নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মগজ

মুয়াজ

আমি যে কি তা আমি নিজেও জানিনা

মুয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কিন্তু ভেসে আসি নাই........। ধীরে ধীরে গড়া......।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

ঢাকার নবাব পরিবারের কয়েকজন অতি উদ্যমী তরুনের উদ্যোগে এই ভুখন্ডেের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯২৭ থেকে ১৯৩১ এর মধ্যে।



ছবি দুটির নাম ছিল 'সুকুমারি' এবং 'দ্যা লাস্ট কিস'। দুটোই অডিও বিহীন অর্থাৎ নির্বাক ছিল। তবে 'সুকুমারি' স্বল্প এবং 'দ্যা লাস্ট কিস' ছিল পূর্ণ দৈর্ঘের। কালের আবর্তে ছবি গুলোর প্রিন্ট আর পাওয়া যায় না।



অবশ্য ১৯৫৪ তে নির্মিত 'মুখ ও মুখোশ' কে ই প্রথম পূর্নাঙ্গ সবাক চলচ্চিত্র হিসেবে ধরা হয়।



সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম পথিকৃত 'হীরালাল সেন' এই দেশেরই সন্তান। তার বাড়ি মানিকগঞ্জে। এই দেশে ১৮৯৮ তে প্রথম তিনি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন। ধারনা করা হয় ১৯০০ সালে তৈরি উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র এই হীরালাল ই তৈরি করেন।



তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিরা চলচ্চিত্রে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। তাদের বিশাল ইন্ডাস্ট্রি এবং কারিগরি লোকবল তৈরি হয়েছিল। এত সবের মাঝেই ১৯৬৪ তে 'জহির রায়হান' নির্মিত 'সংগম' চলচ্চিত্রটি ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য রঙ্গিন চলচ্চিত্র। তিনি আমাদের নোয়াখালীর সন্তান। আমরা তাঁকে হারিয়েছি অল্প দিনেই। তারা থাকলে হয়তো ইতিহাস আরো সমৃদ্ধ হতো।



আমাদের চলচ্চিত্রের ইতিহাস অনেক পুরনো। সেই ১৯২৭ থেকে এই ২০১৪ প্রায় ৮৭ বছরের পুরনো। আমরা আজ কোথায়?



প্রথম চলচ্চিত্র 'সুকুমারি' তে নায়ক ছিলেন নবাব নাসিরুল্লাহ তবে মজার ব্যাপার টা হচ্ছে এই ছবিতে নায়িকার চরিত্রে কোন নারী ছিলেন না। একজন পু্রুষ নায়িকার ভুমিকায় অভিনয় করে ছিলেন।

অবশ্য পরের ছবি দ্যা লাস্ট কিস এর জন্য পতিতালয় থেকে একজন নারীকে আনা হয়। যিনি নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন।



সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক নায়ক নায়িকার আগমন হয়েছে।



সেই ধারায় এসেছিলেন কিংবদন্তি নায়ক "সালমান শাহ" এসেছেন, জয় করেছেন; আবার সবাইকে কাঁদিয়ে চলেও গিয়েছেন।



মাত্র ৩ বছর!



হ্যাঁ মাত্র তিন বছর কাজ করেছেন তিনি ঢালিউডে, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। প্রায় ২৪/২৫ টি সিনেমায় এবং তার আগে প্রায় ৮/৯ টি টিভি নাটকে কাজ করেছিলেন তিনি। মঞ্চে কাজ করে আসায় তার অভিনয়ে আমরা সাবলিলতা দেখতে পাই। তার ট্রেন্ড, তার কথা, তার উচ্চারন, তার আইকিউ সব কিছুই ছিল নায়কের মতই। ১৯৯৬ এর এই দিনে তিনি রহস্যজনক ভাবে মারা যান। তার সমাধান হয়নি আজও। আজও সেলিব্রেটিরা, সাংবাদিকরা খুন হচ্ছে কিন্তু কোন বিচার নেই সমাধান নেই। আজ ও আমরা হারাচ্ছি গুণী জনদের।



সালমান শাহ বেঁচে থাকলে হয়তো আজও তিনি নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করে যেতেন। যেমন করে যাচ্ছেন কলকাতার ফরমালিনে গোসল করা নায়ক 'প্রসেনজিৎ'।



বর্তমানের যারা সুপার হিট নায়িকা ( Mahi , Borsha, achol এরা) যাদের জন্মই হয়েছিল তার কর্ম সময়ের কাছা কাছি সময়ে। তারাও হয়তো সুযোগ পেত তার সাথে অভিনয় করার। তারা নিজেদের ধন্য ভাবতে পারতো।



সালমান থাকলে হয়তো চলচ্চিত্রে এভাবে ধ্বস নামতো না। এখন চলচ্চিত্র আবার উঠে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই এগিয়ে আসছেন। যে যার যায়গা থেকে মেধা, অর্থ, শ্রম আর সময় দিয়ে ভুমিকা রাখছেন। এখন আমাদের প্রতিজন জনগন কে কিছু করতে হবে। হলে গিয়ে ছবি দেখতে হবে।



যত যাই হোক আমরা নকল আর অশ্লীলতা থেকে মুক্ত থাকতে চাই।

মেধাবীদের অভাব নেই। তাদের সুযোগ দরকার শুধু। সুযোগ দিবে জনগন। সবার আছে দায়িত্ব। হলে গিয়ে ছবি দেখুন। হলের দর্শক বাড়লে ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে।



ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়ালে মেধাবীরা সহজে আসবে। তখন তৈরি হবে ইনোভেটিভ, আধুনিক আর বিখ্যাত সব ছবি।



সালমানের জন্ম আর মৃত্যু এই মাসেই। "বলাকা" আয়োজন করেছে সালমান স্মৃতি উৎসব। ৬ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বলাকা তে প্রদর্শিত হবে সালমানের একটি করে ছবি। সবাই মিলে দেখে আসতে পারেন।



ফেইসবুক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.