নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈজ্ঞানিক

কখগ

ডক্টর এক্স

ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী মাত্র।

ডক্টর এক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের আবেগীয় অস্থিতিশীলতা/মুড সুইং আর তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার একটা মজার উপায়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মেয়েদের নিয়ে ছেলেদের একটা কমপ্লেইন হলো তাদের বোঝা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তাদের মানসিক দশা নাকি সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয় । আর তাদের বুঝতে পারা তাই রুবিকস কিউব সমাধাণ করার থেকেও কঠিন।

আজকে এই বিষয়েই একটু আলোকপাত করা যাক। আমাদের যাই শেখানো হয়ে থাকুক না কেন, আমাদের মানসিক অবস্থা কিন্তু কখনোই অপরিবর্তনীয় নয় , বরং তারা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। সকালবেলা হয়ত কেউ সুখি, সেদিনই দুপুরবেলা দুঃখী, সন্ধ্যায় আবার রাগান্বিত। এক মিনিট আগেই হয়ত আপনি কাউকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন আর এখনই তাকে পুরোপুরি ঘৃণা করছেন।

আমরা পুরুষেরা আমাদের লজিক ব্যবহার করে আমাদের আবেগকে প্রতিনিয়ত দমিয়ে রাখতে এবং সার্বিকভাবে আমাদের মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি, যা টিকে থাকার লড়াইয়ে অত্যন্ত জরুরী একটা গুণ। তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। মেয়েরা আমাদের মতো তাদের আবেগকে দমিয়ে না রেখে বরং আবেগের সাথে গা ভাসিয়ে একটি মানসিক অবস্থা থেকে সম্পুর্ণ আরেকটি মানসিক অবস্থায় চলে যেতে সক্ষম। আর পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েরা তাদের এই বিশেষ গুণটি লুকিয়ে রাখতে রপ্ত করেছে, আর এটা এত সূক্ষ্ম যে, আমরা পুরুষেরা এটা প্রায় সময়ই বুঝতে পারিনা। বরং আমরা আমাদের যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে এর কোন সমাধান বের করতে ব্যর্থ হই এবং প্রচুর মানসিক এনার্জি নষ্ট করে থাকি যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।



নারীর পৃথিবী মূলত বেশিরভাগ সময় প্রচন্ড আবেগীয় এবং একটি চেইনের মতো সে এক মানসিক অবস্থা থেকে অন্যটি আবার সেটি থেকে আরেকটি তে লাফ দিয়ে চলে যেতে অভ্যস্ত, যার ক্যালকুলাস কোনভাবেই যুক্তিনির্ভর নয়। এর জন্য নারীর শারীরিক গঠন ও তার কার্যপ্রক্রিয়াও খুব বড় ধরণের একটি কারণ ।

ঘুম থেকে উঠেই হয়ত একটা মেয়ের মন খুব ভালো কারণ জানালার বাইরে পাখিরা গান গাচ্ছে। আবার তার পাশের চেয়ারে রাখা লাল ড্রেসটি দেখেই তার মনে পড়ে গেলো তার বেস্ট ফ্রেন্ড গতকাল এটা দেখে বলেছে তাকে এই ড্রেসে মানায়নি। আবার হয়তোবা দোকানে গিয়ে সেটা চেঞ্জ করার সাথে সাথে তার পৃথিবী হয়ে উঠলো সুন্দর এবং ভরপুর। হয়তোবা ফোনে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলার সময় বয়ফ্রেন্ড কথার মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিলো, প্রচন্ড মন খারাপ করে মেয়েটি ভাবতে লাগলো তার বয়ফ্রেন্ড তাকে একদমই বুঝতে পারেনা। প্রচন্ড কান্না আসছে তাই সে আজ ভার্সিটি যাবে না।

একটা মেয়ে সম্পূর্ণভাবে একটি আবেগ থেকে অন্য আরেকটি আবেগে চলে যেতে পারে কোনরকম মানসিক দ্বন্দ্ব ছাড়াই, যদিও এই সকল আবেগের একটির সাথে অন্যটির যুক্তিগত কোনরকম কানেকশন নেই।



তাই মেয়েদেরকে বোঝার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু মন্ত্র মনের গভীরে ইন্সটল করে নেয়া খুব প্রয়োজন।



