নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহরের প্রতিটা রাস্তাই আজকাল আলোকোজ্জ্বল। বেশিরভাগই নিয়ন আলোর ল্যাম্পপোস্ট। কিছু এনার্জি সেভার বাতির ল্যাম্পপোস্টও চোখে পড়ে দু'এক জায়গায়। নিয়ন আলোয় সবকিছু কেমন যেন জন্ডিস জন্ডিস লাগে, যা-ই চোখে পড়ে, সবই হলদে। কিন্তু এর আলো অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, এর ফলে গলি-ঘুপচির সবকিছুই চোখে পড়ে। সাদা আলোয় সব দেখতে ভালো হলেও আলো ছড়ায় কম, ফলে এক ল্যাম্পপোস্ট থেকে আরেক ল্যাম্পপোস্টে ঠিকমত আলো পৌঁছায় না, কেমন যেন মিলিয়ে যায়। মাঝে মাঝে দু'একটা ল্যাম্পপোস্টে বাতি নেই। লোকেরা এসে সাড়িয়ে বা বদলে দিয়ে যায় নিয়মিত। ইদানিং খুব বেশি নষ্ট হচ্ছে বাতিগুলো! যার ফলে দু'এক জায়গায় কিছুটা অন্ধকার। তার উপর আবার শীতের রাতে কুয়াশা ভালোমতই পড়েছে।
রাত ১ টার মত বাজে। ছেলেটি একমনে হাঁটছে রাস্তা ধরে। হাতে সিগারেট। কিছুক্ষণ পর পর ফুঁকছে আর ধোঁয়া ছাড়ছে। কুয়াশায় ছেলেটির চেহারা ঠিকমত বোঝা যাচ্ছে না, তার ওপর আবার হুডি জামা পড়ে মাথাও ঢেকে রেখেছে। একটা একটা করে ল্যাম্পপোস্ট পার হয়ে আসছে, ক্রমাগত একই গতিতে যেন মাপা পদক্ষেপে এগিয়ে আসছে। রাস্তার মোড়ের দিকে এগুতেই অলস শুয়ে থাকা কুকুরদের মধ্য থেকে দু'টি ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করে উঠলো। বাকি তিনটি তখনও আয়েস করে শুয়ে রইলো, যেন শীতের রাতের কম্বল মুড়ে শুয়ে আছে, নড়তে ইচ্ছে করছে না। কুকুরগুলোর চিৎকারে ছেলটি যেন খানিকটা ছিঁটকে উঠলো। হাত থেকে আধখাওয়া সিগারেটটা খসে পড়লো রাস্তায়।
ছেলেটি আরেকটু কাছে যেতেই, কুকুর দু'টো চিৎকার থামিয়ে কুঁই কুঁই করতে লাগলো। শুয়ে থাকা বাকি তিনটি কুকুরও যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসলো। তারপর ছেলেটি পকেট থেকে একটি প্যাকেট বের করে কিছু একটা ছুঁড়ে দিল কুকুরগুলোর দিকে। সঙ্গে সঙ্গে কুকুরগুলো দৌঁড়ে চলে এলো, ছেলেটির কাছে পড়ে থাকা জিনিসগুলো খেতে লাগলো। হঠাৎ মনে হলো ছেলেটি উপরের ল্যাম্পপোস্টের দিকে যেন তাকালো, সাথে সাথেই ল্যাম্পপোস্টের বাতিটি নিভে গেলো- আবার মনে হয় নস্ট হলো। আলো চলে যাওয়ায় জায়গাটা হঠাৎ ঘুটঘুটে আঁধারে ঢেকে গেলো। ক্ষণিকের মধ্যে রাস্তায় আর ছেলেটিকে চোখে পড়লো না। যেন মুহূর্তেই মিইঁয়ে গেলো ভোজবাজির মত। রাস্তার এমাথা-সেমাথা কোথাও নেই ছেলেটি!
পাশের ল্যাম্পপোস্টের ক্ষীণ আলো এসে পড়ছে কুকুরগুলোর উপর। সেখানে ছয়টি কুকুর তখনও গোগ্রাসে খাবার গিলে চলেছে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
মুচি বলেছেন: দয়া করে শেষ লাইনটি একটু ভালো করে পরুন। ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ক্ষনিকের আগন্তুক, রাতে যাদের দেখা যায় আবার রাতের আধারে মিলিয়ে যায়
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
মুচি বলেছেন: আসলেই কি মিলিয়ে গেলো ছেলেটি?
দয়া করে শেষ লাইনটি একটু ভালো করে পরুন। ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হয়তো তখন রাতের আধারে মিলে গেছে। আবার দিনের আলোতে চলে আসবে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
মুচি বলেছেন: আসলেই কি মিলিয়ে গেলো ছেলেটি?
দয়া করে শেষ লাইনটি একটু ভালো করে পরবেন কি?
ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিষন্ন লেখা।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
মুচি বলেছেন: হা হা হা... শীতের রাতে নিসঙ্গ মনে যা আসবে, তা বিষন্নতা ছাড়া আর কি হতে পারে !!! রাজীব ভাই??
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: প্রচ্ছন্ন রহস্যের বেড়াজালে উধাও হলো ছেলেটি।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
মুচি বলেছেন: আসলেই কি মিলিয়ে গেলো ছেলেটি?
দয়া করে শেষ লাইনটি আরেকবার ভালো করে পরুন। ধন্যবাদ।
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: তবে কি ছেলেটি চোর!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
মুচি বলেছেন: না ছেলেটি চোর নয়।
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বেয়াদপ কাক বলেছেন: ভয়াবহ। তাই বলে নিজেও?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৮
মুচি বলেছেন: হুম, নিজেও।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:২৭
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ছেলেটি হাওয়া হয়ে,,একরাশ বিচ্ছিন্ন ভাবনার পরশে ঢেকে দিল!