নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed
সেই গাঁয়ের মানুষেরা পুরো শীত কেবল গল্প করে কাটাত।
কুয়াশাকে শোনাত রোদের গল্প; সরিষা ক্ষেতে বসে ঘানির গল্প।যত শিশু জন্মাত শীতে, যত মানুষের গোর খোঁড়া হত, সমস্ত গল্পে গল্পে ভরে যেত: সুখ আর কান্নার নানান রঙা গল্প। সেইসব গল্প কি আর ফুরায়? দুই হাজার বারো বছর ধরে চলতে লাগল। দুই হাজার তেরোতম যে শীত আসার কথা, তার জন্যে শুরু হলো আগ্রহী আয়োজন। কিন্তু শীত আর আসে না। উত্তরের বাতাসে ভেসে এলো অন্য ঋতুর অন্য গান।
এখানে আর শীত নামে না।তাই সব গল্প ফুরায়ে গেছে। সারা বছর মানুষ গান গায়; সারা জীবন জুড়ে , শতাব্দী শতাব্দী ধরে কেবল শীতের নাম করে হিম-শীতল গান বাঁধে; যুগ যুগ বু'জে থাকে চোখ।
তিনশ' সাতাইশ বছর আগে শেষ শীতের শেষ গল্পটি ছিল:
একবার পুবের সাথে পশ্চিমের ভীষণ বিবাদ বাঁধে। সূর্যের মহাবিপদ। কারণ পুবে উঠে রোজ পশ্চিমে ডুব দিতে হয়।পুব বলে পশ্চিমে আর গিয়ে কাজ নাই, থাকো আসমান জুড়ে। পশ্চিমের কথা হলো দিনকয়েক ঘুমাও আমার কোলে, পুবে ফিরে যাওয়ার দরকার নাই কোন। সূর্য যখন পশ্চিমে বন্দী থাকে, সারা দুনিয়া অন্ধকারে ডুবে যায়। আবার পুবে বাঁধা পড়লে টানা রোদে দুনিয়ার যত নদী শুকায়ে যায়, গাছেরা মরে কাঠ।উত্তর-দক্ষিণ-ঈষাণ-অগ্নি বসল সভায়। এই দুইজনের সমঝোতা হওয়াটা সবচাইতে দরকার।
বহু বহু দিন পরে যখন সমঝোতা হল, ততদিনে সারা দুনিয়া মরে গেছে। কোন গাছ, জল কিংবা জনমানব নাই। সব দেখেশুনে আহত, মর্মাহত সূর্য নিজেকে কোটি টুকরা করে মিলায়ে গেল মহাশূণ্যে।
চাঁদ নিভে এল।
ঘোর অন্ধকারে, সূর্য-চন্দ্রবিহীন
পুব আর পশ্চিম একাকার হয়ে, গলে পচে
বিকট গন্ধ তুলে, ফুরায়ে গেল।
ছবি: রফিকুল ইসলাম অনীক
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: তদিনে সারা দুনিয়া মরে গেছে।