নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর উৎসবে আঁধারে আবদ্ধ ...!!!

মুচি

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে- অবাক বিস্ময়ে ....

মুচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যালোজেনের হলুদ আলোয় প্রায় কালো বিড়ালটি

৩১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:০৬



প্রায় জ্যোছনা রাত। কারণ এখনও পূর্ণিমা না। পশ্চিমের আকাশে অর্ধেকের চেয়ে খানিকটা বড় চাঁদটি হেলে পড়েছে। শেষ রাত এখন। রাস্তায় কোন লোকজন নেই। খানিক পড়ে ফযরের আজান হবে। তখন কিছু লোক বের হবে মসজিদের উদ্দেশ্যে। রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টে হ্যালোজেনের হলুদ বাতি। পাশের বাড়ির দেয়ালে একটা কালো বিড়াল বসে আছে। ঠিক মিশমিশে কালো নয় বিড়ালটা। ধুসর কিছু লোম সমগ্র কালোর মাঝে ছড়িয়ে যেয়ে কালোত কিছুটা হালকা ভাব এনে দিয়েছে। হলুদ আলোর নিচে বিড়ালটাকে কেমন যেন অদ্ভুৎ দেখা যাচ্ছে। অশরীরি যেন।

মকবুল ওর বস্তিঘর থেকে বের হয় একটু আগে আগেই। ও যাবে কারওয়ান বাজার। ভোরের আলো ফোঁটার আগেই ওকে যেতে হবে। বেশি দূর না। ৩/৪ কি.মি এর মত রাস্তা। ওকে হেঁটেই যেতে হবে। যেয়েই কাজে নেমে যেতে হবে। সেখানে ট্রাক ভর্তি কাঁচা সবজি ও হরেক রকম মালামাল আসে রোজ রাতে। ভোরের সাথে সাথেই সেগুলো পাইকারদের আড়তে ঢোকাতে হবে। তখন মকবুলের মত মুটে বা কুলিদের কাজে লাগে। আগে না গেলে কাজ পাবে না। ওর একার সংসারে ওর আর কেউ নেই। ওহ না, কালু থাকে ওর সাথে। তাছাড়া পেটের দায় তো থাকেই। কাজ করতেই হবে। বস্তির ভাঙা ঘড়ের ভাড়াও বেশ, আর দিতেও হয় নিয়মিত।

মকবুল এই শহরের রাস্তায় মানুষ। বাবা-মার খোঁজ নেই। বেঁচে আছে কিনা, তা-ও সে জানে না। রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে এটা সেটা করতে করতে বড় হয়ে উঠেছে। বয়স পঁচিশ কি ছাব্বিশ। একাই থাকে। ভাড়ি কাজ করে। পেটা শরীর। এ শরীর খেটে খাওয়া শরীর, মেদহীন। বড়লোকে পয়সা খরচ করে জিমে যেয়ে ঘাম ঝড়ায়। আর ওদের ঘাম শুকায়ই না। রোজগারের ধান্দায় খেঁটে চেল। একা থাকতে থাকতে ওর মাঝে মাঝে খুব একা লাগলেও এখন নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। আগে রাস্তায় থাকতো। যখন কাজ-টাজ একটু করতে শিখলো তখন এ বস্তিতে এসে উঠেছে। গতর খাঁটার কাজ। খুব পরিশ্রমের। তবুও ছেলেটি কেন যেন বিপথে যেতে পারে নি। নিতান্তই ভালো একটা ছেলে মকবুল। কোনো নেশা নেই। একবার বস্তিরই এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর আগের কথা। মেয়েটির নাম ছিল জোছনা। অপূর্ব সুন্দরী ছিল মেয়েটি। ঠিক যেন চাঁদের আলোর মতন রূপ। মেয়েটি বাবা-মা মকবুলের সাথে সম্পর্ক মেনে নেয় নি। মকবুলের যে বাবা-মার কোন পরিচয় নেই। নেই কোন আত্মীয় পরিজন। এমন ছেলের কাছে কোন বাবা তার মেয়ের দিবে। মকবুলও আর তেমন উচ্চবাচ্য করে নি। কিছুদিন পর জোছনার বিয়ে হয়ে গেল এক গার্মেন্ট ওয়ার্কারের সাথে। শুনেছে গাজীপুরের দিকে ওরা থাকে। এরপর থেকে মকবুল আর কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায় নি।

