নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশফিক এর বাংলা ব্লগ

মেঘনা পাড়ের ছেলে

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত

মেঘনা পাড়ের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন করে রোহিঙ্গা ইস্যু : বাংলাদেশকে সাবধান হতে হবে এখনই

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৫১


নব্বইয়ের দশকের প্রথমদিকে শুরু হওয়া মিয়ানমারের রাখাইন (পুর্বনাম আরাকান) প্রদেশের রোহিঙ্গা-রাখাইন দাঙ্গার প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের দিকে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে ৫ লাখের মত রোহিঙ্গা জনগোস্ঠির অাগমন ঘটে, যাদের মধ্যে ২ লাখের মত জিটুজি চুক্তির ভিত্তিতে ফেরতও যায়। বাকী ৩ লক্ষের মত বাংলাদেশেরই কক্সবাজারে থেকে যায়। ২য় বারের মত ২০১২ সালের দাঙ্গার প্রেক্ষিতে আর ৩য় বারের মত ২০১৬ সালের অক্টোবরের দাঙ্গায়ও হাজারো রোহিঙ্গা জনগোস্ঠি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। আর সর্বশেষ গত কয়েকদিনের রাখাইন রাজ্যের ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। আরও হাজার হাজার সীমান্ত অতিক্রমের অপেক্ষায়। পূর্বঘটনার অভিজ্ঞতার অালোকে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর মনোভাবের কারনে ২০১২ সালের পরিকল্পিত দাঙ্গা সৃস্টি করেও খুব বেশী লাভবান সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি হতে পারেনি। তবে আবারও নতুন করে বিষয়টিকে প্রকটাকার ধারন করানোর চেষ্টা চলছে। লক্ষ্য করলেই আমরা দেখতে পাবো বারবারই একই পরিস্থিতির সৃস্টি করে এই হতভাগ্য জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

অান্তর্জাতিক মিডিয়া মারফত সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তচৌকিতে জঙ্গিদের হামলার জের ধরে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হয়েছে, এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাই ১২ । জঙ্গীদের হামলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা ব্যাবস্থা গ্রহনের ফলে জীবন বাঁচাতে এরই মধ্যে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। এরই মধ্যে ১৪৬ জনকে ফেরতও পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন রাখাইন রাজ্যের ভবিষ্যত উন্নয়ন বিষয়ক চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এধরনের সংঘর্ষের ঘটনা কোনমতেই এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি নামের একটি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের আইএস এর অস্র ও অর্থের উৎস যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির অস্র ও অর্থের উৎসও অামরা বুঝবো। রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সেনা মোতায়েনের পর থেকে সম্ভাব্য অভিযান থেকে নিরীহ জনসাধারণকে সুরক্ষার স্বার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চলতি সপ্তাহে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই উদ্যোগে সাড়া না দিয়ে বরং নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করাতেই বেশী আগ্রহী।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুটির সৃষ্টিই হয়েছেলো পশ্চিমা স্বার্থেরই অংশ হিসেবে, যা আমাদের দেশকেও এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে । সেই স্বার্থেরই একটা ছকের অংশ হলো পরিকল্পিত রোহিঙ্গা-রাখাইন দাঙ্গা, সেটা দিন যতই গেছে ততই সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। আর এই স্বার্থেরই বলি হলো হতভাগ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি, যাদেরকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যাবহার করে দুটি দেশ বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে জটিল এক অবস্থার মাঝে এনে দাঁড় করানো গেছে। এই অঞ্চলে চীন ও ভারতের ক্রমবর্ধমান আর্থিক ও সামরিক সক্ষমতা পশ্চিমা স্বার্থের জন্য হুমকি সরুপ সেটা অনেক আগেই তাদের থিংক ট্যাংকরা অনুধাবন করেছিলো। তবে চীনকে নিয়ে তাদের যতটা মাথাব্যাথা, ততটা ভারতকে নিয়ে নয়। অার স্বার্থ থেকে উদ্ভুত মার্কিন-ভারত স্বল্পস্থায়ী বন্ধুত্ব কতদিন স্থায়ী হয় তা সময়ই বলে দিবে।

