নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মৃত্যুর দিন তোমরা যেন বলতে পার ‘শুভ মৃত্যুদিন’। কারণ ঐ দিনটা শুভ থাকা আমার জন্য খুব জরুরি।
জীবন সম্পর্কে সবার মূল্যায়ন এক নয়। কেউ হয়ত দুতিনটা বাড়ির মালিক হয়ে যেতে পারাকে জীবনের চরম সার্থকতা মনে করে। কেউ আবার নিজে যাচ্ছেতাই চেহারার অধিকারী হয়ে সবচেয়ে সুন্দরী একজনকে বিয়ে করতে পারাকে জীবনের সার্থকতা মনে। কারো স্বপ্ন উচ্চ পদস্থ কোনো চাকরি পাওয়া জীবনের চরম সার্থকতা। এমনও আছে, বিয়ে করতে গিয়ে দেখে তার আত্মীয়স্বজন কত বড় বড় ভালো ভালো অবস্থানে চাকরি করে। এই মানসিকতা আমি লালন করি না। আমার মা অন্যের বাসায় কাজ করে আমাদের পড়িয়েছেন। তাদের জীবনের কোনো কর্মপন্থা ছিল না। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায় তারা জীবন কী সেটা যাচাইয়ের সময় কই?
আমি এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে চরম একটা ব্যর্থ ছেলে। সত্যি বলছি, চরমভাবে ব্যর্থ। কেন ব্যর্থ? কারণ আমার কর্মপন্থা মানে জীবনের লক্ষ্যের ঠিক নেই। যখন আমি ক্রমে বড় হতে থাকি, তখনও আমার মনে প্রশ্ন জাগেনি বা কেউ আমাকে বুঝিয়ে দেয়নি জীবনে একটা লক্ষ্য ঠিক করে আগাতে হয়। কোনো দিন ভাবিনি, বড় হয়ে আমি কী হব বা কী করব।
যখন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলাম বা আলিমেও কাছাকাছি কিছু পেলাম তখনও মনে প্রশ্ন আসেনি আমি কী হব। এর পেছনে যে গাইডলাইন দরকার সেটা আমার জন্য অসম্ভব কিছু ছিল। কারণ লেখাপড়া না জানা মা বাবা লেখাপড়া করাচ্ছেন সেটাই মুখ্য বিষয়।
আমি আমার এই অবস্থার জন্য নিজেকে দায়ী করছি। যেখানে নিজে দায়ী সেখানে অন্যকে দোষারোপ করা অন্যায়। আমি ছোটবেলা থেকে অনেক নিগ্রহের শিকার। বিভিন্ন কারণে আমার মানসিকতা আপোসজনক, ভীতু প্রকৃতির এবং উদার।
আমার মনোরাজ্যে এক জটিল দ্বন্দ্ব চলে সবসময়। বারবার মনে হয়, জীবনে কোন অপরাধের প্রায়শ্চিত্য করছি হয়ত। হয়ত আমৃত্যু এভাবেই একটা অব্যক্ত কষ্টের বোঝা নিয়ে আমাকে কবরে যেতে হবে।
একটা বয়সের পর মানুষ কর্মজীবনে প্রবেশ করে। কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে সে ঠিক করে নেয় কাজটা তার জন্য কতটা উপযোগী? কিন্তু সেরকম কিছু আমার বেলায় হয়ে ওঠেনি।
তাই নিজের কর্ম ও বিবেকের সাথে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব চলছে...
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: হতাশ হবেন না।
সব ঠিক হয়ে যাবে।
মাঝে মাঝে এমন সময় আসে।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চেষ্টা করুণ । একদিন সফলতা আসবেই।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
কানিজ রিনা বলেছেন: অশিক্ষিত হলেও বাবা মা সন্তানের সাফল্য
কামনা করেন। যেমন ভাল করে পড়াশুনা
করো, পথঘাট দেখে চলো,খারাপ সঙ্গে
যেওনা মিথ্যা বলোনা ইত্যাদী। সেইহেতু
বাবা মার পাশে থেকে ছেলে মেয়ে যখন
সাবালগ হয়, ভালমন্দ বুঝতে পারা একটি
সাবালগ ছেলের অসুবিধা হওয়ার কথা না।
মানুষ প্রকৃত ভাবেই কথা বলে নিজের ভাব
প্রকাশ করতে পারে। সাভাবিক ভাবেই মানুষ
কথা আদান প্রদান পারে বলেই ভাল মন্দ
বুঝার ক্ষমতা বেশী। জীব জানোয়ারের সে
ক্ষমতা নাই। তবুও ভাল লাগল ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: পজিটিভ চিন্তা করুন, আশা করি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ভালো কিছু দিবে ।