নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশফিক এর বাংলা ব্লগ

মেঘনা পাড়ের ছেলে

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত

মেঘনা পাড়ের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেসরকারী স্কুলের বেতন ও ফি\'র অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী অনুগ্রহকরে দৃষ্টি দিন

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

নতুন বছরে ঢাকার বেসরকারী স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ইস্যুটা জটিল আকার ধারন করছে যেটা স্কুল, স্টুডেন্ট বা সরকার কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। ঢাকার নামকরা ২টি স্কুলের মাসিক বেতন স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত্য বাড়িয়েছে। কাকরাইলে অবস্থিত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে প্রথম শ্রেনীতে গতবছর মাসিক বেতন ছিলো ১৩০০ টাকা সেটাকে বাড়িয়ে এই জানুয়ারীতে কর্তৃপক্ষ ২১০০ টাকা করেছে। ঢাকার নামকরা ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম শ্রেনীর বেতন গতবছর ছিলো ১০০০ টাকা এবছর তাকে বাড়িয়ে কর্তৃপক্ষ ১৭০০ টাকা করেছে। দুটি স্কুলেই এই ইস্যুটি নিয়ে অভিবাবকরা যৌক্তিকভাবেই প্রচন্ডরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

একটা সমাজে আয় এবং ব্যায়ের ক্রমাগত পার্থক্যই যাবতীয় আর্থিক অনিয়ম তথা দুর্নীতিকে বাড়িয়ে দেয়। এই বর্ধিত ব্যায় মিটাতে গিয়েই মানুষ অসৎ পথে আয়ের দিকে আকৃষ্ট হয়। সন্তানের শিক্ষাজীবন ও নিরাপত্তার স্বার্থে অভিবাবকরা এখানে চুড়ান্তভাবেই অসহায়। তাদের এই অসহায়তাকে পুাঁজি করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে যায়। সরকারী স্কুলের স্বল্পতাজনিত কারনে অভিবাবকরা বাধ্য হয়ে বেসরকারী স্কুলের শরনাপন্ন হয়। এখানে সরকারের সীমাবদ্ধতাকে সরকার কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারে না। তাই এই অযৌক্তিক বেতন বৃদ্ধি বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এখানে উল্লেখ্য, কয়েক বছর পর নতুন বছরে সরকার তার কর্মচারীদের বেতন প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। স্কুলগুলি তাদের এই বেতন বৃদ্ধিকে সরকারের বেতন বৃদ্ধি দেখিয়ে হালাল করতে চাচ্ছে, যদিও প্রতিবছরই তারা ছাত্র বেতন ও ফি বাড়িয়ে নেয়। সারাদেশে সরকারী কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ। এই ১৩ লক্ষ কোনভাবেই পুরো দেশের বাকী সিংহভাগ বেসরকারী চাকুরীজিবীকে প্রতিনিধিত্ব করেনা। সরকারের দেখাদেখি বেসরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন কোনভাবেই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত্য বাড়বে না এটা হলফ করেই বলে দেয়া যায়। এমনকি এটা ৫০ শতাংশও বাড়বে না । খুব বেশী ঝোলাঝুলি হলে হয়তোবা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়লেও বাড়তে পারে।

প্রাথমিক-মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা যেহেতু সরকারী সিদ্ধান্তেই আমাদের বাচ্চাদের অধিকার, সেহেতু এই পর্যায়ের যাবতীয় বিষয় সরকারের নজরে থাকা অতি আবশ্যক।

এখানে শুধুমাত্র দুটি নামকরা স্কুলকে উদাহরনসরূপ দেখানো হলো। বাকী স্কুলগুলিও নিশ্চই এই ধরনের অন্যায় সিদ্ধান্তের বাইরে নয়। আরও একটা বিষয় এখানে না বললেই নয়, এই বিষয়ে সরকার যখনই পজিটিভলি কোন ডিসিশন জানাবে, তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র বেতনটা কমিয়ে দিয়ে অন্যান্য ফি অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেবে সেটা আগেই বলে রাখছি পুর্বঅভিজ্ঞতায়।