“একটি মেয়ে যাই বলুক না কেন, কোন একটি মুহুর্তের তাৎখনিক আবেগ নিয়ে সে সাধারণত কোনরকম অপরাধবোধে ভুগে না, যেমনটা পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব বেশি হয়ে থাকে। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলেই পুরুষেরা অপরাধবোধে আক্রান্ত হয়।”



হয়তোবা কোন একটা শপিং মলে গিয়ে আরেকটি লাল কালারের ড্রেস দেখেই তার মন খারাপ হয়ে গেলো, সাথে সাথে তার প্রত্যক্ষ পরিবেশে এই অনুভূতিটি সে স্থাপন করে দেবে। অর্থাৎ সেই মুহুর্তে তার বয়ফ্রেন্ড তার সাথে থাকলেও ছেলেটির ওপর মেয়েটির এই হটাৎ আবেগীয় পরিবর্তন কি প্রভাব ফেলতে পারে সে ব্যপারে মেয়েটি অপরাধবোধে না ভুগেই পুরো প্রক্রিয়াটি চলবে। তবে এতে আসলে রাগের কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক। রেগে গেলে কখনোই মেয়েদের সাথে মিলিমিশে থাকতে পারবেন না এটুকু মনে হয় আমরা সবাই এতদিনে জানি।



বড়জোর মেয়েটি বলতে পারে যে, “সরি, আমার খুব নার্ভাস লাগছে আর আমি একটু বিচলিত অথবা আমার মেজাজটা খারাপ।” তবে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা বয়ফ্রেন্ডটির উচিৎ হবে না।



এবার আসি রুবিকস কিউবের সমাধানে। এ পর্যায়ে বয়ফ্রেন্ড তার নিজস্ব মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেললেই আরো বড় গেঞ্জাম/ঝামেলা অনিবার্য, যেটা পুরুষ-নারীর ছোটখাট বিষয় থেকে বড় ঝামেলাগুলোর সবথেকে বড় উদাহরণ। আর ঝামেলার কোন পর্যায়ে পুরুষ যদি যুক্তি ব্যবহার করতে চায় তবে নিশ্চিত থাকতে পারেন এটা আরো বড় আকার ধারণ করবে, যেটা আমরা প্রতিনিয়তই করে থাকি।

নিজের ওপর থেকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রন হারাবেন না আর মেয়েটিকে সিরিয়াসলি নেবেন না। বরং আগুনে আরেকটু তেল ঢেলে দিয়ে দেখুন কি হয়। হটাৎ মেয়েটির এ ধরনের আচরণ করবার পেছনের লজিক খুজতে গেলেই বিপদ বেড়ে যাবে। আপনার পাগল হয়ে যাবার সম্ভাবনা তাতে প্রবল এবং লং টার্মে আপনাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তা মোটেই ভাল হবে না।



মেয়েটি – বিরক্ত হয়ে – “ ধ্যাৎ, এই লাল ড্রেসটা একদমই বাজে। আমাকে একদমই মানায় না।”

বয়ফ্রেন্ড- “আচ্ছা, অসুবিধা নেই, অন্য আরেকটা কিনে নিলেই হবে।”

ভুল। বয়ফ্রেন্ড তার পুরুষসুলভ যুক্তি ব্যবহার করে ধরে নিয়েছে যে আরেকটি নতুন জামা কিনলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বরং ঝামেলা সেখান থেকেই শুরু হবে।



এবার অন্যভাবে,

মেয়েটি – বিরক্ত হয়ে – “ ধ্যাৎ, এই লাল ড্রেসটা একদমই বাজে। আমাকে একদমই মানায় না।”

বয়ফ্রেন্ড- হাসিমুখে – “একদম ঠিক। চিন্তা করে দেখো, এটা পরে রাস্তায় বের হয়েছো আর একটা মহিষ তোমাকে ধাওয়া করছে।”

কোন সন্দেহ নেই মেয়েটির রাগ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে। আর বয়ফ্রেন্ড শান্ত ভাবে গরম আগুনে আরেকটু তেল ঢেলে দিলো। বয়ফ্রেন্ড – “বাপরে বাপ, এখনতো তোমাকেই একটা মহিষের থেকেও ভয়ানক মনে হচ্ছে।”

মেয়েটি – “তুমি একটা শয়তান।” বলতে বলতে নিজের অজান্তেই সে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

বয়ফ্রেন্ড – হাসতে হাসতে “Exactly…….”





