নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈজ্ঞানিক

কখগ

ডক্টর এক্স

ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী মাত্র।

ডক্টর এক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে নারীর ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ- পুরুষের জন্য তার অনন্য উপহার

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১

নারী-পুরুষের সম্পর্কগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা মূলত বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরণের মিক্সড মেসেজের প্রতি তৈরি এক ধরণের বিরক্তি থেকে। এমনকি পত্রিকায় ছাপানো কাউন্সেলরদের উপদেশও অনেকাংশেই মনে হয় ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তবা সামাজিক সীমাবদ্ধতাগুলো মেনে না নিয়ে উপায় নেই। তাই উপদেশের বেলায় তাদের পলিটিকালী কারেক্ট মনোভাবকেও পুরোপুরি দোষারোপ করা উচিৎ হবেনা।



অন্যদিকে এই ব্লগে শুধু ছেলে/পুরুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে লেখার ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে লেখার ভেতরের লুকোনো নারী-বিদ্বেষমূলক মনোভাব নিয়ে। দিনশেষে যেহেতু মানুষের চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভংগীই তার বাস্তবতাকে আকার প্রদান করে তাই লেখক হিসাবে এটুকু সীমাবদ্ধতা মেনে না নিয়েও উপায় নেই। এমনকি এ লেখাগুলো পড়ে যে অনেকে ভালো ছেলে থেকে হটাৎ এক লাফে ব্যাড বয় হয়ে যাবে সে ব্যপারেও আমার কোন সন্দেহ নেই, নিজেকে যদি বিন্দুমাত্র চেনা থাকে তবে এটুকু ভবিষ্যদ্বাণী বা গণনা আমি চোখ বন্ধ করে করতে পারি। কার্ল ইয়াং যাকে বলেছেন শ্যাডো পারসোনালিটি- Click This Link অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, মেয়েরা ব্যাড বয়দের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়, তবে ওই সম্পর্কগুলো কখনো হ্যাপি এনডিং পায়না, আর সবাই এটা কম-বেশি জানে। আর এজন্যই মূলত শুধু ছেলে/পুরুষদের নিয়ে লেখা, তাদের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া দরকার অথবা ঠিক কিভাবে মেয়েদের সাথে মিশলে ভাল হয়, পুরুষের কোন গুণগুলো দেখে মেয়েরা আকৃষ্ট হয়। মাত্রাতিরিক্ত ভালো ছেলে অথবা আপোষহীন চরিত্রের ব্যাড বয় না হয়েও যে বরং আরো পরিণত এবং আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া সম্ভব সেটা অনুসন্ধান করাও এই ব্লগের অন্যতম লক্ষ্য। আর পলিটিকালী কারেক্ট মনোভাব নিয়ে লেখবার ইচ্ছা যেহেতু আমার নেই, তাই আলোচনা-সমালোচনা বিশেষভাবে কাম্য।



গত চল্লিশ বছরে যেখানে নারী এবং নারী জাগরণের পক্ষে হাজার হাজার বই বাজারে এসেছ, এসেছে নারী জাগরণ নিয়ে কাজ করা অসংখ্য নেত্রী সেখানে পুরুষদের জন্য কিছু তো আসেইনি বরং এক এক সময় সমাজের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় আজকের যুগের পুরুষ স্মরণকালের মধ্যে সবথেকে বিভ্রান্ত। প্রেম এবং নারী থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিও জন্য তার বিদ্বেষ স্পষ্ট। [এমন কিন্তু নয় যে নারীমুক্তি হয়ে গেছে, তবে সম্পুর্ণভাবে নারীমুক্তির প্রক্রিয়া শেষ হবার জন্য পুরুষের মানসিকতা পরিবর্তন হওয়াটা সবচাইতে বেশি জরূরী] কারণ এদুজন না মিললে সমাজ কোনভাবেই ভালো একটা পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবেনা। প্রশ্ন আসবে, কেন শুধু পুরুষ কেন্দ্রিক লেখা? তবে কি শুধু পুরুষ মানুষই শক্ত হবে আর নারীর শক্ত হবার দরকার নেই? ব্যক্তিগত ভাবে যদি বলি, সম্পর্কগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তাহলো হাজার বছরের পুরুষশাসিত সমাজে নারীর ওপর চাপিয়ে দেয়া ট্রেডিশনাল রোলগুলোর প্রভাব। বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্কের ঝামেলাগুলোর গভীরেই রয়েছে এই একটা কারণ- Click This Link