মকবুল বস্তি থেকে হেঁটে কিছুদূর পর রাস্তার মোড়ে যেতেই ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোয় দেখে কালু গুঁটিশুঁটি মেরে একটা দেয়ালের উপর বসে রয়েছে। আরে কালু তুই এত রাইতে ঘর থেইকা বাড় হয়ে আসছিস ক্যান? খালি খালি এইখানে বইসা থাকস ক্যান যে রোজ? কালুর কোন ভাবান্তর নেই। আয়েসি ভঙ্গিতে একটা হাই তোলে, মিয়াও বলে জবাব দেয়। যেন বলতে চায়, তোমার এত জানতে হবে কেন। আমি বসে আছি, আমার ভালো লাগে তাই। কালু মকবুলেরই বেড়াল। বাচ্চা বয়সে কালো বিড়ালটা একদিন মকবুলের ঘরের বেড়ার ফাঁক গলে ঢুকে পড়েছিল। কেউ এনে এদিকে ফেলে গিয়েছিল ওদের বস্তির এদিকে। তারপর থেকে ওটাকে খাবার দিয়ে নিজের কাছেই রেখেছে। একা মানুষ মকবুল। ঘরে একটা সঙ্গী পেল।

বড্ড বেশি ঘোরাঘুরি করে কালু। সারাদিন মকবুল ঘরে থাকে না। বেশ রাত করেই ফিরে সে প্রতিদিন। সারাদিন বোঝা টেনে রাতে এসে দু'টো খেয়েই সে শুয়ে পড়বে। রাতে যখন ফেরে কোথা থেকে কালু ঠিক চলে আসে। মকবুল খাবে, ওর সাথে কালুও খাবে। খাওয়া শেষে মকবুল যেই ঘুম দিবে, অমনি কালু ঘর থেকে বের হয়ে এখানে সেখানে ঘুড়ে বেড়াবে। তবে প্রতিদিন ভোরে বের হয়ে মকবুল কাজে যাওয়ার সময় কালুর সাথে এই ল্যাম্পপোস্টের নিচেই দেখা হয়। মকবুল হাত দিয়ে কালুর শরীরে একটু আদর বুলিয়ে আবার হাঁটা শুরু করে। বিড়ালটা বসেই থাকে সেখানে। মাঝে মকবুল ফিরতে ফিরতে প্রায় মাঝরাত হয়ে যায়। তখন কালু ঐ লাইটের নিচের দেয়ালে বসে মকবুলের জন্য অপেক্ষা করে।

ভোরের আলো এখনও ফোঁটে নি। মকবুল হাঁটছে। অনেকটা পথে পেরিয়ে এসেছে। এখন আশেপাশের মসজিদের মাইকে আযান হচ্ছে। কয়েকজন মুরুব্বি এরমধ্যেই রাস্তায় বের হতে শুরু করেছেন। মকবুল হাঁটার গতি বাড়ায়। নাহ, আজকে ওর বুঝি দেরিই হয়ে গেলো। মকবুল হাঁটতে থাকে। আর কিছুটা পথ বাকি আছে মাত্র। তবুও মকবুল জোড়েই পা চালায়।

