নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশফিক এর বাংলা ব্লগ

মেঘনা পাড়ের ছেলে

জনারণ্যে নির্জনতায় আক্রান্ত

মেঘনা পাড়ের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং কিছু অপ্রিয় কথা

১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬


প্রথম স্যাটেলাইট মহাশুণ্যে যায় ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়ন বর্তমান রাশিয়ান ফেডারেশনের হাত ধরে যার নাম ছিলো স্পুটনিক। আর আমরা আমাদের মালিকানায় প্রথম স্যাটেলাইট মহাশূণ্যে পাঠাতে পারলাম ২০১৮ সালের ১১ই মে দিবাগত রাত ২ টা ১৪ মিনিটে, যার নাম ব্ঙ্গবন্ধু-১। যদিও আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নয় তবে স্টেপতো ফেললাম। তবে হ্যাঁ, আমাদের সন্তানেরা অলরেডি আন্তর্জাতিক মহাশুণ্য সংস্থায় কাজ করছে। আমাদের দরকার ছিলো আর্থিক সক্ষমতা। সেটা যেহেতু অর্জনের পথে, তাই তার হাত ধরেই আমাদের সন্তানেরাও স্বল্পসময়ে নিজেরাই তাও পারবে। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্নটাতো আগে দেখতে হবে।

ধরেন আমরা এতদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে চলতাম। তারমানে পাবলিক স্যাটেলাইট ইউজ করতাম টেলিসম্প্রচার ও ইন্টারন্টে ইউজে। যেহেতু আর্থিক সক্ষমতা হয়েছে তাই সামাজিক স্ট্যাটাস ও কস্ট কমানোর জন্য এবং নিজের ইচ্ছামত চলার ইচ্ছা থেকেই নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠালাম। এতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেলো বুঝলাম না। আমি ফাইন্যান্স সেক্টরের মানুষ এবং ভালকরেই জানি বছরে আমাদের কিপরিমান অর্থ অনর্থে রুপান্তরিত হয়, সেখানে এই এমাউন্ট বড় কিছু নয়। ভোটের মাঠে শুধু চেয়ারম্যান-মেম্বার, রাজনৈতিক রথী-মহারথীরা এর চাইতেও বড় অর্থ নিয়মিতই আত্মসাৎ করে। পারফেক্টলি হ্যান্ডেল করতে পারলে এই স্যাটেলাইটের বিনিয়োগ উঠে এসে লাভজনকও হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বেশীবুদ্ধিমানরা চাচ্ছেন এটা যেনো ব্যর্থ প্রজেক্ট হয়। খুবই দু:খজনক। পাকিমনারা এটা চায়, সেটা অামি জানি তাই তাদেরকে উপেক্ষা করি। কিন্তু এর বাইরেও একটা শ্রেণী কি কারনে এরকম করে আমি জানি না।

একটা কান্ট্রির যখনই আর্থিক উন্নয়ন ঘটতে থাকে তখন কিছু অপ্রয়োজনীয় ও বাহুল্য খরচ হয়, এবং এটা অর্থের সমাগমের কারনেই হয়। এটা বাইপ্রোডাক্ট। কিন্তু এই অর্থের অপচয়(?) আর্থিক উন্নতিরই ইন্ডিকেটর। এটা ঠিক আর্থিক উন্নয়ন যেনো সমাজের সর্বস্তরে কমবেশী সমান হয় তা ঠিক রাখার চেষ্টা রাষ্ট্রকে করতে হবে।

হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, জনপ্রিয়তা হচ্ছে নেমে যাবার সিঁড়ি। ফেসবুকে বা ব্লগে অনেক সেলিব্রিটি(?) সেপথেই হাঁটছেন। বেকুবদের সাথে কখনো আমি তর্কে যাই না। কারন তাদের সাথে তর্কে গেলে তারা আমার লেভেলেতো যেতে সক্ষম হবেনা বরং তাদের চিন্তার দীনতা'র কারনে তাদের লেভেলে আমাকে নামিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।

আরেকটা কথা, শিক্ষায় আমরা কাংখিত সফলতা পাইনি ঠিক, তবে একেবারে কিছুই হয়নি এটা যারা বলে তাদেকে মুর্খ বলতেও কষ্ট হয়। আমাদের আরো বিনিয়োগ দরকার শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যতে। তাই বলে বাকী সব বন্ধ করে দিতে হবে যারা বলে তাদের চিন্তার দৈণতা আমাকে পীড়া দেয়। আমিরিকাকে বলা দরকার তোমার অনেক নাগরিক না খেয়ে ফুটপাথে থাকে, তুমি এসব স্পেস স্টেশন-টন বন্ধ করে দাও। চীনকে বলি তোমার মানবাধিকার কৈ মিয়া ? তুমি আগে গনতন্ত্র দাও তারপর বাকি সব করো। ইন্ডিয়াকে বলি, ঐ বাটা তোদের অর্ধেক লোক রাস্তায় হাগে। তাদেরকে টয়লেটে পাঠিয়ে তারপর সিলিকন সিটি বানাও। এই সমস্ত কথা তাদের কোন নাগরিক বলে কিনা তা আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।

