নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

নিজের সম্পর্কে গুছিয়ে কিছু লেখা আমার কাছে খুবই কঠিন গদ্য। আমি এক এলেবেলে মানুষ। লেখালেখির কিচ্ছু জানি না। গায়ের জোরে লিখে যাই। তবে ছোটকালে ভালো লিখতাম। বড় হয়ে মনে হয় নষ্টদের অধিকারে চলে গেছি।

মৃদুল শ্রাবন

মেরিনার

মৃদুল শ্রাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়া ভ্রমণঃ দ্যা কাজান আইকন অফ দ্যা মাদার অফ গড (জাহাজীর ছবিব্লগ)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

নাখোদকা আমার প্রথম রাশিয়ান পোর্ট না। এর আগে আমি রাশিয়ার বাল্টিক কোষ্টে ভিসোস্তক পোর্টে কয়েকবার গিয়েছি। রাশিয়ার ওদিকটা মূলত বাল্টিক সি ঘেসে। আমরা বাল্টিক সি পেরিয়ে গালফ অফ ফিনল্যান্ড ধরে ভিসোস্তক যেতাম। গালফ অফ ফিনল্যান্ডের বরফের কথা আর এই পোষ্টে বলছি না। অন্য একটা পোষ্টে ওখানকার কথা হবে। আজ হবে নাখোদকা পোর্টের কথা। এটি রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় কূলে অবস্থিত। নাখোদকার চার্ট খুলে দেখলাম কোষ্টের কাছাকাছি অধিকাংশ জায়গা গুলো ফায়ারিং এক্সারসাইজের সতর্কতা সীমানা দেয়া। বইপুস্তক ঘেটে জানলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরিত্যাক্ত মাইন ফেলে রাখা হয়েছে অনেকগুলো এরিয়া জুড়ে। তবে জাহাজ চলাচলের জন্য নিদির্ষ্ট রাস্তা করে দেয়া আছে। এবং সেটা তদারকির জন্য ভিটিএস(ভ্যসেল ট্রাফিক সার্ভিস) আছে। তবু আমরা পোর্টে ঢোকার আগে পথিমধ্যে ফায়ারিং এক্সারসাইজ পেলাম। আমাদেরকে জাহাজ থামিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল।



এটি খুব ব্যস্ত পোর্ট ছিল না। আমাদেরকে বলা হল জাহাজ প্রায় এক সপ্তাহ এখানে থাকবে। তবু আমরা বাইরে যাবার জন্য ব্যস্ত ছিলাম। বিকাল পাঁচটায় ডিউটি শেষ করে ছয়টার একটু আগে ডিনার করে আমি আরো দুজনকে সাথে নিয়ে জাহাজ থেকে বের হলাম। এই পোর্ট থেকে মেইনলি কয়লা রপ্তানি হয়। ট্রেনের বগিতে করে কোন এক পাহাড় থেকে কয়লা আসে এখানে।



পুরো পোর্ট জুড়ে কয়লার স্তুপ করা। আমরা একেবারে জেটির কিনারা ঘেসে জাহাজগুলোর পাশ দিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকলাম। বাইরে যাবার জন্য পথের নির্দেশনা জাহাজে থাকতে স্থানীয় ফোরম্যানের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। প্রায় পনেরো মিনিট হাটার পরে আমরা গেটে পৌছালাম। গেটে কর্তব্যরত অফিসার আমাদের গেটপাশ পরীক্ষা করে আমাদের ভেতরে যাবার অনুমতি দিল। এখানে ভেতর এবং বাহির শব্দদুটিতে একটু প্যাচ খেয়ে গেল। আমরা যখন জাহাজ থেকে নামি তখন বলি বাইরে যাচ্ছি। কিন্তু যখন পোর্টের গেট পার হই তখন কোন দেশের ভেতরে ঢুকি।



এখানে এখন শীতের শেষ সময় চলছে। বছরের দুই তিনটা মাস এখানে সামার থাকে। সেই সময়টা শুরু হবে হবে করছে। তাই রাস্তা ঘাটের বরফ গুলো গলে গেছে। গেট থেকে বেরিয়ে সোজা একটা রাস্তা চলে গেছে শহরের দিকে। আমরা হাটছিলাম। কতটা হেটে গেলে যে ঠিক শহরে পৌছাবো জানিনা। আমাদের প্রথম কাজ একটা সীম কার্ড কেনা। এর আগে রাশিয়ার মুরমান্সক থেকে কেনা সীম এখানে এক্টিভেট করেছিলাম এবং ফোরম্যানের মাধ্যেমে ১০ ডলার রিচার্জ করে বাসায় কল দিলে তিন মিনিটেই টাকা শেষ হয়ে গেল। রোমিং চার্জ যে এত বেশী হবে আমার জানা ছিল না।



হাটার পথে আমরা পথে দুই জন সঙ্গী পেলাম। ওলেগ এবং তার ইয়া বড় একটা ডগ। ওলেগ নিজেই আমাদের সাথে পরিচিত হল। সে পোর্ট থেকে বিশাল কুকুরটাকে শেকলে বেধে বাইরের দিকে যাচ্ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম সে কি করে? সে জানাল ‘পালিশ’। প্রথমটাতে আমি ভাবলাম বুট পালিশ নাকি?? পরে বুঝলাম সে আসলে পালিশ নয় পুলিশ। নিজের মনে মনে কতক্ষণ হাসলাম। ভ্যাগিস তাকে বুট পালিশ করে দিতে বলিনি। :P



