নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিশপ্ত বালকটি……
১৯৮৮ সালের হ্যাসোয়েলের এমোস পরিবারের বাড়িটিতে হঠাৎ করেই এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। রহস্যময় ওই অগ্নিকাণ্ডে বাড়িটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। পুরো বাড়িতে কেবল একটি ফ্রেমে বাঁধানো পোট্রেটের অক্ষত অস্তিত্ব খুঁজে পায় উদ্ধারকারীরা।
এই পোট্রেটটি ছিল ক্রন্দনরত একটি বালকের। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আগুনের দোর্দণ্ড প্রতাপে বাড়ির সবকিছু যেখানে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল,কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ছবিটি অক্ষত রয়ে যায়।
এরপরের ঘটনা ঘটে ব্র্যাডফোর্ডে। সেখানে এক অগ্নিকান্ডের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আবারো এক ক্রন্দনরত ছেলের ছবি পাওয়া যায়।
১৯৯৮ সালে ডাবলিনে এক বাড়িতে অগ্নিকান্ড হয়, সেখানেও এই একই ছবি পাওয়া যায়।
ছবির ছেলেটির পরিচয় কিংবা ছবিটি কে এঁকেছিলেন, সেই ব্যপারে কিছুই জানা যাচ্ছিলো না। ১৯৯৫ সালে ডেভন শহরের একজন স্কুলশিক্ষক অবশেষে ছবিটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলে দাবী করেন।
তিনি জানান, একজন বৃদ্ধ স্প্যানিশ পোস্ট কার্ড শিল্পী ফ্র্যাঙ্কট সেভিল এই
ছবিটি এঁকেছিলেন। ১৯৬৯ সালে সোভিল মাদ্রিদের রাস্তায় [ছবির] ছোট
ছেলেটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখতে পান।
ছেলেটি কখনোই কথা বলতো না, তার চোখে থাকতো রাজ্যের বিষণ্ণতা। সেভিল এই ছেলেটির ছবি আঁকেন। এক পাদ্রী ছেলেটিকে চিনতে পারেন। তিনি বলেন, এই ছেলেটির নাম ডন বনিলো, যে কিনা নিজের চোখে তার বাবা-মাকে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে দেখে।
তিনি পরামর্শ দেন, ছেলেটিকে এক জায়গায় বেশি দিন যেন থাকতে না দেওয়া হয়। কারণ যেখানেই সে কিছুদিন অবস্থান করে সেখানে রহস্যময়ভাবে আগুন লেগে যায়।
যে কারণে গ্রামবাসী ছেলেটিকে পিশাচ নামে সম্বোধন করত। সেভিল এসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন না।
ছেলেটিকে তিনি নিজের কাছে রেখে দিলেন। ছেলেটিকে নিয়ে আঁকা
"The Crying Boy" শিরোনামের পোট্রেট তাঁকে খ্যাতি ও অর্থ উভয়ই এনে দেয়। কিন্তু রহস্যময় এক অগ্নিকান্ডে তাঁর পুরো স্টুডিও ধ্বংস হয়ে যায়। সেভিল নিঃস্ব হয়ে যান। তিনি ডন বনিলো নামে ছোট অনাথ ছেলেটিকে আগুন লাগানোর জন্য দায়ী করেন। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।
পুরো ইউরোপ জুড়ে অগ্নিকান্ড আর তার সাথে অশুভ এই ছবি উদ্ধারের একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু একই ধরণের ছবি কেন পাওয়া যাবে? উত্তর নেই।
শেষ পর্যন্ত সেভিলকেও অশুভ মানুষ বলে গণ্য করা হতে থাকে, কেউ তাকে ছবি আঁকার দ্বায়িত্ব তো দিতোই না, তার আঁকা ছবিগুলোর
দিকেও তাকাতো না।
১৯৭৬ সালে বার্সেলোনাতে একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা খায় একটি দেয়ালের সাথে। গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়, ভেতরের চালকের দেহ এতোটাই পুড়ে গিয়েছিল যে তার চেহারা শনাক্ত করা যাচ্ছিলো না। পরে জ্বলন্ত
গাড়ি থেকে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কিছুটা অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। গাড়িটি ১৯ বছর বয়সী ডন বনিলো নামে এক ছেলে চালাচ্ছিলো। এটা কি সেই ছেলেটিই?
