক ভিডিও দেখে বুঝলাম বুড়ো কখন ভীমরতিগ্রস্থ হয়।

বিষয়ভিত্তিক গান ছেড়ে যে কেন তিনি রঙচটা বিনোদনের দিকে ঝুকলেন সেটা বোধগম্য নয়। কয়েকদিন আগে SAtv তে একটা ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেছিলেন, 'সঙ্গীতকে শুধু পেশা হিসেবে বা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভাবাটা ঠিক না। গানের মধ্যে অনেক কিছুই থাকে যেটা প্রার্থনা থেকে শুরু করে, পূজা থেকে শুরু করে, প্রতিবাদ, বিপ্লব, ভালোবাসা, প্রেম সবকিছুই থাকে। আমাদের মধ্য অনেকেই থাকে যাদের নিজের কোন মতবাদ থাকে না বলে গড়পড়তা গান গান এবং ঐসব গান জনপ্রিয়তা পায় বেশী।' হ্যা তার কথা ঠিক। তাকে আমরা গানের বানিজ্যিক স্রোতে গা ভাসাতে দেখিনি। তার অধিকাংশ গান তিনি নিজেই লিখে সুর করেন। একজন দেশপ্রেমিকের সুর ফুটে উঠেছে তার গানের মধ্যে। বিশ্বজিতকে নিয়ে তার গানের কথা জাতি আজীবন স্বরণ রাখবে। শাহবাগ আন্দোলনের তার সক্রিয়তার কথা এখনো কেউ ভোলেনি। ফেলানী হত্যাকান্ড নিয়েও তিনি কাজ করেছেন। সেই তিনি এভাবে পল্টি কিভাবে খেলেন ঠিক বোধগম্য নয়। পল্টি খাওয়ার কথা বলছি এই কারনে যে নায়লা নাইম এসময়ের বাঙালী মডেলিংকে একটা ট্রেন্ড থেকে টেনে এনে নগ্নতার সাথে মিলন ঘটানোর তালে আছেন। বলিউড মার্কা পোষাক-আশাক পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি ইতিমধ্যে বিতর্কের শীর্ষে চলে এসেছেন।

প্রীতমের এই গানটির উপস্থাপনা দেখলে মনে হয় তিনি নাইলা নাইমকে দিয়ে কাজ করানোর জন্যই গানটি লিখেছেন। এরকম একটা রগরগে গান তার কাছে থেকে ঠিক আশা করা যায় না।

মিউজিক ভিডিওটির প্রথমেই স্ক্রীনে ভেসে ওঠে লো কাট কালো গেঞ্জী পরা নাইলা নাইমের সদ্য রক্তে চুমুক দেয়া লালটুকটুকে ঠোট। এই ঠোটকে তিনি মার্কা হিসেবে নিয়ে একটা জোট করতে চাইছেন। এই দেশে আজ পর্যন্ত অনেক ধরনের জোট দেখেছি। কিন্তু ঠোটের জোট এই প্রথম। জোটের নাম প্রেমের মহাজোট।

ভিডিওটিতে নাইলাকে দেখা যায় একজন বীজগনিতের টিচার হিসেবে। হোয়াইট বোর্ডের একগাদা সূত্র নিয়ে তিনি চিন্তিত থাকা অবস্থায় সেখানে আবির্ভাব ঘটে প্রীতমের। তার আঙুলের ইশারায় নাইলা তার কোলে হুমড়ি খেইয়ে পড়েন। কিন্তু তখন তিনি আর অংকের ম্যাডাম নন। হয়ে গেছেন মিনি স্কার্ট পরা নার্স। নাকি ডাক্তার?? ডেন্টিস নাইলাকে এই গানের মধ্যেও এই রূপে উপস্থাপন করা থেকে বোঝা যায় তার চরিত্রটিকে বেশ গুরুত্বের সাথে নেয়ে হয়েছে। জানিনা তিনি তার চেম্বারে এই টাইপের পোষাক পরে কাজ করেন কিনা। এমনিতে লেডী ডেন্টিসদের নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাও বেশী ভালো না।

গানখানি দেখতে দেখতে মাঝখানে একবার নাইলাকে শাড়ী পরা অবস্থায় দেখে অবাক হলাম। পুরো গানটিতে তার অঙ্গভঙ্গী এবং ড্রেসআপের সাথে শাড়ী পরা নাইলা কে বেশ খাপছাড়া লাগছিল। কিন্তু ঐ এক মূহুর্তের জন্যই। কারণ এই পরেই তিনি হাজির হন মারমুখী পুলিশের ভূমিকায়। তবে ঐ একই কথা, মিনিস্কার্ট পরা কালো ড্রেসের পুলিশ আমাদের দেশে যে কবে রাস্তায় নামবে আর আমরাও পুলিশনীর পাছায় প্রীতমের মতো লাঠির বাড়ী দিতে পারবো সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চিত এই পুলিশ আমাদের থানায় আসলে দূর্নীতি কমার পরিবর্তে বেড়ে যাবে। কারণ সবাই এই পুলিশের হাতে ধরা খাবার জন্য ক্রাইম করা শুরু করবে।