আর এ ভুলটা অন্তত এ যুগে আবার নতুন করে না হলেই ভালো হয়। নারী কেমন হওয়া উচিৎ সে ব্যপারে আমরা পুরুষেরা বলার কে? কেনই বা তার ওপর চাপিয়ে দিতে হবে নির্দিষ্ট কিছু রোল। হোক না সে তার নিজের মত। হাজার বছর ধরে তার লালিত স্বপ্নগুলোকে এবার সে বাস্তবতা দিক, নিজের গভীর কল্পনাগুলোকে সত্য করে তুলুক। একটা দুটা রোল [ নারী এমন হবে- নারী অমন হবে ] দিয়ে কেন তাকে বন্দী করে রাখবার চেষ্টা করা? এটাই তো পুরুষ জাতির ইনসিকিউরিটির সবচাইতে বড় প্রমাণ। নারীই ঠিক করুক তার পরবর্তী গন্তব্য। আর আমরা পুরুষেরা ঠিক করি আমাদের গন্তব্য। ফোকাস যখন অন্যকে পরিবর্তন করবার দিকে চলে যায় তখনই তো নিজস্ব ব্যক্তিত্বের ত্রুটিগুলো দেখতে ভুলে যাই আমরা। এটা যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে সত্য তেমনি নারীর বেলায়ও। নিজেকে নিয়ে, নিজের গন্তব্য নিয়ে যখন আমরা কাজ করবো শুধুমাত্র তখনই আমাদের পরিপূরক এনার্জির নারী বা পুরুষ কোন না কোনভাবে আমাদের জীবনে চলে আসবে। যাই হোক, আজকের লেখা মূলত একজন পুরুষের জীবনে নারীর ভূমিকার অনুসন্ধান করা। সেইসাথে জীবন বা নারীর চ্যালেঞ্জকে কিভাবে দেখা উচিৎ সেটাও এ লেখার অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু।



অবচেতনে নারী তার জীবনের পুরুষকে পরীক্ষা করে থাকে। এটা মূলত পুরুষ হিসাবে তার ব্যক্তিত্বের সামর্থ্য দেখবার একটা চাহিদা থেকে তৈরি। পুরুষের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা এবং ভালোবাসার গভীরতা জানবার জন্যই এই পরীক্ষা, তার নিজের প্রতি সততা মাপবার একটা উপায়। আর এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত নারীর বিভিন্ন রকমের অভিযোগ, অসন্তোষ, চ্যালেঞ্জ, সন্দেহ, বিভ্রান্তি ইত্যাদি আকারে আসে। এমনকি একজন পুরুষের সর্বোচ্চ উদ্দেশ্যকে Click This Link হেয় করবার মাধ্যমেও এই পরীক্ষা করে থাকে নারী। আর এমনটা ভাবা উচিৎ হবে না যে, এসব পরীক্ষা একসময় থেমে যাবে এবং জীবন আরো সহজ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। বরং পুরুষের ব্যক্তিত্বের প্রবলতা, সততা আর অকপটতা পরীক্ষার মর্মকে পুরুষের প্রতি নারীর উপহার হিসাবেই দেখা উচিৎ প্রতিটা পুরুষের। নারীর অভিলাষ পুরুষের সততা এবং ভালোবাসার গভীরতার প্রতি, আর একজন পুরুষ যতটা পূর্নতার পথে এগিয়ে যাবে, নারীর পরীক্ষাও আরো কঠিনতর হতে থাকবে।