ছেলেটি একটাবারও তার নিজস্ব মানসিক স্থিতি না হারিয়ে অথবা রেগে না গিয়ে মেয়েটাকে তার ড্রেসটির সাথে যুক্ত প্রতিটা আবেগ অনুভব করতে দেয় এবং তার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে বরং মেয়েটার মানসিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। আর মনে গভীরে মেয়েটা ঠিক এমন্টাই চায়। তার ঝামেলায় পড়ে নিজেরই মাথা খারাপ করে ফেলা একটা ছেলেকে তার সামলানোর কোন ইচ্ছা নেই। আবার নাটকীয়তা থেকে বাচার জন্য যে ছেলে তাকে সাথে সাথে আরেকটি নতুন ড্রেস কিনে দেয় তাকেও মেয়েরা ঠিক পছন্দ করে না।



আর এজন্য পুরুষদের মনোবিজ্ঞানী না হলেও কিছু কিছু ব্যপার বুঝতে পারাটা অবশ্যই কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি, আর এটা করা সম্ভব একদম থিউরী মেনে।



১। একটি মেয়ের মানসিক অবস্থার হটাৎ পরিবর্তন একটি বিশেষ মুহূর্তে বুঝতে পারা এবং তার মানসিক স্থিতির কোন নিশ্চয়তা নেই সেটা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারা।

২। এই পর্যায়ে যুক্তিনির্ভর যোগাযোগ না করে বরং ভাবোদ্দীপক ভাষার ব্যবহার করে তার সাথে কমিউনিকেট করা।

৩। সবশেষে মেয়েটার মানসিক অবস্থাকে তার অজান্তেই বিশেষ ভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া, সাইকোলজি তে ভাষার ব্যবহার করে কাউকে ইনফ্লুয়েন্স করার যে বিজ্ঞান তা থেকেই উৎপত্তি হওয়া নিউরো-লিঙ্গুইস্টিক প্রোগ্রামিং অনুযায়ী মানুষ সচেতন ভাবে এবং অবচেতন ভাবে প্রতিনিয়ত একে অপরকে সম্মোহন করে যাচ্ছে, এটা আমাদের একদমই মৌলিক একটা গুণ। আর মানুষকে কোন কিছুর বিশদ বিবরণ দিয়ে খুব সহজেই তার আবেগীয় অবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব।



ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যে মেয়েরা উপর দিয়ে যাই বলুক না কেন প্রতিটা মেয়েই এই ধরণের আচরণে অত্যন্ত খুশি হবে কারণ তারা তাদের মানসিক অস্থিতিশীলতার জন্য কোনভাবেই দায় নিতে প্রস্তুত নয়। আর একটা ছেলে যখন নিজে শান্ত থেকে সুন্দরভাবে একটি মেয়ের আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে তাকে সাহায্য করে, মেয়েটা এটাই ধরে নেয় যে সে খুব আত্মবিশ্বাসী এবং একজন উপযুক্ত লিডার। একইসাথে সংবেদনশীল এবং মানসিক ভাবে শক্ত।



মেয়েরা পুরুষের ব্যক্তিত্বের দুটো গুণ প্রচন্ড পছন্দ করে। যার একটি হলো নারীসুলভ গুণ – একটি মেয়ের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা এবং তাকে ইনফ্লুয়েন্স করতে পারা। অপর গুণটি হলো পুরুষসুলভ মানসিক দৃঢ়তার [নিয়ন্ত্রণ না হারিয়ে] সাথে একটি মেয়েকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারা। [আর মেয়েদেরকে একজন যোগ্য লিডারের মত পথ দেখাতে হলে নিজের জীবনে লিডারশিপ গুণাবলী সবার আগে দরকার। তবে আজকে সে বিষয়ে যাচ্ছি না। ]



পুরুষমাত্রই বুঝতে পারবেন এটুকু জ্ঞানের অভাবে কতরকম সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমাদের। আর এগুলো বুঝতে পারিনা বলেই আমরা পুরুষেরা মেয়েদের নিয়ে এত কমপ্লেইন করি। মেয়েদেরকে আরো ভালো করে বুঝবার জন্য তাই এদূটো গুণ ব্যক্তিত্বের অংশ হওয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি। একজন যোগ্য পুরুষের মত মানসিক স্থিতি আর একজন নারীর মত সংবেদনশীলতা। প্লেবয়দের মধ্যে যে দুটো গুণ বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করা যায় ।



একটা রিয়েল লাইফ ফেসবুক এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে বরং আজকের লেখাটা শেষ করা যাক। প্রায় বছর ছয়েক আগের কথা।



সে- “ইস, ফ্রেন্ডলিস্ট মাইয়া মানুষ দিয়া ভরপুর।”

আমি- ব্লেইম দিলা মনে হয়?

