নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন এক বড় মহাজন

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে

মুনযুর-ই-মুর্শিদ

মুনযুর-ই-মুর্শিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলতলে অবাক সভ্যতা

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৭





১.তিতিকাকা হ্রদের অতলে



পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় সভ্যতার খোঁজ মেলে তিতিকাকা হ্রদের অতলে। তিতিকাকা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত হ্রদ। এই হ্রদের নিচ থেকে যখন প্রথমবারের মতো প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ মিলতে শুরু করে তখন বিস্ময়ে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন গবেষকরাও। তিতিকাকা হ্রদটি রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু ও বলিভিয়ার মাঝামাঝি জায়গায়। প্রায় ৩২০০ বর্গমাইল আয়তনের এই বিশাল হ্রদে মাঝখানে ভীষণ গভীর। সেখানের গভীরতা প্রায় ১০০০ ফুট। ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাচীন ইনকা সভ্যতারও অনেক আগে থেকে দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীরা এই হ্রদটি পবিত্র বলে মান্য করত। লোককথা প্রচলিত আছে, এই হ্রদ থেকে দেবতা ভিরাকোচা উঠে আসেন। তিনি তিয়াহুয়ানাচো নামের একটি জায়গায় আসেন প্রথম আন্দিজ পর্বতমালার অধিবাসীদের পূর্বপুরুষকে তৈরি করার নিমিত্তে। তিতিকাকা হ্রদের জলতলে এই সভ্যতার যে স্থাপনাগুলো দেখতে পাওয়া যায় তা দেখে অনুমান করা হয়, এটি আসলে প্রাচীন কোনো মন্দির বা উপাসনালয়ের ভগ্নাবশেষ। আজও গবেষকরা ভেবে পান না পানির এত গভীরে কী করে এমন একটি স্থাপনার নানা অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এমনিতে হ্রদের নিচে এই সভ্যতার নিদর্শনগুলো ডুবে থাকলেও শুকনো মৌসুমে স্থানীয়রা এটি দেখতে যান। তাদের কাছে এটি প্রাচীন যুগের প্রাসাদ। এখনো প্রচলিত আছে, আগে যখন ডুবুরিরা মুক্তার সন্ধানে রওনা হতো তখন তারা পানির নিচে গিয়ে এই ডুবন্ত স্থাপনার ছাদ স্পর্শ করে আসত। এটা তারা আসন্ন সাফল্যের প্রত্যাশায় করত। এই জলতলে ডুবে থাকা সভ্যতার নানা বিষয় নিয়ে বিশদ গবেষণার জন্য ফরাসি সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাক কস্টিউরের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রচলিত ধারণার বেশির ভাগই মুখের কথা ভেবেই তিনি সরাসরি পানির নিচে অনুসন্ধান চালান। তিনি প্রাচীন গুপ্তধনের সন্ধানে এই জায়গাটিতে অভিযান চালিয়ে খুব একটা সফল হননি। তবে প্রাচীন সভ্যতার বেশকিছু নিদর্শন তিনি খুঁজে বের করেন। পানির নিচ থেকে প্রাচীন তৈজসপত্র নিয়ে উঠে আসেন তিনি। এরপর ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ান সরকার ও ১৯৮৮ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি তিতিকাকা হ্রদের নিচে বৈজ্ঞানিক তথ্যের জন্য অভিযান চালিয়েছে। ধীরে ধীরে আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের মাধ্যমে আরও উপযুক্ত অভিযান চালানো হয়েছে হ্রদটির নিচে। বিভিন্ন দেশের প্রত্নতত্ত্ববিদরা হ্রদের নিচের অনেক প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন উপাদান খুঁজে পান। বেশিরভাগ নমুনা নিদর্শনেই মিলেছে হ্রদের প্রায় ১০০ ফুট গভীরতা। ২০০০ সালে চমকপ্রদ খবর বের হয়ে আসে গবেষকদের কাছে। এবার হ্রদের নিচে পাওয়া যায় আস্ত একটি মন্দির।



সেটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২০০ মিটার ও প্রস্থের দিক দিয়ে ছিল ৫০ মিটার। মন্দিরের সঙ্গে আরও পাওয়া গেছে শস্য মাড়াইয়ের জন্য ব্যবহৃত ট্যারেস বা ছাদ, একটি লম্বা রাস্তা ও ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যের লম্বা দেয়াল। এখনো রহস্যের শেষ খুঁজে পাননি গবেষকরা। তবে তাদের দাবি ভয়াবহ কোনো বন্যার কবলে পড়েই পানির নিচে ডুবে গিয়েছিল এই প্রাচীন সভ্যতা।

Click This Link



২.ক্লিউপেট্রা প্যালেস



সানকেন রুইনস বলে ইতিহাসে জায়গা পেয়েছিল ক্লিউপেট্রার প্যালেসের ধ্বংসাবশেষ। গবেষকরা দাবি করেন, প্রাচীন ইজিপশিয়ান সভ্যতার সবচেয়ে শক্তিশালী নিদর্শন এই জলতলের ভগ্নাবশেষগুলো। ইজিপ্টের আলেকজান্দ্রিয়া উপকূল। বীরযোদ্ধা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের শহর। ধারণা করা হয়, প্রায় ১৫০০ বছর আগে এখানে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতেই ফুঁসে ওঠে সমুদ্র। উত্তাল, উঁচু ঢেউ ছুটে আসে শহরের দিকে। এতে শহরের বড় বড় দালান, স্থাপনা, মূর্তি সব ভেঙে চুরমার হয়ে হারিয়ে যায় সমুদ্রে। বাদ যায়নি কিংবদন্তি ক্লিউপেট্রার রাজপ্রাসাদও। প্রাসাদের বড় বড় কলাম গুঁড়িয়ে যায় রহস্যের অাধার এই প্রাসাদ। এই সভ্যতার খোঁজ মিলে একটি মন্দির আবিষ্কারের মাধ্যমে। ধীরে ধীরে মিলতে থাকে আলেকজান্দ্রিয়ার নগর সভ্যতার নানা উপকরণ। এখানে খুঁজে পাওয়া সমাধিস্তম্ভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় আছেন গবেষকরা। মোট ১৪০টি সমাধিস্তম্ভ খুঁজে পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত। ক্লিউপেট্রার আত্মহত্যার পর এগুলো নির্মিত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর্কিওলজিস্টরা এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, এখানে পানির নিচে সেই সভ্যতার একটি গোটা জাদুঘরের খোঁজ মিলতে পারে।

Click This Link



৩.প্যাভলোপেট্রি পেলোপনিজ



প্যাভলোপেট্রি পেলোপনিজ একটি গোটা শহর যেন। সমুদ্রের নিচে ডুবে থাকা এই শহরটি বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় ডুবন্ত সভ্যতা। গ্রিসে থাকা এই ডুবন্ত শহর যেন চির রহস্যে ঢাকা এক সভ্যতার নিদর্শন। আর্কিওলাজিক্যাল শহর হিসেবেও এই ডুবন্ত শহরের আলাদা পরিচিতি আছে। প্রথমবারের মতো খোঁজ পাওয়ার পর যখন ডুবুরি নামিয়ে গবেষণা শুরু হয় তখন পানির নিচে নেমে হতবাক হয়ে যান ডুবুরিরা। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েন তারা। কারণ আর কিছুই নয়, পানির নিচে এ যেন পরিপূর্ণ এক শহর। আমাদের চেনা উন্নত বিশ্বের রাজধানীও এর তুলনায় কিছুই নয়। সুপ্রশস্ত রাস্তাঘাট, দালান, বাড়িগুলোর সামনে বাগানের মতো প্রশস্ত জায়গা। মন্দির ও বাড়িগুলোর উন্নত নকশার তুলনা হয় না। ২০০৯ সালে পানির নিচে ডুবে থাকা এই শহরের একটি মানচিত্র দাঁড় করাতে সমর্থ হন গবেষকরা। তাতে বিস্ময়ে চোখ কপালে ওঠে যায় তাদের। ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত্ব এই শহরটির নগরপরিকল্পনা আধুনিক সময়ের স্থাপত্যবিদদের চেয়ে অনেক মানসম্মত ও উন্নতই নয়, এ যেন কল্পনার মডেল শহর। পানির নিচের এই শহরটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ভ্র হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