আমাদের জীবনের প্রতিটা মূহুর্তই এক একটা সংগ্রাম কিংবা উৎসব। এবং নারীর সাথে অতিবাহিত প্রতিটি মূহুর্তও তাই, তবে সেগুলো আরও তীব্র এবং গভীর। জীবনে আসা প্রতিটা নারীর অস্তিত্বই আমাদের জন্য এক একটা পরীক্ষা। আর সম্পর্কের যে কোন সময় পুরুষকে চ্যালেঞ্জ করে সে এটাই দেখতে চায় যে, নিজের গন্তব্যের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সে কতটা গভীরভাবে মেনে চলছে। নারীর জন্য সবচাইতে আনন্দের মুহুর্ত খুব সম্ভব সেটাই যখন একজন পুরুষ একইসাথে তার নিজস্ব সত্যের পথে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্থির, শান্ত এবং প্রেমময়। সে আপনাকে স্থানান্তর করতে অসক্ষম, কারণ আপনি যা আপনি তাই, সে থাকুক আর নাই থাকুক। সে তার কোন কঠিনতর রূপ দিয়েও আপনাকে আতঙ্কিত করতে ব্যর্থ, কারণ আপনার অদম্য ভালোবাসার কাছে তার যে কোন রুপই দুর্বল। সে আপনাকে আপনার পথ থেকে সরিয়ে দিতে অক্ষম কারণ নিজস্ব সত্যের প্রতি আপনার অঙ্গীকার সবকিছুর ওপরে। আর সময়ে সময়ে এই ভালবাসার পরীক্ষা সে অবচেতনেই নিতে থাকবে, যেটা প্রেমিকের জন্য তার সবচাইতে বড় উপহার। জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে একজন পুরুষের মুখোমুখি হবার প্রক্রিয়া থেকেও তার প্রেমিকা তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু সেটা দেখতে সক্ষম। উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষের প্রতি নারীর দুর্বলতা এজন্যই। তবে তার মাঝে গভীর ভালোবাসা অনুপস্থিত থাকলে সে সম্পর্কের পরিণতি শেষ পর্যন্ত ভালো হয়না।



ধরুন, আপনি অফিসের কোন প্রজেক্টে কয়েক মাস অথবা কয়েক বছরের অমানুষিক কাজের পর অবশেষে ব্যপকভাবে সফলতা পেলেন। এ মুহুর্তে আপনি অনেক সুখী, সফল এবং পরিতৃপ্ত। বাসায় ফিরে স্ত্রীর সাথে আপনি এই সুখবরটি শেয়ার করলেন।



“আমার প্রমোশন হয়েছে।”

“ভালো”

“ভালো !!! তুমি জানোনা কতদিন ধরে এ মূহুর্তটির জন্য অপেক্ষা করছি আমি!!”

“জানি। তুমি যে বাসায় থাকো সেটাই ভুলে যেতে বসেছিলাম। বাজার থেকে পেঁয়াজ আনতে বলেছিলাম যে সেটা এনেছো ?” [ আমার বাবার সাথে এটা হতে দেখেছি, তাই এই উদাহরণ ]



“ওহ, সরি। ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কি যায় আসে, চলো আজ বরং সেলিব্রেট করে আসি বাইরে কোথাও।”

“সকালে অফিসে যাবার আগে বারবার বললাম পেঁয়াজ লাগবে, তোমাকে কাগজে লিখে দিলাম পর্যন্ত, কিভাবে ভুলে গেলে তুমি?”

“বললাম তো ভুলে গিয়েছিলাম। ঠিক আছে ঠিক আছে, বললাম তো নিয়ে আসছি এখন তোমার সাধের পেঁয়াজ।”

পুরুষের কাছে এ এক বিরাট রহস্য। কেন এমন করে নারী? তাও যখন কিনা উদযাপন করবার সময় তখন? তবে কি সে পুরুষের সাফল্যকে খাটো করতে চায়? না, তবে আপনার সাফল্যে তার কিছু আসে যায় না, যদি না আপনার হৃদয়ে এখনো সেই ভালোবাসা আর স্বাধীনতা না থাকে যা দেখে সে আপনাকে ভালোবেসেছিলো। আর যদি আপনি এখনো সেই স্বাধীনচেতা মনের ভালোবাসায় পূর্ণ প্রেমিক হয়ে থাকেন তবে সে যাই বলুক না কেন আপনি ভেঙ্গে পড়বেন না। সেটাই তো সে দেখতে চায়, আর এজন্যই পুরুষের দুর্বল স্থানটিতে তার আঘাত দেয়ার প্রবণতা।



সে ঠিকই জানে এই সাফল্যটা আপনার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেকারনেই এটাকে সে ছোট করছে, আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য নয়। আর বেশিরভাগ মেয়েরা এটা করবে একদম অবচেতনভাবে। এটা তার অস্তিত্বের এমন একটা অংশ যে সচেতনভাবে তার চিন্তাও করা দরকার হয় না। বরং তার প্রেমিকের মানসিক স্থিতি দেখবার জন্যই এমনটা করা। সে বুঝতে চায় যে, আপনার ব্যক্তিত্বের ভালোবাসা বা স্বাধীনতা যেমন তার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে না তেমনি তা যেন কেবল আপনার বৈষয়িক সাফল্যের ওপরেও নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। সে বুঝতে চায় যে আপনি এখনো সেই বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী লোক, যিনি যে কোন পারিপার্শ্বিকতার পরেও তাকে ভালোবাসতে সক্ষম।



অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, এই পথটি কঠিন। এমনকি জীবনের দুর্বল মূহুর্তগুলোতে আমরা পুরুষেরা আরো সহজ কোন নারীকেই হয়ত জীবনসঙ্গী হিসাবে আশা করি। তবে যে পুরুষ নিজের সবটুকু দিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে চায়, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়ে নতুন পথ পাড়ি দিতে চায়, নারীর এই ধারাবাহিক পরীক্ষাকে তার উপহার হিসাবেই উপলব্ধি করবার কথা। তার প্রেমিকা তার সবচাইতে সাধারণ ভার্শনটি নিয়েই খুশি হোক, এটা সেও চায় না। নিজস্ব মিশনের দিকে তার যাত্রা যদি থাকে অব্যাহত, তবে মন্দ কিংবা ভালো, যে কোন সময়েই সে সুখী থাকবে। প্রেমিকার অনুমোদন অথবা চুলে বিলি কেটে দেয়ার ওপর অথবা অফিসে প্রমোশনের ওপর তার সুখ নির্ভর করবে না।



আমাদের জীবনের নারী যদি হয় দুর্বল, তবে আমার আপনার দুর্বল ভার্শন নিয়েই সে সুখী হবে। তবে সে যদি হয় শক্ত মনের নারী, তবে তার কাছে প্রেমিকের চুলে বিলি কেটে দেবার অতিরিক্ত শিশুসুলভ চাহিদা তাকে বিরক্ত করবে। যদিও আপনার ব্যক্তিত্বের শিশুসুলভ অংশটিকে একটি ভালো মনের নারী ঠিকই ভালোবাসবে, তবে তার চাহিদা সবসময়ই থাকবে সব বাধা-বিপত্তি পার করা আপনার ব্যক্তিত্বের সেই অদম্য অংশটিকে নিয়ে।



ঠিক এ কারনেই নারী তার জীবনের পুরুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করবে, বিশেষ করে তার সাফল্যের মুহূর্তগুলোতেই, আপনার দুর্বল অংশগুলোতে আঘাত করবে সে আপনার মানসিক স্থিতি পরীক্ষা করবার জন্য। আর সে মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়লে তার অনুমোদনের ওপর আপনার সুখের নির্ভরশীলতা তাকে হতাশ করবে এবং আপনার ব্যক্তিত্বের বিশ্বাসযোগ্যতাও তার কাছে কমে যাবে। আর প্রেমিকার এই আঘাতের পরেও যদি আপনি থাকেন পরিপুর্ণ এবং শক্ত, একইসাথে কৌতুকপূর্ণ এবং সুখী, তবে ধরে নেয়া যায় যে পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ।



“পেঁয়াজ তো আমি আনবই, আগে তোমার খবর তো শুনি” বলেই তার হাত ধরে নাচের ভংগীতে তাকে একবার ঘুড়িয়ে কাছে টেনে গভীরভাবে চোখে চোখ রেখে তাকে ভালোবাসার আশ্বাস দেয়া মাত্র সে আপনার ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। আপনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে এখন সে সহজ হতে পারে, কারণ এ মুহুর্তে আপনি চরম বিশ্বাসযোগ্য। আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করবার জন্য আপনার তার অনুমোদন দরকার নেই, আপনি স্বাধীনভাবে তাকে ভালোবাসা দিয়ে যেতে সক্ষম। আপনার ব্যক্তিত্বের একদম গভীর হতে ভালোবাসা প্রবাহিত। আপনি সেই পুরুষ যার সত্যের প্রতি নিষ্টা দেখে সে প্রেমে পড়েছিল, আপনি সে, জীবনকে গভীরভাবে ভালোবেসে যে নিজস্ব গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম, এমনকি প্রেমিকার কঠোর সমালোচনাও আপনার হৃদয়কে রুদ্ধ করতে ব্যর্থ, আপনার সত্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করতে অক্ষম। কঠোর পরিশ্রমের পর হাসিল করা প্রমোশনের দিনেও যে পেঁয়াজের বিড়ম্বনাকে রসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সক্ষম আপনি সেই অসাধারণ প্রেমিক।