সেটি জানার কোন উপায় হয়তো নেই। কারণ ছেলেটির মৃতদেহ নিতে কেউ আসে নি। এবং বলাই বাহুল্য যে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি কোন
সঠিক ব্যাখ্যাও।
( সংগ্রহিত )
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: হুম খুবই অদ্ভুত লাগে আমার কাছেও
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার শেয়ার। ঘটনাটি ভাল লাগল।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং !!!
ভালো থাকবেন
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: অপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া ।।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অদ্ভুত
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩১
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: হুম
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২১
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব অদ্ভুত!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩২
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: হুম খুবই অদ্ভুত
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন লেখা মুন্না ...
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৮
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ।।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ছবিটা যে সামু ব্লগে পোষ্ট দিলেন এইবার সামুও তো রিস্কে আছে !!...
খুবই রহস্যজনক !! জেনে ভালো লাগলো ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: সামুতে আগুন লাগলে আমি কোন ভাবেই দাই না ।।
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এই ছবি অনেকখানেই দেখেছি। কিউট চেহারার আদুরে বিষন্ন বাচ্চাটির ছবি ভুলে যাবার মতনও নয়।কিন্তু পিছের ইতিহাসটুকু আজই জানলাম।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন:
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
শামীম সুজায়েত বলেছেন: শিশু তো সবসময় নিষ্পাপ। শিশুকে অভিশ্বপ্ত ভাবতে সত্যিই কষ্ট লাগে।
পৃথিবেতে কত যে রহস্যময় ঘটনা ঘটে, সবকিছুর নেপথ্য কারণ জানা হয়না হয়তো কখনও।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৮
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: হুম মানুষ মাত্রই রহস্যময় ।।
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
সাফকাত আজিজ বলেছেন: ২৬৮বার পঠিত এই আর্টিকেল লিখে আপনিও তো ব্লগে আগুন লাগিয়ে দিলেন........
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: ৩২০ বার পঠিত
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভয়ানক তো ! শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। সংগ্রহীত লিখে সেখানে লিঙ্কটাও দিয়ে দেয়া যেতো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১১
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: এটা ফেসবুকের একটা সিক্রেট গ্রুপ থেকে নেওয়া তাই সিক্রেট গ্রুপের লিংক দেওয়া আর না দেওয়া একি কথা ভাই ।।
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কিছু রহস্যের পিছনের কথাটা আমরা জানি না, বা খুঁজে পাই না। তাই আমাদের কাছে অস্বাভাবিক। এমন অসংখ্য অস্বাভাবিক কিছু আশেপাশে হয়ত ঘটে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ। শেয়ারের জন্য। ভাল লাগল।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১২
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য ।।
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
সকাল হাসান বলেছেন: এই টপিকটা সম্পর্কে আরো কোন আর্টিকেল আছে কি?
থাকলে লিঙ্কগুলো দিলে খুশি হতাম!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: আমার কাছে আর কোন লিংক নেই । যদি খুজে পাই তাহলে আপনাকে জানাবো ।।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১২
জাফরুল মবীন বলেছেন: প্যারানরমাল অ্যাকটিভিটি!বেশ ইন্টারেস্টিং।প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।সময় করে বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।।
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫
রহস্যময়ী তনয়া বলেছেন: বিশ্বাস হতে চায়না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
ভবোঘুরে মুন্না বলেছেন:
১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: কিছু ব্যাপার রহস্য হয়েই থাক
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: ঘটনাটা অদ্ভুত তো।