নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বব্যপী সবার দৃষ্টি থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক। বরাবরের মত আমরা এবারও অনেক আগ্রহ নিয়ে গত কয়েকটা মাস অপেক্ষায় ছিলাম কার হাতে থাকবে আমেরিকার ব্যাটন। কারন যার হাতে হোয়াইট হাউজের চাবি, তার হাতেই তাবৎ বিশ্বের ঝান্ডা। এবারের আমেরিকার নির্বাচনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল হাতি এবং গাধা নিয়ে লোকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়িয়েছে। দুই দলে দুই হাই প্রোফাইল প্রার্থী- একজন সাবেক ফার্স্ট লেডি, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আর একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আর টিভি পার্সোনালিটির হাড্ডাহাড্ডি কথার লড়াইয়ে আমরা দূরদেশের ম্যাংগো পিউপল মজা লুটেছি।
যাই হোক ভোটের শুরুতে সব জরিপে মনে হচ্ছিল যে, হোয়াইট হাউজের সাবেক বাসিন্দাই বুঝি আবার হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন। কিন্তু ভোটের ফল দেখা দিল উল্টো। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ যা কিনা সাদা চোখে আমাদের চোখে পড়ে এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে:
১. আমেরিকার লোকজন না খেয়ে আছে, তাদের জন্য টাকা পয়সাওয়ালা প্রেসিডেন্টই কিছু করতে পারবে। টাকা পয়সা না থাকলে তো আর দান খয়রাত করে না লোকে।
২. আমেরিকান জনগণ একজন নারীকে রাষ্ট্র প্রধান করার মত সৃজনশীল বা প্রগতশীল কোনটিই হয় নি এখনো।
৩. আমেরিকার ভোটারদের মতে, ক্লিনটন দম্পতির হোয়াইট হাউজে ৮ বছর থাকার পর আর অতিরিক্ত মেয়াদে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার কি দরকার? তারচেয়ে বরং নতুন কাওকে এই সুযোগ দেয়া হোক।
৪. যেহেতু বংশ পরম্পরায় আমেরিকা পৃথিবীর অভিভাবক। সুতরাং মহিলা মানুষ এত বড় দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। সেই ধারণা থেকেই আমেরিকাবাসি একজন স্বর্ণকেশী ভদ্রলোককে ভোট দিয়েছে।
৫. প্রচারেই প্রসাড় ! নিজের টিভি কোম্পানি ফক্সকে কাজে লাগিয়ে, ফ্রী তে বিজ্ঞাপন দিয়ে ট্রাম্প সাহেব এগিয়ে গিয়েছেন নির্বাচনী দৌড়ে।
৬. হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের স্বামী বিল ক্লিনটন একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট। সুতরাং হিলারি জয়লাভ করলে বিলের উপাধী ফার্স্ট জেন্টলম্যান হত। কিন্তু একজন সম্মানী ব্যক্তির সম্মান কমানোর মত দু:সাহস তো আমেরিকাবাসি করতে পারে না। তাই নির্বাচনে হিলারির এই ভরাডুবি।
৭. অপরদিকে বৃদ্ধ ট্রাম্পের সহধর্মিনী মেলানিয়া ট্রাম্প অতিশয় সুন্দরী সাবেক মডেল। বয়সও তুলনামূলক বেশি না। একজন বৃদ্ধ ফার্স্ট জেন্টলম্যানের চেয়ে একজন সুন্দরী মাঝবয়সী ফার্স্ট লেডি অনেক বেশি আকর্ষণীয়। সুতরাং ভোটকেন্দ্রে ভোট দেয়ার পূর্বমূহুর্তে ভোটারদের অধিকাংশই গাধা মার্কায় ভোট না দিয়ে হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে এসেছে।
৮. বাঙালি ইফেক্ট: ডেমোক্র্যাটরা তো ২ টার্ম লুটপাট করেছে-ই, এবার না হয় কিছুদিন বিরোধি রিপাবলিক্যানরা খা-ক।
