নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মঃ ১৯২৫ সালে এ্যালার সেতার , কেদা প্রদেশে।
বাবাঃ মোহাম্মদ বিন সিকান্দার
শিক্ষাজীবনের শুরুতে মালয় ভাষায় শিক্ষা শুরু করেন, পরে স্থানীয় ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন।উনার বয়স যখন ষোল উনি স্থানীয় জাপানি স্কুলে ভর্তি হন।সেখানে জাপানি ভাষা শেখেন।
উল্লেখ্য ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপান মালয়েশিয়া আক্রমন করে। তারা সেই সময় জাপানী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিল।
১৯৪৭ সালে KING EDWARD SEVEN MEDICAL COLLEGE ,সিঙ্গাপুরে ভর্তি হন।
১৯৫৩ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রী সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন।
মেডিকেল কলেজে পড়া অবস্থায় প্রনয়ে জড়ান সহপাঠী সিথি হাসমা এর সাথে।পরবর্তীতে হাসমাকে বিয়ে করেন।
ডাঃমাহাথির প্রেমিক বটে কিন্তু কখনও নারী ঘটিত স্ক্যান্ডালে নিজের নাম লেখান'নি।
১৯৫৩ সালে দেশে ফিরে এ্যালার সেতার মাহা ক্লিনিক নামে স্বাস্থ্য সেবাদান কেন্দ্র গড়ে তোলেন। তিনি এখানেই বহুদিন জনসাধারনকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে গেছেন।
১৯৬৪ সালে UMNO(UNITED MALAYAN'S NATIONAL ORGANISATION) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৫ সালে UMNO এর সুপ্রীম কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালে UMNO থেকে তার সদস্য পদ খারিজ করা হয় 'টিংকু আব্দুর রহিম " তথা "মালয়েশিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করে লেখালেখি করায়।
১৯৭০ সালে UMNO তে উনার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়।
১৯৭২ সালে উনি আবার UMNO তে যোগ দান করেন।
১৯৭৩ সালে সিনেটর নির্বাচিত হন।
১৯৭৪ সালে শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
মাহাথির বিন মোহাম্মদকে "আধুনিক মালয়েশিয়ার" জনক বলা হয়।
উনার শাসনামলে বিভিন্ন অলাভজনক সরকারী প্রতিষ্ঠানের বেসরকারীকরণ শুরু করেন।এর মধ্যে বিমান চলাচল থেকে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ ও ছিল।এতে প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মুখ দেখার সাথে সাথে সরকার বিরাট অংকের রাজস্ব পেতে শুরু করে ;সেই সাথে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
এছাড়া বিভিন্ন উৎপাদনমুখী খাতে সরকার সাহায্যের হাত বাড়ায়।এর ফলে দেশের রপ্তানী বাড়তে থাকে।সরকারী বিভিন্ন আয় থেকে দেশে ব্যাপক অবকাঠামো গত উন্নয়ন করা হয়।
ডাঃমাহাথিরের সরকার শিক্ষা,সংস্কৃতির উন্নয়নেও অবদান রাখেন। উনার শাসনামলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রয়োজনে দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং এই মেধা যেন আবার দেশে ফিরে আসে সেই ব্যবস্থা ও রাখা হয়। এত সব অবদানের জন্য উনাকে "আধুনিক মালয়েশিয়ার" জনক বলা হয়।
যুগে যুগে সব সমাজেই কিছু লোক ছিল যারা সমাজের উন্নতি হোক তারা তা চায় না ;নতুন যে কোন পরিবর্তনেই বাঁধা দিতে চায়।এমন মানুষের মেলা ডাঃমাহাথিরের সময়েও ছিল কিন্তু তিনি তাদের কঠোরভাবে কিন্তু গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় দমন করেন।
উনার একটাই লক্ষ্য ছিল দেশের সার্বিক উন্নতি কিভাবে করা যায়।পারতপক্ষে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে বাইরে থেকে কোন মোড়লকে নাক গলাতে পর্যন্ত দেন নি। আবার বহিঃবিশ্বের সাথে সুসম্পর্কও বজায় রাখতে সক্ষম ছিলেন।
উনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে মোড়ল সমাজকে নাক গলাতে না দিলেও বাজার রক্ষার খাতিরে হলেও তারা তার সরকারের সাথে সুসম্পর্কও বজায় রাখে।
অসম্ভব মেধাবী,দক্ষ,দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসক রাষ্ট্রনায়ক দীর্ঘ ২২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। দেশকে একটি নির্দিষ্ট প্রগতীর পথে পৌছে দিয়ে ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন; যা এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
বেঁচে থাকুন ডাঃমাহাথির,বেঁচে থাকুক মালয়েশিয়া !
তথ্যসূত্রঃ Click This Link
Click This Link
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:১৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আমরা কবে একজন মাহাথির পাব?
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: বলা মুশকিল । তবে অপেক্ষায় থাকতে পারি।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
রাজীব বলেছেন: আমরা কি তার মতো একজনকে ভোট দিবো??
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম একজন মাহাথির আমাদের দেশে ১০ বছর শাসন আমরা মালয়েশিয়ার কাছাকাছি চলে যেতুম। অবশ্য দুর্ভাগ্য আমাদের সেটা আর হবার নয়!