এই লোকটিকেই সে বিশ্বাস করতে পারে। আর এখন সময় সাফল্য উদযাপনের। এখন সে আরাম করে তার সমস্ত টেনশনের কথা ভুলে যেতে পারে, আপনার সাথে আনন্দে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর এটা স্থায়ী হবে অত্যন্ত কম সময়ের জন্য। হয়তবা একদিন, হয়তবা ১০ মিনিট। তারপরেই আসবে পরবর্তী পরীক্ষা। কারণ এ পরীক্ষা শেষ হবার নয়, তার প্রেমিকের ধারণক্ষমতা দেখবার জন্যই তার এমন আচরণ, তার সকল অভিযোগ আর অসন্তোষের পরেও যে প্রেমিকের ভালোবাসার ক্ষমতা, বিশেষ করে তার এই অসন্তোষের মুহুর্তগুলোতেই প্রেমিককে সবচাইতে বেশি বুঝতে পারে মেয়েরা।



প্রতিনিয়ত এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে একজন শক্ত পুরুষকে। এ থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই, প্রেমিকা বা স্ত্রী বদলেও আপনি পালাতে পারবেন না। কাউন্সেলরের কাছে গিয়েও এটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। একটা মেয়ের আপনাকে পরীক্ষা করবার একমাত্র অর্থই হলো সে আপনাকে ভালোবাসে। এজন্যই সে আপনার ভালোবাসা অনুভব করতে চায়, আপনার সত্যকে উপলব্ধি করতে চায়। আর সে জানতে চায় যে, প্রেমিক হিসাবে পুরুষের ভালোবাসা ও সত্য তার ছুঁড়ে দেয়া যে কোন শক্ত তীরের থেকেও মজবুত।



সবচাইতে অদ্ভুত ব্যপার এটাই যে, পুরুষকে সবচাইতে কঠিনভাবে পরীক্ষা করা নারীই তাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা দিতে সক্ষম। কারণ তার পরীক্ষা দিয়ে পুরুষের ব্যক্তিত্বের সবচাইতে পূর্ণ এবং চমৎকার অংশটিকে বের করে আনাটাই তার উদ্দেশ্য। আর আমার আপনার ব্যক্তিত্বের সর্বোচ্চ অংশটিকে ভালোবাসতে পারাতেই যার পূর্ণতা, কেনই বা সে তার কম কিছু নিয়ে খুশি হবে? আপাত দৃষ্টিতে এই পথটি আসলেই কঠিন। তারপরও, আপনি যদি সত্যিকারের স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়াকেই আপনার জীবনের গন্তব্য মনে করেন, তবে এই বন্ধুর পথটিই হবে আপনার পথ।



https://www.facebook.com/DoctorXBD

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০০

ঘরের ছেলে বলেছেন: ইস্কুল জীবন থেকেই পরীক্ষা দিতে দিতে আসতেছি ভাই...... এখন আপ্নে কইলেন সারা জীবনই পরীক্ষা দিতে হবে। যামু কই ;) ;)

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: হটাৎ করে যেন ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে যান তার জন্যই বললাম, আর এটা আসলে একটা সিলেকশনেরও ব্যপার। যেমন বলেছি যে, দুর্বল নারী পুরুষের দুর্বল ভার্শন নিয়েই খুশি হবে। আর শক্ত মনের নারী তার বেস্ট ভার্শনটা বের করবার জন্য ধারাবাহিক ভাবে পরীক্ষা করে যাবে। আপনি যাবেন আপনার গন্তব্যের দিকে, সেটাই কামনা করি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬

টুকিঝা বলেছেন: চমৎকার।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে অনেক শুভ কামনা।

ভালো থাকা হোক।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০২

তাহাজ্জত তুহিন বলেছেন: “পেঁয়াজ তো আমি আনবই, আগে তোমার খবর তো শুনি” বলেই তার হাত ধরে নাচের ভংগীতে তাকে একবার ঘুড়িয়ে কাছে টেনে গভীরভাবে চোখে চোখ রেখে তাকে ভালোবাসার আশ্বাস দেয়া মাত্র সে আপনার ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। আপনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে এখন সে সহজ হতে পারে, কারণ এ মুহুর্তে আপনি চরম বিশ্বাসযোগ্য। আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করবার জন্য আপনার তার অনুমোদন দরকার নেই, আপনি স্বাধীনভাবে তাকে ভালোবাসা দিয়ে যেতে সক্ষম। আপনার ব্যক্তিত্বের একদম গভীর হতে ভালোবাসা প্রবাহিত। আপনি সেই পুরুষ যার সত্যের প্রতি নিষ্টা দেখে সে প্রেমে পড়েছিল, আপনি সে, জীবনকে গভীরভাবে ভালোবেসে যে নিজস্ব গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম, এমনকি প্রেমিকার কঠোর সমালোচনাও আপনার হৃদয়কে রুদ্ধ করতে ব্যর্থ, আপনার সত্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করতে অক্ষম। কঠোর পরিশ্রমের পর হাসিল করা প্রমোশনের দিনেও যে পেঁয়াজের বিড়ম্বনাকে রসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সক্ষম আপনি সেই অসাধারণ প্রেমিক।


