নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যাথিত হৃদয় বিষে ভরা আজ স্বপ্ন ভাঙ্গা এক ফসল বুনা জমিন চষে

মাহমুদুর রহমান সুজন

ব্যাথিত হৃদয় বীষে ভরা আজ স্বপ্ন ট্রুটির এক ফসল বুনা জমিন চাষে...

মাহমুদুর রহমান সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

## --- এবার ১৫/১৬ বছরের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ন হত্যা করল--- ##

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

পারিজাত জীবন !এই জীবন কতদিনের কে জানে?

বিশ্বাস ।যে জীবন দান করেন সেই নিয়ে যায়। যখন কেহ নিজে নিজেকে তুচ্ছ ভেবে হয়তো অন্য কোন কারনে জীবনের সাথে পরাজীত হয়ে জীবনের সাথে অবিচার করেন তাদের কি বলব?

তারা এমন কাজটা কেন করেন বা কেন করতে যায়?

এই নানান প্রশ্ন আমাকে ভাবিয়ে তুলছে আজ যখন স্ত্রীর সাথে চেট করছি হঠাৎ আমার স্ত্রী আমাকে লিখে

> :এই শুননা

আমি :কী?

> :আজ একটা মেয়ে আত্নহত্যা করেছে।

আমি : চুপসে গেলাম; কে সে অভাগী, কেন এমন করল!

> :এমন করবনাত কি করব। বাবা যদি এমন হয় !

আমি: বাবা আবার কি করল , কে সে ?বা মেয়েটি কে?

>: আরে তোমার নাকি এক দূর সম্পর্কের আত্নিয় লাগে;তার মেয়ে - আখি, বয়স ১৫/১৬ হবে। তুমি হয়তো চিনতে তাকে।

আমি মেয়েটিকে চিনি না কিন্তু কেন যানি কষ্ট লাগছে মেয়েটির জন্য আরো বিস্তারিত জেনে নিলাম।অামি তার বাবা মাকে চিনি। তাকে দেখি নি কখনো।মেয়েটি আমার এক বন্ধুর বোনের মেয়ে। আখি। সে এইবার ইন্টার-এ পড়ত। ঘরে বাবা মায়েে কলহ দেখতে দেখতে অতিষ্ট হয়ে গেছে। আজ নাকি আখির বাবা তার মাকে মারছে তা দেখে মেয়েটি প্রতিবাদ করলে মেয়েকেও নাকি থাপ্পর মারে আখির বাপে।এর পর মেয়ে সহ্য করতে পারেনি। পরে দড়ি দিয়ে গলা ফাসঁ দিয়েছে।হসপিটালে নিতে নিতে আখি মারা যায়।

আমার প্রশ্নটি হল এই ১৫/১৬ বছরের মেয়েটি তার কষ্টের ভার সহ্য করতে পারিনি হয়তো সে কারনে এই পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু পরিবারে আমরা যারা কর্তা বা কর্তি আমরাত ছোট্ট সে কিশোরীটি নয় যে বুঝি না । আমরা কেন কলহ করি?

এগুলো আমরা সচেতন মাত্র সবাই জানি ?আমরা হয়তো তাদেরকে এমন টা করার জন্য দায়ী, আমারদের সমাজ না হয় পরিবার । যদি এই পরিবার বা সমাজ একজনকে না চায় সেত চলে যাবেই তার অভিমান এর মাত্রা যদি এমন হয় নিজেকে নিজে নিঃশেষ করার যে প্রলয় আয়োজন তা কি কোন মহাকালের নাকি ক্ষনিকের একটু ভাবনা, বিষাদের যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে সুখের আসায় নতুন কোন যাত্রা?

এমনটা কারোরই কাম্য নয়। আখিদের মত কারোর অভিমানের মাত্রা যে এত অতিরিক্ত মাত্রায় না হয় নিজেকে শেষ করার মাঝে সমাধান খুঁজবে।

পিতা মাতার ও চাই একটু সচেতন হওয়ার ।কারনে অকারনে কলহ না করাই উত্তম।তাইলে আর কোন আখির জীবন দিতে হবে না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৫

টুম্পা মনি বলেছেন: এমন হতেই থাকবে। আর আমরা আফসোস করতেই থাকবো! এই মেয়েদের শক্ত কাউন্সেলিং দরকার।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঠিকি বলেছেন। ওদরে কাউন্সেলিং দরকার। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেলেই আমাদের টনক নড়ে।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