অল্প কিছু লোকজন মসজিদের দিকে যাচ্ছে। বেশিরভাগই দাঁড়ি টুপিওয়ালা। কয়েকটা বালক বয়সী ছেলেপেলেও যাচ্ছ ওঁদের সাথে। আবছায়ার মাঝে বসে থেকে বিড়ালটি এদেরকে দেখছে। দু'একজনের চোখে হ্যালোজেনের হলুদ আভায় বিড়ালটির চোখে পড়ে। বিড়ালটির চাইতে ওর জ্বলজ্বলে চোখ দু'টিই বেশি যেন নজরে পড়ে। হলুদ আভায় মিশমিশে কালচে বিড়ালে উজ্জ্বল চোখ বড় বেশিই চকচক করছে। কালো বিড়ালটা সেই দেয়ালের উপরই আরো অনেক্ষণ বসে থাকে। হঠাৎ করে দেখলে ভয় জাগে যেন। কালো বিড়াল নিয়ে ভৌতিক গল্প তো আর কম প্রচলিত নয়। যদিও এ বিড়ালটি মিশমিশে কালো নয়। খানিকটা ধুসর কালো। তবে আঁধার ভেদ করা হ্যালোজেনের আলোয় কালো বলেই মনে হয়।

নামায শেষে কিছু মুরুব্বি কিসিমের লোকজন রাস্তায় হাঁটছে। এরা কেউ শখ করে নয়, বেশিরভাগই ঠেলায় পড়ে হাঁটছে। কারো ডায়াবেটিস, তো কারো রক্তচাপের গন্ডগোল। এদের প্রায় সকলেই স্বাস্থ্য রক্ষায় সাত-সকালে ঘুম ফেলে হাঁটাহাঁটি করছে। তবে কিছু সচেতন যুবক বয়সীদের দেখে বোঝা যায়, এরা আগে থেকেই সচেতন। রোগ বাঁধাবার আগেই শরীরচর্চায় আত্মনিয়োগ করেছে। বিড়ালটি সেই দেয়ালের উপরে বসে এসব দেখে। অদ্ভুৎ আগ্রহ নিয়ে সে রোজ এগুলো দেখে। প্রতিদিনের মতন আরো কিছুক্ষণ বসে থাকে সে।

সকাল বাঁড়ার সাথে সাথে কেউ একজন এসে ল্যাম্পপোস্টের বাতিটি নিভিয়ে দিল। বিড়ালটির মনোযোগে খানিক বিঘ্ন ঘটায় সে মনে হলো বিরক্ত হলো। সে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। নাহ, সে আর এখানে থাকবে না। হ্যালোজেনের অদ্ভুৎ আলোর প্রতি বিড়ালটি আশ্চর্যরকম আকর্ষণ। কোন কারণ ছাড়াই সে এসে এই আলোর নিচে বসে থাকে। সন্ধ্যার হলেই সব কাজ ফেলে এখানে এসে বসা চাই তার। মাঝে ওর একটু ঘরে যেতে হয়। ওর মনিব বাসায় ফিরলে একবার যাবে। একসঙ্গে খাবে। মাঝে মাঝে মনে হয় যাবে না। কিন্তু সারাদিন বাসি-পচা খাবার কুঁড়িয়ে খাওয়ার পর একবার অন্তত টাটকা খাবার খেয়ে আসা ভালো। যদিও সারাদিন ও এখানে-সেখানে রাস্তায় খেয়ে বেড়ায়। তারপরও রাতের ঐ খাবার লোভেই অতিপ্রিয় হ্যালোজেনের আলো ছেড়ে ঘরে যায়। বৃষ্টি-বাদলার দিনে তো সবসময়ই ঘরে থাকাই শ্রেয় মনে করে। তবে এখন গ্রীষ্ম বলে বৃষ্টির বাগড়া কমই। বাতি নেই এখন। তাই সে-ও উঠে চলতে শুরু করলো। এখন সে পাড়া ঘুরে বেড়াবে। বস্তির কারো ঘরে সুযোগ পেলে খাবার চুরি করবে, নয়তো আশপাশে ছড়িয়ে থাকা খাবারের তো অভাব নেই। শুধু পোড়া-বাসি খেতে হবে, এই যা। খুদা বেশি লাগলে অবশ্য সবই মুখে রোচে।

