নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম আর সাধারণভাবে বেড়ে উঠার এক আত্মজীবনি আছে আমার। লিখতে পারব...? সন্দেহ হয় ! অভীজ্ঞতা ছাড়া লিখা অনভীপ্রেত। সাধারণ জীবনের অনভীজ্ঞ লিখাগুলি পাঠকেরা পড়বে কি না সন্দেহ আছে...... তারপরেও লিখি, নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য না হয় একটু আধটু লিখবার চেষ্টা করলাম.........।।
স্বাধীনতা পরবর্তি প্রেক্ষাপট সংকটকালীন এক মুহুর্ত, দেশের ভগ্নদশা, যুদ্ধ-বিধ্বস্থ জাতি, হাড্ডিসার মানুষ, লাশের দুর্গন্ধ,ধর্ষিত মা বোন, আকাশের শকুন-মানুষ শকুনদের লোটপাট, এ যেন মানবতার চরম বিপর্যয়।পথহারা জাতি ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে, নতুন করে বাচতে শেখা এ যেন আকাশ্চুম্বি কল্পনা, বেহায়া নির্লজ্জ পাকিদের হাত থেকে বংগবন্ধু মুক্তি পেলেন, বাঙালি জাতির মহান নেতা দেশে ফিরলেন,৯ মাসের পিপাসার্থ মানুষ যেন প্রান ফিরে পেল। মহান কবি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বজ্র কন্ঠে জাতির ঘুরে দড়ানোর রুপরেখা বাস্তবায়ন করার কবিতা গাইলেন। জাতি ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো। এমন রুপরেখা বাস্তবায়নে প্রতিটি মানুষ সাড়া দিল। জাতীয় চার নেতা ঘরের চার খুটি হয়ে দেশ মাতৃকার চার কোনে দাঁড়িয়ে মহান নেতাকে দিয়ে প্রখর রোদ্র, প্রচন্ড বৃষ্টি, বজ্র, থেকে দেশ রক্ষা করতে দেশের উপর এক চাল নির্মাণ করলেন।জাতি নির্দ্বিদায় স্লোগান দিতে শুরু করলো "এক নেতার এক দেশ শেখ মুজিবের বাংলাদেশ" ইতিহাস বলে কাওকে জোর করে ওসব কথা বলানো হয় নাই,বাংলার মানুষ ভালবেসে নেতার ডাকে রক্ত দিয়েছিলো কাওকে জোর করে নেওয়া হয়নি। বীরশ্রেষ্ট মতিউর যুদ্ধ বিমান ছিনিয়ে আনতে চাইছিল কেউ জোর করে বাধ্য করে নি। কিছু কিছু ইতিহাস থাকে সেগুলি কেউ সৃষ্টি করে না আপনা আপনি সৃষ্টি হয়।ঘরের মাঝখানে কিছু খুটি লাগানো হলো মোস্তাক গং দের তারাও বংগবন্ধুকে অনেক দিন মাথার উপরে তুলে রাখার ভান করলো।সরলমনা নেতার ভিতরে ঢুকে চিনে নিলো কারা দেশের ছায়া দিতে বংগবন্ধুকে উপরে তুলে রেখেছে? বংগবন্ধুর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ভেংগে দিতে জাতীয় চার নেতাকে সরিয়ে দিতে হবে। রক্তপিপাসুরা লেগে থাকলো তাদের মতো করে বংগবন্ধুকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করলো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল হলো। বংগবন্ধু রক্তপিপাসুদের চিনতে ভূল করলেন। রক্ত পিপাসুরা সবসময় মুখোশদারী হয়, তাদের খুব আপন মনে হয়, অন্ধকার রাত্রি, ঘোর অমানিশায় তাদের আসল পরিচয় ফুটে উঠে। দেশ খারাপ চলে নাই অনেকটা ঘুরে দাড়িয়েছে।৫ বছর দেশ মায়ের বন্ধু ছায়া হয়ে রইলেন। বংগবন্ধুর সাথে চার নেতার দুর্বল সম্পর্ক মনে হয় ঘর টিকে থাকা অসম্ভব।বংগবন্ধু মাঝখানের খুটিতে খুব করে ভর দেয়া শুরু করলেন। তবুও চার নেতা বংগবন্ধুকে মাথায় তুলে স্বশ্রদ্ধে রেখেছেন।বংগবন্ধুর ছায়ায় রক্তপিপাসূদের দৌরাত্ত অনেক দূর পর্যন্ত গড়ালো। ধীরে ধীরে ফুসে উঠা শিখে গেলো।সাপকে বিশ্বাস করতে নেই। দুদ,কলা খাইয়ে পূষে বড় করার পর ফূস করা শিখে গেলে মালিককে প্রথমেই ছোবল দেয়। দুর্ভাগ্য বংগবন্ধু পোষেছিলেন কিছু বন্ধুরুপী সাপকে।
১৫ই আগষ্ট অপেক্ষার পালা শেষ, ছোবল মেরেছিল বাংগালি জাতির ললাটে, বাংগালি জাতীর ভাগ্যে।রক্তাক্ত করেছিল বিশ্বের মহান নেতাদের কাতারের একজনকে, বাংগালি জাতির মহান এক অধ্যায়ের যবনিকা ঘটে।ফোড়া করেছিলো দেশ মায়ের মাথার চাল।আজও সেই ফোড়া দিয়ে বজ্র চমকায়, বৃষ্টি পড়ে, প্রখর রৌদ্র তপ্তে জ্বালায় বাংলাদেশ। রক্তপিপাসুদের দৌরাত্ত আজোও থেমে নেই ওরা আছে সবখানে বংগভবন থেকে অজো পাড়াগায়ে, বাংগালী জাতির রক্তে রক্তে মিশে আছে ওরা। আবারও বলি "রক্ত পিপাসুরা সবসময় মুখোশদারী হয়, তাদের খুব আপন মনে হয়, অন্ধকার রাত্রি, ঘোর অমানিশায় তাদের আসল পরিচয় ফুটে উঠে।"
সাবধান দেশরত্ন শেখ হাসিনা
©somewhere in net ltd.