সে- “নাহ । হাম আপকে হে কউন। আমি ব্লেইম দেয়ার কে? চোখে যা দেখলাম তাই বললাম। এইগুলাকে বলে হাসা কথা।”

আমি – “কি বলবো মাথায় আসছে না। শুধু এটুকু বলতে পারি যে, তেমন কেউ কমসেকম ফ্রেন্ডলিস্ট এ নেই, আমি মেয়েদের সাথে তেমন একটা মিশিও না” [ পুরুষসুলভ লজিকের ব্যর্থ ব্যবহারের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ]

সে- “হুমমমম, সেটাই। সত্য কথা বললে মানুষ মাঝে মাঝে চুপ খেয়ে যায়।”



এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে কেমিস্ট্রি অবিশ্যম্ভাব্য ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে এই সম্পর্কটি একটি বিশেষ রুপ পেয়েছিল কিন্তু আমার মনে হয় সেদিনের সেই কথোপকথনটা অন্যরকমও হতে পারতো।



যাই হোক, মাঝে মাঝে ভাবি কবে সেদিন আসবে যেদিন "সম্পর্ক বিজ্ঞান" নামে একটা আলাদা বই তুলে দেয়া হবে সবার হাতে। আবার চিন্তা করি যে ক্লাস ফাইভ সিক্স অথবা ইন্টামিডিয়েটেই যদি আমাকে কিছু সাইকোলজির বই ধরিয়ে দেয়া হতো তাহলে হয়ত অনেককিছুই অন্যরকম হতে পারতো, এই কথোপকোথনটাও নিশ্চিত অন্যরকম হতো। তবে সেক্ষেত্রে হয়ত আরো অনেক বড় কিছু ব্যপার মিস করে ফেলতাম। দিনশেষে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার জীবনের প্রায় প্রতিটা ভুলই কোন না কোন ভাবে আপনাকে ভাল কিছু দিয়ে যাবার জন্যই করা।



https://www.facebook.com/DoctorXBD

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: জটিল লাগলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :P

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: হে হে । জ্বি, আমারও বেশ হাসি পাচ্ছে । ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকবেন ।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৫

চিরতার রস বলেছেন: পারলে প্রতিদিন একটা পোস্ট দেন। আপনের পোস্টের জন্য অনেক ওয়েট করতে হয়।
সাইকোলজির ভাল কোন বইয়ের সন্ধান দিতে পারেন ? বাংলা ।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আসলে সময় করতে পারলে আরো নিয়মিত লেখবার ইচ্ছাই আছে । সাইকোলজির বই বাংলায় এ পর্যন্ত আমি কিছু খুজে পাইনি, আসলে সেভাবে খুজিনি বলাটা আরো সত্য হবে । তবে আজিজে খুজে দেখতে পারেন । আর আমি আপনাকে ইংলিশ কিছু বই এর নাম দিতে পারি চাইলে ।
ভালো থাকবেন । শুভ কামনা ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

মাক্স বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ+++++++++

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আর শুভ কামনা ।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

বোকামন বলেছেন: লেখাটি পড়লাম :|

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ডক্টর এক্স বলেছেন: পড়বার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: কমেন্ট করে গেলাম। পড়ে পড়বো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । পুরোটা পড়া হলে মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না । কোন আলোচনা সমালোচনা থাকলেও জানাবেন ।

শুভ কামনা ।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার পোষ্ট বরাবরই দারুণ। একবার পড়লাম। কাল আরেকবার পড়ব।


শুভ কামনা

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

সৌরভ ভুঁইয়া বলেছেন: সেন্স অফ হিউমার সব রিলেশনেই জরুরি। আপনি আরো ঘন ঘন লিখেন। আপনার লেখা ভালো লাগে :D