যদিও প্রীতমের সমগ্র কেরিয়ারে এই গানটির মতো আলোচনা আর কোন গানে হয়নি। তাই বলতে হয় গানটি বানিজ্যিক ভাবে সফল। কিন্তু প্রীতমের ভাষায় এটি একটি রাজনৈতিক স্যাটায়ার গান। প্রীতম বলেন, অনেক গোবর মস্তিষ্কের মানুষ গানটি না শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন এর ভিডিও দেখে। কিন্তু মন দিয়ে গানের কথাগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন না। তারা জানেন না এটি একটি রাজনৈতিক গান। আর এই গানের কথা লেখার পেছনে পরোক্ষভাবে মূল উত্সাহদাতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গত নির্বাচনে কিংবা তার আগের নির্বাচনে এরশাদ কোন জোটে যাবেন— সেটা নিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যে টানাপড়েন আর সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করেই গানটি লিখেছি। অথচ মাথা মোটা অনেক সমালোচক লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিওতে নায়লা নাঈমে দেখেন। আর আমাকে বলে ছি.. ছি.. ছি.., প্রীতম অনেক অশ্লীল।

কিন্তু কথা হচ্ছে এই মেসেজটি দিতে কি এই রগরগে মিউজিক ভিডিওটির খুব দরকার ছিল?? এইভাবে সানি লিওন মার্কা নাইলাকে দিয়ে তিনি মেসেজটি কেন দিতে চাইলেন??

আমি বাংলাদেশের ভোটার হবার পরে দুইটা নির্বাচন গ্যাছে মাগার একবারও ভোট দিতে পারিনাই। প্রথমটার কারণ সঙ্গত। দেশে ছিলাম না। আর এবার তো ভোট দেয়াই লাগেনি। তবে এবার ভাবছি প্রেমের মহাজোটে একটা ভোট দিবো। যেহেতু মার্কা আমাদের আবেদনময়ী নাইলা আপার টুকটুকে ঠোট সেহেতু ভোট তো একটা দিতেই হয়। কি বলেন???

নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষনার অপেক্ষায় থাকার ফাঁকে আসুন ভোটের প্রচারপত্রটা একটু দেখে নিই।

মার্কা যদি হয় তোর লাল টুকটুকে ঠোঁট
একা আমি দিতে রাজি - ১৬ কোটি ভোট
অবিশ্বাস, এর এই আকালে সবাই দেয় চোট
তোর আর আমার ঠোঁটই গড়বে প্রেমের মহাজোট
ঠোঁট বানাবে জোট বানাবে ঠোঁট বানাবে জোট
জোট বানাবে ঠোঁট বানাবে জোট বানাবে ঠোঁট।


নাহ্‌ থাক নির্বাচনী ইশতেহার এই বেশী পড়লে হাঁপানী উঠে যেতে পারে। তার চেয়ে আসুন যেটা নিয়ে কথা বলছি সেই মিউজিক ভিডিওতি দেখেই একটু বিনোদিত হই।



"শাহবাগ কলিং আবার একাত্তর" ছিল প্রীতমের লাস্ট এ্যালবাম। বিভিন্ন সামাজিক অন্যায়- অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রীতম কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগারদের সাথে একাত্মা ঘোষনা করেন এবং তার ঐ এ্যালবামের সমুদয় লভ্যাংশ তিনি উৎসর্গ করেন গণজাগরণ মঞ্চের সমস্ত শহীদের পরিবারকে। সেই প্রীতমের এই ঠোটের বানিজ্য ঠিক হজম করা যায় না।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শাহবাগে কি ধরণের মানুষজন যাতায়াত করত আর আন্দোলনের নামে রাত-বিরাতে সেখানে তারা কি করত, তার একটা ছোট্ট ধারণা পাওয়া গেল এই ব্লগে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: B-) X( :( :((

:-P :-P :-P :-P

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

আবু শাকিল বলেছেন: গানের লিরিক স পড়লে অথবা অডিও শুনলে উনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা কিছুটা বোঝতে পারি। কিন্তু ভিডিও তে নায়লা নাইম কে দেখার পরে আমার ত মনে হচ্ছে না তিনি এরশাদের রাজনীতি টানা পোড়েন নিয়ে কিছু বোঝাতে চেয়েছেন।

যা দেখলাম সব ত মুনাফা,বানিজ্য ।

তিনি হাটু দেখিয়েছেন উরু না দেখার লোভ কে সামলাতে পারে।

তবে তিনি নব্য সুশীল হওয়ার ফর্মুলা ভালভাবে আয়ত্তে করতে পারেন নি।ফেবুতে আমি উনারা ফলোয়ার। লেখা কিছু পড়ি ।অবিবাহিত হলে যা হয় আর কি।

আমার আবার ইদানিং কলা ছেড়ে কলার গাছ খুব পছন্দ হয়ে যায় !!!

আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।


গানের রিভিউ আইডিয়া আমার কাছে ভাল লেগেছে মৃদুল শ্রাবণ ভাই।

তেনার যে কথা গুলো মাথায় নিয়ে মন্তব্য করলাম।

"

অনেক গোবর মস্তিষ্কের মানুষ গানটি না শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন এর ভিডিও দেখে। কিন্তু মন দিয়ে গানের কথাগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন না। তারা জানেন না এটি একটি রাজনৈতিক গান। আর এই গানের কথা লেখার পেছনে পরোক্ষভাবে মূল উত্সাহদাতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গত নির্বাচনে কিংবা তার আগের নির্বাচনে এরশাদ কোন জোটে যাবেন— সেটা নিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যে টানাপড়েন আর সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করেই গানটি লিখেছি। অথচ মাথা মোটা অনেক সমালোচক লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিওতে নায়লা নাঈমে দেখেন। আর আমাকে বলে ছি.. ছি.. ছি.., প্রীতম অনেক অশ্লীল। ""

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শাকিল ভাই।

এই রিভিউটি লিখেছি একটা গানকে পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যে নয়। প্রীতমের এইটাইপের ভিডিও তৈরি করা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। একটা মানুষের মটো কতো তাড়াতাড়ি বদলে যেতে পারে। তিনি যতই আমাদের পাবলিকদের মাথায় গোবর আছে এই কথা বলে দেন না কেন তার এটা তার তিন হাতের একটা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই না।

অন্য এক জায়গায় তাকে বলতে শুনেছি, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ বিষয় হচ্ছে— এই ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি চলছে, কলকাতার বাংলা ও বোম্বের হিন্দি গান। তাদের গানের ভিস্যুয়ালাইজেশন, প্রেজেন্টেশন যেমন থাকে, আমাদের বাংলা গানে সেসব খুব কম পাওয়া যায়।”


কি বোঝা যায়, গানের বানিজ্যিকরণ কি আসল উদ্দেশ্য ছিল না??

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের প্রকৃত গানের শিল্পীরা পড়েছে অস্তিত্বের সংকটে।পাইরেসির কারণে গানের সিডি বের করে এখন আর লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যায় না।ইতোমধ্যে বেশ কিছু রেকডিং স্টুডিও বন্ধ হয়ে গেছে।শিল্পী যদি নিজে না বাঁচে তাহলে ভাল গান গাইবে কে?সেই সাথে পরিবর্তিত হয়েছে আমাদের তরুণ সমাজের মানসিকতা।হারমোনিয়াম বাজিয়ে মাইক্রোফোন ধরে গান করা শিল্পীর গান আর তাদের শুনতে ভাল লাগে না।গান বেঁচতে অনেক জায়গায় মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে চটুলতা।এখন স্টেজ শো’তেও গায়ক/গায়িকার সাথে সহ-শিল্পীরা উদ্দাম নাচে স্টেজ মাতাচ্ছে।এখন গান নয়,গানের বিনোদনটাই আসল!আর এরই সর্বশেষ সংযোজন এ ধরণের গান।যৌন সুড়সুড়ি দেওয়াই দর্শক-শ্রোতা আকর্ষণের শেষ অস্ত্র।এ পথ অবলম্বন করে এদেশের সিনেমা ধ্বংস হয়েছে।এখন গানের জগতেও কিছু অমানুষ সুস্থ ধারার গানের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকছে!আমারতো আশংকা হচ্ছে নিকট ভবিষ্যতে এরকম আরও মিউজিক ভিডিও তৈরী হবে।দুঃখিত টানেলের শেষ প্রান্তে আলো দেখতে পাচ্ছি না....

(এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত মন্তব্যটি খুব সংক্ষেপে আমাদের বিনোদনের অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যৎ তুলে ধরেছে। যৌন সুড়সুড়ি দেওয়াই দর্শক-শ্রোতা আকর্ষণের শেষ অস্ত্র। এই কথাটি শুধু আমাদের দেশে নয় সারা বিশ্বে প্রচলিত। বিদেশী গানগুলোর মিউজিক ভিড়িও আমাদের গানের কথা যতটা না আকর্ষণ করে গানের মিউজিক ভিড়িওটা তার থেকে বেশী আকর্ষণ করে। উহাররণ আর নাই দিলাম। কিন্তু আমাদের দেশে প্রীতমের এই গানটি নিয়ে সমালোচনার কারন হচ্ছে শিল্পীর ব্যাক্তিগত কিছু আচারণ। প্রীতমকে আমরা যেভাবে চিনি, তার যে একটিভিটি তিনি নিজেই ফুটিয়ে তার যে পাবলিক ইমেজ গড়ে তুলেছেন এই গানটি তার সেই ইমেজের মুখে কাদা লেপে দেয়া ছাড়া কিছুই না। টিকে থাকার লড়াইয়ে এত তাড়াতাড়ি হার মেনে নেওয়া অন্য যে কারো জন্য শোভনীয় হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার একটা কন্ঠস্বর বলে যিনি নিজেকে পরিচয় দেন তার জন্য শোভনীয় নয়।

ভাই সুন্দর মন্তব্যে দেবার জন্য ধন্যবাদ নিবেন।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

সুমন কর বলেছেন: পড়লাম কিন্তু অামার কাছে তেমন ভাল লাগেনি। (হয়ত অামি বুঝিনি)

কি বলতে চেয়েছেন, সেটা স্পষ্ট হয়নি। ফেবুতে মনে হয় একটু দেখেছিলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার ভালো লাগাতে পারিনি বলে খারাপ লাগছে না। কারণ এখানে ভালো লাগার মতো কিছুই ছিল না। যা ছিল সবই খারাপ লাগা অনুভূতি।

স্পষ্ট করে আর কি বলবো, মানুষ যখন স্বার্থের কাছে হার মানে তখন অনেক কিছুই দেখা লাগে। তবে এত তাড়াতাড়ি দেখলে চোখে সয় না।