ওলেগ আমাকে একটা সীম কার্ডের দোকান পর্যন্ত পৌছে দিল যে দোকানের ছেলেটা ইংরেজি জানে। এখানে বেশ সহজ ইন্টারনেট প্যাকেজের সীম পাওয়া যায়। আমি খুশিই হলাম। কিন্তু বিপত্তি বাধলো টাকা দেবার সময়। আমার কাছে রাশিয়ান লোকাল মানি নেই। এবং এই দোকানে ডলার চলবে না। দোকানের ছেলেটা আমাকে একটা ব্যাংকের পথ বাতলে দিল যেখান থেকে আমি দলার ভাঙিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তখন প্রায় তার ৭ টা বেজে গিয়েছিল। কিছু ব্যাংকের ইভিনিং আওয়ার খোলা থাকবে বলে জানলাম কিন্তু আশেপাশে তেমন কোন ব্যাংক পেলাম না। শেষে আর এক রাশিয়ানের সহায়তায় একজন বয়স্কার সন্ধান পেলাম টাকা ভাঙানোর জন্য যে কিনা দৈনিক পত্রিকা এবং নানা ধরনের ম্যাগাজিন বিক্রি করে।



সীম কিনে আমরা বের হলাম শহরটা ঘুরে দেখতে। যতটুকু জেনেছি নাখোদকা শহরটা খুব বেশী বড় নয়। কাছাকাছি বড় শহরটার নাম ভ্লাডিভস্তোক। ঘড়িতে তখন সাতটার বেশী বাজে। কিন্তু সন্ধ্যা নামার কোন সম্ভাবনা নেই। এখানে সূর্যাস্ত হয় সাড়ে নয়টার পরে। আর আগে আমি যখন মুরমান্সক গিয়েছিলাম ওখানে দেখেছি রাত ১২ টার পরে সূর্যাস্ত হতে।





(১) সুন্দর একটা বিকেলে আমরা নাখোদকার রাস্তা ধরে হাটছিলাম।



শীত প্রধান দেশে মার্কেট গুলো একটু অন্যরকম হয়। আমাদের দেশে কোন দোকান যেমন বাইরে থেকে বোঝা যায় এখানে তেমনটি নয়। রাস্তার ধার ঘেষে বাড়ী গুলোর নিচ তলায় সব ডিপার্মেন্টাল ষ্টোর গুলো। এয়ারটাইট দরজা গুলো খুলে ভেতরে ঢুকলেই অবাক হতে হয়। বাইরে থেকে বোঝার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই যে ভেতরে এত বড় মার্কেট আছে। রাশিয়ার অনান্য শহরেও আমি এমনটিই দেখেছি।





(২) স্কুলের ছেলেমেয়েদের কালচারাল এডুকেশনের জন্য থিয়েটার হল।



সোজা রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে আমরা পৌছালাম বিশাল একটা থিয়েটার হলের সামনে। মেইন গেটের সামনে এসে অবাক হলাম। রাশিয়ান ভাষায় লেখা ঐশ্বরিয়ার ছবি সম্বলিত একটা পোষ্টার। ঠিক কোন ছবি বুঝতে পারলাম না। তবে ছবিটি দেখে দেবদাস বলেই মনে হল। আমরা হলটার ভেতরে ঢুকে গেলাম। ঠিক কোন শো দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। জাস্ট কৌতূহল বসত। কিন্তু ভেতরে গিয়ে বোকা হয়ে ফিরে আসতে হলো। হলটি স্কুলের বাচ্চাদের কালচারাল এডুকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে জানলাম সানডে তে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। কিন্তু সেদিন সানডে ছিল না।





(৩) ইন্ডিয়ান কালচার নিয়ে শিক্ষা দেয়া হয় রাশিয়ান ছেলেমেয়েদের।



আমরা থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এলাম। এই বিল্ডিং এর এক কোনায় একটা অংশ জুড়ে মেরিনার্স ক্লাব। আমাদের কাঙ্খিত জায়গা। কিন্তু যে সমস্ত শহরে আমাদের জন্য লোকাল ইন্টারনেট ব্যবহার করা কিংবা শহরে ঘোরাঘুরির অনুমতি থাকে না আমরা সেই সমস্ত শহরে মেরিনার্স ক্লাবে সময় কাটাতাম। তাই আমাদের জন্য উন্মুক্ত এই শহরে মেরিনার্স ক্লাব নিয়ে আমাদের তেমন কোন আকর্ষন ছিলনা। তবু এতটা কাছে এসে একটু উঁকি না দিলে কেমন হয় তাই ঢুকলাম।