পরিশেষে বলতে চাই, বিশ্ববাসীর অভিভাবক নির্বাচনে শুধুমাত্র আমেরিকানদেরই ভোটাধিকার মেনে নেয়া যায় না। সারা বিশ্বে ভোটের ব্যবস্থা করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হোক- এই দাবি জানিয়ে এখনকার মত বিদায় নিচ্ছি বাংলাদেশ থেকে এক 'মুচি'।
আমেরিকা আবার গ্রেট হোক, বিশ্ববাসী শান্তি পাক।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
মুচি বলেছেন: ঐরকম চরিত্রের ধুয়া তুলে লাভ নাই। আমাদের দেশের কোটিপতিদের দেখেন....... সবই টাকার খেলা। টাকা থাকলে গাড়ি-বাড়ি-নারী সব পাবেন।
ট্রাম্পের একটা দিক ভালো লাগে, সে অন্তরে যা, মুখেও তা।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: আমাদের দেশের কোটিপতিরা দেশের জনগনদের রিপ্রেজেন্ট করে না। ট্রাম্প্রে যারা ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে তারা এক বেলার খাবারের বিনিময়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভোটার না। এরা সবাই উচ্চশিক্ষিত ট্রাম্পের মত একই চরিত্রের মানুষ। এইটাই বড় সত্য।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
মুচি বলেছেন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেই হোক তাতে আমেরিকার ক্ষতি কখোনো হয় নি, হবেও না। প্রতিবেশী বা বহির্বিশ্বের প্রতি নির্দয় ও দেশের স্বার্তই ওদের কাছে বড়। হিলারি হলেও আমেরিকার নীতি খুব একটা পরিবর্তন হতো না, ট্রাম্প আসলো বলেই যে পরিবর্তন হবে তাও না। সব একই। "সব রসুনের এক গোড়া"। বিশ্বনীতিতে খুব পরিবর্তন আশা করি না।
আমরা আদার ব্যপারী, রসুনের খবর রেখে কি করব? আমেরিকান সবাই একি-হিলারি, ট্রাম্প নির্বিশেষে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মুচি বলেছেন: আমেরিকান মানেই যে উচ্চ শিক্ষিত- এ কথা আপনাকে কে বলল? আমেরিকায় আমাদের মত খেটে খাওয়া লোকও আছে, আছে ফুটপাথের ভিখারি কিংবা হকার।
আর ট্রাম্পের টার্গেট ছিল, গরীব ও মধ্যবিত্ত জনগণ, একথা বিশিষ্ট বিশ্লেষকগণ অনেকদিন ধরেই বলছেন। কষ্ট করে একটু পত্র-পত্রিকার কলামগুলো দেখবেন।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৯
কালীদাস বলেছেন: পয়েন্টগুলো ভাল বলেছেন। হে হে, ট্রাম্প মামা এত ইমিগ্রেশনের এগেইনস্টে অথচ নিজে ঠিকই ইউরোপিয়ান সেমি ফকিন্নি দেশের নাগরিককে বিয়ে করে আমেরিকান বানিয়েছে। কি তামশা
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৬
মুচি বলেছেন: আসুন চায়ের কাপে ঝড় তুলি, এর পর ভুলে যাই.... নতুন ইস্যূ আসুক।
ট্রাম্প ভাইকে অভিনন্দন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ছোটবেলা থেকে ইংলিশ মুভি ডালাস, ডাইনেস্টি দেখে আমাদের একটা ধারনা জন্ম নিয়েছিল যে আমেরিকানদের কালচার অত্যন্ত নোংরা। বেলাল্লাপনা এদের চরিত্রের অঙ্গ। সম্পর্কের সৌন্দর্য বা আগের কোন স্থান নেই এদের চরিত্রে। এশিয়া থেকে মাইগ্রেট হওয়া বাসিন্দারা এটা মানতে চাইত না। তারা সবসময় এটা প্রমান করতে চাইত যে আমেরিকান্দের মত উন্নত চরিত্রের মানুষ এই পৃথীবিতে আর দ্বীতিয়টা নাই। যাক ট্রাম্প মামা এদের থোতা মুখ ভোতা করে দিয়েছে।