নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈজ্ঞানিক

কখগ

ডক্টর এক্স

ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী মাত্র।

ডক্টর এক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ- এবং তাকে প্রেরণা ও উদ্দীপনায় রূপান্তর তথা স্বাস্থ্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবার উপায়

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

নারী-পুরুষের সম্পর্ক আমাদের সবসময় দ্বিধাগ্রস্ত করে চলেছে। আবার একইসাথে সমাজের ট্রেডিশন, মিডিয়া এবং জনমত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের মতামত দিয়ে আমাদের অবচেতনকে আমাদের অজান্তেই ব্যপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। খেয়াল করলেই দেখবেন যে গত দশকের শুরুর দিকে ছেলে-মেয়ের “ভালোবাসার আগে বন্ধু” হবার ধারণাটিকে যেরকম ব্যপকভাবে প্রচার করা হয়, সেখান থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে সেটাকেই ভালোবাসার সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ উপাদান ভেবে বসার ভুল করে, এমনকি এই মুহূর্তে এই লেখাটি পড়েও অনেকেই এর সাথে দ্বিমত পোষণ করছেন এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়না এটা আমি বলবো না। তবে মানুষের হাজার বছরের ইতিহাসে আগেও তো প্রেম-ভালোবাসা হয়েছে, তাই না ? যাই হোক, এটুকু প্রমাণিত যে প্রেমের মনোভাব নিয়ে কারোর সাথে বন্ধুত্ব মানে গোড়াতেই এই সম্পর্কটিতে জটিলতার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে রাখা। আর যে সম্পর্কে বন্ধুত্বই সব, কেমিস্ট্রি ছাড়া যে তা কোনদিকেই যাবে না তা বুঝতেও বেশিরভাগ সময় অনেক দেরী করে ফেলে কেউ কেউ আর দোষারোপ করে বন্ধু/প্রেমিকা কে। এমনকি “মেয়েরা ব্যাক আপ রাখে” এটাইপের কথাগুলোও কিন্তু এসব সম্পর্কেরই আউটপুট। যাই হোক, বন্ধু/প্রেম জটিলতা নিয়ে বিশদ লেখার ইচ্ছা আছে সামনে। আজ বরং ছেলে/পুরুষদের মনে মেয়েদের আকর্ষনীয়তার ব্যপার নিয়ে অনুসন্ধান করা যাক।



যে কোন পুরুষোচিত চরিত্রের ছেলে/পুরুষই নারী রূপ অথবা ফেমিনিন এনার্জির দিকে আকৃষ্ট হবে একদম প্রকৃতগত ভাবেই, এটা সূর্য পূর্বদিকে ওঠবার মত একটা সত্য। উজ্জ্বল এবং দীপ্তিশীল যে কোন নারী, এমনকি সঙ্গীত, প্রকৃতি এসবই ফেমিনিন এনার্জির অন্যতম রূপ হওয়ায় এসব কিছুর প্রতিও পুরুষ কোন না কোন ভাবে আকৃষ্ট হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকে। অথচ পুরোনো সামাজিক প্রথার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা, আধুনিক সমাজের দ্রুতগতি, নারীবাদী আন্দোলনের একতরফা কিছু যুক্তি এবং এমন আরোও বহু কারণে নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণের স্বাভাবিকতাকেও শিকার হতে হয়েছে নানা বৈষম্যের। যদিও এতে সুনির্দিষ্ট করে কাউকে দোষারোপ করা উচিৎ হবে না, তবে এই বিষয়ে দ্বিধা যে নারী-পুরুষ উভয়ের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর সমাজে প্রচলিত প্রথায় পুরুষের এই আবেগটিকে দমিয়ে রাখবার যে যুক্তি তা যে কোনভাবেই কাজ করছে না সে ব্যপারে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। নারী-নির্যাতন, ইভ-টিজিং, ধর্ষণ, কোর্টশিপ ডিজর্ডার , পর্ণের প্রতি আসক্তি, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এবং প্রচুর পারিবারিক অশান্তির কারণ হয়ে উঠেছে পুরোনো প্রচলিত পদ্ধতিতে নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণকে মন্দভাবে উপস্থাপনের কারণে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বললে – কোন আবেগকে অনুভব না করে জোড়পূর্বক যখন দমন করা হয় তখন প্রায়সময়ই তা অবচেতনে যত্ন হতে থাকে এবং পরবর্তীতে আরোও বিকৃত আকারে সচেতন মনের ওপর কতৃত্ব স্থাপন করে। এমনকি পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় বেশিরভাগ সিরিয়াল কিলারদের মনস্তাত্বিকের নেপথ্য কারণ হিসাবে পাওয়া যায় জোড়পুর্বক দমনকৃত যৌন চাহিদা। আবার আমাদের দেশের প্রচুর সংখ্যক সমকামীর নেপথ্যে আছে এই মানসিক জটিলতা। আজকের এ লেখাটি তাই সকল ছেলে/পুরুষের জন্য কাজে লাগলেই সবচাইতে খুশি হবো।



