নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর উৎসবে আঁধারে আবদ্ধ ...!!!

মুচি

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে- অবাক বিস্ময়ে ....

মুচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহসান-মিথিলার পর চেস্টার বেনিংটন- দু\'টো করুন পরিণতি

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:১৯

আজ বিকালে ফেবুতে ঢুকে দেখি সফল তারকা দম্পতি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদ। বেশ কিছুদিন গুঞ্জন শুনছিলাম, আজ তা সত্যি হলো। মিডিয়ার বদৌলতে তাদেরকে সফল জুটি হিসেবেই দেখা গিয়েছিল। তাহসান সফল সঙ্গীত শিল্পী, কালেভদ্রে জনপ্রিয় অভিনেতা। বাংলার নারী সমাজে আবাল-বৃ্দ্ধ-বনিতার জাতীয় ক্রাশ সে। আই.বি.এ. গ্র্যাজুয়ট তাহসান একটি নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। অন্যদিকে তন্বী মিথিলারও কালেভদ্রে গান শোনা যায়, বেশ কিছু নাটকের নায়িকাও সে। বর্তমানে কোন এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী। যতদূর জানি দু'জনার প্রেম করে বিয়ে। ছোট একটা বাচ্চাও আছে। মিডিয়ার স্রোতের বিপরীতে আদর্শ যুগল হিসেবে সর্বজনবিদীত ছিলেন এরা দু'জন।

কিন্তু তারপরও তাদের প্রেমের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা এসেছিল, ঝড় এসে তাদের সাজানো সংসার চূরমার করে দিল অবশেষে। শিশুকন্যাও তাদেরকে এক রাখতে পারল না। তাদের বিচ্ছেদের কারন কি?-তারা দু'জন ও তাদের কাছের মানুষজনই জানবে ভালো। তবুও মিডিয়ার বিশ্লেষণ ও মাতামাতিতে আমরা কিছু জানতে পারবই।

দিনের শেষভাগে এসে শুনতে পাই, বিশ্বখ্যাত ব্যান্ডের বিখ্যাত রকস্টার চেস্টার বেনিংটন নাকি ফাঁসি নিয়েছে। লিংকিন পার্ক খুবই বিখ্যাত ব্যান্ড এবং আমারও বিশেষ পছন্দের অন্যতম। সেই স্কুল বয়স থেকে ওদের গান শোনা। শুরুর দিকে মেটাল গান আমার কোমল কানের জন্য বিশেষ সুখকর ছিল না। কিন্তু বড় হতে হতে ওদের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছেই বৈ কমছে না। সেই প্রিয় ব্যন্ডের পরিচিত কণ্ঠের লোকটি কেন কোন দু:খে আত্মহত্যার মত এই জঘন্য কাজটি করতে গেল, বুঝতে পারছি না।

ওপরে আলোচ্য দু'ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, সফলতার শিখরে থেকেও এরা কেউ সুখী ছিলেন না। না তাহসান-মিথিলা জুটি দেশসেরা জুটি হয়েও তাদের সংসারে সুখী ছিলেন, না চেস্টার তার জগৎজোড়া খ্যাতিতে তুষ্ট ছিলেন। দু'দিকে দু'টি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে গেল।

আমরা এখন টিভির পর্দায় একটা চমৎকার জুটি দেখা থেকে বঞ্চিত হব। আর চাইলেও আর চেস্টার ভরাট কণ্ঠের নতুন নতুন গান আর শুনতে পাব না। জানি না লিংকিন পার্ক কি আর আগের মত সেই "অসাম" থাকবে।

সফলতাই শেষ কথা নয়, শেষ কথা হল কে, কোথায়, কতটা সুখী। বিশ্বায়ণের যাতাকলে, ব্যস্ততার নিষ্পেশনে আমরা মানুষ যতটুকু, তারচেয়ে বেশি যন্ত্র। জগতের সকল মানুষ সুখে থাক।

