নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed
(গাঁয়ের নাম তবু ছিল একটা কোনরকম। মানুষের কোনই নাম ছিল না )
এখানে ওখানে ঘর ছিল , বাড়ি জোড়া উঠান, ডাব গাছের একলা ছায়ায় আলগোছে অন্যপাতা... পাতায় যেসব শিরা উপশিরা তাদের অফুরা-আআ-ন নাম ছিল...সব ছায়াগুলো, আন্ধারের রঙগুলো, যাদের
মুখ নাই...ঢেউফুলে জমে জমে নেউর জল, অজীবন্ত বাঁশের শুকায়ে
যাওয়া কঞ্চির দুই-তিন প্রকারের ডাকনাম...
তো...এক ভোরে...আলো আর দিন তখন হয় হয়... জোছনার ফেলে যাওয়া চাঁদ-দেহ তখনও মাথার বিশাল উপরে...নাম-নাই মানুষ খানিকটা এসে দাঁড়াল...চাইল...দেখল...ভাবল...তাকাল..
ডুমুরের গাছে জমা মৌমাছিদের নাম সব গুনগুন...গুনগুননন...
গাছের নামকরা একজন ছায়া তখন ডোবার পচা জলে...একজন
চুপসায়ে ইঁদুর হয়ে যাওয়া বাদুর-বিশেষ ভোর-চড়ু্ইয়ের বিশাল নাম
নিতে গিয়ে হয়রান...
ডোবার নিচের জলে তখন বৈশাখের মেলা...কালো জল দু-উ-লে দু-উ-লে
দোল খায়...পোকাদের কে যে কার নাম ধরে ডাকে...পাখিদের একটা সুরে
হাজার-নিযুত নাম ছড়ায়ে পড়ে বাতাসের চার দিকের সবখানে...
মানুষটা সেইদিনের বিকেলে...যখন শুকনা খাদের এইপারে ধুলা উড়ে-উড়ে মিলায়ে গেল... তার দুই হাতের দুইটা নাম দিল... হাতের নখগুলোর গোটাদশেক...চোখের ভুরুগুলোর চাঁদবাঁকা নাম দিল... সেই মানুষ
বুকের লোমগুলোর... নিজের দাঁতগুলোর...গোড়ালি...বগল...উপরের
ঠোঁট...জেনিটাল...চোখ আর নাকের....
একটা একটা চুলের নাম দিতে গিয়ে...রাত থেকে-ঘন রাত-শেষ রাত...পরের দিনের আলো বড় হয়ে আরও আলো... দুপহর...বিকাল...সন্ধ্যা...হালকা রাত...আরও আরও.....
এবং অবশেষে সব নাম ভুলে গিয়ে...বাম চোখের নিচের পাতার সবচেয়ে ডানের নিঝুম পাপড়িটার নামে নিজের একটা প্রথম নাম মানুষ রাখল....
ছবি: 'আর্মজ অ্যান্ড লেগস', শিল্পী: শ্যারন হাডসন
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
আরিফুল হক কল্লোল বলেছেন: "Tumi shudhu akdin-ak rojoneer!
Manusher-manusheer veer
tomare dakia loy dure-kotodure!"