অনেক অসঙ্গতি ও অনিয়ম নিয়েও অন্তত বর্তমান স্পিডে চলতে পারলেও বাংলাদেশ নেক্সট ২০ বছরে অন্যউচ্চতায় পৌঁছাবে এটা বোঝার মত সক্ষমতা বাংলাদেশের ও বিশ্বের অনেকেরই আছে।

যারা এই স্যাটেলাইট নিয়ে টিটকিরী করছে, তারা তাদের এই টিটকিরীটাও ঐ স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই করবে কিছুদিন পর, এই সত্যটা বোঝার সক্ষমতাও তাদের নাই। পুরোজাতি কাউন্টডাউন করেছে সফল উড্ডয়নের, আর একটা শ্রেণী কাউন্টডাউন করেছে উড্ডয়ন বিনষ্ট হবার জন্য। প্রথমদিন যখন উড্ডয়ন হলোনা, কি আনন্দ এই শিবিরে। পরেরদিন যখন সফল উড্ডয়ন হলো ওরা এখন বলে কি তা দেখার বাকী আছে।

পৃথিবীতে মনে হয় আমরাই একমাত্র জাতি যাদের একটা বড় অংশ নিজের অর্জনেও গর্ব করতে সক্ষম নয়। তাদের মস্তিস্ক এতটাই আনইউটিলাইজড। নিজের অর্জন নষ্ট হলেই তারা বেশী খুশি হয়। এই একই ঘটনা পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় হয়েছে, চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন কেনার সময় দেখা গেছে, ফ্রান্সের কাছ থেকে স্যাটেলাইট ক্রয়ের সময়ও দেখা গেলো। সমুদ্রসীমার বিরোধ মিমাংসার সময়ও এই বিষয়টি দৃষ্টিগোছর হয়েছে। বাঙ্গালী জাতির এই আজব অংশের জন্য অামার দুঃখ হয়।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী জাতির একজন ১৯ বছরের মেয়ে যখন মেডিক্যাল কলেজে পড়ে, ১ বছরে সরকার তার জন্য কত খরচ করে?
বাংগালী জাতির একজন ১৯ বছরের মেয়ে যে কোনদিন স্কুলে যেতে পারেনি, এখন বাসায় বুয়া হিসেবে কাজ করে, ১ বছরে সরকার তার জন্য কত খরচ করে?

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনাকে নিশ্চয়ই ক্যাপিটালিজম বুঝাতে হবে না, তাই না ? এখানে যে এগিয়ে আছে তাকে আরও এগিয়ে যাবার সুযোগ করে দেয়া হয়, যেনো সে এগিয়ে গিয়ে পিছিয়ে পড়াদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। সে এগিয়ে গিয়ে যদি বাকিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি না করে তখন তাকে বাধ্য করার জন্য কর সিস্টেমের আবির্ভাব। আর আপনার পদ্ধতি হলো যে এগিয়ে যাচ্ছে তাকে বাঙ্গালী সিস্টেমে পেছন থেকে ধরে রাখো। তাহলে সে নিজেও এগুতে পারবে না, আর অন্যকেতো পথ দেখানোর কথাই বাতুলতা..........। সত্যি কষ্ট হয় আপনার এখনকার এধারা চিন্তা দেখে.......

২| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: যে কোন স্বপ্ন পূরণ শুরুর সময়ে ৩ ধরনের মানুষের দেখা পাওয়া যায়
১। যারা স্বপ্ন পূরণের পথে উৎসাহ দিবে
২। যারা উৎসাহ দেওয়া তো দুরের কথা উল্টো কিছু Negative কথা বলে উৎসাহ নষ্ট করার চেষ্টা করবে
৩। যারা নীরব দর্শক
২ নং শ্রেণীর মানুষ যারা, এরা ছিল, আছে এবং থাকবে তবুও আমার, আমাদের এবং দেশের অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং হবেই।

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর শ্রেণীকরণ করেছেন। হ্যাঁ, আমাদের এবং দেশের অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এবং হবেই।

৩| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে মানছি, কিন্তু যেসব দেশের উদাহরন দিলেন, তারা একটা পর্যায়ে যাওয়ার পর এসব করেছে। আমরা কি সেই পর্যায়ে গিয়েছি। সব বাদ, শুধু শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের বেসিক দেখেন। যাদের টাকা আছে, তারা কেউ দেশে চিকিৎসা করায় না। দেশের চিকিৎসা সেবা এখন কোন পর্যায়ে জানেন নিশ্চয়ই। আর শিক্ষার কথা কি বলবো। যোজন যোজন দুরে!
টাকাটা কি এই দু'টো খাতে ব্যবহার করা যেত না, যেটাতে দেশের নিশ্চিত লাভ হতো? এটার লাভ তো সন্দেহাতীত না। লস হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল!
বিশাল ব্যাপার, খুবই সংক্ষেপে বললাম। তর্ক করার জন্য না, আলোচনা করার জন্য। আশাকরি পজিটিভলি নিবেন।

