নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ। আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনা চিৎকার, বুকের ব্যাথা বুকে চাপিয়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। এক মুঠো সুখের সন্ধানে ঘুরে বেড়াই অবিরত…

এম আর তালুকদার

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

এম আর তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসে বঙ্গদেশ (পর্ব ০১)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪




ভৌগোলিক অঞ্চল:

বঙ্গ, বাঙ্গালাহ, বাংলা, বঙ্গাল বা বঙ্গদেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার উত্তরপূর্বে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক অঞ্চল। এই বঙ্গ বর্তমানে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং ভারতের একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা গঠিত। কিন্তু পূর্বে অবিভক্ত বাংলার বেশ কিছু অঞ্চল (ব্রিটিশ রাজের সময় কালে) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য বিহার, অসম ও ওড়িশা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বাংলার অধিবাসীরা বাঙালি জাতি হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকেন এবং বাংলা ভাষা এই অঞ্চলের প্রধান ভাষা।

এই অঞ্চলটি অধিকাংশ গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র নদী ব-দ্বীপ বা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপেঅবস্থিত,যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ। দক্ষিণ ব-দ্বীপের অংশটিতে সুন্দরবন অবস্থিত — যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরান অরণ্য এবং যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি। এই অঞ্চলের জনজীবন মুলত গ্রাম্য হলেও কলকাতা এবং ঢাকা এই দুটি মহানগর এই বাংলা অঞ্চলটিতে অবস্থিত।

ব্যুৎপত্তি ও জাতিতত্ত্ব:

বাংলা বা বেঙ্গল শব্দগুলির আদি উৎস অজ্ঞাত, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় যে শব্দটি বং অথবা বাং নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বং জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন। অন্য তত্ত্ব বলছে যে শব্দটির উৎপত্তি ভাঙ্গা (বঙ্গ) শব্দ থেকে হয়েছে, যেটি অস্ট্রীয় শব্দ "বঙ্গা" থেকে এসেছিল, অর্থাৎ অংশুমালী। শব্দটি ভাঙ্গা এবং অন্য শব্দ যে বঙ্গ কথাটি অভিহিত করতে জল্পিত (যেমন অঙ্গ) প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়, যেমনঃ বেদ, জৈন গ্রন্থে, মহাভারত এবং পুরাণে। "ভাঙ্গালা" (বঙ্গাল/বঙ্গল)-এর সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ রাষ্ট্রকূট গোবিন্দ ৩-এর নেসারি প্লেট্‌সে উদ্দিষ্ট (৮০৫ খ্রিস্ট-আগে) যেখানে ভাঙ্গালার রাজা ধর্মপালের বৃত্তান্ত লেখা আছে।

অঙ্গ

অঙ্গ প্রাচীন ভারতের একটি রাজ্য। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ শতকের দিকে ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে এটি বিকাশ লাভ করে কিন্তু ওই শতাব্দীতেই এটি মগধ দ্বারা অধীকৃত হয়। প্রাচীন বৌদ্ধ গ্রন্থসমূহ যেমন: অঙ্গুত্তরা নিকায়াতে উল্লিখিত ষোলটি মহাজনপদের মধ্যে অঙ্গ অন্যতম। প্রাচীন জৈন গ্রন্থ ভৈক্ষপ্রাজনাপ্তির (যা ভগবতী সূত্র নামে সাধারণত পরিচিত) প্রাচীন জনপদের তালিকাতেও অঙ্গের উল্লেখ আছে। কারো কারো মতে, অঙ্গের বাসিন্দারা ছিল মিশ্র জাতিসত্ত্বার, বিশেষত: পরবর্তী কালে।

আদ্য-অস্ট্রালয়ডেরা একটি বঙ্গের সবচেয়ে প্রথম অধিবাসী। দ্রাবিড়ীয় জাতি দক্ষিণ ভারত থেকে বঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন, যখন তিব্বতী-বার্মিজ জাতি হিমালয় থেকে প্রবেশ করেছিলেন, ও ইন্দো-আর্য জাতি প্রবেশ করেছিলেন উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে। যেহেতু জনগোষ্ঠীর গোড়াপত্তনের আপেক্ষিক ক্রম এখন জিন-তত্ত্ববিদগনের গবেষণাধীন, তাই এই বিষয় এখনও প্রত্নতাত্ত্বিক অনুমান সাপেক্ষ। অধুনাতন বাঙালিরা এই জাতিগুলির সংমিশ্রণ। যদিও বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। পাশতুনেরা, এবং তুর্কীরাদেরও সংমিশ্রণ, যাঁরা এইখানে খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতক ওর তৎপরবর্তীকালে প্রবেশ করেন। ইরানিরা ও আরবেরা মূলতঃ নৌপথে ব্যবসায়িক কারণে উপকূল-সংলগ্ন অঞ্চলে (যেমন চট্টগ্রাম) বঙ্গীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশ্রিত হন মধ্যযুগের বিভিন্ন সময়ে।




চলবে.....




(তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

আবুল বিড়ি বলেছেন: চমৎকার তত্থবহুল। ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।
শিঘ্রই পরের পর্ব প্রকাশ করা হবে।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

এই অঞ্চলটি অধিকাংশ গঙ্গা–ব্রহ্মপুত্র নদী ব-দ্বীপ বা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপেঅবস্থিত,যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ। দক্ষিণ ব-দ্বীপের অংশটিতে সুন্দরবন অবস্থিত — যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গরান অরণ্য এবং যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বাসভূমি।


আমার এলাকার বণনা আছে!!!! খুব খুশি লাগতেছে!!!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার খুশিতে আমিও খুশি হলাম কারন কাউকে খুশি করার মত আনন্দ আছে কিনা জানিনা। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আহ্ পুরোটাই যদি বাংলাদেশ হতো!!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভালই হত। ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। ধন্যবাদ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য দিয়ে ভরা একটি পোষ্ট।
কিন্তু আমার কিছু মনে থাকে না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। তথ্যগুলি মনে রাখতে চাইলে প্রিয়তে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের কাছে বাংলার মুল ইতিহাস বৃটিশ দখলের পর স্পস্ট হয়েছে; এর আগের ইতিহাস আলোছায়ার মতো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

এম আর তালুকদার বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের কাছে বাংলার মুল ইতিহাস বৃটিশ দখলের পর স্পস্ট হয়েছে; এর আগের ইতিহাস আলোছায়ার মতো।

কথা সত্য তাই চেষ্টা করতেছি বাংলার আদি ইতিহাস জানবার। ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ বেশ তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট । অনেক কিছু জানা হল ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি, পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অনেক তথ্য রয়েছে আপনার পোষ্টে। তবে, কিছু অংশ সংশোধনযোগ্য।

আমার কাছে যে তথ্য আছে, সে মতে, পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) ক্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ বছর আগে মানব বসতি গড়ে উঠে। বাংলাদেশের এই আদিবাসীদের 'ভেড্ডিড' বা 'আদি অস্ট্রেলিয়' বলা হয়। বর্তমান কোল, সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও, মালপাহাড়ী প্রভৃতি গোত্রগুলো প্রাচীন ভেড্ডিদের বিশুদ্ধ বংশধর।

এই ভেড্ডিরাই বাঙালীদের পূর্বপুরুষ।

ধন্যবাদ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ।
সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই তথ্যসূত্র দিলে ভাল হয়, আমি তথ্য জুড়ে দেব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.