মন্তব্যে ধন্যবাদ নিবেন সুমন দা।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৪

ডক্টর লেকটার বলেছেন: যদি ভুল না কইরা থাকি- বাংলার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নায়লার আন্ডার্গার্মেন্টস দেখা গেছে এই গানে (3:26 মিনিটে)।

নায়লাই পারবে বাংলায় সানির অভাব পূরণ করতে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ্‌ বাহ্‌ কি নিবিষ্ঠ দর্শক রে বাবা। তবে আমি তো সন্দেহে ছিলাম ওখানে কিছুই ছিলানা। =p~ =p~ =p~ =p~

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৭

তাওহীদ৭১তমাল বলেছেন: নায়লা কে দেখে সে তার আগের গান এবং কথা গুলো ভুলে গেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ । এই মিউজিক ভিডিও টি দেখার পরে আমার মনেও এমন প্রশ্ন জাগছিল :#)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সেটা হতে পারে। এমন হট্‌। :-0 :-0

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬

তুষার কাব্য বলেছেন: জোটের নাম প্রেমের মহাজোট। :P :#)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি কি ভোটার হয়েছেন? হয়ে থাকলে একটা ভোট চাইতে নাইলা নাইম আপনার বাসায় হানা দিতে পারে কিন্তু :P :P

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:০৬

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আইয়্যামে জাহেলিয়া যে আবার ফিরে আসছে, আমাদের নারীরা যে আবার শুধু মাত্র ভোগ্য পন্যে পরিনত হচ্ছে তার একটা নমুনা। এই জাতীয় গানে দেখবেন পুরুষরা ঠিকই গোড়ালীর নীচ পর্যন্ত পোষাক পরে আছেন। কিন্তু নারীর দেহটাই শুধু নগ্ন দেখানো হচ্ছে। যে সব নারীরা সিনেমা বা গানে নগ্ন হয়ে দেহ সর্বস্ব অভিনয় করে অর্থ উপার্জন করছে তাদের বলি, এটা দেহ ব্যবসারই নামান্তর। বর্তমান বিশ্বে কিছু মুনাফালোভী পুরুষরা অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন ভাবে নারীকে নগ্ন ভাবে উপস্থাপন করছে, আর কিছু কিছু নারীরা সেই ফাঁদে পা দিয়ে পুরো নারী সমাজটাকেই বিপথগামী করে তুলেছে। আর আজকাল ইন্টারনেটের সহজ লভ্যতার কারনে একটা শিশুও জেনে যাচ্ছে নারীর দেহের কোথায় কি আছে। এরা শুধু নারী সমাজকে নয়; পুরো মানব সমাজকেই ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিযেছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ধর্মীয় এবং সামাজিক দুইটি অবক্ষয়কে তুলে ধরেছেন। ব্যপারটা আজকাল ডালভাতের মতো হয়ে গেছে। যারা পন্যের বাজারজাত করার জন্য নারীর শরীরকে পুজি করে বিজ্ঞাপণচিত্র তৈরি করে তাদের কাছে এই চিন্তা চেতনা নেই।

কিন্তু যিনি নিজে একজন মানবধিকার কর্মী তার কাছ থেকে এই ব্যানিজ্যিকরণ ভিডিও মানা যায় না।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রিয় মৃদুল শ্রাবন ভাই, প্রীতম সাহেব কিন্তু অনেক আগে থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই অ্যালবাম তৈরি করেছেন, এবং তার ফেবু ওয়ালে সেটা শুরু থেকেই খুব ফলাও করে প্রচার করেছেন। আসলে গত দু'তিন বছরে দেশে অসংখ্য বুদ্ধিজীবী জন্ম নিয়েছে, তাদের নিয়ে কিছু বলার নাই। এদের সম্পর্কে একটাই কথা, জাস্ট ইগনোর।

বাচ্চু, জেমস'দের মত রাঘববোয়াল'রা এই মন্দার বাজারে নতুন অ্যালবাম বের করে ভাত পায় না, আর এদের তখন এইসব না করে উপায় কি? তবে প্রীতম সাহেবের "সেপারেশন" গানটি আমি খুব বালা পাই :P

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঢাক ঢোল যদি নাই পিটাবেন তবে আর নাইলা কে দিয়ে ভিডিও কেন??

পুরো ব্যাপারটাই তো মার্কেটিং এর জন্য প্লান করা ছিল।

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিনুদুন সং ! এসব গান , এসব মডেল কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় !
ভাবনার কিছু নেই যা কিছু সুন্দর ,মৌলিক তাই টিকে থাকবে যুগান্তরে !

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: যা কিছু সুন্দর ,মৌলিক তাই টিকে থাকবে যুগান্তরে !

