নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের আলোক হতে আমি জাগিয়াছি চির বিস্ময়ে...

মুমাইন

আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।

মুমাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাল (টুকরো টুকরো গদ্য জীবন-১)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

আকাল
(টুকরো টুকরো গদ্য জীবন-১)

সেন্ট্রাল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে গেট দিয়ে বেরিয়ে আসতেই ভিক্ষুকদের চিরাচরিত আর্তি শোনা গেল। পাশাপাশি একজন নবাগতও এসে সে-দলে ভিড়ল। একটি বাচ্চা মেয়ে পুড়ে গেছে আগুনে- তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য। কথা শুনে বোঝা যায়, ঠিক পেটের ক্ষুধায় সে হাত পাতেনি। অন্য ভিক্ষুকরা যেমনটি করে।

লোকটির একটানা আকুতি অনেক নামাজিকেই দয়ার্দ্র করে তোলে। তারাও সামর্থ্য মত আকুতির জবাব দিয়ে যাচ্ছে। ফলে অন্য নিয়মিত ভিক্ষুকদের ভাণ্ডে ভিক্ষার পয়সা আর ঝন ঝন শব্দ করে বাজে না তেমন।

রাগে বা হিংসায় হোক, কাঁপতে থাকে নিয়মিতদের একজন। বিড়বিড় করে ঠোঁট ‍দুটো। প্রথমে বোঝা যায় না। পরে আরো অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে তার ঈর্ষান্বিত কণ্ঠ। “পাঁচ বছর তো ঐ মিথ্যা বলেই খেয়ে আসছে, মেয়েতো পুড়বেই। মেয়ে পুড়ছে না ছাই! আল্লায় সইবে না এই মিথ্যা কথা। চির জীবন তো এ-ই করে খেয়ে আসছে।”- তাতেও ভাগের ভিক্ষা হাতছাড়া হচ্ছে দেখে গলাটা যেন একটু কেঁপে উঠল ভিক্ষুকটির। এবার যেন মনে হয় কেঁদেই ফেলবে।

ভিড়টা ক্রমেই কমে এল নামাজিদের। নতুন আসা লোকটি এবার অন্য গেটে গিয়ে দাঁড়াল। সাদার উপর লাল সুতা দিয়ে আঁকা একটি রুমাল হাতে সেই একটানা আকুতি“...আমার একটা মেয়ে...মেয়ের পোড়া...পুড়ে গেছে...চিকিৎসার জন্য সাহায্য...” ভেসে আসে এ গেটেও। নিয়মিত ভিক্ষুকটি শুনতে পায় সেই আর্তচিৎকার। এক সময় লোকজন-ফাঁকা মসজিদের গেটে বসে ঝিমাতে থাকে দেরিতে-আসা নামাজিদের সহানুভূতির আশায়।

অনেকক্ষণ বসে থেকে বৃদ্ধ ভিক্ষুকটি বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। রাগে ক্ষোভে অভিমানে একবার ঠোঁট ‍দুটো যেন নড়ে ওঠে। যেন বলতে চায়- ‘ভিক্ষারও আকাল।’

পড়ে থাকলে ধন্যবাদ।
আপনার অনুভূতির অপেক্ষায়...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

সরদার হারুন বলেছেন: তবুও সরকরী আমলা,বড় বড় পুকুর চোরের চেয়ে সে ভাল ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৮

মুমাইন বলেছেন: ভালো বলেছেন...
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মানুষের আজ সময়ের আকাল। সময় করে সময়কে আর সময় দেওয়া হয় না। ভিক্ষুকদের ভিক্ষার আকাল তো নিতান্তই সাধারণ।

মিথ্যে কে আঁকড়ে না ধরলে বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ে। সত্যে যে আর পেট ভরে না ভাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১২

মুমাইন বলেছেন: 'সময় করে সময়কে আর সময় দেওয়া যায় না'

চমৎকার কাব্যিক ঢঙে বলেছেন ভাই। ;)

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভিক্ষা আর কজনেই দেয়!

ভাল লিখেছেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৪

মুমাইন বলেছেন: যেখানে বেকারদের চাকরিই জোটে না সেখানে ভিক্ষা তো আরো পরের কথা...
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । ভিক্ষার আকাল !!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৬

মুমাইন বলেছেন: হু, দিনকাল যা পড়েছে... একথা না বলে উপায় আছে।

৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

আউলা বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল :) (সৌজন্যে: না.খ.)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৮

মুমাইন বলেছেন: (সৌজন্যে: না.খ.) ---

??? :|

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

মুমাইন বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.