চীনের আর্থিক ও সামরিক অগ্রগতিকে ঠেকাতে না পারলে বিশ্বে বড় একটি দেশেল প্রভাব অনেকটাই হ্রাস পাবে সেটা তাদের নীতিনির্ধারকরা ভালকরেই জানে। আর তাই মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তারা দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলে হস্তক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে। তাদের উন্নত কুটনৈতিক নীতি এবং চতুরতার মাধ্যমে তারা এই অঞ্চলে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দেয়ার চেষ্টা অনেকদিন থেকেই চালিয়ে যাচ্ছিলো, যার মাধ্যমে চীন এবং ভারতের বর্তমান সময়ের ক্রম-উন্নতির ধারা কিছুটা হলেও স্লথ করে দেয়া যাবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের গুরুত্ব বেড়েছে তাদের কাছে। তাই এ অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশসমুহে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমারে কোন অভ্যন্তরীন সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে অথবা কুটনৈতিকভাবে পশ্চিমা একটি দেশ ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে তাদের সামরিক অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একথা সর্বজনবিদীত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেই থাকুন না কেনো, তা দিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক পলিসি কখনো ঠিক হয়না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নির্বাচন মার্কিন বিদেশনীতিতে তাৎক্ষনীকভাব মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে কিছুটা ধাক্কা দিলেও তা আগের রাস্তায়ই নতুন করেই চলমান। যেকোন ফ্রন্টে খেলার জন্য তাদের অনেকগুলো পথই সর্বদা খোলা থাকে।

কোন দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিই হলো জ্বালানী। আর তাই চীনের জ্বালানী সরবরাহের রুটকে নিরাপদ রাখার জন্য এবং সুবিধা জনক করার জন্য "স্ট্রিং অব পার্ল" নামক একটি ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে মিয়ানমার এবং পাকিস্তান তার ভুখন্ড চীনকে ব্যবহার করতে দেয় তার জ্বালানী সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য। বাংলাদেশও ভবিষ্যতে এ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে, সেজন্য চীন যথেস্টরকম আগ্রহী যাতে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়েই লাভবান হবে। কিন্তু চীনের এই কর্মপন্থা একটি পরাশক্তির স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে চীনের জ্বালানী সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করা। মায়ানমার যেহেতু ঐতিহাসিকভাবেই চীনের মিত্র, তাই সেখানে তারা সহজে হাত বাড়াতে পারেনি। তবে ইদানিং বহুজাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলির ব্যাপক বিনিয়োগ তাদেরকে মায়ানমারের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের যথেস্ট সুযোগ করে দিচ্ছে। আর বাংলাদেশতো বিদেশীদের সহজ টার্গেট সবসময়ের জন্য । এদেশের রাজনীতিকরাই আগবাড়িয়ে তাদেরকে সে সুযোগ করে দেয় সর্বদাই।

আর মায়ানমারের অং সান সুচিকে তো গনতন্ত্রের জামা পরিয়ে এরাই তৈরী করেছিলো বহুদিন থেকেই। মায়ানমারের গনতান্ত্রিক অং সান সুচি'র চাইতে সামরিকজান্তাই যে আমাদের দেশের জন্য বেশী ভাল ছিলো তা অল্পদিনেই আমরা বুঝতে সক্ষম হয়েছি। গনতান্ত্রিক সুচিযে একটা যান্ত্রিক পুতুল তা নতুন করে বলাটাও অর্থহীন। মাঝে দিয়ে অসহায় ও শিক্ষাদিক্ষাহীন বর্বর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি ধ্বংশের মুখে প্রায়।

এপরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কুটনৈতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে চাপে রাখাই বিশ্বের বড় একটি পরাশক্তির নীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ইস্যু, গার্মেন্টস শিল্পের চরম অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রবেশে বিষয়ে তৎকালীন রাস্ট্রদুত ড্যান মজিনার হুমকি, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলা, বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদুতের খুন হওয়া এই সবগুলিই ছিলো একই সুত্রে বাঁধা । ভারতের পরোক্ষ সহযোগীতায় তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলো। আর তাই নির্বাচনের পরপরই চীনের ও রাশিয়ার পজিটিভ প্রতিক্রিয়া কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য ব্যাপক আশির্বাদ হয়ে এসেছিলো। আসলে বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের আগ্রহ বহুদিনের। এই কারনেই চট্টগ্রাম অঞ্চলটাও তাদের জন্য খুবই আকর্ষনীয়। এরই অংশ হিসেবে তাদের নজর চট্টগ্রাম পোর্টের দিকে। কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপনের প্রস্তাবও ছিলো তাদের বহুদিনের অাগ্রহে। এখানে যদি কোনভাবে সে ঢুকতে পারে তাহলে চীনকে সে ঘাঁড়ের উপর বসে চোখ রাঙ্গাতে পারবে।

