নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের আলোক হতে আমি জাগিয়াছি চির বিস্ময়ে...

মুমাইন

আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।

মুমাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

### সংখ্যালঘু, নেতিবাচকতা এবং অন্যান্য ###

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

মানুষ নিজেকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য যতগুলো নেতিবাচক চিন্তা করে তার মধ্যে ‘সংখ্যালঘু’ ধারণাটা অন্যতম। ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটা রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবহারে কোনো আপত্তি নেই। কারণ রাষ্ট্রের সেই প্রয়োজনীয়তা প্রাসঙ্গিক। কিন্তু সংখ্যায় কম বলে অধিকারবঞ্চিত- এমন ধারণা পোষণ করাটা সামাজিকভাবে অন্তত ঠিক না। কারণ সামাজিকভাবে প্রতিবেশির খোঁজ-খবর নেওয়াটা প্রত্যেকেরই দায়িত্ব, সে যে সম্প্রদায়ের মানুষ হোক না কেন।

ইদানীং কয়েকজনকে সংখ্যালঘু হওয়ায় তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলায় আমার মনে এটা নিয়ে দুচার লাইন প্যানপ্যানানির ইচ্ছা জাগলো। কেউ একজন বলেই ফেলল, সে বিয়ে করবে না। কারণ তার সন্তান সংখ্যালঘু হয়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে বাঁচবে- এটা সে চায় না। তার উত্তরে অনেকে আবার সহমতও প্রকাশ করেছেন দেখলাম! (এক ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে পাওয়া)

যাই হোক, সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু- এ হিসাব তো হওয়া উচিত রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে। তাও তো প্রতি দশ বছর পর পর আদমশুমারির কাজে। এছাড়া সামাজিক পরিমণ্ডলে এই শব্দ দুটোর ব্যবহার আমি চরম অপমানজনক বলেই মনে করি।

এবার আসুন দেখি, আমার কিছু ভাবনা আপনার ভাবনার সাথে মেলানো যায় কিনা-

>> সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু পার্থক্যটা কেবল রাজনৈতিক, কোনো ক্রমেই সামাজিক নয়।

>> পৃথিবীতে বিরাজমান প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-কালচার, রীতি-নীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস-অবিশ্বাস ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনা করা যাবে এই অর্থে- যেন মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায়। তবে তা হতে হবে যুক্তি দিয়ে, গালি বা খোঁচা মেরে নয়।

>> সমালোচনা হবে উদ্দেশ্যমূলক, বিদ্বেষমূলক নয়। কারণ মানুষের যাত্রা এক অকল্পনীয় মহাকালের দিকে। সবাই আলোর পথের যাত্রী। চূড়ান্ত মুক্তির পথ খোঁজাই মানুষের জন্য অনিবার্য নিয়তি। সে যে সম্প্রদায়ের লোকই হোক না কেন।

>> ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত আর বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ দুটোই অপরাধ- ড. আনিসুজ্জামান। স্যারের এই সূক্ষ্ম বিচারবোধ যদি সমাজের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান থাকতো, তাহলে আমার বিশ্বাস, কোনো ধরনের উগ্রতার জন্ম হতো না।

*** এবার একটা অঙ্ক দিচ্ছি (ভয় নাই, বিসিএসে আসবে না!)
ধরুন, এক দলে লোক আছে দুই জন, অপর দলে আছে আট জন। তাদের মধ্যে কিছু কলা ভাগ করে দিতে হবে। কিন্তু কলা আছে মোট এগারটি। এখন আপনিই বলুন, দুই দলকে কলাগুলো ভাগ করে দিবেন কীভাবে?


আপনি চাইলে লেখাটি কপি-পেস্ট করতে পারবেন
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

5.4.2015

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.