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সেন্স অব হিউমার দিয়ে আসলে একজন মানুষের নিজের ব্যপারে কনফিডেন্স লেভেল কতদূর সেটা বোঝা যায়। এজন্য মেয়েরা এটাকে বেশ দাম দিয়ে থাকে। লেখা ভালো লাগে জেনে খুব ভালো লাগলো। চেষ্টা থাকবে আরো বেশি করে লেখবার। অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: ভালো লাগলো

১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রবি কিরণ বলেছেন: আপনি ত অনেক গবেষণা করেছেন।পোস্টে প্লাস। পরবর্তী আর পোস্টের অপেক্ষায়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: B:-) #:-S 8-| :-B

চালিয়ে যান :)

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। চালিয়ে যাওয়ার জন্যই তো শুরু করা। :D

শুভ কামনা রইলো।

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০২

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: কথা হলো ছেলেরা সবসময় লজিক দেওয়ার চেষ্টা করে।ছেলে অর্থে বাবা/ভাই/স্বামী/ ছেলেবন্ধু যেই হোক না কেন। তারা প্রকৃতিগত ভাবেই হয়তো এরকম। আর আমাদের সমাজে ছেলেরা মেয়েদের ডমিনেট করবে এটাই স্বাভাবিক। মানষিক অবস্থা বুঝার চিন্তা কি কখনো তারা করে?! আমি বিশ্বাস করিনা।

সত্যি কথা বলতে আশবাদী না আমি। :(

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: ছেলেদের ভুলের মূল কারণটা আসলে নিজেকে বোঝা নিয়ে। নিজেকে বুঝতে শিখলেই মানুষ অন্যকে সঠিকভাবে বুঝতে শিখে।

তাই মানসিক অবস্থা বোঝার কথা ছেলেরা চিন্তা করে না এটা একদমই ভুল কথা, ইতিহাস সাক্ষী আছে, যুগে যুগে মেয়েদের মানসিক অবস্থা বুঝতে গিয়ে অনেকেই পাগল হয়ে গেছেন। আর চেষ্টা যে এখনো চলছে সেটাও তো দেখতেই পাচ্ছেন। আমি কিন্তু সবসময় আশাবাদী। আমার প্রধান ফোকাস তাই নিজেকে নিয়ে। সম্পর্কের ব্যপারে যা বলতে পারি, ছেলে/মেয়ে যখন নিজেকে জানার ব্যপারে আগ্রহী হয়ে উঠবে তখনই সম্পর্কগুলো আরো সুন্দর হবে।

আশা হারালে তাই চলবে না। শুভ কামনা রইলো।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০

ফারজানা শিরিন বলেছেন: মেয়েরা রহস্যময়ী ! কথা সত্যি !!! :P

এবং সেই এখি কারণে ছেলেরা দুর্বোধ্য !!! :-P

এই লাইনটা আজ সকালে পত্রিকায় পড়েছিলাম । কাজে লেগে গেলো ! ;)

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: বাহ ! ভালো লিখেছে তো !!
আসলে দুজনের চিন্তা করবার যেই প্রক্রিয়া তা আলাদা হবার কারণেই একে অন্যের কাছে দুর্বোধ্য আর রহস্যময়ী। আবার এটাই কিন্তু তাদের একে অপরের কাছে আকর্ষণীয় হবার অন্যতম কারণ।
আপনাকে ধন্যবাদ মূল্যবান কমেন্টের জন্য। শুভ কামনা।

১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: একচুয়েলি আপনার বিশ্লেষন বেশ ভালো লেগেছে।

অনেক সময় আবগেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিন্তু মেয়েরা কিভাবে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সেই সম্পর্কে টিপস পেলে ভালো লাগতো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০

ডক্টর এক্স বলেছেন: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবার সবচাইতে ভাল উপায় হলো একটি বিশেষ আবেগ সম্পর্কে সচেতনতা অর্থাৎ কেন আপনি এই বিশেষ আবেগটি অনুভব করছেন সে ব্যপারে নিজেকে প্রশ্ন করা। প্রচলিত নিয়মে আবেগকে চাপা দিতে গেলে বরং নিজের ক্ষতি হবার চান্স বেশি কারণ সে ক্ষেত্রে অবচেতনে ঐ আবেগটিকে যত্ন করবার একটা প্যাটার্ন আমাদের মাঝে থেকে যায়। "নিজেকে জানুন" কথাটি এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল উদ্ধৃতি হোটে পারে। একটি আবেগকে সনাক্ত করতে পারলেই যে কারোর সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার চান্স অনেকাংশে বেড়ে যায়।

