নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৪০৪ নট ফাউন্ড

মুক্তাদির অনল

১৯

মুক্তাদির অনল › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার দোয়ায় ভালো আছি ফেসবুক

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

কখনো খেয়াল করেছেন কিনা জানি না- মনে করুন আপনি ফেসবুকে লগ ইন করলেন, হোমপেজ আসার পর আপনি স্ক্রল করে নিচের দিকে নামতে থাকলেন। এবার মনে করুন আপনার এক বন্ধু তার গার্লফ্রেন্ড-এর সাথে একটা ছবি প্রোফাইল পিকচার আপলোড করেছে। আপনি সেই ছবিটাতে একটা "লাভ" (ভালোবাসা ) ইমো দিলেন। তারপর নিচের দিকে নামতে থাকলেন, আপনি একটা দুর্ঘটনার ছবি দেখলেন, আপনার অনেক খারাপ লাগলো।আপনি তাতে একটা স্যাড (কষ্ট) ইমো দিলেন। তারপর আপনি আবার নিচে নামতে থাকলেন, এবার আপনি দেখলেন খুব মজার একটা ভিডিও, ভিডিও-টা এতই মজার যে হাসতে হাসতে আপনার দম আটকে যাবার মতো অবস্থা।নিজেকে সামলে নেয়ার পর আপনি তাতে একটা হা-হা (অট্টহাসি) ইমো দিলেন এবং নিচের দিকে নামতে থাকলেন। ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াল? আপনি সেকেন্ডে সেকেন্ডে মানুষকে বুঝাচ্ছেন আপনি খুশি হয়েছেন,কিংবা কষ্ট পেয়েছেন।কিন্তু আসলেই কি আপনার সত্তিকার ইমসনে কোনও পরিবর্তন এসেছে? সে যাই হোক, এরপর আপনি এমন একটা নিউজ দেখলেন যা দেখে আপনার মনে হলো "দেশ তো পুরাই রসাতলে যাচ্ছে, নাহ!! এমন হলে চলবে কি করে" আপনার রক্ত গরম হয়ে গেলো,ভাবলেন কিছু একটা করা দরকার। কি করবেন... কি করবেন... ভাবতে ভাবতে আপনি একটা "বিদ্রোহী" টাইপ স্ট্যাটাস দিয়ে ফেললেন। বসে বসে আপনার স্ট্যাটাসের লাইক গুনতে থাকলেন, কমেন্ট বক্সে তর্কের ঝড় তুললেন। অনেকক্ষন এমন করতে করতে হটাৎ আপনার মনে হলো "আরে আমার তো সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা লাগবে,জরুরি কিছু কাজ আছে। আর তাছাড়া আপনার ক্ষুধা ও লেগেছে।" ব্যাস ,আপনি ফেসবুক লগ আউট করে,খেয়ে, ঘুমিয়ে পড়লেন।


এতটুকু পড়ার পর যদি আমার মতো আপনার ও মিলে যায় তাহলেই বরং আমরা বর্তমানের "স্বাভাবিক " মানুষ। হ্যা,এখন আমাদের ইমোশোনগুলো সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরিবর্তন হয়। শুধু ইমোশোন কেন? "বন্ধুর সংজ্ঞা" "ব্যাক্তিগত" (পার্সোনাল)-এর সংজ্ঞা এমনকি "আমার আমি"-র সংজ্ঞাটাও বদলে গেছে। মনে হয় বুঝতে পারেন নি। আচ্ছা আমি বর্তমান চিত্রটা বলি আপনারা বরং মেলান। এখন কারো সাথে পরিচিত হতে গেলে হাই,হ্যালো হবার পর আমরা বলি "আপনার ফেসবুক আই ডি -র নামটা বলুন, আমি আপনাকে এড করে নিচ্ছি। যেন পরিচিত হবার প্রথম শর্তই হলো ফেসবুকে বন্ধু হওয়া। বর্তমান সময়ে আপনি যদি আপনার কাছের বন্ধুটাকে দুটো বাঁকা কথা শুনিয়ে দেন কিংবা তার উপর হাত তোলেন সে হয়তো ততটাও রাগ করবে না যতটা না কষ্ট পাবে আপনি যদি তাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করে দেন। জিনিসটা ইন্টারেস্টিং, না? মনে জায়গা পাই বা না পাই, ফেসবুক লিস্টে থাকা চাই ই।

সত্যি করে একটা কথা বলুন তো, আপনার জীবনে এমন কতগুলো মানুষ আছে যার সাথে আপনি আপনার জীবনের সবকিছু ভাগ করে নিতে পারেন? যে কথাগুলো আপনি কখনো কাউকে বলেন নি, এমন কতজন আছে যার সাথে আপনার ইমোশনগুলো শেয়ার করতে পারেন। একজন? দুইজন?কিন্তু আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ফেসবুকে আপনার বন্ধু সংখ্যা কত ?আপনি নিশ্চয় শ' কিংবা হাজারে হিসেবে করবেন। এরা সবাই কি সত্যিকার অর্থেই বন্ধু? আমার কাছে তো অন্তত নয়। আমার মতো আপনার ও কি কখনো মনে হয়েছে চার দেয়ালের মধ্যে হাজার খানেক বন্ধু নিয়েও আপনি বড্ড একা।

একটা কথা বলি, কাউকে বলবেন না যেন.. বর্তমানের ফেসবুক জিনিসটা আসলে পুরোটাই মেকি, লোক দেখানো। মানুষকে বোঝানো " আমি ভালো আছি।" এখানে ভালো থাকার অভিনয় করা হয়। ফায়দা কি- অবশ্য এখন লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার এর প্রশান্তিও অনেক বড় প্রশান্তি। অবশ্য মনের প্রশান্তির থেকে বড় প্রশান্তি আর কি বা আছে। হোক না দিন শেষে আপনি বড় একা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৫

মুক্তাদির অনল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.