মাইদুর রহমান বলেছেন: আফসোসের কিছু নেই। বাস্তবতা । ওর মা নিশ্চই ওর বাবাকে মানসিক যন্ত্রনা দেয়। যার কারনে কলহ। আখি মরে বেচেঁ গেছে একই সাথে অন্য একটি ছেলেকে বাচিঁয়েছে। না হয় সেও তার স্বামীকে জ্বালাতন করতো। বেশিরভাগ মেয়েরা তাদের স্বার্থটাকে বড় করে দেখে আর শুরু হয় যন্ত্রনা। নিজের অভিজ্ঞা থেকে বলছি।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমনটি হয় দু'য়ের দোষেই। আমরা মানুষ দোষের উর্দ্বেত কেহ নয়।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৪

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: :( :(

খুবই কষ্টকর

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শুনে আমার অনেক খারাপ লাগছিল। আমার স্ত্রীত হায় হোতাস মনে হচ্ছিল তার নিকটতম কেহ বুঝি এমনটা করেছে। আসলে নারীর মনত। তার সাথে আমারও ভীষণ খারাপ লাগছিল।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

শায়লা িসিদ্দক বলেছেন: :(

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কষ্টই লাগে।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন:
আত্মহত্যা যে কোন সমস্যার সমাধান নয় এটা অনেকেই বোঝে না! আর পারিবারিক কলহ বা যেকোনো খারাপ ঘটনা একটা মানুষের উপর কতটা চাপ সৃষ্টি করলে বা কষ্টে জর্জরিত করলে মানুষ এই পথ বেঁছে নেয় তার উত্তর জানা নেই! তবুও এমনটা ঘটুক এটা কাম্য নয়! এইসব বিষয়ে কাউন্সিলিংটা খুব জরুরি!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ঠিকি বলেছেন কিন্তু কে বুঝাবে ওদের যারা এমন সমস্যায় পতিত, আমাদের দেশে কি তেমন ব্যাবস্থা রয়েছে?

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: দুঃখজনক কোন ব্যাপার যেন আমাদের দেখতে না হয়। সুখ এবং শান্তি বিরাজ করুক, সমস্ত কুৎসিত বিদায় নিক।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জি সবই আমাদের ভাগ্য । আজকালের ছেলে মেয়েরা একটু বেশী জেদী ও হয়।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১১

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: :( :(

পরিবারে বাবা মায়ের সম্পর্ক খারাপ থাকলে সেটা সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বাবা-মা'র খারাপ সম্পর্কের দরুন সন্তানরা হতাশায় ভুগে। হয়ত এই কারনেই তারা বাধ্য হয় অনেক সময় আত্মহত্যা করতে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই জন্য আমাদের কাউন্সিল দরকার। বাবা- মা একটু কম বুঝতে পাড়েন , ওনারা হয়তো কম শিক্ষিত কিন্তু আমরা পড়া-শুনা করে কি শিখি!
যাই হোক মন খারাপ করার নিউজ ছিল এইটা । আমার উ্দ্দেশ্য ছিল সবাইকে শিয়ার করা জন সচেনতা বাড়ানো।
আপনার মন্তব্য ভাল লাগল।

৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

শক্তি শুধা বলেছেন: কষ্ট

:(

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যি কষ্টের ভাই!

১০| ১৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

জাফরুল মবীন বলেছেন: ‘অশান্তি গৃহযুদ্ধের চাইতেও গুরুতর’-এ কথাটার বাস্তব উদাহরণ এটাই।পারিবারিক কলহ সন্তানদের উপর কী প্রচন্ড প্রভাব ফেলে এ ঘটনা থেকে আরেকবার শিক্ষা নেওয়া উচিত আমাদের অভিভাবকদের।পৃথিবীব্যাপী কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।লেখককে ধন্যবাদ এ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাই আপনাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা। আমার ব্লগে আপনার পদচারণ সত্যিই আমাকে মোহিত করেছে। তবে দেরীতে জবাব দেওয়ার জন্য দুঃখীত।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমরা আসলে কিশোর-কিশোরীদের বুঝতে চাই না --বা বুঝার চেষ্টাও করি না---। এই সময় তাদের প্রয়োজন বন্ধুসুলভ সাপোর্ট-আর সেটা পরিবারের বাবা মা ভাই বোনদের নিকট হতে -------

খুবই কষ্টদায়ক -- মনটাই খারাপ হয়ে গেল

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যি মন খারাপের একটা নিউজ ছিল । আপনার কথাটা ঠিক সবাই আমরা সবাইকে বুঝার দরকার। পরিবার যদি তার পরিবারকে ভাল করে না বুঝে তাইলে এমন অপ্রত্যাশিত কোন ঘনটার জন্ম নিবে সমাজে। তবে সমাজের ও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। সবাই সবাইকে সহযোগিতা করুক খারপ আর ভাল টা বুঝার জন্য।
ভাল থাকবেন....আপনার মন্তব্যর জন্য হাজারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.