নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়রি

ইব্রাহীম সাজ্জাদ

নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নাই

ইব্রাহীম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ভালোবাসার গল্প

২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

স্যালুট তোমার ভালোবাসাকে

মেয়েটির নাম ছিলো,নুপুর।
তার নামটা যেমন সুন্দর,সে দেখতেও
ভারি মিষ্টি মেয়ে।
সে রোজ বোরকা পরে বাসা থেকে
বের
হতো।
স্কুল কলেজ এমনকি শপিং করতেও সে
বোরকা পড়ে যেতো।
অদ্ভুত একটা বিষয় হলো,
তার বাবা মা নিজের পরিবার ছাড়া
তাকে আর কেউ দেখেনি।
এমনকি তার বান্ধবিরা পর্যন্ত।
কারন,,তার বয়স যখন পাচ বছর
সে ঠিক তখন থেকেই বোরকা পড়ে
বাইরে বের হতো।
,,,,
নুপুর তো বোরকা পড়তো,,,
সে কেমন দেখতে সাদা না ফর্সা বা
কালো
যেমনি হোক না কেনো।তাকে না
দেখেই
তার
প্রেমে পড়বে,,,এমন কোন ছেলে
আছে বলে
মনে হয় না।
কিন্ত,,,আছে একজন।
তার নাম,,পায়েল,,,ডাকনাম রাজ।
কলেজের কোন ছেলে নুপুরের দিকে
খেয়াল
না করলেও,,,,পায়েলনুপুরেরর পেছনে
ছায়ার
মতো
লেগেই থাকতো।
আর রোজ একটা করে গোলাপ তাকে
উপহার
দিতো।
কিন্ত,,,নুপুর তার দেয়া গোলাপটাকে
পায়ের
তলায় ফেলে,,পা দিয়ে পিসিয়ে
চলে যায়।
এ ঘটনা আজ থেকে নয়,,যখন তারা দুজনে
একসাথে একই কলেজে এসেছে,ঠিক
সেই
সময় থেকে।
অনেক আগে একবার,নুপুর তাকে
বলেছিলো,
তার এই পাগলামি কেনো,,,,
কিন্ত,,,পায়েল ভালবাসি কথাটা
বলার সাহস
পাই নি।তার কিছু ভয় ছিলো,,,আজ
গোলাপটাকে
পিসিয়ে যে চলে যাচ্ছে।তাকে
ভালবাসি কথাটা
বলবে কি করে।
বরং সে কথাটা বললে, নুপুরের সাথে
বন্ধুত্য টা নষ্ট হয়ে যাবে,সে যতটুকু
কাছে
আছে সেটুকুও তাকে আর পাওয়া যাবে
না।
,
পায়েল আজ গোলাপ হাতে নিয়ে
আসেনি।
কলেজের শত মানুষের সামনে নুপুর কে
প্রোপজ
করে।কিন্ত,,,নুপুর সে সময় অনেক রেগে
যায় তার বামহাত দিয়ে কষিয়ে একটা
চড় মারে।
এরপর পায়েল কে বলছে,,,,,,
নুপুর/ এই ছেলে তোমার এত সাহস
হলো কিভাবে?
পায়েল/ ভালবাসার জন্য সাহস লাগে
না।
শুধু সেই মানুষটির প্রতি আস্থা থাকতে
হয়।
আর তার জন্য নিজের বুকে অনেক খানি
ভালবাসা থাকতে হয়।
নুপুর/ এই ছেলে তুমি আমাকে কখনো
দেখেছো।
পায়েল / না।
নুপুর/ তাহলে ভালবাসলে কিভাবে?
পায়েল / মন দিয়ে।
নুপুর/ কি?আমি দেখতে অনেক কালো
সে জন্য বোরকা পরে কলেজে আসি।
এই সামান্য বিষয়টা তোমার মাথায়
ঢুকলো না।
পায়েল/ আপনি কালো হলে আমার
কিছু
যায়আসে না।আমি নুপুর কে ভালবাসি
আর নুপুর দেখতে কেমন হয় সেটা আমার
ভালো জানা
আছে।
নুপুর/ এবার কিছুটা শান্ত মনে বলছে,
সত্যি আমি দেখতে খারাপ।কলেজে
আমার
থেকে অনেক ভালো মেয়ে আছে।
তুমি তাদের ভালবাসো।আর আমার
পিছনে
পরে থেকোনা।সামনে তোমার উজ্জল
ভবিষ্যত
সেটা নিয়ে ভাবো।
পায়েল/ আমার ভবিষ্যত আমি তখনি
ভাববো
যখন আমার ভালবাসা তুমি গ্রহন করবে।
নুপুর/ সেটা কোনদিনও সম্ভব না।
আর কিছু না বলে কলেজ থেকে চলে
যায়।এবং পায়েল বিষয়টা সে ভাবতে
থাকে।
,,,,,
আজ এক মাস হয়ে গেলো,নুপুর আর
কলেজে আসেনা।কেউ তার বিষয়টা
না
ভাবলেও
প্রেমিক পাগলার ঘুম ঠিকই রাতে
আসে না।
অনেক চেষ্টা করেও নুপুরের খোঁজ
মেলেনি।
তাই কলেজের সবাই পায়েলকে
দোসি
করলো।
হঠাৎ একদিন কলেজে আগমন হলো
এক অপরুপ সুন্দর এক মেয়ে,নাম তার
প্রিয়া।
এই প্রিয়ার দিকে আমার মতো আরও
দশটা
