নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন এক বড় মহাজন

মনের কথা ব্লগে বলে ফেলুন,নয়তো মনে কথার বদহজম হবে

মুনযুর-ই-মুর্শিদ

মুনযুর-ই-মুর্শিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে নারী পোশাকের বিবর্তন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

ফ্যাশন ইতিহাসবিদ এবং ব্লগার টুলিকা গুপ্তা ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতীয় নারীরা কি ধরনের পোশাক পরতেন সেদিকে ফিরে তাকিয়েছেন।

তিনি বলছেন, যৌনতা বা কামের বিষয়ে প্রত্যেকটা দেশেরই নিজস্ব একটা ধরণ আছে। বহু ভারতীয় যে ধরনের পোশাককে আজকাল শালীন বলে মনে করে সেগুলো মূলত ব্রিটিশরাই তৈরি করেছে।

শুরুতে নারীরা ছিলেন স্বল্পবসনা। ছিলো শুধু দুই টুকরা কাপড়। তখন নারীরা অল্প কিছু কাপড় পরতো।

মৌর্য এবং সুঙ্গ যুগে (৩০০খৃস্টাব্দ) নারী ও পুরুষেরা চারকোনা কাপড় পরতো। শরীরের নিচের দিকে কাপড়কে বলতো অন্তরীয় এর উপরের অংশকে উত্তরীয়।

শালীন পোশাক বলতে তখন একটা ভিন্ন অর্থ ছিলো। শুধু মুখ আর শরীর ঢেকে রাখার মধ্যেই তা সীমিত ছিলো না। ভারতের উষ্ণ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই মানুষ কাপড় পরতো।

এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ একেক রকমের কাপড় পরতো।
দক্ষিণ ভারতে, এমনকি ঔপনিবেশিক আমলেও, কোনো কোনো নারী তাদের শরীরের ওপরের অংশ ঢেকে রাখতো না।

তারপর পোশাক আশাকে গ্রিক, রোমান, আরব এবং চীনা প্রভাব পড়তে শুরু করলো।

১৫শ শতাব্দীতে হিন্দু মুসলিম নারীরা আলাদা রকমের পোশাক পরতো।
কি ধরনের কাপড় পরতে হবে তার লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিলো না।

তবে মুসলিম নারীরা সাধারণত নিজেদেরকে ঢেকে রাখতো। সেজন্যে তারা আলাদা আলাদা কয়েকটি কাপড় পরতো যেখানে থেকে সালওয়ার কামিজের জন্ম।


কিন্তু ভিক্টোরিয়ার আমলে, বিশেষ করে বাংলায়, যখন কোনো কোনো নারী তাদের শাড়ির নিচে ছোট্ট ব্লাউজ পরতো না, তখন তাদের বক্ষ উন্মুক্ত থাকতো। কিন্তু সেটা ভিক্টোরিয়ান সমাজের সাথে যুৎসই ছিলো না। তখন ব্লাউজের প্রচলন শুরু হলো।

সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জনদানন্দিনী দেবী আজকে যেভাবে ব্লাউজ পরা হয় তার ধারণা তৈরি করেন, কারণ শাড়ির নিচে নগ্ন বক্ষের কারণে তাকে ব্রিটিশ রাজের আমলে তাকে ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভিক্টোরিয়ানরা চাইতো নারীরা ব্লাউজ পরুক।

সেখান থেকেই আজকের ব্লাউজ ও পেটিকোটের সূচনা।

ভারতীয় নারীদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখা।
তারপর সময়ের সাথে ব্রিটিশ প্রভাব বাড়তে লাগলো।

চালু হলো নানা ধরনের ব্লাউজের চল। কি ধরনের পোশাক পরতে হবে তার জন্যে ভারতে লিখিত কোনো কোড নেই। যে পোশাক আরামদায়ক আর শালীন সেটাই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসি

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুব সংক্ষিপ্ত!


ভালো থাকবেন :)

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

সুমন কর বলেছেন: আরো তথ্য সংযুক্ত করার দরকার ছিল।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

সোহানী বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ নতুন কিছু জানানোর জন্য। তবে জনদানন্দিনী দেবীর বিষয়টি জানা ছিল। লিখায় ++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.