নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরে গেলে মেঘ হতো যমুনার জল...

ঘরেও নহে পারেও নহে,যে জন আছে মাঝখানে...............

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর

'If Stavrogin believes,he does not think he believes. If he does not believe ,he does not think he does not believe.'-The Possesed

আব্দুল্লাহ আল মুক্তািদর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প: মেঘপুরাতন আকাশ রঙের তারা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:১৪

বিধাতা দুই দারুণ মানুষ-মূর্তি গড়ে স্বর্গের এক দখিন দুয়ার ঘরে আনমনে রাখলেন বহু বহু উদাস বছর। তারপর এক ভরা সন্ধ্যায় জোনাকরঙের দুই জোড়া চোখ জুড়ে দিলেন, সেই চোখে প্রাণের পরম আগুন দিলেন। আর সারা নিষ্প্রাণ দেহ নিয়ে চোখগুলো বেঁচে রইল অনেক অনেক কাল।



একজন দুই চোখ দিয়ে দেখতে লাগল প্রশান্ত স্বর্গলোকের সমস্ত ভোর কীভাবে সোনার বরণ আলো ঝরায়, দিগন্তহীন ফুলের অজস্র রঙ কোন কোন ব্যাকুল পথে আকুল করা সুবাস ছড়ায়। আরজনের চোখ অতদূর, অত দিকে দিকে যেতে পারে না। অতো নীল, অতো উজাড় করা রঙিন স্বর্গ তার কাছে অজানাই থেকে গেল। চোখের সীমানা জুড়ে কেবল এক প্রাণহীন মানব মূর্তি। তার চোখেরা যুগ যুগ ধরে সেই একমাথা নিষ্প্রাণ কেশ, নির্জীব পিঠ, নিতম্ব আর একজোড়া থেমে থাকা পা দেখে স্বর্গজীবন কাটাতে লাগল।



প্রায় কয়েক হাজার বছর পর পৃথিবীর মানুষ যখন বিনাতারের টেলিফোনে খবর পাঠানো শিখল, তেমন জাদুকরী একদিনে....





একটা পথ পশ্চিমের অস্তপ্রায় সূর্য থেকে এসে এই সন্ধ্যাঘন ঘাটে মিশে আছে। আরেকটা পথ চলে গেছে নদী বরাবর সোজা উত্তরে। একটা কেবল নৌকা এসে ভিড়ল তখন ঘাটে। সেই দুইজন মানুষ-মূর্তিতে আচানক দেখা হল। দুনিয়ায় তাদের কেবল তরুণ যৌবন । সেই একমাথা নিষ্প্রাণ কেশ এখন কালোকাজল জ্বলে আছে; সেই বহুযুখ দেখা নিষ্পাণ শরীর এখন প্রাণের আবেগে কূলহীন ভেসে চলেছে।



এইতো সবার চেয়ে আপন হবে। সকল মনের চেয়ে এই মন তাকে বুঝবে ভীষণ; ভরা নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে এই আপনজনার মন বরাবর নাও ভাসানো যাবে; ঘোর ঘূর্ণিঝড়ে সমস্ত দুনিয়ায় এই আপনজনের মনেই হবে নির্ভরতার ঠাঁই।



একবার আকাশমুখে, আরেকবার মাটির বুকে চেয়ে রইল । তারপর সেইসব একাকার দিনের কথা, স্বর্গের সুগন্ধী রাতের কথা ধরে নিজের পরিচয় দিল সবচেয়ে আপনজনকে, যাকে অসংখ্য বছর পরে এই একলা নদীর ঘাটে চিনতে পেরে তার বুকের কোন এক মধ্যেখানে খানিক রক্ত রাঙা জবা হয়ে ফুটে আছে।



বৃথা সেই পরিচয়। অহেতুক এতো সহস্রকাল একসঙ্গে চোখে চোখে বেঁচে থাকা।



সবচেয়ে যাকে আপন মনে হয়, যেন সবচেয়ে দূরের তারার থেকেও তার বসবাস দূরে। তার দুই চোখ দিয়ে সে কেবল দেখেছে প্রশান্ত স্বর্গলোকের সমস্ত ভোর কীভাবে সোনার বরণ আলো ঝরায়, দিগন্তহীন ফুলের সহস্র রঙ কোন কোন ব্যাকুল পথে আকুল করা সুবাস ছড়ায়। তাকে ভালোবেসে বেসে ভেসে উজান বাওয়া চোখ সে চেনে না। কোনদিন পিছন ফিরে দেখতে পারেনি সমুদ্রগভীর নজরে যুগ যুগান্তর কোন একজন অবিরাম চেয়েছিল।



এতো সহস্রকাল চোখে চোখে একসাথে বেঁচে থাকা অর্থহীন। সবচেয়ে যাকে আপন মনে হয়, যেন সবচেয়ে দূরের তারার থেকেও তার বসবাস দূরে।









ছবি: অান্দ্রে ক্রেইজা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৪

সরদার হারুন বলেছেন: আপনার লেখার হাত আছে বলতে হবে তবে বুঝলাম না আপনি এ কোন অভিনব বাইবেল লিখলেন ?
কোথায় পেলেন এ গাজার দম ?

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

সুমন কর বলেছেন: অামি, মনে হয় বুঝতে পারলাম না !! :(

বক্তব্য স্পষ্ট কি?

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১১

ডি মুন বলেছেন:
আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগল।
তবে অণুগল্পের বক্তব্য স্পষ্ট নয়।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.