নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের আলোক হতে আমি জাগিয়াছি চির বিস্ময়ে...

মুমাইন

আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।

মুমাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিউবার মুসলিমদের এক টুকরো গল্প

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, সমাজতান্ত্রিক শাসনাধীন কিউবায় মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র দশ হাজার (রিপোর্ট ২০১২)। মোট জনসংখ্যার ০.১ ভাগ। সত্তর ও আশির দশকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিউবায় পড়তে আসা কিছু ছাত্র ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন। ইসলামের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিউবার স্থানীয়রা ইসলাম গ্রহণ করা শুরু করেন। এভাবেই ধীরে ধীরে ইসলামের প্রচার বেড়ে যায়। কিউবার দুটি মুসলিম সংগঠন (অ-রাজনৈতিক) ইসলাম প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে।

কিউবার মুসলিমরা সাধারণত বাড়িতেই তাদের ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। কারণ কিউবায় জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ার জন্য নেই কোনো মসজিদ। তবে হাভানায় ‘আরব হাউজ’ নামে একটি ইমিগ্রান্ট ভবনে (বর্তমানে এটি যাদুঘর ও রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত) শুধু জুমার নামাজ পড়ার জন্য কিউবা সরকার অনুমতি দিয়েছে। মাত্র তিন ঘন্টার জন্য খুলে দেওয়া হয় ভবনটি। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ঐখানে নামাজ পড়তে পারবে শুধু যারা নন-কিউবান মুসলিম তারা। কিউবার মুসলিমদের ক্ষেত্রে সে অনুমতিও নেই।

হাভানার বাইরে কিউবার উপকূলীয় শহর আলমারায় প্রতি শুক্রবার খেলার মাঠে গুটিকয়েক মুসলিম জুমার নামাজের জন্য জড়ো হন। তারা যখন খেলার মাঠে নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যান, তখন তাদের পাশ দিয়ে বিকিনি পড়ে হেঁটে যায় মেয়েরা। মদের বোতল হাতে পার্কে বসে থাকা যুবক তাকিয়ে দেখে নামাজ পড়ার দৃশ্য। এদেশে যৌনতা, মদ এবং শুকরের মাংস ডাল-ভাতের মতো।

ভাবা যায়, মুসলিমদের কতটা কষ্ট স্বীকার করে সেখানে চলতে হয়। পৃথিবীতে আর কোনো সম্প্রদায়ের তাদের জীবনবিধান মেনে চলতে গিয়ে এমন কষ্ট স্বীকার করতে হয় কিনা আমার জানা নেই। অথচ সেই ইসলামকে প্রগতিশীল দাবিদার তথাকথিত সুশীলরা বলে বেড়ায় ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম। যাদের কারণে ও যাদের প্রচার-প্রচারণায় ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে আজ জাহির করা হচ্ছে- এ দুপক্ষের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না। কিউবায় না-আল্লাহতে বিশ্বাসীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবু তারা আল্লাহতে বিশ্বাসীদের কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলে না আমাদের দেশের তথাকথিত না-আল্লাহতে বিশ্বাসীদের মতো।

কিউবায় মুসলিম জীবনাচার মেনে চলা কষ্টকর হলেও স্থানীয়রা যথাসম্ভব তাদের সহায়তা করেন। বিশেষ করে হালাল খাবার খুঁজে পেতে তাদের অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়। সমগ্র কিউবায় মুসলিমদের জন্য কোনো হালাল মাংসের দোকান নেই।

উল্লেখযোগ্য দুজন কিউবান নওমুসলিম:
--------------------------------------------
>আলী নিকোলাস কোসিও, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বর্তমানে তিনি ‘ভয়েস অব ইসলাম’ নামের একটি রেডিও স্টেশনে সাংবাদিকতা করছেন।
>জুয়ান কার্লোস গোমেজ, সাবেক বিখ্যাত কিউবান বক্সার।


রমজানে কুরআন পাঠরত কয়েকজন কিউবান মুসলিম

জানা গেছে, সম্প্রতি কিউবার রাজধানী হাভানায় সৌদি সরকারের উদ্যোগে একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মিত হলে এটিই হবে কিউবার প্রথম মসজিদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.