ঠিক বলেছেন ভাই। তবে মৌলিকতা ধরে রাখাটা অনেক সাধনার ব্যপার।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: কিসের কি রাজনৈতিক বক্তব্য? পুরাই গানটাই করা হয়েছে নায়লা নাঈমকে পুজি করে হিট হওয়ার জন্য। এতে কোন সন্দেহ নাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এক্সাক্টলি। এই টাইপের মানুষের জাতীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবার কোন ভয় থাকে না তাই ক্ষণে ক্ষণে ভোল পাল্টাতে এরা দ্বিধা বোধ করে না।

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: Dadader dekano pothey hatbe eai desh, eid er protita onusthane dadader silpider anagona, hindi gaan, oder puja te ekan theke koita silpi chance peache??? eai deshe vasa shahid der opoman kora hoyeche

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। উই থিঙ্ক দেম এ্যজ আওয়ার আইডল।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: বাংলার সানি লিওন রে তো দ্যাখলাম.... X( X( দুঃখের বিষয় প্রীতম নিজেও হানি সিং এর ডুপ্লিকেট ড্রেসআপ এ ছিল। সাদা শার্ট কালো প্যান্ট, মাথায় এমজে-হ্যাট, বুক খোলা গলায় টাই-- এইটা হল সেই গেটআপ যেটা হানি সিং তার ব্লু আইস গানের ভিডিও তে পরে ছিল। আজকালের ডুডদের কাছে হানি সিং এর পোর্টফোলিও এই গেটআপটিই X(( X(( X((

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। হানি সিং কে আমরা জানি পিটবুলের অনুকরক হিসেবে। আর আমাদের প্রীতম সাহেব হানিসিংকে অনুকরণ করছেন। খারাপ না।

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: সবাই তো হিট চায় । প্রীতম সাহেব না হয় নায়লা নাইমকে ধইরাই হিট হতে চাইসে ।

এনিওয়ে ভিডিওটার কথা বাদ দিলে , কেবল গানটা কিন্তু আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লাগসে । B-))

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ্যা শুধু যদি গানটি শোনা হয় তবে এটিকে একটি রাজনৈতিক স্যাটায়ার বলা যায় কিন্তু গানের মিউজিক ভিডিওটি একটি সম্পূর্ন বানিজ্যিক উদেশ্যে আমাদের বাঙালি কালচারকে বুড়ো আঙুল দেখানো ছাড়া আর কিছুই না।

ধন্যবাদ রইলো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৩য় ভালোলাগা , ++++++

কইষা একটা থাপ্পড় দিসেন ভ্রাতা । কি জানি , প্রীতমরে আমার আগেও ভালো লাগে নাই । তার কাহিনী কমবেশি জানা আছে । এর আগে কি কেউ রাজনৈতিক গান করে নাই ? নচিকেতা কি গাইত ?

আর হেতের মডেলরে নিয়া আর কি কমু ! ভাষাহীন ।

ভালো থাকবেন :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ইচ্ছা ছিল আরো বেশী কিছু দেয়ার। কিন্তু আমার থাপ্পড়ে ওর মতো মানুষের কিছু যাবে আসবে না। আমি ছোট কাল থেকে লোক দেখানো কাজ করা মানুষকে খুব অপছন্দ করি। কেন জানিনা যাকে নিয়ে লিখছি তাকে আমার অবচেতন মনে ঐ কাতারে ফেলে দিয়েছিল।

যাই হোক আপনার মন্তব্যেটা আমাকে হ্যাপি করেছে। বেশী কিছু লিখিনাই আমি কিন্তু আপনি সারমর্মটা তুলে ধরেছেন।

ভালো থাকবেন।

১৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

সাদরিল বলেছেন: তবে আমি নিশ্চিত এই পুলিশ আমাদের থানায় আসলে দূর্নীতি কমার পরিবর্তে বেড়ে যাবে। কারণ সবাই এই পুলিশের হাতে ধরা খাবার জন্য ক্রাইম করা শুরু করবে।

রাজনৈতিক স্যাটায়ার গান থেকে দেখি পুরো ক্রিমিনোলোজি বের করে আনলেন!!! পোস্টের বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে। গান বাংলা চ্যানেল শুরু হবার পর এটাকে নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু যেভাবে গান বাংলা চ্যানেল বার বার এই গানের ভিডিও দেখায় তাতে বুঝা যায় বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন শিল্প বাদ দিয়ে কেবল বানিজ্যের দিকেই ঝুকতে চলেছেন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: গানের বানিজ্যিকণ কিন্তু একদিক দিয়ে ভালো। শুধুমাত্র নিপাট বিনোদনের জন্য বিদেশী সংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমরা যদি সেই বিনোদনটা দেশী শিল্পীদের কাছ থেকে পাই তবে তো সেটিকে আমাদের দেশের উন্নয়নই বলা যায়। নাকি??? :-0 :-0 কিন্তু কথা হচ্ছে, তবে এই ভাড়ামি কেন??? যেটা করেছি সেটিই না বলে জনগনকে ভুং চুং পড়ানোর মানে কি বলেন???


আর যে অংশটা কোট করেছেন সেটা পিটবুলের একটা গানের অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই না।

১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: কি বলুম--কিসের মধ্যে কি --পান্তা ভাতে ঘি!! বেকুব বনে গেলাম প্রীতমে'র যুক্তি নিয়ে। রাজনৈতিক গান এর ভিতর এমন মডেল ও এমন নাচ!! আজব--! এগুলানরে ধইরা কইষা দুইটা চড় মারা যাইত!!!