আর পার্বত্য সমস্যাটি স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ যথেষ্ট মাথাব্যাথার কারন, যা ১৯৯৮ সালের শান্তিচুক্তির পর কিছুটা স্তিমিতই ছিলো। তবে বাংলাদেশের স্থানীয় মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারাতো নিজেদের সবকিছু সাম্রাজ্যবাদীদের চরণে সঁপে অনেক আগেই বসে আছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার প্রয়োজন হলে পশ্চিমাদের হাতের ইশারাতেই ক্ষণে ক্ষণে এঁরা সক্রিয় হয়ে উঠেন এটা বিভিন্নসময়ই প্রমান হয়েছে। প্রচার মাধ্যম জমিয়ে রাখতেও এদের তুলনা নেই, কেননা মানবাধিকারের বুলিটা সবসময়ই চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষনীয়।

আর পার্বত্যসমস্যার সাথে নতুন করে রোহিংগা সমস্যা যোগ করে পুরো চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামকে এক সুতোয় বাঁধা কোন কঠিন কাজ নয় মোটেও। ভারত এক্ষেত্রে নিজের এবং তাদের বন্ধুদেশের স্বার্থের কারনে সবসময়ই একপায়ে খাড়া। তাছাড়া চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনাটাকে ভারত ভালভাবে নেয়নি, সেটাকে চেক দিতেই মায়ানমারের সাথে সে সামরিক সহযোগীতা বাড়ানোর দিকে মনযোগ দিয়ে শেখ হাসিনাকে চাপে ফেলাটাও তারা ভালভাবেই করেছে। রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সামাজিক অস্থিরতার মূল কারনই হয়ে গেছে এই রোহিঙ্গারা। ইতোপূর্বে বাংলাদেশে এসে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কয়েক লক্ষ, এর সাথে আরও কয়েকলক্ষকে যদি কোনভাবে এনে এদেশে ঢোকানো যায় তাহলে তাদের প্ল্যান কার্যকর করতে খুব বেশী বেগ পেতে হবে না। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের দাঙ্গার প্রেক্ষিতে সেই সময়ই এই ব্লগে সহব্লগার অনিক আহসান তাৎপর্যপূর্ন একটি কথা বলেছিলেন - "পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অনেক বড় কু-পরিকল্পনা আছে। আমার মনে হয় রোহিঙ্গাদের থাকতে দিলে ঝামেলা বেশি হবে। ক্ষুধার্ত পেট ধর্ম বুঝে না বুঝে ভাত। রোহিঙ্গাদের খৃস্টান মিশনারীদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে ১০ বছরের মধ্যই কক্সবাজার এর আশেপাশে একটা সাইজেবল খৃস্টান জনগোস্টি তৈরি করা সম্ভব। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি খৃস্টান ও কক্সবাজার এর রোহিঙ্গাদের মিলে একটা পুর্ব তিমুর না হয় দক্ষিন সুদান। কারন যে পরিমান মার্কিন ও পশ্চিমা বিনিয়োগ মায়ানমারের তেল গ্যাস ক্ষেত্রে হয়েছে, তা পাহারা দেয়ার জন্য একটা ব্যানানা স্টেট পশ্চিমাদের খুবই দরকার।" চট্টগ্রাম অঞ্চলকে কেটে এই ধরনের ব্যানানা স্টেট তৈরী করা খুব বেশীকি কঠিন হবে পশ্চিমাদের জন্য, যেখানে আমাদের দেশের ইতিহাসই সাক্ষ্য দেয় এদেশে যেমন তিতুমীর, ঈসাখাঁ, সুর্য্যসেন, ভাষানী, মুজিব জন্ম নিয়েছে ঠিক তেমনই এদেশেই মীরজাফর, নাজিমুদ্দিন, গোলাম আজম, খন্দকার মোস্তাকদেরও জন্ম হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলির স্বার্থ সংরক্ষন করাই হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত নিউজ মিডিয়া এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের মূল কাজ। বিবিসি, সিএনএন অথবা ভয়েস অব আমেরিকা'ই হল আমাদের মত গরিব দেশগুলির খবরের মূল উৎস। তাই বিবিসি, সিএনএন যাই বলুক না কেন বাকিরা তার সাথেই ঠোঁট মিলায়। দুঃখজনক ব্যপার হল আমাদের মত তৃতীয়বিশ্বের দেশগুলির মিডিয়াও তাদেরই স্বার্থেরই বর্ধিত প্রান্ত। বিশ্বের দুর্বল দেশগুলিতে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পশ্চিমারা এসব সংবাদ মাধ্যম এবং তথাকথিত মানাবাধিকার সংগঠনগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