টপিকের বাইরে গিয়ে এখানে আরও গুরুত্বপুর্ন কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করছি। বেসরকারী স্কুলগুলি ছাত্র বেতনের বাইরেও অনেকরকম অযৌক্তিক ফি’ও ধার্য্য করে থাকে, যা তারা বিভিন্ন সময়ে অভিবাবকদের কাছথেকে আদায় করে থাকে। স্কুলের বই-খাতা-ড্রেস বাবদ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্য করে বাজার দামের চাইতে অনেক বেশী দামে তাদের নির্ধরিত দোকান থেকে প্রোডাক্ট নিতে। দুঃখজনকভাবে কোচিং বিষয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের পরও ঢাকার নামিদামী স্কুলগুলি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্য করে তাদের টিচারদের কাছে কোচিং করতে। অভিবাবকরা সন্তানের নিরাপত্তা ও শিক্ষাজীবনের নির্বিঘ্নতার স্বার্থে এধরনের অনিয়ম মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই সামগ্রিক বিষয়ের দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন নাগরিক-অভিবাবকদেরও এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করা এখন সময়ের দাবী।

একটা সমস্যা সমাধানের প্রথম শর্তই হলো সমস্যাটাকে এড়িয়ে না গিয়ে, অস্বীকার না করে স্বীকার করে নেয়া। তাহলেই সেই সমস্যাটিকে সমাধান করার একটি পথ পাওয়া যায়। তা নাহলে কোনদিনই সমস্যা সঠিকভাবে সমাধান করা যায় না, দিনদিন সমস্যা বাড়তে বাড়তে জটিল আকার ধারন করে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: সহমত জানাই। নিন্দা জানাই স্কুলে অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধির। শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: নিজনিজ জায়গা থেকে সচেতন সবাইকে এই ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: সারাদেশে সরকারী কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ। এই ১৩ লক্ষ কোনভাবেই পুরো দেশের বাকী সিংহভাগ বেসরকারী চাকুরীজিবীকে প্রতিনিধিত্ব করেনা। সরকারের দেখাদেখি বেসরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন কোনভাবেই ১০০ শতাংশ পর্যন্ত্য বাড়বে না এটা হলফ করেই বলে দেয়া যায়। এমনকি এটা ৫০ শতাংশও বাড়বে না । খুব বেশী ঝোলাঝুলি হলে হয়তোবা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বাড়লেও বাড়তে পারে। --- ভালো বলেছেন। সহমত।

+।

বেসরকারী চাকুরীজীবিদের বেঁচে থাকাটাই যেন কষ্টকর !!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ হওয়া উচিত

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভিকারুন্নেসায় ভর্তির জন্য ৫/১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়; বেতন কেন সমস্যা হচচ্ছে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সেই ইস্যুটা ভিন্ন ইস্যু। ভেতর থেকে দেখা আর বাইরে থেকে দেখাটা ভিন্ন হয়। কেউ কেউ ৫/১০ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের স্ট্যাটাস বাড়ানোর জন্যযে ভর্তি করায় না তা নয়। তবে এগুলি অল্প।

আমি কথা বলছি বৃহৎ পরিসরে। যেখানে হাজার হাজার স্টুডেন্ট ও তার অভিবাবকদের আর্থিক স্বার্থ জড়িত।

শেষ প্যারাটাও অনুগ্রহকরে পড়ে দেখুন।

সর্বশেষ আপডেট : আজ সকালেই অফিস আসার পথে দেখলাম, পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।

দৈনিক প্রথম আলো আজ এই টপিকটাকে হাইলাইট করে প্রথম পাতায় বৃহৎ পরিসরে নিউজ করেছে পরিস্থিতি বিবেচনায়।

সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবেই..................

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগামী বছর বাচ্চাকে স্কুলে দিবো। বাসার কাছেই একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুল আছে। ওটার কথা ভাবছি সিরিয়াসলি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাবনাটা বাস্তবায়ন করা পারিপার্শিকতাজনিত কারনে কঠিন হবে। একই ভাবনা আমারও ছিলো, কিন্তু সফল হই নি। সে আরেক ইতিহাস। :D

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন:
সর্বশেষ আপডেট : আজ সকালেই অফিস আসার পথে দেখলাম, পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।

দৈনিক প্রথম আলো আজ এই টপিকটাকে হাইলাইট করে প্রথম পাতায় বৃহৎ পরিসরে নিউজ করেছে পরিস্থিতি বিবেচনায়।

সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবেই..................

