নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশফিক এর বাংলা ব্লগ

মেঘনা পাড়ের ছেলে

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত

মেঘনা পাড়ের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুটি ঘুমন্ত বাচ্চা ও একটি ঘুমন্ত কুকুর ; একটি ছোট্ট প্রশ্ন

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৩



ওরা তিনজন প্রায় পুরো ওভারব্রিজ দখল করেই ঘুমাচ্ছিলো, যেভাবে বাচ্চারা পুরো বিছানাজুড়ে হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমায়। ওদের শান্তির ঘুমে এই দুমিনিটে কাউকে একটুও ব্যাঘাত ঘটাতে দেখিনি। পথচলতি মানুষের এই আচরন লক্ষ্য করে মনটা সত্যিই ভালো হয়ে গিয়েছিলো। আজই সকাল ৯:৩০ টায় মতিঝিল শাপলা চত্বর ওভারব্রিজ ক্রস করতে গিয়ে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। সাবধানে পার হয়ে যাচ্ছিলাম, কি মনে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাতের ফোনটি নিয়ে দু্টো স্ন্যাপ নিলাম। ছবি তোলার পর একটু দুরে দাঁড়িয়ে দু মিনিট মানুষের আচরন লক্ষ্য করলাম। যে আমি আজ থেকে ২০ বছর আগেও গ্রামে গেলে দেখতাম দলবেঁধে মানুষ (!) নির্বোধ পশুকে কারন ছাড়া পিটিয়ে মারতে। আমাদের দেশের অনেক নাম জানা-অজানা বুনো পশু-পাখি মানুষের অমানুষিক অত্যাচারে বিলীন হয়ে গেছে। সেই মানুষদেরই পরের প্রজন্ম একটু একটু করে হলেও সভ্য হচ্ছে।

আচ্ছা বলুনতো বাচ্চাগুলো আগে ঘুমিয়েছিলো নাকি কুকুরটা আগে ঘুমিয়েছিলো ? আর একটা কথা, দৃশ্যটার আলোকিত দিকটাই আমরা আলোচনায় আনবো, অন্ধকার দিকটা নয়। অন্ধকার দিকটা নাহয় তোলা থাকুক অন্য কোনে পোস্টের জন্য..............আজ মনটা খারাপ করতে চাই না...........

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিশুদের অবস্হা ১৯৭০ সালেও এত খারাপ ছিলো না।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দৃশ্যটার সুন্দর দিকটাই আজ আমরা আলোচনা করি ?

২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ছবির কোন আলোকিত দিক নেই; ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায়, বিনা বেতনে, বিনা খাবারে, নিজ কাপড়ে যুদ্ধ করেছিলেন জাতির জন্য; তাঁরা আরও ২৯ বছর বিনা বেতনে এই জাতির জন্য সম্পদ গড়তে পারতেন; মগজহীনরা সেইসব সুযোগ থেকে জাতিকে বন্চিত করেছে।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনি শ্রদ্ধেয় মানুষ, সর্বোপরি বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা, আপনার কথা মাথা পেতে নেবো।

কিন্তু আজ এখানে আলোর কথা বলবো আমরা, অন্ধকারের কথা নয়। এই দৃশ্যটা কালো দিক সহ্য করার মত নয়। এই দৃশ্যটার সময় আমি মানুষের আচরন লক্ষ্য করেছি। একজন মানুষও ওদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়নি, যেটায় আমি খুবই আশ্চর্য্য হয়েছি। যে আমি আজ থেকে ২০ বছর আগেও গ্রামে গেলে দেখতাম দলবেঁধে মানুষ (!) নির্বোধ পশুকে পিটিয়ে মারতে। আমাদের অনেক নাম জানা-অজানা অনেক বুনো পশু-পাখি মানুষের অমানুষিক অত্যাচারে বিলীল হয়ে গেছে। সেই মানুষদেরই পরের প্রজন্ম একটু একটু করে হলেও সভ্য হচ্ছে, যেটা আমাকে আশার আলো দেখাচ্ছে.............

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৯

জগতারন বলেছেন:
আল্লাহ ওদের সহায় রাখুন প্রার্থনা করি।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: "জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ইশ্বর"

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

জীবন সাগর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রশ্নটার উত্তর দিলেন না তো....... :(

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

জীবন সাগর বলেছেন: আগে তো অবশ্যই ছেলে দুটি ঘুমিয়ে ছিল

৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, আমার কাছে ভালো লেগেছে এই ব্যাপারটা, বাচ্চাগুলি হাঁটার রাস্তা রেখে এক সাইড করেই ঘুমিয়েছিলো। তাদের ঘুমোতে দেখে কুকুরটিও তাদের পাশে এসে গায়ে গা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ও হয়তো ভেবেছে ওরা যেহেতু ঘুমিয়েছে, কেউ বিরক্ত করছেনা। আমিও তাদের সাথেই ঘুমাই.............