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। হ্যাঁ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আমাদের আরও অনেকদুর হাঁটতে হবে সেটা আমিও বলেছি মূল পোস্টে। আমাদেরকে সবদিকথেকেই এগিয়ে যেতে হবে, কারন এতদিন আমাদের আর্থিক সক্ষমতা ছিলনা, বর্তমানে আমাদের আর্থিক পরিবর্তন আমাদেরকে এনক্যাশ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, টেকনোলজি সবদিকেই এগুতে হবে।

আরেকটা কথা এটা শুধু আর্থিক বিনিয়োগই নয়, এটা বাকী বিশ্বকে জানান দেয়াও যে, আমরাও আসছি তোমাদেরই পথে........কারন ব্র্যান্ডিং খুবই প্রয়োজনীয় জিনিষ..........

৪| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

সাইন বোর্ড বলেছেন: শেষে এসে অাপনার যুক্তি একপেশে হয়ে গেছে, ব্লগার ভূয়া মফিজ এর মন্তব্যের সাথে অামি একমত ।

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। দেশের ক্ষেত্রে মনে হয় সর্বদাই অামি একপেশে। উনার মন্তব্য আমারও ভাল লেগেছে।

৫| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

আবু আফিয়া বলেছেন: যে যাই বলুন না কেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটি বিষয়। বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা জাতি হিসেবে আনন্দিত ও গর্বিত এই ইস্যুতে.....

৬| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের দেশের সবকিছুতেই তো দুর্নীতি! ভালো কিছুতেও ভালোফল আশা করতে মন চায় না।

১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। তবে ভাল কিছুর আশায়ইতো মানুষ বাঁচে, তাই না ?

৭| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে, তবে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। এটা ঠিক যে, স্যাটেলাইট আকাশে না উড়াইলে ঐ টাকা দিয়ে যে শিক্ষা বা যাতায়াত ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি করা সম্ভব হতো, তাও না। ঐ টাকাটা হয়তো উড়েই যেতো অন্য কোনো পথে, যেমন কত টাকাই তো এদিক সেদিক দিয়ে চলে গেলো।

পৃথিবীর কোথাও সব মানুষের সমান যোগ্যতা ও সমান প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব না। যে কলেজে বা ভার্সিটিতে পড়ছে, সে তার যোগ্যতায়ই সেই সুযোগ লাভ করেছে। যারা সেই সুযোগ পেলো না, সরকারের দায়িত্ব আছে তাদের সামনে এগিয়ে নেবার, কিন্তু তারও একটা লিমিটেশন আছে। এগুলো বোঝার মতো জ্ঞান ও বুদ্ধি সবার হয় না।

শুভেচ্ছা মেঘনা পাড়ের ছেলে। অনেক দিন পর এলেন।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: সোনাভাই, দারুন বলেছেন। অাপনার এই কমেন্টের পর নতুন করে বলার কিছু বাকি থাকে না।

অাসলে এখন অার ব্লগে অাসতে ইচ্ছে করে না, চিন্তার দীনতা দেখে। বাংলা ব্লগের শ্রেষ্ঠ সময় গেছে ২০১৩ সাল পর্যন্ত্য, কত অসাধারন ব্লগার এই ফ্ল্যাটফর্মে অামরা দেখেছি, দেখেছি তাদের অসাধারন পান্ডিত্যপূর্ণ লেখা, যার সিকিভাগও এখন পাই না।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

৮| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

চোরাবালি- বলেছেন: আজ ঢাকা চট্টগ্রাম রোডে ১২০কি জ্যাম। যার দরুন হাজার কোটি টাকা গচ্চা যাবে ব্যাবসায়ীদের।
১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে শুরু হওয়া ঢাকা চট্টগ্রাম রোড আজ অবধি সম্পন্ন হয় নাই।
কোনটা আগে দরকার? নির্বিঘ্নে টিভি সম্প্রচার নাকি রপ্তানি বাণিজ্য।
এ টাকা দেশের বাইরে চলে গেল; আর মেম্বার চেয়ারম্যান যেটা আত্মসাৎ করে সেটি দেশেই থাকে।

পান্তাভাগে ঘি খেলে ঘি পানিতে ভাসে; আর পান্তাভাতে ঘি খাওয়া আমাদের জ্বাতগত স্বভাব এটা।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দুটা ভিন্নধর্মি জিনিষ এর তুলনা করা হাস্যকর নয় কি ? জ্যাম আমাদের বড় একটা সমস্যা, তাই বলে অন্যসব বাদ রাখতে হবে, ভাল বলেছেন। জ্যামের কারনে টিভি ও ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা উচিত অবশ্যই।