"ইউএনএইচসিআর" এবং "হিউম্যান রাইটস ওয়াচ" এধরনেরই সংস্থা। এক্ষেত্রে "ইউএনএইচসিআর" এর গায়ে জাতিসংঘের লেবাসটা আছে শুধু। এই দুটি সংস্থার কার্যক্রম ও আচরন অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাপি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ও দিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলি যে বিশ্বের বড় দেশগুলির হাতের পুতুল তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বরাজনীতি ও ভূরাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন নিয়ে এদের যে সুদুরপ্রসারি কার্যক্রম আছে তা অনেকেই অবগত। এদের পূর্বের অনেক কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ।

কয়েকদিনের মাঝেই অামরা দেখতে পাবো, প্রথমেই "হিউম্যান রাইটস ওয়াচ" রোহিঙ্গাদের বিনাবাধায় বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রমের সুযোগ দানের আবেদন জানাতে। এর কিছুদিনের মধ্যেই "ইউএনএইচসিআর" ও মিনমিনে গলায় তাদের সাথে সুর মিলাবে। আর আমাদের দেশের মানবাধিকারের সওদাগররাও তাদের সাথে কোরাস ধরবে। তাদের দেখাদেখি আমজনতার একাংশও হায় হায় করে উঠবে। কিন্তু যতই অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের ভালোবাসা থাকুক না কেনো, নিজেকে ধ্বংশ করে দিয়ে সেই ভালোবাসা দেখাতে যাওয়া আত্বহত্যার সামিল। ১৬ কোটি মানুষের এই আবাসভূমি কতটুকু বিপদের দিকে এগিয়ে যাবে এই মানুষগুলিকে এই দেশে আসতে দিলে তা স্বল্পদৃষ্টিতে দেখার স্বক্ষমতা এদেশের বেশীরভাগেরই নেই। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সামাজিক অসঙ্গতির কেন্দ্রেওযে এই রোহিঙ্গা ইস্যু তা নীতিনির্ধারকরা ভালমতই অবগত।

"ইউএনএইচসিআর" এর কারনেই রোহিঙ্গা সমস্যার আজ এতবছর পরেও সমাধান বাংলাদেশ করতে পারেনি। তারা এই সমস্যাকে তাদের প্রয়োজনেই জিইয়ে রেখেছে। বাংলাদেশকে এখন নিজের স্বার্থেই কঠোর হতে হবে "ইউএনএইচসিআর" এর ব্যাপারে। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে আক্রমনের মুখে থাকা বর্তমান সরকারের সেই সক্ষমতা কতটা আছে তা সামনের দিনগুলিতে দেখা যাবে। তবে গত কয়েক বছরে বর্তমান রাজনৈতিক সরকার এই বিষয়ে যথেষ্টই সজাগ তা তাদের কাজকর্মেই ফুটে উঠছে। আজ তাই দলগত বা গোষ্ঠিগত স্বার্থচিন্তা ত্যাগ করে দেশটাকে অখন্ড ও শান্তিপূর্ন রাখার স্বার্থে সকলপক্ষের একমত হতে হবে। কারন সবাইকে বুঝতে হবে দেশটার অস্তিত্বই যদি না থাকে তাহলে সবকিছুই অর্থহীন হয়ে পড়বে। এজন্য সবার আগে সাধারন মানুষকে সচেতন হতে হবে, তারপরই রাজনৈতিক সকল পক্ষকে সাথে পাওয়া যাবে। আর পার্বত্যসমস্যার শুরু থেকেই আমাদের সেনাবাহিনী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদেরকে আরও বেশী করে পার্বত্যইস্যুর সাথে জড়িত করতে হবে সুদুরপ্রসারি চিন্তা থেকে। আর নৌবাহিনীকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করা এখন সময়েরই দাবী। কেননা শান্তি বজায় রাখার জন্য বিচক্ষন রাজনৈতিক শক্তির সাথে সামরিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বর্তমান কঠিন বাস্তবতায় বাংলাদেশকে কুটনৈতিক ফ্রন্টে বেশী সক্রিয় হতে হবে এই ইস্যুতে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে যথেস্ট ম্যাচুরিটি প্রদর্শন করতে হবে।