ছেলে তাকে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে
উঠে।
কিন্ত,,,এই প্রিয়ার চোখ সবসময়
পায়েলের
দিকে।
পায়েল যেমন নুপুরের পেছনেলেগে
থাকতো।
ঠিক তেমনি এই প্রিয়া পায়েলের
পেছনে
লেগে থাকে।
,,,,,,
প্রথমে পায়েলের সাথে বন্ধুভাব হয়।
আস্তে আস্তে পায়েলের অনেক
কাছে
যেতে
চাইলেও পায়েল তাকে মেনে নিতে
পারে না।
এক সময় প্রিয়া পায়েলকে ভালবাসার
প্রস্তাব
দেয়।
কিন্ত,,,পায়েলের জীবনে অন্য কেউ
আছে,,,
এমনটা বলে প্রিয়াকে আর পাত্তা
দিতো না
পায়েল।
আজ ঠিক তেমনি তার মতো কলেজের
সবার
সামনে প্রিয়া পায়েল কে প্রপোজ
করে।
তাতে পায়েল না বলে দিলে,,,,,,,
প্রিয়া/ কি ভাবো নিজেকে?
পায়েল/একজন সাধারন মানুষ,আর
তাছাড়া
আমার জীবনে অন্য কেউ আছে।
তোমাকে
ভালবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না।
প্রিয়া/ কে আছে,আজ এতদিন হলো শুধু
শুনেই
যাচ্ছি,কিন্ত কে স এখনো তার মুখটা
পর্যন্ত
দেখলাম না।
সে যদি আর ফিরে না আসে?
পায়েল/ সে আমার জীবনে
এসেছিলো,
আমি তার জীবনে হয়তো কেউ ছিলাম
না।
সে আমাকে ভাল না ও বাসতে
পারে।
কিন্ত আমি তাকে কখনো ভুলে
থাকতে
পারবোনা।
প্রিয়া/ ও আচ্ছা,,, আমি যদি বলি
আমিও তোমাকে
ভুলে থাকতে পারবোনা।সেটাকে
তুমি কিভাবে
দেখবে।
পায়েল/ তুমি শুধু শুধুই মরিচিকার
পেছনে
ছুটছো।
আমার এ জীবন তাকে ছাড়া অস্মপুর্ন।
প্রিয়া/ তাহলে তোমার ভালবাসার
কোন
যোগ্যতায়
নেই।তুমি জানো তোমার মতো দশটা
ছেলে
আমার পেছনে পরে থাকে।
তাদের বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা
তোমার থেকে
অনেক বেশি।তবুও আমি তোমাকে
ভালবাসি
আমাকে ফিরিয়ে দিও না প্লিজ,,,,,,,।
পায়েল/ হ্যা আমি অনেক ছোট,,,তাই
তো
কারও অবহেলা ছাড়া আমার জীবনে
আর
কিছুই নেই।দয়া করে আমার সামনে আর
আসবেন না।
এই বলে চলে যায় পায়েল।
,,,
আজ সাতদিন পর,
নুপুর বোরকা পড়ে কলেজে এসেছে।
তাকে দেখেই পায়েল আত্বহারা।
কিন্ত আজ তার জীবনে চরম একটা
পরিক্ষা
সেই দিনগুলো র মতো আজ সবাই
একত্র হয়েছে।
মাঝখানে তিনটি মানুষ।
একদিকে নুপুর এবং প্রিয়া।
প্রিয়া/ তোমার নুপুর কে নিয়ে
এসেছি।
নুপুর মুখের কাপড় টা খুলে দেয়।
দিতেই সবাই চমকে যায়।ঠিক যেনো
কোন
কাজের
মেয়ে।
নুপুরর/হ্যা,আমিই তোমার নুপুর।
তোমাকে
বলেছিলাম না আমি দেখতে খারাপ।
প্রিয়া/ এখন বলো,কার হাত ধরতে
চাও,?
সে সময় পায়েলের দুনিয়াটা যেনো
ঘুড়তে
থাকলো।নুপুর যেমনি হোক না
কেনো,তাকে
তো ভালবাসি।কিন্ত আমার পরিবার
তারা কি
নুপুর কে মেনে নিবে।
আর ভাবতে পারছেনা।ভালবাসার
মানুষ যেমনি
দেখতে হোক,,,,তাকে ছাড়া জীবন টা
অচল,,,,,,
নুপুরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো,,,,
নুপুর সেও হাত ধরে চলে যেতে
থাকলো।
পেছনে প্রিয়া মনে মনে অনেক খুশি।
কিছু দুর যেতেই,,,নুপুর বলে দিলো।
নুপুর/ ভাইয়া হাত ছাড়ুন
পায়েল / তো অবাক, কি?
নুপুর / জ্বি, আমি নুপুর নই।
ঐ প্রিয়া হলো তোমার নুপুর।
তোমার ভালবাসা কে বাজিয়ে
দেখতেই
এই অভিনয়।আমি ওদের কাজের
মেয়ে,সে আপনার
সাথে
এমন করছে,,,আপনি যতটা কষ্ট পেয়েছেন,
তার অধিক সে কষ্ট পেয়েছে।
সে যখন রোজ কলেজে আপনার সাথে
অভিনয় করেছে,,,,বাসাতে
ফিরে
লুকিয়ে
লুকিয়ে
কাদে।শুধু আপনাকে কষ্ট দেয় বলেই।
যান ওনার কাছে যান,,,উনি আপন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.