নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০ বছর আগে ১৯৯৪ সালের এপ্রিলে আফ্রিকার রুয়ান্ডায় চালানো হয়েছিল এক গণহত্যা৷ মাত্র একশো দিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় আট লক্ষ মানুষ৷
১৯৯৪ সালের ৬ এপ্রিল অজ্ঞাত হামলাকারীরা রুয়ান্ডার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে৷ এতে হাবিয়ারিমানা ও তাঁর সঙ্গে থাকা বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট সহ আরও আটজন নিহত হন৷ এর পরদিন থেকেই শুরু হয় গণহত্যা৷
নিহত হওয়া প্রেসিডেন্ট হাবিয়ারিমানা হুটু জনগোষ্ঠীর সদস্য৷ তাঁর সরকার টুটসি সম্প্রদায়ের দল ‘রুয়ান্ডান প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট’ (আরপিএফ)-এর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছিল৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়েছিল উগ্র হুটুরা৷ এঁদের মধ্যে সরকারে থাকা অনেক সৈন্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন৷ ফলে উগ্রবাদীরা ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য গণহত্যায় অংশ নেয়৷
প্রায় ১০০ দিন ধরে চলা গণহত্যায় প্রাণ যায় প্রায় আট লক্ষ মানুষের৷ উগ্রপন্থি হুটুরা পরিকল্পনা করে টুটসি সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা করা শুরু করে৷ যেসব হুটু এই হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা করেছিলেন তাদেরও মেরে ফেলে হুটু উগ্রবাদীরা৷ মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, রাজনীতিক কেউ রেহাই পায়নি৷ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়৷
১৯৯৪ সালের এপ্রিলে গণহত্যা শুরুর তিনমাস আগে জাতিসংঘে একটি সতর্কবাণী পাঠিয়েছিলেন রুয়ান্ডা বিষয়ক জাতিসংঘ মিশনের কমান্ডার রোমিও ডালেয়ার৷ কিন্তু সে সময় তাঁর কথা শোনা হয়নি৷ এই সতর্কবার্তাটি সেসময় ‘জেনোসাইড ফ্যাক্স’ নাম পেয়েছিল৷
রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালির কাছের একটি গির্জায় প্রায় চার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল৷ দা, ছুরি ও কুড়াল দিয়ে তাদের মারা হয়৷ এখনো ঐ গির্জায় গেলে কঙ্কাল, মানুষের শরীরের হাড় ও দেয়ালে বুলেটের আঘাত দেখতে পাওয়া যাবে৷
রুয়ান্ডার হুটু সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের ভালো সম্পর্ক ছিল৷ তাই গণহত্যা শুরুর দুই মাসের মাথায় সেদেশে সেনাবাহিনী পাঠায় ফ্রান্স৷ ফরাসি সেনারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত রুয়ান্ডার সৈন্য ও জঙ্গিদের প্রতিবেশী দেশ জাইর (বর্তমানে ডিআর কঙ্গো) পালিয়ে যেতে সহায়তা করে৷ এই মানুষগুলো এখনো রুয়ান্ডার জন্য হুমকিস্বরূপ৷
গণহত্যা থেকে বাঁচতে লক্ষ লক্ষ টুটসি ও হুটু দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী তানজানিয়া, জাইর ও উগান্ডায় পালিয়ে গিয়েছিল৷
হুটুরা গণহত্যা শুরু করার পর টুটসি বিদ্রোহীদের দল আরপিএফ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ অবশেষে তারা রাজধানী কিগালির নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয়৷
কিগালির দখল নেয়ার পর আরপিএফ নেতা মেজর জেনারেল পল কাগামে ১৯৯৪ সালের ১৮ জুলাই যুদ্ধ শেষের ঘোষণা দেন৷ এর মধ্য দিয়ে তিন মাস ধরে চলা গণহত্যার সমাপ্তি ঘটে৷ উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে কাগামে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
Hotel Rwanda(Movie Based on RWanda Genocide)
Click This Link
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
মুনযুর-ই-মুর্শিদ বলেছেন: আসলেই আমরা এখনো অনেক ভালো আছি।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হোটেল রুয়ান্ডা মুভিটা দেখেছিলাম। আপনার পোস্ট থেকে আরও বিস্তারিত জানা গেল।
++++++++ রইল।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
ধুম্রজ্বাল বলেছেন: আমার এক বন্ধু ছিল যে নিজেকে কংগোলিজ দাবী করতো। কিন্তু তার বায়োডাটা তে লেখা ছিল সে রুয়ান্ডার। আমার ধারনা সে রুয়ান্ডা'র হুতু গোষ্টী'র যে কোন কারনে দেশ থেকে পালিয়ে কংগোতে সেটেল করছে।
তার দিকে তাকালেই হোটেল রুয়ান্ডা সিনেমা'র কথা মনে হত
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৭
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: এক টুটসি বন্ধু ছিল।তার দেশের কথাগুলো শুনে শুধুই ভাবতাম অনেক ভালো আছি আমরা।শুধু একটা নমুনা বলি,ওখানে বাংলাদেশী টাকার একটি একে-৪৭ রাইফেল মাত্র ২হাজার টাকায় পাওয়া যায়।যারা পড়াশোনা করে তারা সবাই আমেরিকা চলে যেতে চায়।