নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের আলোক হতে আমি জাগিয়াছি চির বিস্ময়ে...

মুমাইন

আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।

মুমাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরিবের পেটে ঘি সয় না!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

অনেক সাধ করে এক জোড়া বাটার জুতা কিনছিলাম গত তিন/চার দিন আগে। দাম ৭৯০/- । এর ‍আগে ফুটপাত থেকেই ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে জুতা কিনে পরতাম। ভাবলাম, অনার্স তো প্রায় শেষ হয়ে এল, এখন পোশাক-পরিচ্ছদে একটু সিরিয়াস হই। তাই পাঁচটি জুতার দাম দিয়ে একটি ভালমানের জুতা কিনলাম। যদিও তা আমার কৃষ্ণ পায়ের সাথে বেমানান। এটা পায়ে জড়ানোর পর প্রথম প্রথম নিজেকে একটু অন্য রকম মনে হত। হেঁটে যাবার সময় মনে হত নায়কের মতো। অনেকে ভাবতে পারেন, সামান্য একটা বাটার জুতা পরেই এই ধরনের ফিলিংস। এমন অনুভবের কারণ হল, হঠাৎ বড় কিছু মানুষ পেলে এমনটাই হয়ে থাকে। যাক সে কথা।



আসল কথা বলি, আজ (৮-১-২০১৩) দুপুরে হলের মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ার জন্য যাই। জুতা খুলে মসজিদের ভেতর রাখি। যতটুকু নিরাপত্তায় রাখা যায়। নামাজ শেষ করে বের হতে গিয়ে দেখি জানে আমার পানি নাই! কলিজা শুকাইয়া গ্যাছে। শীতের মধ্যেও বিশ্বাস করুন, আমার কপালে বিন্দুর মতো ঘামের চিহ্ন টের পেয়েছিলাম। বুঝতে দেরি হয় নাই, কারণ, এটা বাংলাদেশ। হলে থাকতে আগে ভাবতাম, বাংলাদেশের চেহারা আর যাই হোক, অন্তত, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেহারা আয়নার মতো স্বচ্ছ। কিন্তু বিধি বাম। গরিবের পেটে আর ঘি সইল না। এটাই হয়তো চেইন অব কমান্ড, যে খেয়েছে তাকে আবার খেতে দেয়া, আর যে না খেয়েছে তাকে বিদায় দেয়া।



হায় বাংলাদেশ, হায় ইউনিভার্সিটি-স্টুডেন্ট! জুতাচোরদের জয় সর্বত্র। মসজিদে কিংবা প্রশাসনে, ক্ষুদ্র বিষয়ে কিংবা পুকুর চুরিতে, হাত পাকাতে হলে জুতা চুরি কিংবা কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত হতে হয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

মোমের মানুষ বলেছেন: সমবেদনা ছাড়া আর কিছুই জানাতে পারছি না..............

মসজিদে নামাজ পড়েন অথচ জুতা চুরি হয় নি এমন মানুষ খুবই কম আছে

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

শিক কাবাব বলেছেন: হা হা হা ..... সমবেদনার হাসি, নাকি করুন হাসি, নাকি ভিলেনের অর্কশ অট্টহাসি বুঝতেছি না। নতুন জুতা পড়ে নায়কের ফিলিংস, সেই ফিলিংস নিয়ে মসজিদে গেছেন নতুন জুতা নিয়ে যাতে মানুষ দেখে। যাতে মানুষ দেখে মুমাইন মিয়ার ইম্প্রুভ হয়েছে। সে এক ১৫০শিয় ফুটপাত থেকে জাতে উঠে ৭৯০-র বাটায় প্রমোশন পাইছে।

যাক, অভিজ্ঞতাটা মাথার হার্ডডিস্কে সেভ করে রাইখেন। নেক্স টাইম এক্কেবারে ছিড়া যেটা ঘরে আছে সেটা নিয়া যাবেন। নো টেনশন। টেনশন ফ্রি নামাজ পড়ুন।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

কলম.বিডি বলেছেন: শিক কাবাবের পরামর্শ ভাল্লাগলো...
কি আর করা... একদা ছিলনা জুতা চরণ যুগলে...

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: নতুন জুতা নিয়া নামাজ পড়ার টিপসঃ ২ টা ২ বাক্সে রাখবেন।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

ভিটামিন সি বলেছেন: ঠিক এই রকম বাটা উইনবার্ণার এক জোড়া জুতা আমার ঈদের নামাজ পড়তে নিয়ে গিয়ে পরে আসার সময় আর খুজে পাই নি। সময়টা ছিল ২০০৯।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

আঁধার রাত বলেছেন: ভাই এমন অভিজ্ঞতাও এমন। আমি রমজানের ছুটিতে জুতার দোকানে ১৫ দিন কামলা দিয়ে কয়টা টাকা পেয়েছিলাম তা দিয়ে একটা সেন্ডেল কিনেছিলাম। মসজিদে গিয়ে নামাজ শেষে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে আমি মানুষটা ভাল না। যখন নিজেরটা পেলামনা তখন আরেকটা পায়ে দিয়ে চলে এসেছিলাম। এখন যদি মসজিদে গেলে এমন সেন্ডেল পড়ি যা অতি গরীব মানুষকেও সাদগা দিলে নেবেনা।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

হুতম_পেছা বলেছেন: Hasom na kandom, bojtechina, :(( :((

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

বিডি আমিনুর বলেছেন: আপনি তো মহা ধরা খাইছেন এখন যদি কেউ এই জুতা কোন মন্ত্রী কে মারে তার দায় ভার কিন্তু আপনাকেই বহন করতে হবে, পায়ের চিহ্ন অনুযায়ী আসল মালিক বের করা হবে , যা ই হোক আপনার প্রতি সমবেদনা রইলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.