নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকুনজিল০০৭

টুকুনজিল০০৭

কিছু বলার নাই

টুকুনজিল০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প:কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং একটি মেয়ে

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

অনার্স লাইফের ক্লাশমেট হেনা| মেয়েটি সবার চোখে পড়ার মতো|মেয়েটি যেমন ক্লাশের সবচেয়ে লম্বা,তেমনি সু স্বাস্থের অধিকারী|মেয়েটি যথেষ্ট স্বাস্থ সচেতন|সেটা তাকে দেখলেই বোঝা যায়|

মেয়েটির কাছে,আর কিছু থাকুক বা না থাকুক|তার কাছে সবসময় দু চার প্যাকেট অলিম্পিক বিস্কুট পাওয়া যাবে|এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি|

মেয়েটিকে দেখতাম, ক্লাশের মধ্যে সবার সামনেই বিস্কুট বের করে খেত| তার আরও দু জন বান্ধবী আছে|বিস্কুট খাওয়ার সময়,তার বান্ধবী দুজনকে কখনো বিস্কুট দিয়েছে বলে| আমার মনে হয় না|হেনা হয়তো হ্মুধার তীব্রতা সহ্য করতে পারে না|তাই খাওয়ার সময় তার বান্ধবীরদের কথা মনেও থাকে না|তার বান্ধবীরা শুধু,অসহায়ের মতো লোলুপ দৃষ্টিতে বিস্কুটের দিকে তাকিয়ে থাকতো|

তবে কখনো, হেনার কাছ থেকে বিস্কুট চাইতে দেখি নি|হেনার বান্ধবী গুলো হয়তো সহজ সরল প্রকৃতির| তাই হয়তো কিছু মনে করতো না|



হেনার বিস্কুট খাওয়া দেখে ,আমাদের যে লোভ হতো না ।সেটা বলবো না|অনেক বারেই ইচ্ছে হতো,তার কাছে গিয়ে বিস্কুট চাই|কিন্ত না,আমার সাহস আমাকে সায় দিত না|

আমার বন্ধু শশী আমাকে কয়েকবার বলেছিল |চল আমরা বিস্কুট চাই|

বান্ধবীর কাছ থেকে বিস্কুট চাইবো,

এতে লজ্জার কি আছে?

বিস্কুটই তো চাইবো আর তো কিছু না|

আমি বলতাম,তুই গিয়ে চা।আমি তোর সাথে আছি।

শশী একদিন সাহস করে গিয়েছিল,কিন্তু হেনাকে কত কি বললো|শুধু বিস্কুট চাওয়ার কথাটাই বলতে পারলো না|

প্রথম বর্ষে আমদের আর, কখনো বিস্কুট চাওয়া হয়ে ওঠেনি|হয়তো বিস্কুট চাইলে,সে ফিরিয়ে দিত না|ভদ্রতার খাতিরে হলেও সে আমাদের দু একটি বিস্কুট দিতো|যাই হোক, এখন পর্যন্ত আমাদের,হেনার অলিম্পিক বিস্কুট খাওয়া হয়নি|



আমার কাছে মনে হয়েছে,মেয়েটি সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করে|প্রথম বর্ষের কোন এক ক্লাশে,স্যার আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিল|রসায়ন বিষয়টি পছন্দ হয়নি কাদের|আমাদের ক্লাশের, আর কেউ হাত না তুললেও ।হেনা মেয়েটি হাত তুলেছিল|

স্যার,হেনার হাত তোলা দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিল।স্যার,রসায়ন পছন্দ না হওয়ার কারন জানতে চাইলে|সে নিদ্বিধায় বলে দিয়েছিল,মেডিকেলে চান্স হয়নি বলে|সে এখানে ভর্তি হয়েছে|তার এভাবে সরাসরি কথা বলার ধরন দেখে,আমি কিছুটা হলেও সেদিন অবাক হয়েছিলাম

|

প্রথম,দ্বিতীয় বর্ষ এভাবেই চলছিল|



(গল্পটা এখানে শেষ হলে ভাল হতো)



অঘটনটি ঘটলো,ফিজিক্যাল কেমেস্ট্রি ল্যাবে|হেনা হঠাৎ করে এসেই,আমাদের গ্রুপের সবাইকে ড্যামিশ বলে দিল|চট্টগ্রামের,এই ড্যামিশ শব্দটার অর্থ আমি ঠিক বুঝি না|কিন্তু,আমাদের বন্ধু হারুন,একথার তীব্র প্রতিবাদ করলো|সেদিন হেনার কারনেই ল্যাবে অনাকাঙ্খিত,অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল|

সেদিন কি কারনে? আমাদের গ্রুপের সবাইকে সে ড্যামিশ বলেছিল|

আজও সেটা জানতে পারি নাই|



সম্প্রতি জানতে পারলাম, আরও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে|আমাদের এই হেনা|এবার সেটা ,পুরো ক্লাশের মধ্যে আমাদের বন্ধুদের বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেছে|শুনেছি হারুন,এবারও তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছে|ক্লাশের অন্যান্য ছেলেরাও এবার হেনাকে কথা শুনিয়েছে|



আমার মনে হয়, হেনার সরাসরি কথা বলার অভ্যাসটাই তার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে|

হেনা কথাবার্তায় কিছুটা সংযত হলেই,অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটা থেকে বিরত থাকতে পারতো|



কিন্তু, সেটা এত সহজে সম্ভব হবে কি?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২৩

টুকুনজিল০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ,ভাইয়া

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা ভাই :) আপনার আরও লেখার অপেক্ষায়

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:২৫

টুকুনজিল০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.