(৪) ইন্টারন্যাশনাল মেরিনার্স ক্লাবের নাখোদকা ব্রাঞ্চ।





(৫) কিছুক্ষণ আমরা বিলিয়ার্ড খেললাম।





(৬) ফিলিপিনো কিছু নাবিক খুব সুন্দর গান করছিল। যেন পুরো একটা ব্যান্ডদল একসাথে জাহাজ থেকে এসেছে। গান গাইবার সব ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ছিল এখানে।





(৭) এই খেলাটা কে আমার এখনো বাচ্চা দের খেলা বলেই মনে হয়।



মেরিনার্স ক্লাবের একটা ডায়েরী আছে রিভিউ লেখার জন্য। পেছেনের পাতা উল্টিয়ে দেখলাম বাংলাদেশী এক সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার এখানে প্রায় এক বছর আগে এসেছিল। আমরা এখানে বেশী সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় এসে অভূতপূর্ব এক দৃশ্য দেখলাম।



যেন মেঘের দল রাস্তায় নেমে এসেছে। দূরের পাহাড় গুলো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। হিমশীতল একটা বাতাস বয়ে যাচ্ছে গায়ের ওপর দিয়ে। আমি টুপি পরে হাটা শুরু করলাম।





(৮) মেঘবালিকা আমাদের গায়ের ওপর আদরের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছিল।



আমাদের গন্তব্য দ্যা কাজান আইকন অফ মাদার অফ গড। কিন্তু এই মেঘলা আবহাওয়ায় সেটা কতটা আরামদায়ক হবে ভাববার বিষয়। একটু পরেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হল। আমরা দ্রুত একটা দোকানে ঢুকে গেলাম। ঘড়ি দেখলাম প্রায় নয়টার মতো বাজে। একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে। সো কাজার আইকনের উদ্দেশ্যে আর কোন প্লান করার চিন্তা বাদ দিলাম।





(৯)পরদিন সুন্দর একটা সূর্য উঁকি দিচ্ছিল বাড়ী ঘরগুলোর ভেতর দিয়ে।



জাহাজে ফিরে কাজান আইকন সম্পর্কে আরো খোঁজখবর নিয়েছিলাম। নাখোদকা শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এই কাজান আইকন অফ দ্যা মাদার অফ গড। পরদিন আমরা প্রথমেই কাজান আইকন ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলাম। কাজান আইকন সম্পর্কে কিছু বলে নেয়া প্রয়োজন।





(১০) দ্যা কাজান আইকন অফ দ্যা মাদার অফ গড।



১৫৭৯ সালে রাশিয়ার কাজান এর তাতার শহরের একটা অংশ আগুনে পুড়ে যায়। এই ডিজাষ্টারের পরে এক আর্মি অফিসারের ৯ বছর বয়সী মেয়ে ম্যাট্রোনাকে স্বপ্নে মা মেরি মেয়েটির বাবার একটা পুড়ে যাওয়া বাড়ীর একটী জায়গা খনন করার কথা বলে। মেয়েটি তার মাকে স্বপ্নের কথা বললে মা শহর কর্মকর্তাদের কে বিষয়টী জানান। কিন্তু তারা কেউ কথাটা বিশ্বাস করেন না। পরে মেয়েটি ও তার মা মিলে মা মেরীর নির্দেশিত জায়গা খুড়ে এক টুকরা পুরানো কাপড়ে জড়ানো একটা আইকন পান।



আইকনটিকে সবচেয়ে কাছের একটি গীর্জায় স্থানান্তর করা হয় এবং এটি অনেক অলৌকিক কাজ করতে শুরু করে। পরে ঐ জায়গায় একটি ক্যাথেড্রোল ও কনভেন্ট তৈরি করা হয়। পরের বছর ঐ আইকনের একটি হুবহু কপি মস্কোতে রুশ সম্রাট ইভানের কাছে পাঠানো হয় এবং ১৬১১ সালে কাজান ক্যাথেড্রোলে স্থানান্তর করা হয়। এবং এখানেই দ্যা আইকন অফ দ্যা কাজান মাদার অফ গড ব্যপকভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।



কালক্রমে এই আইকনটি সমগ্র রাশিয়া খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, এমনকি প্রত্যেকে ক্যাথালিক রাশিয়ান ঘরে এই পোষ্টারটি রাখতে শুরু করে। এছাড়া রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় কাজান আইকনের গীর্জা তৈরি করা হয়। নাখোদকায় ঠিক এমনই একটা গীর্জা আছে যেটি তোবলস্কিয়া পাহাড়ে ওপর অবস্থিত।





(১১) তোবলস্কিয়া পাহাড়ে ওপর অবস্থিত কাজান আইকনের গীর্জাটি দেখা যাচ্ছে।





(১২) আংশিক বাধানো সিড়ি বেয়ে আমরা পাহাড়ে উঠছিলাম।





(১৩) সিড়ি শেষ হতেই চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো গীর্জাটি।





(১৪) দ্যা কাজান আইকন অফ দ্যা মাদার অফ গড়ের গীর্জাটির সুন্দর স্থাপনা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম।





(১৫) মূল গীর্জার পাশেই ছোট একটা মঠও ছিল।





(১৬) পাহাড়ে ওঠার পরে পুরো নাখোদকা শহরটা আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠলো।