এ ছাড়াও আরো অ্যাডভান্স লেভেলের নিয়ম আছে তবে অত জটিলতায় যাবার আসলে দরকার নেই। সচেতনতাই মানুষের জীবনের সবচাইতে আবেগ নিয়ন্ত্রনের সবচাইতে ভাল উপায়।

আর সবক্ষেত্রেই যে আবেগ খারাপ তা কিন্তু নয়, তাই আপ্নাকেই বুঝতে হবে যে কোনটি আপনার জন্য ভাল আর কোনটি খারাপ। ভালো থাকবেন।

শুভ কামনা রইলো।

১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২

ইমরান হাসান ক বলেছেন: আপনি আমার লাইফ বদলে দিয়েছেন। যে আমার এক কালে কোন নারী ফ্রেন্ড ছিল না তার আজকে ১১ টা বান্ধবি আছে।, আমার জি এফ এর কিছুদিন আগে বিয়ে ঠিক হয়ে গেল আমেরিকা প্রবাসি এক ছেলের সাথে, বাট আপনার শেখান ফর্মুলা তে আমি সম্পূর্ণ অবিচল থেকে কাজ করেছি, আর মানসিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেয়েছি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: বাহ, খুবই ভাল সংবাদ। তবে আশা করি বান্ধবির সংখ্যা বাড়ানো ছাড়াও সম্পর্ক মেইনটেইনের ব্যপারে এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও লেখাগুলো আপনার কাজে লাগবে।

নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি পরিচিত সবাইকেও "ভালো লাগা" দেয়াটাই আসলে এই ব্লগের প্রধান উদ্দেশ্য।

আপনি ভালো থাকবেন আশা করি আর একটু সাবধানে আগাবেন এটাও আশা রাখছি। ১১ টা বান্ধবি কোন ছেলেখেলা নয় সেটা নিশ্চয়ই আমরা সবাই বুঝি। তাই আপনার জন্য বিশেষ শুভ কামনা। সেইসাথে মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।

২০| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
সাইকোলজির বই দিলে কিন্তু দুজনের কাছেই থাকত, আরো জটিল হতে পারত। আচ্ছা, মেয়েদের নিয়ে লেখেন।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

ডক্টর এক্স বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত না হয়ে উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, সাইকোলজি আসলে অন্যকে বোঝবার ক্ষেত্রে যতটা না কাজে লাগে তার থেকেও বেশি মূল্যবান আসলে নিজেকে বোঝবার মধ্যে দিয়ে। আর নিজেকে বুঝতে পারাটাই আসলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় আশীর্বাদ। এতে মানুষ অন্যকে শুধরাবার অথবা চেঞ্জ করবার বদলে আত্মোনয়নের দিকে মনোযোগ দিবে বলেই আমার বিশ্বাস। ব্যপারটা নির্ভর করে কতটা সুন্দর ভাবে তাকে ব্যপারগুলো বোঝানো হচ্ছে তার ওপর। তাই সঠিকভাবে বিষয়গুলো শেখানো গেলে জটিলতার প্রশ্ন তো আসেই না বরং মানুষের জীবনকে অনেক সহজসাধ্য করে তুলবে তা এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আর মেয়েদের নিয়ে আসলে লেখার ইচ্ছা আছে তবে সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতারও আশংকা থেকে যায়। নারীদেরকে নিয়ে বরং নারীদেরই লেখা উচিৎ বলে মনে করি আমি। নারীর ওপর পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিলে প্রায় সময়ই তার ফলাফল নেতিবাচক হয়, বরং বিতর্কেরও অবকাশ থেকে যায়। তারপরও আমার লেখায় খুব সূক্ষ্মভাবে নারীর আবেগসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কিন্তু লেখাই থাকে। আমার মনে হয় আপাতত নারীকে পুরুষ কিভাবে দেখে থাকে সেটাই তাদের নিজেকে চেনার ব্যপারে এবং আরো পরিশীলিতভাবে উপস্থাপন এবং নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

এরপরেও চেষ্টা থাকবে কিছু লেখার। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা।

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

কামরুদদুজা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.