নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের আলোক হতে আমি জাগিয়াছি চির বিস্ময়ে...

মুমাইন

আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।

মুমাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রযুগের নারী আর আমাদের মিডিয়া ও নারী

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

কথিত আছে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারই প্রথম বাঙালি নারীদের ব্লাউজ পরার প্রচলন করেছিলেন। তার আগে নারীরা এক কাপড়েই লজ্জাস্থান ঢাকার কাজটা সাড়তেন। আর তখন তাদের ব্লাউজ এমন ছিল- হাতা কব্জি পর্যন্ত, নিচের অংশ দ্বারা পুরো পেট-পিঠ ঢেকে যেত। তাই কোনো কারণে যদি তাদের কাপড়ও একটু-আধটু সরেও যেত তবুও তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত সহজেই। তখন রবীন্দ্রনাথরাই ছিলেন সমাজের সবচেয়ে উঁচু ক্লাসের লোক। পাশ্চাত্যের যোগটা তাদের সাথে বেশিই ছিল অন্যদের তুলনায়। তবু তারা নিজেদের ব্যক্তিত্ববোধকে ধূলিসাৎ হতে দেননি।

কিন্তু বর্তমানে আমরা কী দেখছি? তথাকথিত মিডিয়া কী করছে এসব??? এরা কি মনে করে পৃথিবীতে কেবল যুবতী মেয়েদের দৈহিক সৌন্দর্যই সব? আর মেয়েগুলাই বা কেমন!!! চকচকে কিছু টাকার বান্ডিল দেখেই পেট-পিঠ যা খুলতে বলছে সবই খুলে দিচ্ছে ক্যামেরার সামনে!

একটা উত্তর পাব কি মিডিয়া?
প্রেম, ফ্যাশন, শোবিজ, রেসিপি, সাজ-গোছ, মডেলিং এসবের বাইরে কি তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার আর কোনো কিছুই তোমাদের হাতে নাই?
এ-লেখাটায় নারীবাদীরা ক্ষেপে যেতে পারেন। প্রশ্নটা যখন খোলাখুলির- Only for display. তো তখন ইভটিজিংয়ের দোষটা কেবল একপক্ষকে চাপানো কেন? নাকি পুরুষ মাইনষের চোক্ষের ঈমান পরীক্ষা করতাছেন?
আপনারা তো জ্বলন্ত অঙ্গার! ঐটা হাতে নিয়া থাকতে চাই না। একটু শীতল হোন। একটু ভাবুন।

আপনি মডেল। সুস্থ বিনোদনের দাবিদার। তো সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ১৭/১৮ বছরের টিনএজার ছোকরাটা আপনার খোলাখুলি Displayটা দেখে তখন তার বীণায় উষ্ণতার ঝঙ্কার বয়ে যায়। হাতের কাছে তো কিছুই পায় না। মেজাজ বিগড়ে যেতে থাকে। প্লান করে পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে- অমুক মাইয়ারে অফার করবে। তারপর একটু-আধটু ছোঁয়াছুয়ির ব্যাপার ঘটলোই বা! কী আর হয় এতে, জাত তো আর যায় না! সে যুগ তো আর নেই যে একটু ছুঁলেই জাত চলে যাবে!!!
আর যদি মিশন ব্যর্থ হয়, তাহলে তো রাস্তা আরো পরিষ্কার। মজনু মিয়ার ওয়ার্কশপে এসিডের অভাব নাই।

তুমি তো মঠেল! তোমারে কাছে পায় নাই। পাইছে নিরীহ শিকার। তার মধ্যে তোমার লালায়িত রূপটা বসিয়ে ধর্ষণে উন্মত্ত যুবক পরাজয় মেনে নিতে জানে না। মনস্তত্ত্বের ভাষায়, কামনার কাছে মানুষের বিবেক, ভয় লোপ পেয়ে যায়। তখন বাকি থাকে কেবল ক্ষুধা- যা ফাঁসির ভয় দেখিয়েও দমিয়ে রাখা যায় না।

তো সমাজের ভীষণ উপকারী প্রাণী- মডেল-কন্যা!
ক্ষান্ত দিবে কবে তুমি?
তুমিই পার ধর্ষণের হাত থেকে একটি মেয়েকে বাঁচাতে।
তুমিই পার ইভটিজিংকে রুখে দিতে।
যদি তুমি উলঙ্গধারী না হও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

ভানু ভাস্কর বলেছেন: ভাই, এই সুন্দর কথাগুলি নামকা প্রগতিশীলেরা কিন্তু অন্যভাবে নেবে! আমার তো সন্দেহ হয়, মেয়েদের ঢেকেঢুকে চলতে বলছেন, আপনাকে ওরা মৌলবাদি জঙ্গী না বানিয়ে দেয় আবার!
স্বাধীনতার অর্থকে নারীবাদিরা দাঁড়িয়ে পেশাব করার মত করে ব্যাখ্যা করবে। কিন্তু সে স্বাধীনতা ওদের চাই-ই চাই।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কিন্তু বর্তমানে আমরা কী দেখছি? তথাকথিত
মিডিয়া কী করছে এসব??? এরা কি মনে করে
পৃথিবীতে কেবল যুবতী মেয়েদের দৈহিক সৌন্দর্যই
সব? আর মেয়েগুলাই বা কেমন!!! চকচকে কিছু টাকার
বান্ডিল দেখেই পেট-পিঠ যা খুলতে বলছে সবই খুলে
দিচ্ছে ক্যামেরার সামনে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.