(১৭) পাহাড়ের পেছন দিকে তাকিয়ে চোখ জুড়িয়ে গেল। সমুদ্র দেখা যাচ্ছে। আমরা ঘুরে ফিরে পোর্টের কাছাকাছি চলে এসেছিলাম। এখান থেকে আমাদের জাহাজও দেখা যাচ্ছিল।



গীর্জার ভেতরে ছবি তোলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভেতরে কোন ছবি তুলতে পারিনি। গীর্জা দেখা শেষ করে আমরা আমরা যখন নেমে এলাম তখনও বেশ কিছুটা বেলা ছিল। আমরা প্রসস্ত একটা জায়গায় এসে লেলিনের একটা প্রতিকৃতি দেখলাম। জায়গাটা খুব সুন্দর ছিল।





(১৮) সমূদ্রের দিকে পিঠ রেখে মিস্টার লেলিন তাকিয়ে ছিলেন নব্য রাশিয়ার দিকে।





(১৯) লেলিনের মতো করে পোজ দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম আমি।



আমরা রাস্তা ধরে হাটতে হাটতে সুন্দর একটা জিনিস দেখলাম। ফুলের গাছ দিয়ে বিশাল আকৃতির একটা ময়ুর বানানো হয়েছে।





(২০) ফুলের গাছের ময়ুর।







তখন সন্ধ্যা প্রায় নামবে নামবে করছিল। আমার সঙ্গী একজন ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে। আমি আমার সাথের ক্যাডেটকে সাথে নিয়ে একটা মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলাম কিছু খাওয়ার জন্য। মার্কেটের মুখে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। দুটো রাশিয়ান মেয়ে যাদেরকে অনিদ্যসুন্দরী বললে ভুল হবে, আমাদের পাশ দিয়ে হেটে চলে গেল। অভ্যাসবশত আমরা ঘুরে তাকালাম। হঠাৎ মেয়েদুটোর মধ্যে সবথেকে বেশী সুন্দরটি দৌড়ে এল আমাদের দিকে। তার কথা শুনে অবাক হলাম। সে আমাদের সাথে ছবি তুলতে চায়। যদি আমাদের আপত্তি না থাকে। আপত্তির প্রশ্নই আসে না। সে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে তার বান্ধবীর হাতে দিয়ে আমাদের দুইজনের মাঝখানে এসে দাড়ালো। আমরা দুজন বোকার মতো দাড়িয়ে থাকলাম। বাইরে এসে আমরা সাদা চামড়ার মেয়েদের সাথে ছবি তোলার জন্য ছোক ছোক করি। কিন্তু এদের কেউ যে আমাদের সাথে ছবি তুলতে চাইতে পারে এই অভিজ্ঞতা আগে ছিলনা।

এবং আর একটা মজার ব্যাপার যেটা হল, আমার সাথে থাকা ক্যাডেট এত্তক্ষণ আমাদের অনেক ছবি তুলে দিয়েছিল, কিন্তু ওর কোন ছবি আমরা তুলতে পারিনি। তার এক কথা, সে নাকি ছবি তোলে না। মেয়ে দুটি চলে যাবার পরে আমি তার দিকে তাকালাম। সে মুচকি হেসে বললো, ‘স্যার আমি ছবি তুলি না মানে এই, যে আমি যে সে অবজেক্টের সাথে ছবি তুলি না’।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নিমচাঁদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ । ছবির সাথে সাথে মনোহর বর্নণায় আমরাও রাশিয়া ঘুরে আসলাম ।
তবে হ্যা একটু কথা আছে ---


রাশিয়ান মেয়েদের সাথে আপনার তোলা ছবিগুলো দিলে ব্লগটি আরো প্রাণবন্ত হতো :-0

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি আমার ছবির সাথে ঘুরলেন, কিন্তু আমি যদি আপনার মতো একজন ভ্রমণ সঙ্গী পেতাম তাহলে ভ্রমণটা আসলেই ভ্রমণের মতো হতো।


বগ্ল ব্যবহারের টার্মস এন্ড কন্ডিশনে আটকে যাবার মতো কোন সমস্যা নেই যদিও তবু ছবিগুলো আপ্লোডাইলাম না(ইউ নো হোয়াই)। :(

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: বাহ! সুন্দর ত!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই অনেক সুন্দর।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

খেলাঘর বলেছেন:

রাশিয়ায় কি মালামাল বহন করেন করেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি যতবার রাশিয়া গেছি প্রত্যেকবারই আমাদের কার্গো ছিল রাশিয়ান স্টিম কোল(কয়লা)। শীতের দেশগুলো ছাড়াও অনান্য দেশে রাশিয়ার কয়লার একটা বিরাট বাজার রয়েছে।




আমাদের জাহাজ পোর্টে ভিড়ছে কয়লা লোড করার জন্য। ক্রেনের ও পাশে কয়লার স্তুপ। তুষার পড়ে কয়লার রঙ সাদা হয়ে গেছে।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

ডি মুন বলেছেন: প্রথমটাতে আমি ভাবলাম বুট পালিশ নাকি?? পরে বুঝলাম সে আসলে পালিশ নয় পুলিশ। নিজের মনে মনে কতক্ষণ হাসলাম। ভ্যাগিস তাকে বুট পালিশ করে দিতে বলিনি। :P
=p~ =p~