আপনি বেশ ভাল বিশ্লেষণ করেছেন শ্রাবন। আপনার কল্যাণে কিছু জানলাম দেখলাম---

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই পান্তা ভাতে ঘি নাকি গরম ভাতে গুড় সেটা জাতি কিন্তু ঠিকই বুঝেছে। নাইলা নাইমের মসৃণ উরু আর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গীকে কাজে লাগিয়ে প্রীতম গানের একটা জগতে একটা বাজিমাত করার চেষ্টা করেছেন এবং করেছেনও। আমরা সাধারণ বাঙালি জাতি বিনোদন বলতে বিনোদনই বুঝি। সুস্থ কিংবা অসুস্থ বিনোদন বুঝি না। এইকারনে প্রীতমের এই এ্যালবামটা বানিজ্যিক দিক থেকে একটা সফল এ্যালবাম।

ইউটিউবে সর্বোচ্চ বার হিট হয়েছে গানটি। জাতি বিনোদিত হয়েছে। আগের দিনে গানের ভিডিওকে খুব বেশী গুরুত্ব না দেয়া হলেও এখনকার দিনে একটা বানিজ্যিক গানের বাজার নির্ভর মিউজিক ভিডিওর ওপর। কে খবর রাখে বলেন প্রীতমের আদর্শ কোথায় গেল??? কোথায় গেল টক শোতে এসে প্রীতমের বড় বড় কথা??


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :|| :|| :|| :|| :| :| :| :( :( :(

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: :-* :-* X( X( X( B:-/ B:-/ B:-/

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: উনি রাজনীতির খারাপ চিত্র তুলে ধরতে এই মিউজিক ভিডিও বানালেন কিন্তু উনি যে বাংলার সুষ্ঠ সংস্কৃতিকে কইস্সা একটা চড় মারলেন তার চিত্র কে তুলে ধরবেন !!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই এই চিত্র কে তুলে ধরবে??? আমাদের সংস্কৃতি আজ এই সমস্ত মানুষের কারনেই তার নিজস্বতা হারাচ্ছে। আমরা বিদেশি সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল হচ্ছি শুধু তাই না নিজেরাও ওদের অনুকরণে গা ভাসাতে দ্বিধা বোধ করছি না।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন ভাই কলমের কালি শেষ।

২০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

তাসজিদ বলেছেন: বিরক্তিকর

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বলার অপেক্ষা রাখেনা।

২১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৯

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: গানটা যদি এরশাদকে নিয়েই লেখা হয়, তবে এরশাদের নাম ভুমিকায় প্রতীম অভিনয় করেছেন। আর নাইলা নাঈম করেছেন রওশন এরশাদের ভুমিকায়, খারাপ না বিরোধী দলনেত্রী চাইলেইতো শিক্ষিকা, ডাক্তার ও পুলিশের কাজ করতে পারেন। তবে এরশাদ কাকাকে কতোটুকু পটাতে পারব জানিনা, কারণ ওনারতো আবার মেয়েরোগ আছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালোই ব্যাখা দিলেন আজকের বাকের ভাই।

সঙ্গীত শিল্পী কাম সোস্যাল ওয়ার্কার প্রীতম নিজে এই গানটি করার পরে নিজেকে এরশাদের মতো একজন রাজনৈতিক ভন্ড ছাড়া অন্য কারো সাথে তুলনীয় করতে পারে নি।

২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছি ছি। এইসব আমাদের দেশে কি হচ্ছে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। আমারা আধুনিক হচ্ছি। আমাদের দেশের শিল্প সংস্কৃতির বাজার ইদানিং নাকি ইন্ডিয়ার কাছে মার খাচ্ছে। প্রীতম সাব সেই বাজার রক্ষায় জন্য দেশপ্রেমিকের ভূমিকা পালন করছেন। :( :(

২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা নাকি স্যাটায়ার গান! পাবলিকরে ভোদাই পাইছে? সবাইরে দিয়া আসলে সবকিছু হয় না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কারো কারো কার্যকলাপে মাঝে মাঝে মনে হয় দেশপ্রেমটা আসলে কৃমির মতো।

প্রীতম সাব তার কার্যকালাপে দেখাচ্ছেন তিনি একজন খাটি দেশপ্রেমিক। তিনি সঙ্গীতকে তার অস্ত্র হিসেবে পাবলিকের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।

আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কণ্ঠস্বর কৃমির কামড়ানি ছাড়া আর কিছুই না।

২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

খাটাস বলেছেন: নেট একটা বিল বোর্ড এর ছবি দেখেছিলাম
ওপরে বড় করে লেখা সেক্স, নিচে সম্ভবত কোন জন সচেতনতা মুলক ম্যাসেজ ছিল।

প্রীতম কিছু ভিন্ন ধারার কথা দিয়ে রাজনীতিকে ব্যঙ্গ করে গান বানিয়েছেন, সেটা বুঝলাম। ভাল কথা। সমর্থন ও সাধুবাদ। কিন্তু নায়লা কে দিয়ে মার্কেটিং টা যুক্তি সঙ্গত হল না। ব্লগার আফসানা ও চমৎকার বলেছেন, প্রীতম হানী সিং এর কপি করেছেন।
ধর্মীয় ব্যাপার না হয় বাদ দিলাম দেশীয় সংস্কৃতিকে লাথি মেরে তারা কোন বাংলাদেশ গড়তে চান, বুঝলাম না।

গোড়ালির ওপর প্যান্ট পড়লে ধর্মান্ধ মূর্খ। সাদা মাটা পোশাক পড়লে ও আদিম ও রক্ষণশীল সংস্কৃতি।