পূর্বের ঘটনাবলীর মতই নিকট ভবিষ্যতে আরও অনেক ঘটনার সম্মুখিন আমরা হবো। অনেক ক্যালকুলেশন অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সেটা ভুলে থাকার সুযোগ নেই। এমনকি একই ঘটনা বারবারই ঘটানোরও চেষ্টা করা হবে সময় সুযোগ বুঝে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব সমস্যার সমাধান থাকে, কোন কোন সমাধান হলো সঠিক, কোন কোন সমাধান বেঠিক; রোহিংগারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশে আসে, মিলিওনিয়ার হওয়ার জন নয়।

আমেরিকা চীন রোহিংগা সমস্যা করছে না; রোহিংগা সমস্যার শুরুতে তারা সেটাকে সমাধান করতে পারেনি; তারা ভুল করে, আরাকানের মানুষদের সাথে সমস্যার সৃস্টি করেছিল, এখন তারা মুল্য দিচ্ছে। তারা প্রাণ বাঁচাতে বেকুবের ঘরে প্রবেশ করছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: "রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য এখানে আসে, মিলিওনিয়ার হবার জন্য নয়।" এটা যে কতটা সত্যি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আর এই সমস্যা চীন সৃস্টি করেনি সেটাও সত্যি, তবে এই জাতিগোস্ঠি বিলীন হয়ে গেলে চীনের কিছুই যাবে আসবে না। তবে মর্কিনিরা সর্বদাই এই বিষয়ের সাথে জড়িত। আমরা বাঙ্গালীরা সর্বোচ্চ ৫-৭ বছর দেখি, ওরা ৫০-৭০ বছর দেখে এটাই বাস্তবতা।

পশ্চিমারা রোহিঙ্গা সমস্যার একটি পক্ষ, এটা আমরা যত তাড়াতাড়ী বুঝবো ততই সমস্যার কেন্দ্রে আমরা পৌঁছাতে পারবো। আপনি কমবেশী অবগত, পার্বত্য ইস্যু ও রোহিঙ্গা সমস্যা কক্সবাজারে কি অবস্থা বিরাজমান, সেখানে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটুকু ভালানরেবল তা অনেকেই অবগত।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

ভাললাগে না বলেছেন: আমার মতে শান্তি চুক্তি বাদ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা মোতায়ন ও নিয়মিত অভিযান খুবই দরকার।

আর রোহিঙ্গাদের কে NSI, DGFI সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে অস্ত্র দিয়ে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে হবে।তাইলেই তারা আর এই দিকে আসা কমিয়ে দিবে। তারা যদি স্বাধীনতা ঘোষনা করে তাইলে তারা আর অনেক সহযোগিতা পাবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: রোহিঙ্গাদেরকে অস্র অর্থ দিয়ে সহায়তা বাংলাদেশের জন্য বুমেরাং হবে। বাংলাদেশকে কুটনৈতিক ফ্রন্টে বেশী সক্রিয় হতে হবে এই ইস্যুতে। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে যথেস্ট ম্যাচুরিটি প্রদর্শন করতে হবে। আর শক্তিশালী নৌ শক্তির কোন বিকল্প নেই বর্তমান বাস্তবতায়।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২২

ভাললাগে না বলেছেন: কুটনীতিতে শক্ত হওয়ার জন্য মেধাবী লোক লাগে। ৬০% কোটা দিয়ে পূর্ণ করলে কেম্নে মেধাবী লোক পাবেন? আর বাকি যারা আছে তারা তো বিদেশ ভ্রমন আর দূর্নীতি নিয়ে ব্যস্ত।