হা হা হা ---


ছবি আর বর্ননায় দারুণ পোস্ট +++
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো মৃদুল ভাই।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল ব্যপারটা। আমি যদি একজন কাষ্টমস অফিসারকে আমার বুট পালিশ করে দিতে বলতাম তাহলে নিশ্চিত আমাকে আজকে রাশিয়ার জেলখানায় বসে ব্লগিং করার সুযোগ দেয়া হতো না। আর আমার পায়েও বুটের বদলে কেডস্‌ ছিল। নাহলে হয়তো বলে বসতেও পারতাম।

হাটতে হাটতে আমি ওলেগের সাথে গল্প করছিলাম তাদের ট্রেনিং এবং জব নিয়ে। প্রত্যেকবারই সে স্পষ্ট ভাবে পালিশ বলছিল। সে আমাকে জানালো সে ইংরেজি বলা শিখছে খুব বেশী দিন না। আর আমার সাথে যেচে পড়ে আলাপের কারনও তার ইংরেজি জ্ঞানটা একটু ঝালিয়ে নেয়া।


ভালো থাকবেন মুন ভাই। ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

আলম দীপ্র বলেছেন: এতো সুন্দর ঝকঝকে পোস্ট কেন !
বাহ বাহ বাহ বাহ !

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কারণ আমার আছে সার্ফ এক্সেল :P

ভাল থাকবেন দীপ্র।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনী ভালো লাগলো ভাই। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে ১,৯,১১,১৭ নাম্বার ছবিগুলো।

ভালো থাকবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ঐ এলাকায় আরো অনেক অনেক সুন্দর দৃশ্য ছিল। কিন্তু আমি ফটোগ্রাফার হিসেবে মোটেও ভালো না। বিষয়ভিত্তিক কিছু ছবি তুলেছিলাম শুধু।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার... অসাম এক ভ্রমণ পোস্ট। দশে দশ... পুরো পোস্টটা তন্ময় হয়ে একটানে পড়ে গেলাম। লাইক উইথ ++++

অটঃ ঐ মিয়া আপ্নে দেখতে এতো হ্যান্ডসাম ক্যারে? ;) :P

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ব্লগে আমার প্রিয় ভ্রমণ কাহিনীকারদে অন্যতম আপনি। আমি শুধুমাত্র আমার চলমান জীবনের কিছু কথা আর ছবি এক করার চেষ্টা করি মাত্র। আপনার কাছ থেকে দশে দশে পাওয়ায় ভালো লাগছে।



অটঃ ছিপ ফেলার জন্য। (নিমচাঁদ ভাইয়ের কপিরাইটেড শব্দটা ব্যবহার করলাম)। :!> :!>

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

সুমন কর বলেছেন: পরিপূর্ণ ভ্রমণ পোস্ট বলতে যেটা বুঝায়-সেটা এটাই। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন এবং ছবিগুলো দারুণ।

তা ঐ ছবিটি দিলেই পারতেন। =p~ =p~

চমৎকার পোস্ট !!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ঠিক পরিপূর্ণ হয়েছে কিনা জানিনা। কাজান আইকন অফ দ্যা মাদার অফ গড সম্পর্কে বিষদকিছু লিখতে পারিনি। রাশিয়ান লোকদের ইংরেজি জ্ঞান বেশী ভালো না। সঠিক তথ্য পেতে কষ্ঠ হয়েছে। পরে এসে গুগোলের সাহায্যও নিতে হয়েছে ব্যাপারটা সম্পর্কে ধারনা ক্লিয়ার করতে।

অনুপ্রেরনা দায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


ফেসবুকে নিমচাঁদ দা একটা কথা বলেছিলেন, যার অনলাইন দুনিয়ায় সংসারের লোক আছে তার কাছে দুনিয়া আর জাহান্নাম একই কথা। যদিও ব্যাপার এটা না। ঐ মেয়েটার সাথে আমার ক্যামেরায় কোন ছবি তোলার সুযোগ পাই নি। সে তার নিজের ক্যামেরায় ছবি তুলেই চলে গিয়েছিল।

ভালো থাকবেন।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দারুণ ! এক টুকরা রাশিয়া ।

কথা ছাড়া প্রিয়তে ।

ভাল থাকবেন ভাই :)

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: রাশিয়ার এই শহরগুলো এখনো ঠিক নগরায়নের চাপে পড়ে নি। বেড়াতে বেশ ভালোই লাগে।

প্রিয়তে নেয়ার মতো কিছু ছিল নাকি??? ;)

১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনায় মুগ্ধ হলাম । আবার ঈর্ষাও হলো । এই যে বৈধভাবে বন্দরে বন্দরে নোঙর করে বেড়ান ;)


পঞ্চম ভালোলাগা++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন মামুন ভাই।

বৈধ যে কোন জিনিসই বৈধ। আপনার মন্তব্যে আরো বেশী বেশী নোঙর করার অনুপ্রেরনা পেলাম :D


ঈর্ষা সেটার প্রতিই হয় যেটার প্রতি মানুষের আকর্ষন থাকে। আপনি যে নোঙর করতে চান এটার নমুনা কি সেদিন বৈঠা বেয়ে দিচ্ছিলেন???