অসাধারণ !!!!! নতুন করে অনেক কিছু ভাবতে শুরু করলাম আপনার লেখা পড়ে ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ডক্টর এক্স বলেছেন: পাঠককে চিন্তার খোরাক জোগানো মনে হয় প্রতিটি লেখকেরই স্বপ্ন। আর এ মূহুর্তে আমিও একজন পরিতৃপ্ত লেখক।

ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা এই অনুভূতিটি দেবার জন্য। শুভ কামনা।
ভালো থাকবেন সবসময়।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩০

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আমি ফোন এ। আপ্নার এই লেখা টা আমাকে একটু মেইল দিবেন kindly । ভালো লাগলো খুব।
[email protected]

পরীক্ষা দিতে দিতে আমি ক্লান্ত ছিলাম তাই নিজেকে অযগ্য প্রমান করেই দীর্ঘ নি:শ্বাস ফেলি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০০

ডক্টর এক্স বলেছেন: দেরি করে হলেও পাঠালাম। চেক করলে পেয়ে যাবেন মনে হয়। অযোগ্যতাও কিন্তু যোগ্যতা পাবার আগেরই একটা ধাপ। প্রথম প্রেম ব্যর্থ হওয়াটাও হয়তবা একটা পরীক্ষা। আর এই ব্যর্থতার পরেও যে পুরুষের হৃদয় মুক্ত থাকে মেয়েরা তাকেই প্রেমিক হিসাবে পছন্দ করার কথা।

ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। হতাশার দিন পেছনে ফেলে ভালোবাসা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হোক। ভালো থাকবেন।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০

টুকিঝা বলেছেন: আপনার সব গুলো পোষ্ট পড়া হয়ে গেছে, সব গুলোতে মন্তব্য করেছি কিনা মনে নেই, তবে এত টুকুন বলি, আপনার পোষ্ট গুলো পড়ে মানসিক এক ধরনের স্থিরতা আসে, ভাল লাগে বেশ। আরও লিখতে থাকুন।
শুভ রাত্রি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই ভালোলাগাটুকু উপহার দেবার জন্য। এমন মুহুর্তগুলোর জন্যই লিখে যাওয়ার চেষ্টা করা।

আবারও কৃতজ্ঞতা আর অনেক অনেক শুভ কামনা।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৪

টানিম বলেছেন: আসেন এইখানে । কি আছে এ জীবনে । Click This Link

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

ডক্টর এক্স বলেছেন: ঘুরে আসলাম। একটা প্লাসও দিয়ে এসেছি।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনার সবগুলো লেখা শেষ করার ইচ্ছা আছে
শেষ করতে পারলে একটা বিশেষ মন্তব্য লিখবো আশারাখছি 8-|

তার আগে শুধু + দিয়ে গেলাম :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২২

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। প্রতিটি প্লাসই খুব আনন্দময়। আর বিশেষ মন্তব্যের জন্য অপেক্ষাও বিশেষ মজার একটা ব্যপার।

তাড়াতাড়ি সবগুলো লেখা পড়বেন সেই কামনা রইলো। আর সাথে অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নারীই ঠিক করুক তার পরবর্তী গন্তব্য।..


দেখ এটা ও বুঝি সবসময় ব্যক্তিগত ভাবে নেয়া ঠিক না ।। কিন্তু তুমি তো এখানে সব নারি দের কে বুঝিয়েছ তাই না ?

সে হিসেবে পরিক্ষা র বিষয় টা যাচ্ছে না :(



আবার খুব বুদ্ধি করে লিখে দিয়েছ ...

" সবচাইতে অদ্ভুত ব্যপার এটাই যে, পুরুষকে সবচাইতে কঠিনভাবে পরীক্ষা করা নারীই তাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা দিতে সক্ষম। কারণ তার পরীক্ষা দিয়ে পুরুষের ব্যক্তিত্বের সবচাইতে পূর্ণ এবং চমৎকার অংশটিকে বের করে আনাটাই তার উদ্দেশ্য। আর আমার আপনার ব্যক্তিত্বের সর্বোচ্চ অংশটিকে ভালোবাসতে পারাতেই যার পূর্ণতা, কেনই বা সে তার কম কিছু নিয়ে খুশি হবে? "




আমি তো চিন্তায় পরে গেলাম :-* মানে কি আমি সবচাইতে বেশি ভালবাসা দিতে সক্ষম না ?