আর কারো ঘর না ভাঙুক, তারচেয়েও বেশি আর কেউ যেন নিজের জীবন অকালে না বিলিয়ে দেয়।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


চকচক করিলে সব সময় সোনা হয় না; নায়ক, গায়কদের সমস্যা থাকে; ওরা মনে ভালোবাসা থাকে না, ওরা অভিনয় করে।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৫

মুচি বলেছেন: হয়তো। জীবন রহস্যময়, আমরা প্রতিনিয়ত সুখী থাকার অভিনয় করে চলি। কাছের মানুষদের ধোঁকা দেই। অভিনয়টা না করে যদি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি, হয়তো অনেক ক্ষেত্রে সমাধান আসবে।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বর্তমান প্রজন্ম খুব অশহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। আগে একটা সময় ছিল মানুষ খুব বড় কোণ কারন ছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাটত তা।খুব বড় কারন বলতে স্বামীর মদ জুয়ার অভ্যাস , স্ত্রী নির্যাতন , ব্যভিচার ইত্যাদি।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ সম্পর্ক ভাঙ্গছে স্রেফ ইগো সমস্যার কারনে। স্বামী স্ত্রী দুই পক্ষই নিজেদের ইগোকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সন্তানের দিকে তাকাচ্ছে না। একবারো ভাবছে না যে একটি বাচ্চার সুস্থ শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য মা বাবা উভয়ের উপস্থিতি প্রয়োজন। উভয় পক্ষই যদি একটু ছাড় দেয় তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা এমন কোন কঠিন ব্যপার নয়।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৬

মুচি বলেছেন: আমরা আধুনিকের নামে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছি। জানি না এর থেকে মুক্তি কোথায়। সবাই সহিষ্ণুতা বজায় রাখুক।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সফলতাই শেষ কথা নয়, শেষ কথা হল কে, কোথায়, কতটা সুখী। বিশ্বায়ণের যাতাকলে, ব্যস্ততার নিষ্পেশনে আমরা মানুষ যতটুকু, তারচেয়ে বেশি যন্ত্র। জগতের সকল মানুষ সুখে থাক।

+++

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৭

মুচি বলেছেন: ধন্যবাদ। এতটা দু:সংবাদ মেনে নেয়া কষ্টকর।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

হয়ত তোমারই জন্য বলেছেন: লিংকিন পার্ক শিল্পী চেস্টার বেনিংটনের আত্মহত্যার সাথে সম্ভবত শৈশবে সেক্সুয়ালি এ্যাবইউসড হওয়ার সম্পর্ক আছে।
সাত থেকে তের বছর পর্যন্ত সিনিয়র এক বন্ধুর দ্বারা তিনি এই নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন / তাঁর জীবনের এই ভয়াবহ অধ্যায়টি তাঁকে সবসময় মানসিকভাবে তাড়া করে বেড়াতো।
অল্প বয়সেই নেশায় ডুবে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো এটি / একসময় তিনি মানুষ খুন করা অথবা আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন।
গানের জগতে এসে সে সবই কাটিয়ে উঠেছিলেন / এ বিষয়ে মিডিয়াতে স্পষ্ট কথাও বলতেন / তবে কি ফের সেইসব দুঃসহ স্মৃতি তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিলো?
আমেরিকার মতো দেশে, এমনকি তাঁর বাবা শিশুদের যৌন নির্যাতনের ওপরে কাজ করার পরেও, বেনিংটন শৈশবে যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলো তাঁর বাবা-মাকে জানাতে পারেননি / তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যে, তাঁকে সমকামী হিসেবে বদনাম পেতে হবে।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৪

মুচি বলেছেন: তথ্যটি জানাবার জন্য ধন্যবাদ।
বিকৃত মানসিকতার শিকার বাচ্চাগুলো রক্ষা পাক। চেস্টারের উচিৎ ছিল আরও সংযত হওয়া ও নিজেকে প্রকাশ করা।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৬

হয়ত তোমারই জন্য বলেছেন: ইমোশনাল ব্লাকমেইল ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.