১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

আবু শাকিল বলেছেন: ছবি এবং বর্ণনা চমৎকার।

পোস্টে +।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন মৃদুল ভাই :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: যা কিছু দেখেছি দু'চোখে তার সব যদি কিবোর্ড দিয়ে সাজাতে পারতাম তবে তা মহাভ্রমণ কাহিনী হয়ে যেত। কিন্তু দুঃখ, লেখালেখির ওপর এতটা দখল নেই।


ধন্যবাদ রইলো শাকিল ভাই। মন্তব্যে অনুপ্রেরনা পাচ্ছি।

১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট !
মনে হলো আমিও ঘুরে আসলাম , নিমচাদ ভাইয়ের সাথে একমত , ঐ মেয়েটির সাথে আপনার ছবি কই ? ভাবীর ভয়ে দেন নাই নাকি ?

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভয়। কি যে বলেন না অভি ভাই। আপনার জিএফকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম, সে তো আম্রার রিকোয়েস্টে একসেপ্ট করেইনি উল্টা ভাবীর কাছে নালিশ করলো। :|| তাতেও কি আমি ভয় পেয়েছি?? না পায়নি। কিন্তু এই ছবির ব্যাপারে আপচুচ ছাড়া এ জাতিকে আমার আর কিছুই দেবার নেই। :!>

১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন:
চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন । ছবিসহ এরকম চমৎকার বর্ণনা ব্লগে কম পাওয়া যায় ।নিরন্তন শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি।

পোস্টে +++....

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার কমপ্লিমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভালো লাগলোরে ভাই। চালিয়ে যান।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ।

চলছে চলবে। :)

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নিমচাঁদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ । ছবির সাথে সাথে মনোহর বর্নণায় আমরাও রাশিয়া ঘুরে আসলাম ।
তবে হ্যা একটু কথা আছে ---


রাশিয়ান মেয়েদের সাথে আপনার তোলা ছবিগুলো দিলে ব্লগটি আরো প্রাণবন্ত হতো
:-0

এরপর আর কিছু বলার থাকেনা, ইহা জনগণের প্রাণের দাবী। জনগণের সার্থ বিবেচনা করে ঘরের মানুষের কাছে নিজের প্রাণ জলাঞ্জলি দেয়াই লেনিনের শিক্ষা!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কি যে বলেন না কুনো ভাই। ব্লগকে প্রানবন্ত করার জন্য আমি একটি মেয়েকে পণ্য হিসেবে ব্যাবহার করবো। লেলিন আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি। :-0 =p~ =p~

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন ব্লগ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভাল লাগা জানবেন প্রবাসী ভাই।

শুভকামনা রইলো।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নিমচাঁদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ । ছবির সাথে সাথে মনোহর বর্নণায় আমরাও রাশিয়া ঘুরে আসলাম ।
তবে হ্যা একটু কথা আছে ---

রাশিয়ান মেয়েদের সাথে আপনার তোলা ছবিগুলো দিলে ব্লগটি আরো প্রাণবন্ত হতো।

আসলে এর পর ভাবীর কথা ভেবে আমার বেশ কষ্টই হচ্ছে। আপনার সেই ছবি প্লীজ আমাদের সাথেও শেয়ার করুন। আমরাও ভাবীর সাথে কান্দায় শরিক হইতে চাই!! B-) B-) B-) B-) |-) |-) :P :P :P

পোষ্ট ফাটাফাটি!!!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমিতো আপনার কান্দনের কথা চিন্তা কইরাই ঐ ছবি আপ্লুড দিই নাই কা_ভা ভাই। আপনি কান্দলে তো আপনার কি বোর্ড ভাসি যাইবো, আপনার কি বোর্ড ভাসি গেলে তো সামু ভাইস্যা যাইবো।
=p~ =p~ =p~


কোথায় ফাটলো একটু জানাবেন প্লিজ???

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

অথৈ সাগর বলেছেন: চমৎকার লেখা । আশাকরি সামনে এমন আরো লেখা পাব । শুভ কামনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
ধন্যবাদ নিবেন। আপনাদের অনুপ্রেরনা পাচ্ছি। আশা করি সামনে আরো পোষ্ট দিতে পারবো।

আপনার লেখাও চমৎকার। কিছু ভ্রমণের অভিজ্ঞাতা শেয়ার করলে নতুন কিছু পোর্ট সম্পর্কে জানতে পারতাম। :)

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

বৃতি বলেছেন: ছবি, বর্ণনা- সব মিলিয়ে চমৎকার পোস্ট :)
শুভেচ্ছা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভালো লাগলো কমপ্লিমেন্টগুলো পেয়ে।

ধন্যবাদ নিবেন বৃতি আপু।

২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দারুন একটা ভ্রমণ ব্লগ ভ্রাতা । ৬ষ্ঠ ভালোলাগা +++++++++

ভালো থাকবেন সবসময় :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো আপনি কতিপয় লুল ব্লগারের সাথে দল ধরে রাশিয়ান মেয়ের ছবি দেখার জন্য পাগল হননি। :P :P

