নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে প্রথম নারী ছত্রীসেনা (প্যারাট্রুপার) হিসেবে সফলভাবে অবতরণের সম্মান অর্জন করেছেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জান্নাতুল ফেরদৌস। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২০মিনিটে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসের পানিছড়া এলাকায় তিনি বিমানবাহিনীর একটি বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সফলভাবে মাটিতে অবতরণ করেন।
এক হাজার ফুট উঁচু থেকে এই অবতরণের মাধ্যমে জান্নাতুল ফেরদৌস শেষ করেন তাঁর প্রশিক্ষণ। এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব মজা। বিস্ময়কর লাগছে। মনে হচ্ছে আরেকবার জাম্প দিই।’
জান্নাতুল ফেরদৌসের মতে, এ কাজে সামরিক বাহিনীর অন্য নারীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, ‘এটি খুব সাহসিকতাপূর্ণ কাজ। প্রথমে ভয় করছিল। তবে প্রশিক্ষণ শেষে বিষয়টাকে সাধারণ মনে হয়েছে।’ উপস্থিত সবাই তাঁর সফলতাকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।
জান্নাতুল ফেরদৌসের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায়। ব্যবসায়ী বাবা ও গৃহিণী মায়ের চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে জান্নাতুল তৃতীয়। বর্তমানে মিলিটারি একাডেমির কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৫৯তম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন একটি সুখী বাংলাদেশের।
ছত্রীসেনা দলের প্রধান প্রশিক্ষক লে. কর্নেল এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ছত্রীসেনা হতে সামরিক বাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে এত দিন কোনো নারী সাহস দেখাননি।
prothom-alo
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
অপরাজিতা হিমু বলেছেন:
ভাবতে এবং বলতে খুব ভাল লাগছে যে, উনি আমার গ্রামের মেয়ে (নাহ্ আমি উনার গ্রামের)। উনার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার (সাবেক সদর) বিষ্ণুপুর গ্রামে। তাঁর বাবা আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারে চাকরি করতেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অভিনন্দনতো বটেই বরং সম্মান জানাচ্ছি দেশের অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে দেশ মাতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। আপনাদের ভূমিকাই আগামীতে নারী সমাজকে উদ্বুদ্ধ করবে দেশের জন্য কাজ করতে। শুভকামনা রইল।