নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরে গেলে মেঘ হতো যমুনার জল...

ঘরেও নহে পারেও নহে,যে জন আছে মাঝখানে...............

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর

'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমিলি ডিকিনসনের কবিতার অনুবাদ

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৩





এমিলি ডিকিনসন ( ১৮৩০-১৮৮৬) প্রখ্যাত মার্কিন কবি।প্রায় আঠারো শ' কবিতার মধ্যে মাত্র ডজনখানেক কবিতা তাঁর জীবদ্দশায় মুদ্রিত হয়েছিল। জীবনের অধিকাংশ সময় একা একা, লোকসমাগম থেকে দূরে কাটিয়েছেন। তাঁর কবিতায় একলা জীবনের নিদর্শন তাই স্পষ্ট হয়ে আছে। যুগের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিলেন। কবিতার খণ্ডিত চরণ, শিরোনামহীনতা, যতিচিহ্নের অপ্রচলিত ব্যবহার ইত্যাদি তাঁর সময়ে প্রচলিত কাব্য-চরিত্র থেকে একেবারে আলাদা। মরণ, সত্য, বিশ্বাস, সৌন্দর্যসহ নানান বিষয়ে গভীরবোধসম্পন্ন কবিতা লিখে অমর হয়ে আছেন। এখানে মরণ-সঙ্ক্রান্ত তাঁর দু'টো কবিতা অনূদিত হল





২৮০.



মনে হল, আমার মাথার খানিক ভেতরে

কোন একটা লাশ দাফন নিয়ে সবাই ব্যস্ত।

শোকার্ত মানুষেরা অবিরাম পা ফেলে ফেলে

বারবার এদিক ওদিক যায়-আসে, আর আমার

অনুভবের শক্তিগুলো সব নাই হয়ে হারায় ...



আর যখন সেই মানুষের দল ঠায় হয়ে বসল,

ঢোলের দম-ধরা শব্দের মতোন আমার

বুকজুড়ে তাদের কর্মযজ্ঞের শব্দ-ঢেউ,

মন বোধহীন মড়া হয়ে তাই পড়ে থাকে....



এরপর, কফিনখানা তারা হাতে তুলে নেয়,

সব ধাতব জুতা আমার অন্তরাত্মার মাঝখান

দিয়ে পার হয়ে যায় কিছুদূর, শব্দে শব্দে সমস্ত

জমিন বেজে ওঠে...



সমস্ত স্বর্গরাজ্য যেন তখন ঘণ্টার ধ্বনি, কেবল

মানুষের কান যেমন, আমি একলা হয়ে সারা দুনিয়ায়,

সাথে ঘন নীরবতা...



ছড়ানো পাতলা কাঠের মতোন চিন্তার সকল ক্ষমতা

ভেঙে দূরে তলায়ে গেল। আমি তাই আরও আরও গভীরে

কোন এক পৃথিবীর বুকে এসে পড়ি, জানার-বোঝার সাধ

আমার সেই থেকে বন্ধ হল...





৩৩৭.



সুন্দরের জন্য মরে কোনরকমে এক

কবরে ঠাঁই হল আমার ,

ঠিক পাশের ঘরে যাকে শোয়ানো হল

সত্যের জন্যে মরণ তার।



জানতে চাইল , 'তোমার ফুরায়ে যাওয়ার কী

কারণ?' জানালাম, 'সুন্দর, কেবল সুন্দর।'

তার মুখে উত্তর, 'সত্য আর সুন্দর সমান দুইজন।

মানে পাশাপাশি কবরে আমরা দুই সহোদর।'



রাতে যেমন করে চেনাজানা মানুষের দেখা

হয়, আমরা সেইমতোন কথা আর কথা বলি।

ধীরে ধীরে শ্যাওলা জমে আমাদের ঠোঁট ঢেকে

দিয়ে যায়, মিলায়ে যায় এপিটাফের নামগুলি।











মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

বোকামন বলেছেন:
অনুবাদ সুন্দর হয়েছে :-)

সামনে “মনিং মিনস...” কবিতাটিও অনুবাদের লিস্টে রাখার অনুরোধ রইলো

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর বলেছেন: ধন্যবাদ, বোকামন :-)

অনুরোধ রাখতে পারব আশা করি ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.