কিন্তু বাংলাদেশের মত অর্থনীতিতে দুর্বল একটা দেশে ছেঁড়া ফাটা আর কম কম কাপড় চোপড় পড়ে, ভোগবাদে প্রভাবিত হয়ে নিজের মতবাদের পেয়ারের লোক বাদ দিয়ে সবাইকে অবজ্ঞা করা কোন ধরণের পণ্ডিত বিদ্যা= এটাই আর শেখা হয়ে উঠল না।

দান করা ফ্যাশন হয়ে গেছে। দেশ প্রেম ও যুক্ত হয়েছে। আবার মানব মুক্তির আশায় প্রগতিশীল দের নগ্নতার চর্চা ও মানবতার ডাক নাম দিয়ে ফ্যাশন হয়ে যাচ্ছে ভালই।

তাই কেও ভাল কথা বললে ই সন্দেহ হয়। আমাকে সন্দেহ করার ক্ষেত্রে ও যে কাওকেই স্বাগতম।

@নীল আকাশ আপনি ও প্রীতমের চেয়ে কোন অংশে কম দেখালেন না। শাহাবাগের নেতৃ স্থানিয় কিছু দাদামুখি লোকজনের জন্য শাহাবাগে প্রথম দিকে যাওয়া লাখ লাখ লোককে অসম্মান করলেন। অযৌক্তিক চুলকানি তে তাদের সাথে আপনি ও পিছিয়ে নেই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাংলাদেশের মত অর্থনীতিতে দুর্বল একটা দেশে ছেঁড়া ফাটা আর কম কম কাপড় চোপড় পড়ে, ভোগবাদে প্রভাবিত হয়ে নিজের মতবাদের পেয়ারের লোক বাদ দিয়ে সবাইকে অবজ্ঞা করা কোন ধরণের পণ্ডিত বিদ্যা

প্রিয় খাটাস আপনি এই তিন লাইনে যা বলেছেন আমি পুরো পোষ্টে তা বলতে পারি নি।


অনেক দেরি হয়ে গেল পোষ্টে এটেন্ড করতে। ভ্রাম্যমান অবস্থায় থাকাতে ব্লগে আস্তে পারিনি কয়েকদিন।

২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শাহবাগে যাওয়া প্রথমদিকের লাখ লাখ লোকের অসম্মান করার ইচ্ছা আমার ছিলনা। কিন্তু এটা তো স্বীকার করবেন যে, প্রীতমের মত দাদাশ্রেনীর ইতরগুলো কতক ভুল মেসেজ দিয়ে চেতনার সুবাস বাতাসে ছড়িয়েছিল। আর সেই সুবাসে পাগল হয়ে যারা ন্যায় অন্যায়, বাস্তবতা ভুলে শাহবাগে গিয়েছিল নিজেকে 'দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে ইতিহাসের অংশ হবার হুজুগে - তারা কতটা প্রতারিত?

বেকুব বেকুবই। সখ্যাটা ১ হলেও বেকুব, লাখ হলেও বেকুব।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি কোন থিওরী মেনে চলেন ঠিক বুঝলাম না। কোন গোষ্টির লোক খারাপ হলে পুরো গোষ্ঠি খারাপ হয় না। আপনার কথা অনুযায়ী সকল শাহবাগীই খারাপ। তাহলে বলতে হয় শাহবাগ আন্দলনে জড়িত ব্লগাররও খারাপ। আর যেহেতু একজন ব্লগার খারাপ যেহেতু সকল ব্লগারই খারাপ। তাই আপ্নিও সেই খারাপের দলে।

বুঝাতে পারছি কি???


এছাড়া ৩০ নং মন্তব্যটিও আপনার জন্য দ্রষ্টব্য।

২৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

ডি মুন বলেছেন:
শরীর উন্মুক্তকরণের মধ্য দিয়ে সুড়সুড়ি সংগীত আর মিউজিক ভিডিও ব্যবসা এগিয়ে যাক। দেশ সহীহ শুদ্ধ পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। আধুনিক হচ্ছে। নারীরা কাপড় সংকুচিত করে স্বাধীন হচ্ছে।

দেখা যাক, কতোদূর যাওয়া যায় ! তবে একটা নোংরা সময় বোধহয় শুরু হলো।



০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমারো মনে হচ্ছে একটা নোংরা সময় শুরু হচ্ছে।

আজকাল মডেলিং যে কোন ধারায় নেমে যাচ্ছে সেটা নিয়ে আসলেই চিন্তার অনেক কিছু আছে। টিভিতে ফ্যাশন শো থেকে শুরু করে রাস্তার বিলবোর্ড গুলো এমন অশ্লীল ভাবে নির্মিত হচ্ছে যে শিউরে হয়।

শুভকামনা রইলো ভাই। ভালো থাকবেন।

২৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে এভাবেই কীর্তিমানরা হারিয়ে যায় ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন ভাই। মানুষের মাঝে টিকে থাকার কাজ যার ভেতর থেকে আসে না, শুধু লোক দেখানোর জন্য তারা সময়ের স্রোতে হারিয়েই যায়।


অনেক দেরিতে রিপ্লে দেয়ার জন্য দুঃখিত। থিতু হলাম আজকে। তাই ব্লগে ব্লগিং এর মতো করে বসতে পারলাম।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৪

