নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৪০৪ নট ফাউন্ড

মুক্তাদির অনল

১৯

মুক্তাদির অনল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে জালে ধরা পড়েছে আজকের শিশুরা

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

আমার ভাগ্নীর বয়স আট বছর। এই বয়সেই সে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের বেসিক বিষয়গুলোর সাথে অভস্ত। মাঝে মাঝে আমার ট্যাবটা নিয়ে ও গেম খেলে। আর তখন আমার মনের মধ্যে গেম বাজে এই ভয়ে যে কখন না আমার পার্সোনাল বিষয়গুলো ওর গোচরে চলে আসে।

কখনো কখনো আমি নিজেকে আমার ছোট্ট ভাগ্নির সাথে তুলনা করি। এই বয়সটায় ও যা যা করে বা পারে আর ওর বয়সে আমি যা করতাম তার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য আছে। ও যে বয়সে স্মার্টফোন নিয়ে রীতিমতো কারিকুরি করে সেই বয়সে আমার হাতে ফোন তো দূরের কথা আমার বাড়িতেও কোনো ফোন ছিল না। সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেকে মোটেও প্রযুক্তিবান্ধব ছেলে মনে করি না। বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গেলে এটা যদিও নিজের একটা কমতি তারপরেও এইজন্য আমি নিজেকে দোষারোপ করিনা। আমাদের সময়ে প্রযুক্তি এতটা জাল বিছাতে পারে নি। আমরা ভুত ভয় পেতাম। ভয় পেয়ে মায়ের আঁচলে গিয়ে মুখ লুকাতাম। এখনকার বাচ্চারা ফোন বা ল্যাপটপের মধ্যে ভুতের গেম খোঁজে। সবগুলো ভুত খতম করে তবেই এরা ক্ষান্ত হয়। কিন্তু আমাদের হাতে তো ভুতের গেম নাই,তাছাড়া ভুত ভয়ও পাই তাই সকাল থেকে অন্ধকার হবার আগ পর্যন্ত মাঠে ঘাটে দাপিয়ে বেড়াতাম,ভরদুপুরে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতাম,ঝমঝমে বৃষ্টিতে গায়ে কাদা মেখে ফুটবল খেলতাম,বইয়ের ভিতর লুকিয়ে গোয়েন্দা সিরিজ পড়তাম,দলবল নিয়ে নদীতে সাঁতার কাটতাম। ফেসবুক,টুইটার তো ছিলই না,সুতরাং আমাদের ফ্রেন্ডলিস্টে শ কিংবা হাজার বন্ধুর প্রশ্নই আসে না। যে অল্প ক'জন ছিল,জীবন উপভোগ করার জন্য সেটাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখনকার শিশুরা বড়ই হয় ইন্টারনেটের সাথে সাথে। পৃথিবীতে আসার পর পরই এদের হাই-হেলো হয়ে যায় স্মার্টফোন,ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবের সাথে। একটু একটু বোঝার সাথে সাথে এরা বুঝে যায় এইসকল ডিভাইসের নাড়ি নক্ষত্র। আচ্ছা, এতটা সহজলভ্যতা কি এই প্রজন্মের জন্য একটা ধাক্কাস্বরূপ? হবে হয়তো। যে সময়টাই এদের মানসিক বিকাশ হবার কথা, ঠিক সেই সময়টাই এরা কাটায় চার দেয়ালের মধ্যে কম্পিউটার স্ক্রিনের উপর চোখ আর কীবোর্ডের উপর হাত রেখে। খেলার মাঠের থেকে কম্পিউটারের গেমগুলোই এদের বেশি টানে। মাঠে দৌড়ঝাঁপ করাটা বর্তমান শিশুদের তিতকুটে মনে হয়। এর থেকে বরং ফিফা,সি ও সি বা মোটর বাইক গেমগুলো এদের বেশি মোহিত করে। এ তো গেলো শুধু গেমের কথা,ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি একেবারে এভেইলেবল হয়ে যাওয়ায় খুব কচি বয়সেই এদের মধ্যে পর্ণ আসক্তির জন্ম নেই।


এতটুকু পড়ার পর যদি বিষয়টা আপনার কাছেও ভীতিকর মনে হয় তবে আপনি জানতে চাইবেন এখন থেকে বের হবার পথ কি? কিন্তু আমি তো নিজেই আপনার কাছে জানতে চাই এখন থেকে বের হবার কি কোনো পথ আছে?আমার কাছে তো মনে হয় নেই হয়তো। ইন্টারনেট জালটা এমনভাবে আমাদের আস্টেপিস্টে জড়িয়ে ফেলেছে যে এই জাল ছিড়ে বেরোনো "অসম্ভব।"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পার্সোনেল বিষয়: নাম, ঠিকানা, জাতীয় আইডি নাম্বার, দরকার ফোনসমুহ, আপনার লেখা কবিতা, কোন পরিচিতার ছবি!
এগুলো ভাগ্নি দেখলে অসুবিধা আছে?

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছোট ভাই এর ছেলে আরিশ। তিন বছর।সে সারাদিন ট্যাব হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন, আমিও বলছি,
তবে মোটা দাগে ;)

আপনার পার্সোনেল বিষয়: নাম, ঠিকানা, জাতীয় আইডি নাম্বার, দরকার ফোনসমুহ, আপনার লেখা কবিতা, কোন পরিচিতার ছবি!
এগুলো ভাগ্নি দেখলে অসুবিধা আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.