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাচ্চাগুলো আগে ঘুমিয়েছিল :) কারণ, বাচ্চারা ঘুমাচ্ছে ব্রিজের কিনারে, ওদের দেখাদেখি কুকুর মহাশয় পাশে ফাঁকা জায়গাটায় গা এলিয়ে দিলেন :) এবার আপনার ধারণা বলুন :)

ছবিটার মানবিক দিক হলো এখানে মানুষের মানবীয় চেহারাটা ফুটে উঠেছে। মানুষে ও পশুতে যে বন্ধুত্ব হতে পারে, একস্থানে অবস্থান করতে পারে, তা পরিষ্কার হলো।

শুভেচ্ছা।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: খুবই দারুন বলেছেন। " ছবিটার মানবিক দিক হলো এখানে মানুষের মানবীয় চেহারাটা ফুটে উঠেছে। মানুষে ও পশুতে যে বন্ধুত্ব হতে পারে, একস্থানে অবস্থান করতে পারে, তা পরিষ্কার হলো।"

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: দিলেন তো মনটা খারাপ করে!

যারা বলে ''দেশ উন্নয়নের মহা সড়কে'' তাদের এই ছবি দেখান।

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মন খারাপের যথেষ্ট উপাদান বিদ্যমান, তবে এই দৃশ্য থেকে আমি মন ভালো করার উপাদান বেশি পেয়েছি......

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় এই কুকুরটা ওদের নিজেদেরই কুকুর । ছোট বাচ্চারা পশু এবং পাখির বন্ধু হয় অনেক বেশি বড়দের চাইতে!

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই এঙ্গেল থেকে ভাবিনি তো ! আসলেই ওরা আগে থেকেই বন্ধু হয়ে থাকতে পারে....... :D

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

চানাচুর বলেছেন: আমি পোস্টটা দেখে প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। তারপর সব মন্তব্য পড়ার এই সিদ্ধান্তে আসি, পশু ও মানুষের মাঝে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের উন্নয়ন হচ্ছে। :|

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: গঠনমূলক মন্তব্যও পোস্টেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ এটা অনেক পাঠকই বুঝেন না। পশু ও মানুষের সহাবস্থা্নই এই ধরনীকে বাসযোগ্য রাখবে.............. :)

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫১

মিঃ আতিক বলেছেন: কুকুরের প্রভু ভক্তির ব্যাপারে সুনাম আছে, ওদের কুকুর হতে পারে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, সেটার সম্ভাবনা আছে.........

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মেয়ের খবর কি? বাবার ব্লগিং বুঝে?

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, ভালো আছে, ২য় শ্রেণী তে পড়ছে। আমার ব্লগিং সে খুব ভালো বুঝে। কিছু কিছু লেখা ওকে পড়তেও দেই। আমি কিছু বুঝাই না আলাদা করে। ও নিজের মত করে বুঝে নেয়।

সে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি আগে বলতাম বাবা এবিষয়টা তুমি এখন বুঝবে না, বড় হলে বুঝবে। তার উত্তরে সে বলতো, বাবা তুমি বল, আমি বুঝবো। তখন যথাসম্ভব সহজ করে ওকে কোন একটা বিষয় ওকে বলি। সে তার মত করে বুঝে। পরে টেস্ট করে দেখেছি, আসলেই সে মোটামুটি বুঝতে পেরেছিলো।

ওকে সময় দিতে গিয়েই একসময় ব্লগে লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছিলাম।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: কুকুরটা মনে হয় পড়ে ঘুমিয়েছে। আবার বিষয়টা এমনও হতে পারে যে, কুকুরটা তাদের পরিচিত বা আশে পাশেই থাকে।

যত উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে ততই মানুষ সনর্বহারা হচ্ছে। সকল উন্নয়ন কৌশল, সকল উন্নয়ন এজেন্ট/সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্টান বন্ধ হলে মনে হয় ২৫০ বছর পূর্বের প্রাচুর্য ও সহনশীলতা সমৃদ্ধিতে ফিরতে পারতাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: স্বাগতে আমার ব্লগে। কুকুরটা তাদের বন্ধু হবারই সম্ভাবনা বেশী............

২য় প্যারাটার সাথে সহমত পোষন করছি............আসলেই মনে হয়...............

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

গরল বলেছেন: আমেরিকাতেও রাস্তায় মানুষ ঘুমায়, এমনকি আমি টোকিওর রাস্তাও হোমলেসদেরকে ঘুমাতে দেখেছি। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। তবে এই ছবির সুন্দর দিকটা হচ্ছে যে রাস্তায় ঘুমন্ত মানুষকে ডিসটার্ব না করলেও পশুদেরকে বাংলাদেশের মানুষ সজ্য করে না, লাথি মেরে সরিয়ে দেয় যা এখানে ঘটে নি। এছাড়াও সরকার এতদিনে একটা আইন করেছে যে বিনা কারণে পশুকে কষ্ট দিলে শাস্তুি পেতে হবে। বাংলাদেশ সভ্য হচ্ছে এটা উপলব্ধি করলাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দারুন মন্তব্যের জন্য। আসলেই দেশ ও মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাচেছ.............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.