নাকি আমি কম বুঝি বা এক লাইন বেশি বুঝলাম ?


১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২

ডক্টর এক্স বলেছেন: আপু আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আর আলোচনাটা দেখে আরো খুশি হলাম।

সব নারীকেই বুঝিয়েছি, তবে গন্তব্যের ব্যপারটা তাদের ওপর ছেড়ে দেয়াটা আসলে পুরুষের শাসন থেকে তাকে মুক্ত করবার একটা রুপক অর্থে ব্যবহার করা। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে পুরুষ বিভিন্ন ভাবে নারীর গন্তব্য নিয়ন্ত্রণ করেছে, আর পূর্ণ নারীমুক্তির জন্য নারীকেই ঠিক করতে হবে তার পরবর্তী গন্তব্য কেমন হবে। তার ওপর চাপিয়ে দেয়া রোলগুলো ছেড়ে যখন নারী নিজের সঠিক রুপটি নির্দ্বিধায় প্রকাশ করতে পারবে তখনই তার মুক্তি নিশ্চিত হবে।

পরীক্ষার ব্যপারটা আসলে শুধু পুরুষেরা বুঝবে। কারণ নারী জানেও না যে তারা কিভাবে পুরুষকে পরীক্ষা করছে। নারীর অস্তিত্ব থেকে শুরু করে তার প্রতিটা আবেগই আসলে পুরুষের জন্য পরীক্ষাস্বরুপ। আর অবচেতনে করা নারীর পরীক্ষাটা এজন্যই পুরুষের জন্য ভালো, কারণ এটা তাকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ ফেস করবার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাবার পথ খুলে দেয়। অপরদিকে নারী যদি শুধু ভালোবাসা দিয়েই যায়, তবে পুরুষ চ্যালেঞ্জহীন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা খুব বেশি, যেটা তার আধ্যাত্মিক পূর্ণতা পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

চিন্তার কিছু নেই আপু। আমি শিওর বাবুল ভাই এর জীবনে আপনাকে নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আর না থাকলে মনে হয় আরেকটু টাইট দেয়া উচিৎ। হেহে।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা ...।

সেটা না, এই যে পিঁয়াজ কাহিনী বলেছ , ওরে বাবা আমি তো জীবনে ও এভাবে বলতে পারতাম না , বরং সেলিব্রেট করার পর হুট করে নিজে থেকেই যদি ওর মনে পরে লজ্জা পায় , এই ভয় এ আমি আগেই বলতাম চল তোমাকে এই উপলক্ষে নতুন স্বাদ এর রান্না খাওয়াবো , আমি জানি সুন্দর করে বললে, আমি যে পিয়াজ ছাড়া রান্না করেছি সেটা ও ধরতেই পারবে না ;)
আর আমি নিজে আমার সারাজীবনে এই কথা ওর সামনে ২য় বার উচ্চারন করব না ।


১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: হাহা, পেঁয়াজ নিয়েই কাহিনী করতে হবে এমন না, তবে হ্যাঁ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভয় বা লজ্জা না পেয়ে যত বেশি নিজেকে এক্সপ্রেস করা যায় ততই ভালো। আর ভাইয়া মনে হয় একটু বোকাসোকা মানুষ, এজন্যই মনে হয় আপনি কম জালান। হাহা। একটা খারাপ বুদ্ধি দেই আপু, মাঝে মাঝে একটু কাহিনী করেন, সম্পর্কের মজাগুলোই তো ওখানে।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১

আরজু পনি বলেছেন:

অনেক ভালো লাগল।
ঘুম পাচ্ছিল, কিন্তু পোস্টটা না শেষ করে যেতে মন সায় দিল না।

চালিয়ে যান আপনার দারুণ লেখা।
শুভকমানা নিরন্তর।।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩২

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। লেখা অবশ্যই চালিয়ে যাবো। মানুষ যখনই কিছু লেখে সেটা তার অবচেতনে ধীরে ধীরে আরো শক্ত ভাবে জায়গা নিতে থাকে। আমার জন্য আসলে এটা সেরকম একটা ব্যপার, অনুশীলন ক্ষেত্র বলা যায়। সঠিক সময় আসলে বোঝা যাবে এই চর্চার মূল্য।