Click This Link



৪.হেরাক্লেয়ন অ্যান্ড ক্যানোপাস



আবু কায়ের বে, ইজিপ্ট। উপরের শান্ত সমুদ্র। মৃদুমন্দ বাতাসে নিশ্চল পরিবেশ। কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই এই সমুদ্রের নিচেই দিব্যি বিছিয়ে আছে বিশাল এক সভ্যতার অবাক নিদর্শনসমূহ। প্রাচীন ইজিপ্টে প্রবেশদ্বারের মতো দুটি যমজ শহর নামে পরিচিত হেরাক্লেয়ন ও ক্যানোপাস। ইতিহাসের বিখ্যাত যুদ্ধনগরী ট্রয়ে পৌঁছাতেও কিং স্পার্টার ম্যানেলাস হোমটাউন বলে খ্যাতি ছিল এটির। এখানে প্রায় ১০ বছর সময়কালে নির্মিত শহুরে নানা আয়োজন আজও বিস্ময় জাগায়। ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা দাবি করেন, ১২০০ বছর আগে এখানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। তাতেই তছনছ হয়ে যায় এই সাজানো-গোছানো দুটি শহর। ১৯৯৯ সালের আগে এই দুটি শহর নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন ইতিহাসবিদরা। অবশেষে যখন এটির খোঁজ মিলে তখন গণিতের মতোই নানা রহস্যভেদ হতে শুরু করে। প্রাচীন সভ্যতার নানা রোমাঞ্চকর উপাদান মিলেছে এখান থেকে। এক সময় এই নগরী দুটির বর্ণনাকে রোমান মিথলজির নেহায়েত গল্পের শহর মনে করা হলেও সে ভুল ভাঙে সবার। বন্যায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আগে এই শহরেও দালান, বাড়ি, মন্দির ও উন্নত রাস্তাঘাট ছিল। এসবই খুঁজে পাওয়া যায় সমুদ্রতলের ৭ ফুট নিচে।



http://www.bd-pratidin.com/2014/03/06/47111







মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮

বেলা শেষে বলেছেন: Good writing, good editing, good selection....
Up to next time...

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাল লাগল।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ভাল কিছু পরলাম। লেখাটার বাচন ভঙ্গি অনেক চমৎকার এবং আকর্শনয়ি। ধন্যবাদ

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০১

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: স্বাগতম

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: স্বাগতম

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৩

এম এ কাশেম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট,

জানতাম না তো আগে,

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৬

নূর আদনান বলেছেন: বিস্ময়কর বটে

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: হ্যা আসলেই বিস্ময়কর

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

সুমন কর বলেছেন: আপনি দেখি, বশর ভাইকে স্বাগতম জানালেন !! ক্যান পোস্টটি কি আপনি লিখেছেন ??

৬ মার্চ ২০১৪, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ৫নং পৃষ্ঠা থেকে পুরো কপি-পেস্ট করে, যে কেউ পোস্ট দিতে পারে। এভাবে ব্লগিং না করে, ফেসবুকি করেন।

আপনার ব্লগে গিয়ে দেখলাম, খালি পোস্ট দিয়ে যান। অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করেন না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: কেউ ধন্যবাদ জানালে স্বাগতম জানানো যে ভদ্রতা এটা মনে
হয় আপনি জানেন না।অথবা বশর সাহেব আপনাকে কখনও পেদাইছে এমনও হইতে পারে।আমি'ত বলি নাই এটা আমার লেখা তাছাড়া তথ্যসূত্রও উল্লেখ করেছি।জিনিসটা ভালো লাগছে তাই শেয়ার করছি।এখানে রাখ ঢাকের কিছু নাই।আর আপনাকে আমি দাওয়াত দিয়াও পোস্টে আনি নাই।মন্তব্য করবো কি করবোনা এটাও আমার ব্যাপার।সুতরাং নিজের চরকায় তেল দেন।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: +

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

কালীদাস বলেছেন: বর্ণনাটা সাবলীল, ভালই লাগল লেখাটা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.