দেয়ালে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ আড়মোড়া ভাঙলো সে। তারপর হাঁটতে শুরু করলো। ওর মনিব ঘরের পাশে হয়তো ওর জন্য কিছু ভাত রেখে গেছে। ভেবে দেখলো ঘরে খাবার পাওয়া গেলে বাসি খাবার খাবে না, কিন্তু পরক্ষণেই ভাবল থাক আজকে বাইরেই ঘুরবে। ওগুলো ওভাবেই পড়ে থাক। তেমন কোন রাজভোগ তো আর না। সামান্য ভাত কিংবা তরকারিই তো। ওর মনিব লোকটির অবস্থা বেশি ভালো না। তবে লোকটির মন অনেক ভালো। ওকে খুব আদর করে। সাধ্যমত ওর যত্ম নেয়। কিছুক্ষণ ওর মনিবের কথা, কিছুক্ষণ পাড়ায় আসা নতুন বিড়াল- এসব নিয়ে ভেবে অলস সকালে ঘুড়ছে । সকালটা খুব সুন্দর লাগছে। খুশিমনেই ঘুড়ছে সে। সকাল একটু বাড়তেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দিচ্ছে। এদিকে নতুন একটা গুন্ডা বিড়াল এসেছে ওর এলাকায়। খাবার খুঁজতে যেয়ে ওর সাথে গুন্ডাটার দেখা হয়ে গেল। দু'জনে একটা ছোটখাটো একটা লঙ্কা-কান্ড বাঁধিয়ে দিল। কালুর সাথে অবশ্য গুন্ডাটা পেড়ে উঠলো না। কালুও ভালোই ষন্ডা প্রকৃতির।

দুপুর পর্যন্ত কালু এদিক-সেদিক ঘুড়ে বেড়ালো। কিন্তু হঠাৎই দমকা বাতাস ছেড়ে বৃষ্টি শুরু হলো। নাহ আর বাইরে থাকা যায় না। এমন বাদলার দিনে ভিজতে তার বড় অনীহা। তাই ও নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঘরে ফিরলো। ভাঙা বেড়ার ঘরে অন্তত একটা চাল আছে। বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় বসে রইল। কিছুক্ষণ ঝিমানোর পরও বৃষ্টি কমার কোন লক্ষণ নেই। ভেবেছিল বৃষ্টি কমলেই টো টো করে আবার ঘুড়ে বেড়াবে। কিন্তু সারাটা দুপুর ঘরেই কাটাতে হলো। ঘরে ওর মনিব আসলেই কিছু ভাত রেখে গেছে। খানিকটা ঝোল দিয় গড়িয়ে দেয়া ভাত। ওগুলোই খেয়ে নিল। তারপর আঁয়েস করে একটা ঘুম দিল। বিকালের দিকে ঘরের বেড়ার ফাঁকে কতক্ষণ ইঁদুর দৌঁড়ে বেড়াল। কিন্তু ওর একঘেয়ে লাগছে তবু। ঘোড়াঘুরি করবে কি সে, শুয়ে বসে ঝিমাচ্ছে। ওর মনিব লোকটা থাকলে তাও ওর সাথে খেলা করতো। আবার খানিকটা ঘুমিয়ে নিল কালু। বিকেল নাগাদ বৃষ্টি তো কমলোই না, বরং কালবৈশাখী শুরু হলো। সাথে ধুমধাম বজ্রের শব্দে ওর আত্মাকাঁপা শুরু হলো। একটানা আকাশের বোমাবর্ষণ চলল সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সন্ধ্যার কিছু পর বৃষ্টি পুরোপুরি থেমে গেলো। সারাদিন শুয়েবসে থেকে কালুরও একঘেয়ে লাগছিল। তাই সে বৃষ্টি থামতেই বেড়িয়ে পড়লো। বাইরে হ্যালোজেন বাতিগুলো জ্বলছে। এদিক-সেদিক ঘুড়তে ঘুড়তে কালু এসে বসলো আবার রাস্তার ধারের ঐ দেয়ালে। হলুদ আলোর একেবারে উজ্বলতর জায়গায়। বসে বসে জল-কাঁদায় মাখামাখি লোকজন দেখছে। রিক্সা-গাড়ি ছুটছে। ও বসে আছে অনেক্ষণ। মনিবের অপেক্ষায় আছে ও। রাস্তায় আজ আর কোন খাবার আর নেই। বৃষ্টিজলে সব ধুঁয়ে-মুছে নিয়ে গেছে। ঘরের খাবারই আজরাতে ভরসা ওর। খিদেয় খানিকটা বিরক্তও বোধ করছে। মাঝরাত পেরিয়ে যাচ্ছে। লোকজনও রাস্তায় তেমন নেই। দু'চারজন পথচারি আছে মাত্র। সাধারণত এসময়ে লোকটা এসে পড়ে। আজকে এখনও না আসায় বিড়ালটা একটু অবাকই হচ্ছে।