ভালো থাকবেন সর্বদা।

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একটা মন্ত্রণালয় চালাই এখন ভ্রাতা , চাইলেই কি আর সব করা যায় ! তবে ইন্ধন রয়েছে সর্বদা পর্দার আড়ালে আবডালে ;)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এই সব কথা পাবলিকেরে না কইলেও জানে। তবে আমাদের দেশে মন্ত্রীদের একটা বোনাস দিক আছে। ইচ্ছেমতো লুলামি করলেও পাবলিকে কিচু মনে করে না। তারাই আমাদের পাবলিকের বিনোদনের উৎস। =p~ =p~ =p~

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বাহ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট--ঘুরে এলাম আপনার চোখ দিয়ে কিন্তু নীচে এসেইত টাস্কি খাইলাম, এত ছবি তুললেন আর মেয়েগুলার কোন ছবি রাখলেননা এইডা কি কোন কাম হইল!! আপসুস!!

যাক ছবিগুলো খুব সুন্দর সাথে সাবলীল বর্ণনা। ভাল থাকবেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আসলেই আপসুস। আর ব্যাপার যেটা হয়েছিল উচ্ছ্বল তরুণী বলতে যা বোঝায়, মেয়েদুটি তাই ছিল। তারা লাফালাফিতে এত ব্যস্ত ছিল যে আমরা আর তাদের সাথে ছবি তোলার কথা বলতে পারিনি। যেন হাওয়ায় এল আর হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। :!>


ভালো থাকবেন।

২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: দারুন সব ছবি আর সাথে মুগ্ধকর বর্ণনা ।

কথা নেই, সরাসরি প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন পার্থ তালুকদার ভাই।

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮

মাহবু১৫৪ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট

+++++

আপনার সাথে মনে হচ্ছিল আমিও যেন ঘুরে এসেছিলাম রাশিয়া থেকে। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অবশ্যই আমি একা ঘুরিনি, আপনাদের সাথে নিয়েই ঘুরেছি।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।

২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দারুন লাগলো লেখা ও ছবি। ভ্রমণে আগ্রহ থাকায় এরকম ব্লগগুলো গোগ্রাসে গিলি সবসময়। আপনার লেখার স্টাইলটাও চমৎকার। বড় লেখা তাও বোর লাগেনি।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে বরাবরই অনুপ্রেরনা পাই।

ভালো থাকবেন।

২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

সোহানী বলেছেন: অসাধারন...... অনেক দিন পর পেলাম ব্লকে........

রাশিয়া সম্পর্কে কেমন যেন একটা অন্ধকারে আমরা... আপনার লিখা পড়ে জানার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। ++++++++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: হ্যা এখন একটু সময় নিয়েই পোষ্ট দিচ্ছি। দেশে থাকার ফলে ঘোরাঘুরিটা বেশী হচ্ছে এটাও একটা কারণ।


রাশিয়া নিয়ে আরো দুইটা পোষ্ট দেবার ইচ্ছা আছে।

ভালো থাকবেন। আপনার পোষ্টে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা ছিল। ছাব্বিশ নাম্বারে এসে পেলাম। :)

২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্যগুলোর জবাব দিচ্ছে কে রে?? সন্ধিহান হইতেছি B-) /:) :P B-)) B-) B-)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনি কি ভাবতাছেন, ছবি থাকার পরেও আমি আপ্লুড দিচ্ছি না?? যদি তাই ভাবেন তবে =p~ =p~ =p~ =p~

২৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আহা! রাশিয়া! চমৎকার লাগলো পোস্ট!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আরে ৎঁৎঁৎঁ ভাই আপনি কোথায়??? আমি তো এলাকাতেই আছি। আপনাকে দেখিনা যে???

২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভ্রমন বর্ননা ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মন্তব্যে ভালোলাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ নিবেন কবি।

৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু সবসময় মন্তব্য এর উত্তর দেখার জন্য ফিরে আসি........

দেরি হবার জন্য দু:খিত। একটা ফরেন টিম ভিজিট চলছে তাই একটু ব্যাস্ত কিন্তু তার চেয়ে ও মন খুব খারাপ। নিজের স্বার্থের জন্য কতটা নোংরা গেইম খেলতে পারি.... কিভাবে দেশের স্বার্থকে ধ্বংস করি তা বলে বুঝানো যাবে না। নিজের সবটুকু স্বামর্থ্য দিয়ে ও পারছি না ঠেকাতে। জানি আমার একার চেস্টা দিয়ে তো এতো বড় গেংদের সাথে লড়তে পারবো না........ তারপর ও চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি...........

ভালো থাকবেন.........

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: নিজের স্বার্থের জন্য কতটা নোংরা গেইম খেলতে পারি.... কিভাবে দেশের স্বার্থকে ধ্বংস করি তা বলে বুঝানো যাবে না। নিজের সবটুকু স্বামর্থ্য দিয়ে ও পারছি না ঠেকাতে। জানি আমার একার চেস্টা দিয়ে তো এতো বড় গেংদের সাথে লড়তে পারবো না........ তারপর ও চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি...........