৯| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি কি জেনেছেন কতগুলো স্যাটেলাইট পৃথিবী ঘিরে আছে? তাদের কার্যক্রম সন্মন্ধে জানেন? গেল বছর ভারত একটি কমিউনিকেশন স্যাট উতক্ষেপনের আগে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সই করেছে। ঠিক কি পরিমান সুবিধা আমরা নেব তার উল্লেখ পাইনি । ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে যে স্যাট আকাশে পাঠানো হয় তারা শক্তিশালী এবং দেয় সুবিধা বিক্রি করেই লভ্যাংশ নিশ্চিত করে । লক্ষ্য করুন আমাদের স্যাট যে অরবিটে পাঠানো হয়েছে তা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে । যথেষ্ট তরঙ্গ সুবিধা নিশ্চিত হবে না এতে। আমাদের অরবিটে পাঠালে ভারতের বানিজ্যিক বিড়ম্বনা হবে আর তা ছাড়া আকাশ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ওই জায়গা ছাড়া আর বরাদ্দ দিতে পারেনি। চীন, হংকং , সিঙ্গাপুর এর মতো কয়েক শত স্যাট এর সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা তেমন কিছুই করতে পারব না। আপনি বেশি আবেগি হয়ে পড়েছেন, বাস্তব ভিন্ন কথা বলে। সরকার একটি রিস্ক নিয়েছে যে অন্য প্রতিষ্ঠান যদি এর সত্ত্ব কিনে নেয় বা পরিচালনা ও বাজারজাত করনের দায়িত্ব নেয় তো তাতে যে খরচ উঠে আসবে তার নিশ্চয়তা নেই। এই ব্যাবসায় আমাদের অভিজ্ঞতা নেই , নেই বেক্সিমকোর । তারাও ব্যাংক লোণ নিয়েই কাজ করবে । ওই অরবিটে প্রায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কিছু স্যাট আছে যদি লাইগা যায় তাহলে আমরা কিছু টাকা তুলে আনতে পারব , পুরো নয় । বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা করুন । এটা যদি ভারত বা চীনের প্যাড থেকে লঞ্চ করা হত তাহলে লঞ্চিং খরচ দশ ভাগের এক ভাগ পড়ত । দেশের অর্থ , জনগন জানতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার অবগতির জন্য জানাই, কোন বিষয়ে না জেনে বা না বুঝে অামি কোন কথা বলি না।

আর ইন্টারনেট ইউজ করে গুগলে ঢুকে একটা তথ্য পেয়ে ইউরেকা ইউরেকা বলে অন্যকে জানে না বলে চিল্লাপাল্লা করা বাচ্চামি।

সব বয়ষ্ক মানুষদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, বয়স্ক মানুষদের একটা অংশ নিজেদের মৌলিক মূর্খতাকে জ্ঞান ভাব

১০| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা বাজেটের দেশে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। এটা মোটেও অপচয় নয়। কিন্তু এই সরকার ও অপরিপক্ব লোকদের লম্ফঝম্প দেখে দুঃখ লাগে ও হাসি পায়। ভাই, দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশের মাটিতে বানানো স্যাটেলাইট হলে গর্ব করার একটা যুক্তি থাকত। বিদেশীদের দিয়ে বানানোতে এমন বিশাল উল্লাসের কিছু নেই। আমাদের আরো ১০-১৫ বছর আগে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা উচিত ছিল। কেন এত দেরিতে হলো, সেটা লজ্জার বিষয়। স্যাটেলাইট না থাকাটা আরও বেশি লজ্জার। লজ্জা থেকে মুক্তি পেলে ঢাকঢোল পিটিয়ে উল্লাস করে শুধু বাঙালিরাই। এটা বাঙালীদের মানসিক দৈন্যতা। কদিন আগে ভারত একদিনে ১০০ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে। তারা এর ১% উল্লাসও করে নি। কারণ তারা জানে, কিছু করে দেখালে প্রেস্টিজ এমনিতেই বাড়ে। প্রেস্টিজ বাড়াতে সামান্য স্যাটেলাইট কিনে লাফালাফি করা লাগে না।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনার দারুন উদাহরন হয়ে থাকবে এই কমেন্টটি। নেগেটিভমেন্টালিটিসম্পন্নরা একটু দেখুক কিভাবে সমালোচনা করতে হয়...

অনেক ধন্যবাদ এই কমেন্টের জন্য

১১| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: স্যাটেলাইটের ফ্রিকোয়েন্সি ডিস্টিবিঊশান বেক্সিমকোর হাতে গেল কিভাবে? কোন ব্যখ্যা আছে?

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: যে বিষয়টার অবতারনা করলেন, তা জেনে উত্তর দিতে হবে। পরে জেনে আলোচনায় আসবো। অাপনার জানা থাকলেও জানাতে পারেন...

১২| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

একাল-সেকাল বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি ও দেশপ্রেম লক্ষ্যণীয়, তবে এটাও সত্য যে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১৫ বছরে আয় করবে ১৪১০ কোটি টাকা, শুধু ব্যাংক থেকে গায়েব হয়েছে ৪০০০ কোটি টাকা(যা অর্থমন্ত্রি কর্তৃক স্বীকৃত, যদিও বা উনি বলেছেন, “ এটা বড় অংকের টাকা নয় ”! ) তাহলে বাঙ্গালী কী অংকে দুর্বল বলেই সরকার মুলা ঝুলালো ?
#৫৭ হওয়ার আগে আমাদের ষ্টাডি করা উচিৎ ছিল পূর্ববর্তী #৫৬ টি দেশের অবস্থান।নিয়ে। কখন তারা নিজস্ব স্যাটেলাইটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল।, আর আমরা যখন করলাম, তখন একটা রানা প্লাজার ধবংসাবশেষ সরাতে হিমসিম খেতে হয় পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে পরিপূর্ণ সাহায্য পৌঁছুয়না বছরের পর বছর পার হওয়ার পরেও।
তাহলে কী এটা গরিবের ঘোড়া রোগ নাকি পদ্মা সেতুর মত আরেকটা ব্যয় বহুল প্রকল্প যেখানে দুর্নীতির ডিম্ব প্রসব হইবে ?