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কাল সকাল বেলায় ভিকারুননিসার সামনে অভিবাবকদের বিক্ষোভ কর্মসুচি আছে.................

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৫

আলাপচারী বলেছেন: মুন্সি আব্দুর রউফ স্কুল এন্ড কলেজ। বিজিবি।
গত বছর ৮ম শ্রেনীতে বেতন ছিল ৯৫০। এবার ৯ম শ্রেনীতে ১৯৫০।
বার্ষিক ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল সর্বোচ্চ ৫০০০। এবার ধরেছে ৮৯০০। বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে এই ৮৯০০। খরচের খাত তৈরীতে ব্যাপক সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়েছে শিক্ষক নামী এই ব্যবসায়ীরা থুক্কু বেশ্যারা ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত্য শিক্ষার উপর সঠিক সরকারী নিয়ন্ত্রন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। তিল পরিমান অনিয়ম দেখলেও নিজের স্বল্প পরিসরে হলেও যদি যথাযথ প্রতিবাদ হয় তাহলে সমাজের অনিয়ম অনেকটাই কমে আসে।

আমাদের এই ছোট ছোট প্রতিবাদ মহীরুহ হয়ে ফল দেয়া শুরু করেছে, আজই সন্ধ্যায় টিভিতে স্ক্রলে নিউজ দেখলাম সরকারী সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ একটাকাও বেতন বাড়াতে পারবে না। বেতন বাড়াতে হলে সরকার তা যৌক্তিকভাবে নির্ধারন করে দেবে।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যে সব জাতি এ যুগে ফি নিয়ে পড়াবে, তারা বাকী বিশ্বের জন্য শ্রমিক হবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সম্পুর্নভাবে একমত আপনার কথার সাথে। এই দাবি নিয়ে ভয়েস রেইজ আমাদেরকেই করতে হবে।

সবাইকে বুঝতে হবে আসমান থেকে কেউ এসে আমাদের পরিবর্তন করে দিয়ে যাবে না, আমাদের সুপরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে।

আমাদের এই ছোট ছোট প্রতিবাদ মহীরুহ হয়ে ফল দেয়া শুরু করেছে, আজই সন্ধ্যায় টিভিতে স্ক্রলে নিউজ দেখলাম সরকারী সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ একটাকাও বেতন বাড়াতে পারবে না। বেতন বাড়াতে হলে সরকার তা যৌক্তিকভাবে নির্ধারন করে দেবে।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিশু ও তরুণের নাগরিক অধিকার কি?

আমার মতে ফ্রি পড়ালেখা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অবশ্যই

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ১ বছর লিখেননি; সব ঠিক আছে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সব ঠিকই আছে, । ইদানিং লিখতে ইচ্ছে করে না। মনে হয়, কি জন্য লিখবো, কার জন্য লিখবো। যদিও এটা ঠিক না, চেষ্টা করছি এটা কাটিয়ে উঠার..............

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন,
"মনে হয়, কি জন্য লিখবো, কার জন্য লিখবো। যদিও এটা ঠিক না, চেষ্টা করছি এটা কাটিয়ে উঠার.............. "

-মানুষের জন্য লিখবেন; দেশের ৫৫% মানুষ লিখতে জানে না; ৭০% মানুষ ব্লগিং কাকে বলে বুঝে না; সেইজন্য লিখবেন। সামু আমাকে আটকায়ে রাখে, তারপরও লিখি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সত্যি করে বললে আপনার নিকই আমাকে আবার ব্লগে ফেরত এনেছে, অফলাইনে গত প্রায় ২ বছরের আপনার সবগুলি পোষ্টই আমি পড়েছি।

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৩

মোঃ গাউছুল আজম বলেছেন: প্রথম শ্রেণীতে ২১০০/১৭০০ টাকা বেতন । এদের নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাই শুধু এই হলেও চলতো। এই মাসেই টিউশন ফি নাম দিয়ে দুদিন আগে ভিকারুননিসাতে ২য় শ্রেণীতে ২৬০০ টাকার আরেটা শ্লিপ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.