বুমেরাং হবে না যদি আমরা তাদের বুঝাতে পারি পালানই শেষ রাস্তা না।ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আর রহিঙ্গাদের কে এক করতে হবে।ওদের তো আর নেতা নায়,তাই ওদের ১জন নেতা তৈরী করে দিতে হবে। ওদের কুটনৈতীক সাহায্য খুবই দরকার,এটা অস্বীকার করার উপায় নায়। কিন্তু আমাদের বিদেশে আমাদের হাইকমিশন/দূতাবাস গুলা আমাদেরই সাহায্য করে না তাই তাদের কাছে কি আর আশা করব!!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্রতিটি কথার সাথে একমত।

আর রোহিঙ্গা জনগোস্ঠিও শিক্ষাদিক্ষাহিন বর্বর শ্রেনীর, তাদেরকে সহায়তা করাটাও তাই কঠিন। মাঝখান দিয়ে আমরা নতুন বিপদে পড়বো।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বৃহস্পতিবার কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে জঙ্গিরা পরিকল্পিত হামলা করে,
কয়েকটিক্ষেত্রে পেটে বোমা বেধে আত্নঘাতি হামলা হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর নিহতের সংখা ১২।

এই মামুলি হামলায় বার্মার সামরিক জান্তা বিন্দুমাত্র কাবু হওয়ার কথা না,
পরিকল্পিত ভাবেই উষ্কানিমুলক হামলাটি হয়েছে, যাতে সামরিক জান্তা আরো নিষ্ঠুর দ্বিধাহীন ভাবে রহিংগাদের মেরে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

হামলাকারি জঙ্গিরা হামাওলা সেরেই পুর্বনির্ধারিত ভাবে আহত সদস্যদের নিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে ঢুকে পরে, জঙ্গিদের বাংলাদেশী সদস্যরা আগেই বিজিবিকে মোটা এমায়ুন্ট দিয়ে বুকিং করে রেখেছিল। তাদেরকে দ্রুত এম্বুল্যান্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে চিকিৎসা করায়। বাকি জঙ্গিরা ও তাদের আশ্রয়দাতারা চট্টগ্রামে ফ্রি ঘরাফেরা করছে, অল্প আহত একজন টিভিতেও সাখ্যাতকার দিচ্ছে দেখলাম।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পারফেক্ট বলেছেন, "এই মামুলি হামলায় বার্মার সামরিক জান্তা বিন্দুমাত্র কাবু হওয়ার কথা না, পরিকল্পিত ভাবেই উষ্কানিমুলক হামলাটি হয়েছে, যাতে সামরিক জান্তা আরো নিষ্ঠুর দ্বিধাহীন ভাবে রহিংগাদের মেরে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে।"

আমিও আশ্চর্য্য হয়েছি, পুর্বনির্ধারিত না থাকলে কিভাবে চট্টগ্রাম শহরে আহতরা আসতে পারে, আপনার কমেন্টের পর থ মেরে গেছি। এই পোস্টেই বলেছিলাম, এদেশে যেমন তিতুমীর, ঈসাখাঁ, সুর্য্যসেন, ভাষানী, মুজিব জন্ম নিয়েছে ঠিক তেমনই এদেশেই মীরজাফর, নাজিমুদ্দিন, গোলাম আজম, খন্দকার মোস্তাকদেরও জন্ম হয়েছে। সরকারকে সাবধানতার সাথে কঠোর হতে হবে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সেখানকার স্থানিয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজনের ব্যাপারে। দেখে নিবেন, মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলাকারী হিসেবে কাউকে সনাক্ত করে যদি তাকে চট্টগ্রামে দেখাতে পারে তা আমাদের জন্য সুখবর বয়ে আনবে না।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেশের সার্বভৌমত্তা রক্ষার জন্য করণীয় যা তা করতে হবে,
তবে মানবতা যেন বিপন্ন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দুটো লাইনে আপনি সবটাই বলে দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৮

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে রোহিঙ্গাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাদের কথা তারা নিজেরাই বলবে। তাদের নেতা তৈরীতে সহযোগিতা, সসস্ত্র হতে সহযোগিতা এসব কিছু বাংলাদেশ করবে কেন ?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান তাদের নিজেদের ভেতর থেকেই শুরু করতে হবে, তাহলেই তারা বিশ্বের থেকে সহযোগিতা পাবে, আর বাংলাদেশের নিজের সমস্যারই কমতি নেই, সে যাবে অন্যদেশের সাথে ফ্যাসাদে জড়াতে এভাবনাটাই অযৌক্তিক.....