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

এটা ব্যয়বহুল প্রকল্প কিনা বা লাভজনক কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে। সঠিকভাবে ইউজ হবে কিনা তাও অালোচনায় আসতেই পারে। কিন্তু এটা কেন পাঠানো হলো তার জন্য সরকারের পিন্ডি চটকানো টাকে কোনভাবেই সমর্থন করতে পারছি না।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আপনি খুব গুছিয়ে লিখতে পারেন, লিখুননা এই বিষয়ে। কিছু জামাতি ও বামাতি পাবলিকের সাথে ছাগলের তিননম্বর বাচ্চার মত অারো কেউ কেউ এই বিষয়টার কারনে ব্যাপক জ্বলুনিতে আছে সেটা দেখে কষ্ট পাচ্ছি।

১৪| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

এমজেডএফ বলেছেন: @শাহ আজিজ
যেভাবে মন্তব্য করেছেন, মনে হচ্ছে স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ!
"লক্ষ্য করুন আমাদের স্যাট যে অরবিটে পাঠানো হয়েছে তা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে । যথেষ্ট তরঙ্গ সুবিধা নিশ্চিত হবে না এতে।"
জেনে রাখুন, যেহেতু আমাদের স্যাটেলাইটি সবসময় বাংলাদেশের উপরে থাকতে হবে তাই স্যাটেলাইটি এই অরবিটে পাঠানো হয়েছে, কারণ:
"ভূস্থির কক্ষপথ বা ভূস্থির ক্রান্তিয় কক্ষপথ বা জিইও (ইংরেজি: Geostationary orbit) হল পৃথিবীর ক্রান্তিয় অঞ্চলের ৩৫,৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে একটি ঘুর্ণায়মান গোলাকৃতি কক্ষপথ। এই কক্ষপথে কোন বস্তুর ঘূর্নন গতি পৃথিবীর আহ্নিক গতির সমান অর্থাৎ পৃথিবী যে সময়ে একবার নিজ অক্ষে আবর্তন করে ঠিক একই সময়ে কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীকে একবার আবর্তন করে। ভূস্থির কক্ষপথে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষন করা হলে তা একই জায়গায় অবস্থান করে বলে মনে হয়। আবহাওয়া ও যোগাযোগ উপগ্রহগুলো সাধারণত ভূস্থির কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।"

"ওই অরবিটে প্রায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কিছু স্যাট আছে যদি লাইগা যায় তাহলে আমরা কিছু টাকা তুলে আনতে পারব , পুরো নয় । "
হাজার হাজার স্যাটেলাইটি ঘুরতেছে - তাতে সমস্যা হচ্ছে না। আর আমাদেরটা যদি লাইগ্যা যায়! - এটি অতি নেতিবাচক চিন্তার ফসল। স্যাটেলাইটের ট্রাফিক সিস্টেম কন্ট্রোল করার জন্য বিশেষ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

"বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা করুন । "
অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে পড়াশুনা করুন। নিজের উদ্ভট কাল্পনিক চিন্তাভাবনাকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশুনা হিসাবে জাহিল করার বোকামী করবেন না। মনে রাখবেন, ব্লগে সত্যিকার বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান আছে সেরকম লোকও আছে। সবাই আপনাদের মত দলকানা না।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার এই কমেন্টটি উদ্দিষ্টের জন্য দারুন চপেটাঘাত। আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম উনার আমি কি হনুরে ভাব দেখে। আপনার প্রতি শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

এমজেডএফ বলেছেন: @তাওহিদ হিমু
"দেশীয় প্রযুক্তিতে দেশের মাটিতে বানানো স্যাটেলাইট হলে গর্ব করার একটা যুক্তি থাকত। বিদেশীদের দিয়ে বানানোতে এমন বিশাল উল্লাসের কিছু নেই।"
গাড়ি আবিষ্কার হয়েছে আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে। এখনো পর্যন্ত আমরা বিদেশ থেকে আমদানী করা নতুন বা পুরানো গাড়িতে চড়ছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির পার্টস এনে এসাম্বল করা হয়। বাংলাদেশে ভুরি ভুরি অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়র থাকার পরও পরিপূর্ণ গাড়ি তৈরির কোন কারখানা নেই কেন? কারণ অনেক;
এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, কয়েকটি গাড়ি তৈরি করলেই কারখানার পোষাবে না। বিদেশি কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি 'Made in Bangladesh' দেখলে আপনিও হয়তো এ গাড়ি কিনবেন না!
আর স্যাটেলাইট জগতে প্রবেশের আগেই স্যাটেলাইট বানাবার কারখানা! গাঁজাখোর বা ইয়াবাখোর ছাড়া কোনো সুস্থ ব্যক্তি এমুহুর্তে এধরনের চিন্তা করতে পারে না।