ইমিনা বলেছেন: হা হা হা

কত কিছুই এদের দ্বারা সম্ভব। কত সহজেই এরা নোংরা হয়ে যেতে পারে। কি জানি, কিসের অভাব এদের |-) |-) |-)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: উঠতি যে কোন শিল্পী যদি এমনটি করতো তাহলে কিন্তু এমন কথা উঠতো না। নাইলা নাইম যেটা করেছে সেটা তার ইমজের জন্য খুবি স্বাভাবিক। তার আত্মপ্রকাশই নগ্নতা দিয়ে শুরু। কিন্তু প্রীতম তার ইমেজের বারোটা বাজালো এই বাজারী মার্কেটিং মিউজিক ভিডিও করে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিবেন। ;)

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

অদৃশ্য বলেছেন: গানটার কিছুটা মনেহয় কোথাও দেখেছিলাম, তবে সবটা দেখা হয়ে ওঠেনি... কোন একদিন দেখে নেব...


শুভকামনা...

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এখনি দেখে নেন। না দেখলে জীবনডাই বৃথা। =p~

৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৫

খাটাস বলেছেন: নীল আকাশ একটু ভুল করলেন ভাই। শাহাবাগের প্রথম দাবি ছিল কাদের মোল্লারে যাবজ্জীবন দেয়ার প্রতিবাদে। সে দাবি আমাদের অতি প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার দলের সেই প্রিয় সংবিধান অনুযায়ী যৌক্তিক কিনা জানিনা, কিন্তু সেই লাখ লাখ মানুষের চাওয়া পূরণ হয়েছে।

চেতনার বাতাসকে দলীয় হাত পাখায় বেশি উস্কাইতে যাইয়াই সাধারণে অংশগ্রহণ কমায়ে দিল। আর দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধার লোভ দাদা শ্রেনির লিডার রাই প্রচার করছে। অল্প কিছু বেকুব নিজেরে সেটা মনে করতে পারে। শুধু হাজিরা দিয়া দেশ সচেতন নাগরিক হউয়া যাইতে পারে, মুক্তিযোদ্ধা হউয়া যায় না। এটা অনেক বড় ব্যাপার। একটু ভাল করে খেয়াল করলেই দেখবেন লিগার রাই এসব ফাউল কথা ছড়াইছে। আমার কাছে আপাতত রেফারেন্স নাই।

সব মিলায়ে ইহাই বলিতে চাই, শাহাবাগের লাখ লাখ মানুষ কে বেকুব বলার কোন যৌক্তিকতা দেখি না, যেমন দেখি না মতিঝিলে আসা লাখ লাখ মানুষ কে বকুব বলা। তবে ব্যবহিত বলা যেতে পারে, দুই পক্ষকে।
আবার ব্যবহিত কে বেকুব বলা ও সমর্থন করি না।

কারণ, একজন বিশ্বাস করে বলেই আর একজন ভাঙ্গার সুযোগ পায়।

তবে এই দুই মতবাদের সমাগমের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেনিরা মানে মতিঝিলার রা শাহাবাগারের চেয়ে বেশি সাধারণ। প্রতারণার শিকার বেশি সাধারণ রাই হয়।

শাহাবাগ প্রথম একক উদ্দেশ্যে সফল। সেখানে প্রথমে যাওয়া মানুষরা ও সফল।
ধারাবাহিক উদ্দেশ্য টাও মানে সব রাজাকারের ফাসি সেই সাধারণের মনের আশা হলে ও দাদা শ্রেনির নেতাদের টোপ টা গেলান যায় নি। তবে তাদের বোকা বলা হলে এটা ব্যক্তিগত স্পৃহায় অপমান করা ছাড়া আমার কাছে আর কিছু মনে হচ্ছে না।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দারুন জবাব অনিক।

গ্রামগঞ্জে ছিলাম অনেকদিন তাই ব্লগে লেখালেখির সমস্যা হতো। দেরিতে রেসপন্স করলাম এইজন্য।

৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



//স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিনুদুন সং ! এসব গান , এসব মডেল কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় !
ভাবনার কিছু নেই যা কিছু সুন্দর ,মৌলিক তাই টিকে থাকবে যুগান্তরে !//

পোস্টটি পড়েছি অনেক আগেই। ব্লগবন্ধু মৃদুল শ্রাবণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: //স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিনুদুন সং ! এসব গান , এসব মডেল কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় !
ভাবনার কিছু নেই যা কিছু সুন্দর ,মৌলিক তাই টিকে থাকবে যুগান্তরে !//


আসলেই তাই। ধন্যবাদ নিবেন মইনুল ভাই।

৩২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চরম পোস্ট। ++++++++++++++

মৃদুল ভাই আছেন কেমন ভাইডি ?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো আছি ভাই। হারিয়ে যাইনি। ব্যক্তিগত সমস্যায় দেরিতে রেসপন্সের জন্য দুঃখিত ভাই।

৩৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১২

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: এইটা গান!!! B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)



আমি বাকরুদ্ধ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ এইডা গানই। প্রতিযোগীতামূলক বাজারে একটা গরম গান। শীতের দিনের কম্বল। :-P

আর হ্যা আপনার leopard পোজটা দারুন হয়েছে। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.