আপু কি যে বলবো, দেশের স্বার্থ নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো টাইম যাদের আছে আসলে তাদের কার্যক্ষমতা সীমাবদ্ধ। আর যাদের অনেক ক্ষমতা তাদের কাছে দেশের কোন মূল্যই নেই। দেশপ্রেম শব্দটা আমাদের দেশে বড়ই অদ্ভুত মিনিং বহন করে।

আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো, দেশের জন্য মায়া আছে আপনার মনে। লড়ে যান, হয়তো আপনি পুরোটা করতে পারবেন না তবে কিছুটাতো পারবেন। হ্যাটস অফ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।

৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: :) :) :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ভাইয়া রাশিয়া কয়েকবার ঘুরে আসলাম রাশিয়ান না শিখে, কিন্তু এখন আপনার মেসেজের মর্মার্থ বাহির করার জন্য রাশিয়ান শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

৩২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নোঙর ফেলি ঘাটে ঘাটে বন্দরে বন্দরে...

আমার মনের নোঙর পইড়া রইছে হায়রে..

------------------------------------------
@লেখক শূণ্যস্থান পূরন করেন ;)


নিমচাঁদ ভাইয়ের মন্তব্যের পরে যেন আর বলার কিছূ নাই।

অসাম!


спасибо
для хорошей истории путешествий

ধন্যবাদ। দারুন এক ভ্রমন কাহিনীর জন্য।

গুগল ট্রান্লেটরের পাকনামি ;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: শূন্যস্থান পূরণ করিয়া দিলাম।
[yt|


Спасибо за обмен .
:P :P

৩৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।সবসময় আপনার লেখা আশা করি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো।

৩৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

খাটাস বলেছেন: নিমচাঁদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ । ছবির সাথে সাথে মনোহর বর্নণায় আমরাও রাশিয়া ঘুরে আসলাম ।
তবে হ্যা একটু কথা আছে ---

রাশিয়ান মেয়েদের সাথে আপনার তোলা ছবিগুলো দিলে ব্লগটি আরো প্রাণবন্ত হতো।


আসলেই প্রাণবন্ত পোস্টে কিছু প্রাণবন্ত রাশিয়ান নারীর সাথে আপনার ছবি দিলে আঠার কলা পূর্ণ হইত।

যদি ও উহা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কোন প্রভাব ফেলিলে সামু বা সামুর কোন ব্লগার দায়বদ্ধ থাকিত না। ;) :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমি জানি সামুতে আপনার মতো কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক পোলাপাইন ও প্রাপ্তবয়স্ক কিছু লুল ব্যাক্তিত্ব আছে তাই রাশিয়ান মেয়েদের ছবি পোষ্ট দিয়ে পরিবেশ খারাপ করতে চাইনি। =p~ =p~

৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ ।অনেক নাম না জানা সুন্দর জায়গায় আমরাও ঘুরে আসলাম আপনার সাথে...শুভকামনা...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন তুষার কাব্য। পৃথিবীতে কতো নাম না জায়গা আছে দেখার মতো। এমন হয় অনেক জায়গা শুধু টাচ করি, কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে ঘুরে দেখা হয় না।

মন্তব্যে শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

মুহিব জিহাদ বলেছেন: ছবি আর বর্ননা দখে লোভ লেগে গেল,আমার যেতে ইচ্চে করছে,,,,,,, হিংসা হিংসা হিংসা। :P
পোস্টে ১১ নাম্বার +++ আমার ভাইডি

নিমচাঁদ ভাই এর কমেন্ট এর যথাযথ রিপ্লাই এবং ছবি না আপ্লোডানোর জন্য তেব্র নিন্দা জানাই =p~ =p~ =p~

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আমারে যে আপনি কত্তো হিংসা করেন তা তো জাতি জানে। X((

নিমচাঁদ ভাইয়ের মন্তব্যে নিয়ে সবাই এত্ত ফালাফালি করছে কেন বুঝলাম না। একটু খানি রাশিয়ান মেয়ের লোভ দেখালাম আর সবাই সেদিকে লাফিয়ে পড়লো। এতো সেই "ভাঁজ খোল আনন্দ দেখাও" টাইপ হয়ে গেল। আমি আনন্দ দেখাবো ক্যামনে? ফটোসপের কাম তো আমি এত ভালো জানি না। =p~ =p~ =p~

৩৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

তার ছিড়া আমি বলেছেন: কপাল আপনার, সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়ান আরামছে। কত্ত কিছু দেখার সুযোগ হয় আপনার, হিংসে লাগে আমার।

তবে ভাই আপনার এই পোষ্ট গুলি আমার মনের খোরাক যুগায়।
আপনার সাথে আমিও বিশ্ব ঘুরি।
দয়াকরে আপনার সব ভ্রমন কাহিনী পর্যায়ক্রমে পোষ্ট করবেন।
তাতে আমার মত কিছু বাংগালীর মন ভাল থাকবে।

আপনার পোষ্টের জন্য অসংখ ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্যে।

আরো বেশী বেশী ভ্রমণ পোষ্ট করার ইচ্ছা পোষণ করলাম।

শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.