নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ডায়রি

ইব্রাহীম সাজ্জাদ

নিজের সম্পর্কে বলার মতো তেমন কিছুই নাই

ইব্রাহীম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসের শ্রম রেমিটেন্স ও পরিবার

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০



' ছেলে চালায় =আই ফোন
মেয়ে চালায় = স্যামসং
বউ দেখে ★স্টার প্লাস
আর বাবা ভাতের প্লেটে চোখের পানি ফেলে,
এরই নাম প্রবাস জীবন ! '

কথাগুলো মাহমুদুল হাসান নামের একজন প্রবাসীর। প্রবাস জীবন কেমন তার কিছুটা চিত্র এতে ফুটে উঠেছে। দেশে থেকে কারো পক্ষে প্রবাস জীবনের কষ্ট অনুভব করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সাথে কোন দেশের তুলনাও চলেনা। কারণ বাংলাদেশের শ্রমব্যবস্থার মজুরি ঘন্টা হিসেবে নয় এবং তা রাষ্টের ন্যায়বিচার দ্বারাও পরিচালিত হয় না। সেটা চলে মালিকের নিয়মে। মালিকের নিয়মে চলা শ্রমব্যবস্থা দাস যুগের সাথে তুলনীয়। ফলে সেটা এখনকার দুনিয়ার নিয়মে পড়ে না।

বিদেশে বেশীর ভাগ কাজেই মানুষ আর যন্ত্রে তেমন তফাৎ নেই। শ্রমিককে কাজ করতে হয় যন্ত্রের সাথে । যন্ত্র ছোট বড় যেমনই হোক তার নির্দিষ্ট নিয়মের সাথে কাজ করতে হয় শ্রমিককে। আর সেই নিয়ম সময়ের সাথে বাঁধা। সময়কে ঘন্টা হিসেবে মাপা হয়েছে পাউন্ড,ডলার,দিরহাম, লিরা ইত্যাদিতে। ফলে কাজের জায়গায় কেউ যদি সকাল আটটা থেকে আট ঘন্টার জন্য যোগ দেয় তাহলে প্রতিমিনিটে তার কাজ তৈরী থাকে। যে শুরু করবে তাকে প্রতিমিনিটে তা করতে হবে।

বিদেশের আট ঘন্টা কাজের পর একজন শ্রমিকের আর দাঁড়িয়ে থাকতেও ইচ্ছে করে না। এভাবে কতদিন মানুষ কাজ করতে পারে ? তারপরও বছরের পর বছর বিদেশে থেকে বাংলাদেশের মানুষ কাজ করে। দেশে পরিবারের কাছে টাকা পাঠায়। আর দেশের নাকি রেমিটেন্সও বাড়ে। যাঁরা এসি রুমে বসে রেমিটেন্স হিসেব করে তাঁদের অবশ্যই মধ্যপ্রাচ্যে পাঁচ বছরের জন্য শ্রমিক হিসেবে পাঠিয়ে তারপর হিসেবে বসতে দেয়া উচিত। পরিবারের সদস্যদের ভিডিওতে দেখানো প্রয়োজন তাদের স্বামী/পিতা/ভাই/বোন/ছেলে কিভাবে ঘাম ঝরিয়ে দেশে টাকা পাঠায়।

এছাড়া প্রবাসে আরো নানারকম যন্ত্রণাদায়ক কাজ করে পাই পাই হিসেব রেখে মানুষ দেশে টাকা পাঠায়। অনেক বর্ণনাতীত কাজ তারা করে সেসব বিস্তারিত বলতে চাই না।

আমাদের দেশের এখন বিরাট ইনকাম মানুষের এই ঘাম ঝরানো টাকা যার নাম রেমিটেন্স। বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে হয়তো একমাস, তিনমাস থেকে স্বামী পাঁচবছর, দশ বছরের জন্য বিদেশে কাজ করতে যায়। আর দেশে ফিরতে পারে না। সন্তান জন্মে। বাবাকে দেখে ভিডিওতে। স্পর্শও পায় না। তরুণী স্ত্রী মধ্যবয়সী, অথবা বৃদ্ধা হয়ে যায়। মানুষ হিসেবে তাদের এই ত্যাগ শুধু বেঁচে থাকার জন্য।

এই ত্যাগ,হার গলানো খাটুনির রেমিটেন্সে না হয় প্রবাসীদের কোন কল্যাণ না হয় দেশের কল্যাণ ! অন্যদিকে পরিবারের সদস্যের কল্যাণে যা ব্যবহার হয় তার বেশীরভাগটাই ইট, বালি,সিমেন্টের পিছনে যায়। এছাড়া কদাচিৎ কিছুটা লেখাপড়া এবং চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়। এর মধ্যে যিনি খাটেন তার আর ভোগ করার সময় থাকে না। এটাই তো প্রবাস জীবনের হিসাব !

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কাইকর বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম। বেশি বেশি মন্তব্য করুন। সব ব্লগারদের সাথে পরিচিত হোন।আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সেফ হয়ে যাবেন।সময় পেলে আমার ব্লগে গিয়ে ঘুরে আসবেন।

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

ইব্রাহীম সাজ্জাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.