নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরে গেলে মেঘ হতো যমুনার জল...

ঘরেও নহে পারেও নহে,যে জন আছে মাঝখানে...............

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর

'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদ বহুকাল চাঁদ থাকার পর

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

চাঁদ বহুকাল চাঁদ থাকার পর চাইল আকাশ-পাতাল বদলে যেতে।



তো এক ঘনবনের মাথায় এসে নামল যখন, দেখল একটাই মাত্র পথ চলে গেছে গাঁয়ের দিকে। সেই পথের বাম সারির একেবারে শেষের সুপারি গাছটাকে লেগে গেল ভাল। সে গিয়ে গাছটাকে বলল, 'সুপারি, তুমি চাঁদ হয়ে উড়ে বসো আকাশে, আলোয় কালোয় ক্লান্ত আমি বরং এইখানে পথ পাহারায় কাটাই খানিক কাল।' কী যেন ভেবে কিছুক্ষণ সুপারি বেশ রঙিন, রাজি হয়ে গেল।



সুপারি গাছের সবুজ বেশে চাঁদ যেদিন থেকে বসল সেই পথ পাহারায়, তার ঠিক দিন সাতেক পরের ঘটনা।



এক বালক , বারোর মতোন বয়স, সঙ্গী নাই, সাথিহীন, যেন ভেসে ভেসে হেঁটে এল গাঁয়ে। কেউ দেখেনি কখন; কেউ জানে না কোথা থেকে। এসে বসল যে সোজা দীঘির পাড়ে, না মুখে কথা , না গান , না হাসি। নানান জনে নানান রকম নানানভাবে জানতে চাইল অতীত, উদ্দেশ। কিন্তু কিছুতেই কিছুনা। অমাবস্যার অন্ধকার, শাওন মাসের ভরা বাদল সবকিছু মাথায় নিয়ে রইল বসে কথাহীন।



কিন্তু চোখে ছিল জনমের জনমের কাহিনী। তার মন, মা, রক্তের আবেগ, ভবিষ্যত, দূর-অদূর অতীত সমস্ত সেই চোখে ছিল স্পষ্ট করে আঁকা। শতজনের মাঝে একজনই কেবল বুঝল সেইসব ছবি, সেই কাহিনীর বুঝল সকল মানে। ঝাকড়া চুল, মলিন জামার কোমল লোকটা ভরাবৃষ্টির সেই দীঘির পাড়ে, অন্ধকারের ছায়া যেমন, বসল এসে। তারপর পাষাণ হাতে খেজুর-কাঁটায় বালকের গল্পভরা দুই চোখ রক্তরঙে তুলে ধীরে ধরল পথ।

গ্রামের সেই একমাত্র পথ। যেখানে চাঁদ সবুজ সুপারি হয়ে নির্ঘুম পাহারায়।



নিদারুণ লোকটা একটা কদম হাঁটে আর দুই হাতের দুই চোখ থেকে একটা করে গল্প পড়ে শোনায় পথজোড়া সবাইকে। বালকের চোখ থেকে পড়া সবশেষের গল্প ফুরাল যেভাবে:



'চাঁদ তার সবুজ পাতায় আমার শরীরের প্রথম আর শেষ আবেদন পূরন করে দিল। চাঁদের আকুল আদর পেলে, রক্তজুড়ে, বুক, মুখ হৃদয় জুড়ে অন্ধকারের বিশাল রকম সাধ জাগে।'





প্রথম বীর্যপাতের সুখ বুকে নিয়ে যে বালক সেদিন অন্ধ হওয়ার আশায় বৃষ্টিভেজা বসেছিল, আগের জন্মে সে ছিল ব্যাকুল রাধার খোঁপার ফুল, তারও এক জন্ম আগে অর্জুনের কৃষ্ণকাতর তীরের ফলা।







ছবি: ভ্লাদিমির কুশ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এভাবেই কত বোধের ক্ষয় হয়, জন্ম নেয় অন্ধকার যাপনের হতাশা।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৬

সোজা কথা বলেছেন: একদিকে রাধার খোপার ফুল আবার অর্জুনের তীরের ফলা! সুন্দর ও ভয়ানক!

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.