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: @তাওহিদ হিমু : উত্তরের অপেক্ষা করছি

১৬| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

ক্স বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: জ্বলুনিটা কোথায় সেটা বুঝলাম

১৭| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রািন্ত বলেছেন: মুখের কথায় ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির হওয়া যায়। বাস্তবে তার ধারের কাছেও নয়। আপনি অনেক ভাল ভাল কথা বলেছেন। শুনতে বেশ ভাল লেগেছে। কিন্তু ওই যে, চিন থেকে সাবমেরিন কেনার গর্বের ঘোরটা এখনও আপনার রয়েগেছে। বর্তমান যুগের অর্থব্য জঞ্জাল কেনা হয়েছে আমাদের ঘাম রক্ত মেশানো টাকায়। কী সক্ষমতা রয়েছে ওই সাবমেরিনের? সমালোচনাকারীদের আপনি পাকপন্থি বলেছেন। ফেসবুকে আপনার প্রিয় দাদারা কেমন উপহাস করেছেন এই স্যাটেলাইট সম্পর্কে দেখেছেন?

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: খুবই কষ্ট পাচ্ছেন এটা বুঝতে পারছি। "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" এই থিউরীতেই কি ইন্ডিয়ান দাদারা অাপনাদের প্রিয় দাদা হয়ে গেলো ?

১৮| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: জানি না ঔদ্ধতার জন্য সরকার করল নাকি উন্নয়ন প্রদর্শন করার জন্য নাকি আসলেই উন্নতির চেষ্টা করা লক্ষ্য নাকি সব কিছু মিলিয়েই একটা সংকর চেষ্টা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।
আমার মন বলছে এই অর্থটা জলে যাবে তবুও আমি এর পক্ষে আছি।

গর্ব করব আমি তবে এই জন্য না যে, মহাকাশে আমাদের দেশের কিছু আছে ১৫ বছরের জন্য! গর্ব করব আমি এইক্ষেত্রে সরকার একটা খুব ছোট কিন্তু গভীর পদক্ষেপ নিয়েছে মহাকাশ চর্চার জন্য। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উপলক্ষে দেশের নিয়ন্ত্রক স্টেশন থেকে আরও কিছু শেখার সুযোগ হবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, শিক্ষার্থীদের। এটা যদিও ভেস্তেও যায় লোকসানও যায় তবুও ১৫ বছর লম্বা সময়। জনগনের সম্পদ সরকার মেরে দিলেও দেশের বিজ্ঞানীরা, ছাত্র-ছাত্রীরা একটা পরোক্ষ মহাকাশ বিষয়ক ব্যবহারিক শিক্ষা লাভ করবে। যা স্বল্প হলেও, অনেক কিছু আমাদের মত দেশের জন্য।

আমি সরকার, বিএনপি-আওয়ামীলীগ, ক্ষমতা, দূর্ণীতি focus করছি না। এটার জন্য ভিন্ন পোস্ট ভিন্নভাবে আলোচনা করতে হবে।

তবে যারা এই প্রজেক্ট এর বিরোধীতা করছেন তাদের যুক্তিকেও সম্মান জানাচ্ছি। অবশ্যই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা বা অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেই এদিকে আগানো উচিত ছিল। মহাকাশ চর্চা করে বাংলাদেশ কোন বড় পর্যায়ে যাবে না তাও সত্য কারণ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী নয়, তার উপর প্রতিবেশী দেশের প্রভাব ইত্যাদি।

এই প্রজেক্টকে কাজে লাগিয়ে আমাদের তরুণরা শিক্ষানবীশ হিসাবে ব্যবহারিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বাহিরে কাজ করার সুযোগকে আরো প্রসারিত করতে পারবে। এই পথ ধরে হয়ত আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কাভারেজ দিতে পারে সেই অংশের স্যাটালাইটের জায়গা পাব ও সেখানে ২য়টি স্থাপন করতে সক্ষম হব।

তবে এই মহাকাশ চর্চা গরীব দেশের জন্য উচ্চভিলাষী চর্চা। আমাদের যে সম্পদ আছে এটাকে কাজ লাগালে উন্নতি করা সম্ভব।
আমি জ্ঞান অন্বেষণ এর পক্ষে আছি তাই বাধ্য হয়েই পক্ষে রয়েছি। ২০০৭ না হয়ে ১৯৮০-৯০ এর মধ্যে প্রজেক্ট করা দরকার ছিল। এখন আমার বা আপনার আটকানোর সুযোগ নাই সুতরাং এটাকে মেনে নেন আর এ থেকে কিভাবে কি আদায় করা যায় সে আলোচনা করি।