হ্যালোজেনের হলুদ আলোয় বিড়ালটা বসে আছে। খিদের ভাবটা কমে এসেছে। ভালই লাগছে এখন। পেটের খিদে, মনের আনন্দে ভুলতে চাচ্ছে। লোকজন যাতায়াতে মাঝে অদ্ভুৎ বসে থাকা বিড়ালটা দেখছে। হলুদ আলোয় ধুসর ছাইরঙা বিড়ালটা। চোখদু'টো হলুদ-সবুজে আরো জ্বলজ্বলে। উজ্জ্বল চোখদু'টোয় খানিকটা উৎকণ্ঠা মেশানো, কিন্তু বাইরের লোকজনের চোখে তা ধরা পড়ছে না। রাত বাড়ে, কালুর অপেক্ষা বাড়ে। এ পথ দিয়েই মকবুলকে ঘরে ফিরতে হবে।

ঐদিন বিকালে ঝড়ের মধ্যে দ্রুত একটা ট্রাকে মাল তুলছিল মন্টু। বৃষ্টি তখন একটু কম ছিল। কিন্তু খুব বজ্রপাতের শব্দে কানে তালা লেগে যাচ্ছিল। ইদানিং কারণে অকারণে বজ্রপাত হচ্ছে। এত সাবধানে কি আর থাকা যায়। লোকের তো কাজ করতে হবে। ওদিকে কাজ শেষ করার তাড়া ছিল। ট্রাকটি মাল নিয়ে যাবে আবার কিছুক্ষনের মাঝেই। বৃষ্টি ভালোভাবে নেমে গেলে আর মাল তোলা যাবে না। বেশ কয়েকজন কুলি মাল তুলছিল। পাশে দাঁড়িয়ে বেপারি হাকডাক ছারছিল খুব। কাজে তাড়া দিচ্ছিল। মকবুল একটা মালের বস্তা মাথায় করে ট্রাকে ওঠামাত্রই প্রচন্ড একটা শব্দে আশপাশের এলাকা প্রকম্পিত হলো। সবাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলো। কেউ কিছু বোঝার আগেই দেখল সবাই। মকবুলের নিথর দেহ পড়ে আছে ট্রাকের উপর বিছিয়ে রাখা মালের উপর। লোকজন দ্রুত ধরাধরি করে মকবুলকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। কিন্তু ওর পুরো শরীর বিদ্যুতের চমকে ঝলসে গেছে। ওকে আর চেনা যাচ্ছে না। হাসপাতালের ডাক্তার আর পরীক্ষা করলো না। ও আগেই নেই।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা অযথা টেনে লম্বা করেছেন।

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

মুচি বলেছেন: গল্পটা তো এমনই..... :P

ধন্যবাদ সদুপদেশ এর জন্য। আর এখনও গল্প লেখার চেষ্টা করছি। হয়তো সামনে ভালো হবে।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

মুচি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বেচারা।

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মুচি বলেছেন: হয়তো। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০২

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: আহা !

৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মুচি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১২

সুমন কর বলেছেন: গল্প আর বর্ণনা ভালো লাগল।

৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

মুচি বলেছেন: অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

হবা পাগলা বলেছেন: পড়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ১:৪০

মুচি বলেছেন: ভালো লাগা জানাবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.