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক কিছু পড়লাম, জানলাম, কিন্তু বিপন্ন মানুষদের কোনো কূলকিনারা হলো না। এসব সহ্য হয় না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আবেগ আর বাস্তবতার ফাঁড়ায় জীবনটা চলে গেলো। আবেগকে গুরুত্ব দিলে বাস্তবতার কঠিনতা সামনে এসে দাঁড়ায়, আর বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিলে আবেগ পানিতে ডুবে মরে। কোথায় যাই ?

এই অভাগাদের জন্মই মনে হয় আজন্ম পাপ। বিপন্নরা দিনকে দিন মনে হয়, বিলীনই হয়ে যাবে। তবে রোহিঙ্গারা এবার মনে হয় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এটা ভালো লক্ষন। আমরা এখন চাইলে তাদেরকে এই ইস্যুতে ইনডিরেক্টলী সহায়তা করতে পারি। তবে বিপদ হলো, পাকিস্তানী আইএসআই এবং মিডেলইস্টের আইএসআইএস এর ভেতর ঢুকে পড়েছে..........

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

মহসিন ৩১ বলেছেন: ''মধ্যপ্রাচ্যের আইএস এর অস্র ও অর্থের উৎস যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির অস্র ও অর্থের উৎসও অামরা বুঝবো। মধ্যপ্রাচ্যের আইএস এর অস্র ও অর্থের উৎস যদি আমরা বুঝতে পারি, তাহলে রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির অস্র ও অর্থের উৎসও অামরা বুঝবো।'' ---- মাত্র পাছ-লাক জনসংখ্যার একটা দেশ সুধু যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কর্ম করছে টা তো নয়; নির্বাক ভাষা এখানে এখন বাংলাদেশের প্রতি বেশি অবস্থানের কূটনীতিও আছে নিশ্চয়ই। ----- আর যদি এই জাতিগোষ্ঠীর দুর্ভাগ্যকে মুসলিম ইস্যুতে পরিণত করে পরে পরে বুদ্দিস্ত-রা বক্তব্য দিতে আরাম্ভ করে; তখন তো সব নপুংসক দের রাজনীতি , অর্থনীতি এবং সমরাস্ত্রেও উৎস পর্যালোচনা করা উচিত নয় কি ? এটা তো বর্বরতা - এর বিরুদ্ধারাচন ; প্রবল প্রতিবাদ করাই স্বাভাবিক ;আলোচনা না।


০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার কমেন্টটি একটু অগোছালো, তবে বুঝতে পেরেছি। হ্যাঁ, প্রবল অান্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিবাদই বার্মিজদের এই অসভ্যতাকে ঠেকাতে পারে।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: যতই অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের ভালোবাসা থাকুক না কেনো, নিজেকে ধ্বংশ করে দিয়ে সেই ভালোবাসা দেখাতে যাওয়া আত্বহত্যার সামিল।
-তারপরও তারা যদি জোটবদ্ধ হয়ে সত্যিই পালটা আঘাত করতে পারতো, তাহলে ভিয়েতনাম হতে পারে আরেকটা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ওরা এবার মনে হয়, পাল্টা আঘাতের চেস্টা করছে, কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে, পাকি আইএসআই এবং মধ্যপ্রােচ্যের দানব আইএস এর ময়দানে প্রবেশের কারনে ওদের গায়ে ইসলামী জঙ্গী ছাপ ফেলা এখন অনেক সহজ হবে

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

মেটাফেজ বলেছেন: আসলেই। আমেরিকানরা হয়ত ভুইলাও গেসে মায়ানমারের কথা। কিছু রাজনীতিবিদের স্বার্থে রোহিঙ্গারা ব্যবহৃত হৈতাসে অনেক বছর ধৈড়া। মায়ানমারেও, বাংলাদেশেও। জাতিসংঘের কথা আর কি কমু, এর সব অংগপ্রতিষ্ঠান হৈল আমেরিকার টেকা কামাইয়ের বিকল্প ব্যবস্হা। এগুলার পিছনে বাংলাদেশের মত গরীব দেশগুলা শুধু শুধু বছর বছর মোটা টাকা ঢালে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সেটাই, জাতিসংঘ এখন একটা হিজড়া সংগঠন। দ্যাখেন না, কাতার ইস্যুতে সে চুপ, ইয়ামেন ইস্যুতে সে চুপ, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চুপ.....