সরকারের প্রকাশ করা উচিত এটা কার কাছে কিভাবে ভাড়া আদায় করবে, কিভাবে কাজ লাগাবে ও লাগাচ্ছে (শিক্ষা বা যোগাযোগ যেটাই হোক), সময়ভিত্তিক প্রতিবেদন আশা করছি সব সময়।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দারুন গঠনমুলক সমালোচনা। একটু সংযোজন বিয়োজন করলে এটা নিজেই একটা পুর্ণাঙ্গ পোস্ট হতে সক্ষম।

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আমি আপনাদের মত অতসত বুঝি না। তয় এতটুকু বুঝি, সরকার শিক্ষা, সাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থানের উন্নতি করে দেশের প্রধান শক্তি তথা মেধাকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানী তৈরি করতে পারতো। তখন দেশীয় বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট, পরমানু বানাইলে সরকারের পায় তিন বেলা চুমা দিতাম আর গর্ব বোধ করতাম। শুধু আমি কেন!!!! বাংলার সকল জনগণ.............

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আরও অনেক বেশী বিনিয়োগ আমাদের দরকার এটা অস্বীকার না করেও আমাদেরকে টেকনোলজীতেও এগিয়ে যেতে হবে, এটা তারই একটা স্টেপ। এই পরিমান অর্থ বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় খুব বেশী নয়

২০| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এমজেডএফ বলেছেন: হাজার হাজার স্যাটেলাইটি ঘুরতেছে - তাতে সমস্যা হচ্ছে না। আর আমাদেরটা যদি লাইগ্যা যায়!
এই লাগা অর্থ মুখোমুখি হওয়া নয়। উনি বলতে চেয়েছেন-যদি তাদের গুলো বাদ পড়ে আমাদেরটা ভাড়া হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: উনি শাহ আজিজ এর টিটকিরীর উত্তর পাল্টা টিটিকিরীতে দিয়েছেন, এই যা.............

২১| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

গরল বলেছেন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্র নিজেরা কম পয়সায় ন্যানো স্যাটেলাইট বানালো, নাসা তাদের খরচে সেটা মহাকাশেও পাঠাল সেটা নিয়ে কেন কারো গর্ব হল না। সরকার তাদের নুন্যতম সম্মান জানাল না, কোন অনুদান তো দুরের কথা। আমরা আসলে কি নিয়ে গর্ব করতে হয় সেটাই জানি না। সরকারের উচিৎ ছিল তাদেরকে এই প্রজেক্টে আত্মীকরণ করা কারণ তাদের স্যাটেলাইট আফ্রিকার গরীব দেশগুলো কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য কি এটা কোন সম্ভবনা নিয়ে আসত না যদি তাদের দিয়ে কিছু একটা করা যেত? তারাতো আরও বড় কাজ করেছে, অর্থনীতি বুঝেন এটা বুঝেন না? একটাই সমস্যা তাতে সরকারের কেরামতি বাড়ত না আর নির্বাচনের সময় কোন চমক থাকত না।

একটা লোক যে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে পাট থেকে সলুলোজ পলিমার তৈরী করল পলিথিন এর বিকল্প হিসাবে, এটাতে সরকার কেন বিনিয়োগ করছে না? সেদিন পত্রিকায় দেখলাম ঐ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পথে। এটা কি কম বড় সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য। ফাইন্যান্স বুঝেন ভাল্যু ফর মানি বুঝেন না? কেনা স্যাটেলাইট, ভাড়া করা অর্বিটাল এবং সবচেয়ে ব্যায়বহুল কম্পানীর মাধ্যমে প্রায় দ্বিগুন খরচে মহাকাশে পাঠিয়ে এইবার ভ্যাল্যু ফর মানি হিসাব করে দেখান। যেটা কিনা শুধু মাত্র টিভি ব্রডকাষ্টিং এর কাজে লাগবে এবং তাও আবার ভাল কভারেজ ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ায় (১১৯ দ্রাঘিমায়), বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোরও কোন কাজে লাগবে না।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনাকে অনুরোধ করবো, পোস্টটি আবার লাইন বাই লাইন পড়তে। তাহলে আপনার কমেন্টটি আপনি মুছে দিয়ে নতুন করে লিখতে চাইবেন।

এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি, আপনি প্রথম প্যারায় আমাকে বলেছেন : অর্থনীতি বোঝেন, এটা (রকেট সায়েন্স) বোঝেন না ? উত্তরে বলছি, না, বুঝিনা। আপনিই বুঝলেই হবে। আর সব বোঝা আমার কর্ম নয়। যেটা আমার সেক্টর সেটা বুঝলেই আমি খুশি।
বলেছেন : ফাইন্যান্স বুঝেন, ভ্যালু ফর মানি বুঝেন না ? উত্তরে বলছি : আপনি এর উপর একটা জ্ঞানগর্ভ অভিসন্দর্ভ লিখে ফেলুন না, নতুন করে জ্ঞান অর্জন করি।