আপনার জন্যও রইলো অনেক শুভ কামনা আর কৃতজ্ঞতা।

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০

ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। আপনার লেখা পড়ে আমিও এই বিষয়গুলোতে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

ডক্টর এক্স বলেছেন: বাহ, এটা তো ভাই লেখক হিসাবে খুবই বড়সড় একটা প্রাপ্তি। আর এ বিষয়গুলো যে জীবনে আপনাকে অনেক ভালো কিছু দিয়ে যেতে সক্ষম সে ব্যাপ্রে আমার কোন সন্দেহ নেই, তাই আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা এবং অভিনন্দন।

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৬

ভাম_বেড়াল বলেছেন: আপনার লেখা যত পড়ি তত মুগ্ধ হই। সম্ভবত ইমন জুবায়েরের পর এরকম ফোকাসড লেখক আপনাকেই দেখছি।
পলিটিক্যালি কারেক্ট লেখা লিখতেও যেয়েন না। ঐরকম দুদিকে ঠেস না দিয়ে সোজাসাপটা আসল সত্যিটা তুলে ধরেন বলেই আপনার লেখা এতো সুখপাঠ্য হয়। পড়ে মনে হয় নতুন কিছু শিখলাম। নতুন ভাবে কিছু চিন্তার খোরাক পেলাম।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাম_বেড়াল। তবে, ইমন জুবায়ের ভাইয়ের সাথে কোনদিক থেকেই আসলে তুলনার যোগ্য নই।

অবশ্যই চেষ্টা থাকবে নিজের অনুভুত সত্যগুলো তুলে ধরবার, এমনকি তা অপ্রিয় হলেও, পলিটিক্যালি কারেক্ট লেখা প্রায়ই সত্য মিথ্যা মিশিয়ে ফেলে, নিজের লেখার ব্যপারে অমনটা কখনো আশা করবোনা। তবে এ ব্যপারে পাঠকেরও অনেক দ্বায়িত্ব আছে বলে মনে করি আমি। আলোচনা-সমালোচনাই লেখককে লেখার কাজে সবচাইতে বেশি প্রেরণা যোগায়।

আর পাঠককে চিন্তার খোরাক যোগাতে পারা মানেই কিন্তু লেখকের সবথেকে বড় প্রাপ্তি। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং ভালোলাগা।

শুভকামনা রইলো।

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৯

দিশার বলেছেন: ভাই খুব ভালো লিখসেন। ধন্যবাদ।

পরীক্ষা দিতে দিতে তেক্ত বিরক্ত হয়ে যাই মাঝে মাঝে . একটা ডিমেনশন যোগ করা যেতে পারে, নারী অতীত টেনে ঝগড়া করতে ভালবাসে।।। বাস্তব থেকে বলছি ভাই। চরম বাস্তব .

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি, নারীর অতীত টেনে ঝগড়ার ব্যপারটা নিয়ে প্রায় ৩/৪ মাস আগেই লিখবো বলে ঠিক করেছিলাম। তবে কেন জানি লেখা হয়নি। হয়তবা আপনার কথা ভেবেই খুব জলদি কোন একদিন লিখে ফেলবো।

আর ভাই, চরম বাস্তবের মুখোমুখি না হলে হয়ত মনোবিজ্ঞান পড়েও এ ব্যপারগুলো বুঝতে পারতাম না। অভিজ্ঞতা থেকে যতদূর বলতে পারি, আপনি খুব সম্ভব জীবনের priority থেকে কিছুদুর সরে গেছেন। priority সেট করুন। তবে অতীত নিয়ে নারীর খোটাও গায়ে কম লাগবে। পুরুষ মানুষের জীবনের লক্ষ্য ঠিক থাকলে নারীর প্রতি তার বিদ্বেষ কমে আসে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে শুভ কামনা।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫০

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। আপনার লেখা পড়ে আমিও এই বিষয়গুলোতে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহ, এটা তো ভাই লেখক হিসাবে খুবই বড়সড় একটা প্রাপ্তি। আর এ বিষয়গুলো যে জীবনে আপনাকে অনেক ভালো কিছু দিয়ে যেতে সক্ষম সে ব্যপারে আমার কোন সন্দেহ নেই, তাই আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা এবং অভিনন্দন।

ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা এবং অনেক অনেক শুভকামনা।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ++++++++++

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এতগুলো প্লাসের জন্য।

ভালো থাকবেন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.