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সমূহ বিপদ সামনে!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: বিশ্ব ও আঞ্চলিক শক্তিদের কেউ কেউ চাচ্ছে, আমরা যেনো এই সংঘাতে জড়িয়ে যাই.........., শরীরটা ভালো হইছে, ভাই ?

১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক চিন্তার বিষয় তুলে এনেছেন।
মানবতা এবং দেশের অস্তিত্ব... এসবের সমন্বয়ে একটি সঠিক উদ্যোগ দরকার আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কিন্তু সরকারের ভিতরে, আই মিন এডমিনিস্ট্রেশনে মাথামোটারাই সংখ্যাগুরু.....

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক, নিজেদের পায়ে শেষ কুড়ালটাই মারছি। কিন্তু আমরা না পারবো আন্তর্জাাতিক ইস্যু তৈরী করতে, না পারবো বার্মাকে ধমক দিতে অথবা না পারবো রোহিঙ্গা ঠেকাতে.......... কারন একটাই। পিছনের দড়জা দিয়ে ক্ষমতায় আসলে নিজস্ব কোন কিছু বলার থাকে না......... সবসময়ই পা চাটতে হয়। তাই দেশের ভালো মন্দ ইস্যু চাপা পড়ে ক্ষমতায় টিকে থাকাতাই বড় হয়ে উঠে। কথাগুলো অপ্রিয় হলেও এটাই বাস্তব। কিছুই হবে না..... রোহিঙ্গা কিছু মরবে, কিছু এদেশে আসবে, দেশে আরো চুরি স্মাগলিং বাড়বে, গরীব আরো গরীব হবে, ধনী আরো ধনী হবে...............

ভালো থাকেন.... শুধু দু:খ হয় আপনাদের মতো মানুষগুলোর কখনই কোন মূল্যায়ন হবে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: বড় কষ্ট হচ্ছে সব দেখে ............

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এখন ভাল হবে রোহিংগারা যদি নিজেরাই প্রতিরোধ করে অত্যাচারী বার্মিজ দের বিরুদ্ধে । ভাল উন্নত অস্ত্র আর প্রশিক্ষণের দরকার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমরা এই খেলার পার্ট এমনিতেই হয়ে গেছি। তবে ওরা পলায়নপর জাতি, তাদেরকে সাহায্য করা বুমেরাং হবে বাংলাদেশের জন্য।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: Click This Link

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দেখেছি, ভারত নিজের স্বার্থ আগে দেখবে এটাই বাস্তবতা। তবে রাজনীতি ও কুটনীতিতে শেষ কথা নেই...........

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: জাতিসংঘ হবার পর প্রায় প্রতি বছরই (অগাস্ট-অক্টবর) এ ধরনের গণহত্যা হয় এবং হবে। কি কারণে তা বলতে পারছি না। তবে এটাই ঘটছে। অন্য যায়গায় গণহত্যা না হলেও তখন আমেরিকার কোন স্কুলে ঢুকে বন্দুক দিয়ে কিছু ছোট বা শিশু মানুষকে মারা হয়।

গত বছর আমার এক কলিগকে বলেছিলাম যে দেখেন সামনের বছরও এই সময় কিছু একটা ঘটবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: স্বাগত অামার ব্লগে।

এইভাবেতো লক্ষ্য করিনি, এই কমেন্টের পর আপনার অবজার্ভেশনটা বোঝার চেস্টা করবো............

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: "রোহিঙ্গাদের খৃস্টান মিশনারীদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে ১০ বছরের মধ্যই কক্সবাজার এর আশেপাশে একটা সাইজেবল খৃস্টান জনগোস্টি তৈরি করা সম্ভব। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি খৃস্টান ও কক্সবাজার এর রোহিঙ্গাদের মিলে একটা পুর্ব তিমুর না হয় দক্ষিন সুদান। কারন যে পরিমান মার্কিন ও পশ্চিমা বিনিয়োগ মায়ানমারের তেল গ্যাস ক্ষেত্রে হয়েছে, তা পাহারা দেয়ার জন্য একটা ব্যানানা স্টেট পশ্চিমাদের খুবই দরকার।"

বিশ্লেষন ধর্মী লেখাটি অনেক ভাল লাগল। চালিয়ে যান।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.