নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।
ওপাশের কণ্ঠটা কেঁপে কেঁপে ভেসে আসে কানে। আতঙ্কিত ভঙ্গিতে জানতে চায়- এত শব্দ কীসের? মানুষের গমগম শব্দ ঢুকে পড়ে মুঠোফোনের মধ্যে।
-মা, এইমাত্র ভূমিকম্প হইছে। সব মানুষ মাঠের মধ্যে জড়ো হইছে।
-আহারে! কী কও? তোর কিছু হইছে, বাজান?
-না, এখানে কারো কিছুই হয় নাই।
-তোদের হল তো আবার ভাঙ্গাচুড়া। অইখানে থাকিস না, বাবা।
-কী যে বল? হল ছাইড়া কই যামু?
-আমার ভয় করে। তুই বাড়ি আইয়া পড়।
-এত চিন্তা করো নাতো-তুমি দোয়া কর-আমার কিচ্ছু হবে না।
-দোয়া ত করি বাবা। সবসময়ই তোর লাইগা নামাজ পইড়া দোয়া করি। বাবা, তুই ওই ভাঙ্গা হলে থাকিস না
-মা, এত কিছু ভাইবো না। তোমার পায়ের ব্যথার কী খবর? মাথা ঘুরানি কী আগের চেয়ে কমছে? ওষুধ ঠিকমতো খাও তো?...
...প্রতিদিনকার মতো মায়ের কাছে সেদিনও ফোন দিয়েছিলাম। ভূমিকম্পে চাপা পড়ার ভয়ে সবাই ছুটছে। ছয়তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে প্রাণপণে ছুটছে মানুষ। সবাই হয়তো নিচতলায় গিয়ে দাঁড়াবে। তাতে নিয়তির বিধান কী খণ্ডাবে? ছয়তলা আর নিচতলায় কোনো পার্থক্য থাকে না তখন। রুমেই বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। জানালা দিয়ে আতঙ্কিত মানুষের চেহারা দেখছিলাম।
মনে হল, যদি কিছু হয়ে যায়। মোবাইলটা হাতেই ছিল। দেরি করার সুযোগ নেই।
অনুভব করলাম, আমি হৃদয়ের পরীক্ষায় হয়তো জিতে গিয়েছি- সবার আগে আমার মাকে মনে পড়েছিল ওইদিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেড়িয়ে পরা উচিত ছিল