কিভাবে নম্রভাবেও কঠিন সমালোচনা করা যায় তা এই পোস্টের দুএকটা কমেন্ট দেখলেই বুঝতে সক্ষম হবেন। আর আমিও সেই কমেন্ট গুলিতে কিভাবে প্রতিকমেন্ট করেছি তাও দেখে নিয়েন।

এবার পয়েন্ট ওয়াইজ উত্তরে আসি :

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও কিউশু ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজীর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশী তিন শিক্ষার্থীর সেই ন্যানো স্যাটেলাইট অবশ্যই আমাদের জন্য গর্বের। সরকারের অবশ্যই উচিত ছিলো, তাদেরকে উৎসাহ দেয়া। সেটা অবশ্যই ভুল হয়েছে। তাই বলে সময় কি শেষ হয়ে গেছে ? আর একটা ন্যানো স্যাটেলাইট যেহেতু আছে, অার কোন নতুন স্যাটেলাইট কি স্থাপন বা কেনা যাবে না ? তাহলেতো ঐ একটা বই যেহেতু আছে, বাকী বইএর দরকার কি এর মত হয়ে গেলো না ?

আর ভোটের রাজনীতির মাঠে কে এধরনের বিষয় এ্যনক্যাশ করবে না ?

আর পাট থেকে পলিথিন উৎপাদনের প্রজেক্টটি হারিয়ে যাচ্ছে এটা অবশ্যই আপনি পত্রিকা পড়ে বললেন তাই না ? পত্রিকায় অাসা নিউজের বাইরেও একটা বিশাল দুনিয়া আছে সেটা অবশ্যই জানেন। ঐ প্রজেক্ট হারায় নি বা হারিয়ে যাবে না, এটা কনফার্ম থাকেন। পত্রিকাওয়ালারা নেগিটিভ নিউজ বাঙ্গালীর নেগেটিভ মেন্টালিটিকে টার্গেট করেই লিখে।

এটাযে ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট সেটা সবাইই কমবেশী জানে, নতুন করে বলার কিছু দেখিনা। আরএকটু অপেক্ষা করে দেখুন, আমাদের কতটুকু কাজে লাগে। আগেই হাউমাউ করার কিছু দেখি না।

এটা খুব লাভজনক প্রজেক্ট হবে সেটা আমিও আশা করি না, তবে চাইলে একে লাভজনক করা সম্ভব সেটা পোস্টেই বলেছি। প্রতি বছর শুধু টিভি সম্প্রচারের জন্য বিদেশী স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ ১২০ কোটি টাকা আমাদের খরছ হয়। তারমানে ১৫ বছরে ১৮০০ কোটি টাকা । আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না..........................মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পড়লাম। ভাল লিখেছেন।
রিফাত হোসেনের মন্ত্যব্য ভাল লেগেছে।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১:২০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: হাসান ভাই আপনাকে এখানে পেয়ে খুশি হলাম। দ্যাখেন না ক্যামন আজব একটা অংশ আমাদের এই জাতির, যারা নিজের দেশটাকে নিয়েও গর্ব করার মত মানষিক সুস্থ্যতার লেভেলে নেই।

হ্যাঁ, রিফাত হোসেনের মন্তব্য খুবই ভাল লেগেছে, উনি পজিটিভলী আশংকাগুলিও সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সবচে অবাক লাগে ফখরুলের মতো প্রবীন রাজনীতিবিদ যখন বলেন ওটা আগে ঘুরুক তো।

যে যতই হিসাব দেখাক, শূন্য এদিক ওদিক করে ক্ষতির পরিমান বাড়াক এটা আমাদের জনয় গর্বের। আরো আগে ওড়ানো উচিত ছিলো। কিন্তু যে দেশে তথ্য পাচার হয়ে যাবে বলে বিনামূল্যের অপটিক ফাইবার ফিরিয়ে দেয়া হয় সে দেশে এরকম পদক্ষেপ নেয়া দলগুলোর পক্ষে কখনোই সম্ভব না। আর এটাই পরিস্কার এখানে যে কারা এর বিরোধিতা ও টিটকারী করছে এবং কেন করছে

১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: দেরীতে উত্তর দেবার জন্য দু:খিত।

ফখরুল সাহেবকে তো শিক্ষিতই জানতাম। উনাদের মত রাজনীতিবিদরা নিজের মাথাটারেও ইউজ করা ভুলে গেছেন.........

২৪| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের প্রতি মমত্ববোধ বুকে ধারন করেই লেখাটা লিখেছেন। সাধুবাদ জানাই। আরো লিখুন- ভাল থাকুন

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: তপন ভাই, ভালো আছেন ?

২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: কি ভাই স্যাটালাইটে করে উড়ে গেলেন নাকি??? খোজ খবর নাই- ব্যাপার কি, অপেক্ষায় থাকলাম...

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: তপন ভাই, আগস্টের ৭ তারিখে রোড এক্সিডেন্টে পা ভেংগে ফেলি এখনো রিহেবিলিটেশন এর মাঝ দিয়ে যাচ্ছি। আবার ফিরলাম। দেরি তে উত্তর দেবার জন্য ক্ষমা চাই।

২৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখার শুরু করেন আবার।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফিরে এসেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.