খুব সম্ভবত আপনি নারীর প্রতি আপনার এই আকর্ষণের প্রকাশ না করে একে লুকিয়ে থাকেন অন্য বেশিরভাগ পুরুষের মতই। কি অফিসে, কি বাইরে, কি যে কোন সামাজিক কর্মকান্ডে আমরা সবাই কোন না কোনভাবে নারীর দিকে আকৃষ্ট হয়ে থাকি। কোন কোন সময় তা শারীরিক এক ধরনের আকর্ষণের সৃষ্টি করে। তবে খেয়াল করলেই দেখবেন যে বেশিরভাগ সময় তা যেন আপনাকে পুনরুজ্জীবিত করা এক ধরণের পরশ বুলিয়ে যায়। আর খুব দীপ্তিময় এনার্জির একজন নারী আপনার পুরো দিনটিকেই ভরিয়ে দিতে পারে প্রেরণা এবং সৌন্দর্যে। তার বিশেষ সুগন্ধি আপনাকে দিয়ে যেতে পারে মুগ্ধতার এক চরম অভিজ্ঞতা, তার চমৎকার হাসিটি আপনার স্মৃতিতে যোগ করতে পারে অবিস্মরণীয় একটি মুহূর্ত।



নারীর প্রতি আমাদের এই আকর্ষণের ওপর দু-ভাবে কতৃত্ব করা সম্ভব। বুদ্ধিমানের মত বিবেচনার সাথে অথবা চরম মূর্খতাপূর্ণভাবে। আর এব্যপারে বিজ্ঞতার সাথে আচরণ করবার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে জানতে হবে আপনি কেন কারোর প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন এবং তার উৎস কোথায়। একজন মানুষের প্রতি আরেকজনের আকর্ষণের প্রধান কারণ হলো তার নিজস্ব সত্তার ঠিক বিপরীত এনার্জি অর্থাৎ আপনার সত্তার পরিপূরক এনার্জির দিকেই আপনি আকৃষ্ট হবেন বলে ধরে নেয়া যায়। খুব পুরুষোচিত ব্যক্তিত্বের পুরুষ যেমন একদম মেয়েলি ব্যক্তিত্বের নারীর প্রতি আকৃষ্ট হবেন, তেমনি নরম চরিত্রের মেয়েলি পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই আকৃষ্ট হবেন শক্ত চরিত্রের নারীর দিকে আবার দুটোর সংমিশ্রনের ব্যাল্যান্সড চরিত্রের পুরুষ আকৃষ্ট হবেন ব্যাল্যান্সড চরিত্রের নারীর প্রতি।



গড়পড়তায় প্রায় ৮০% পুরুষের যৌন ব্যক্তিত্ব পুরুষোচিত। আর এদের অধিকাংশই যেকোন মেয়েলি এনার্জির প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এবং এই আকর্ষণ শুধুমাত্র নারীর প্রতি নয়, নারীময় এনার্জি সম্বলিত যে কোন কিছুর প্রতি। এমন যে কোন কিছু যা দীপ্তিময়, প্রাণবন্ত, উদ্দীপনামূলক এবং চরম প্রেরণাদায়ক সেরকম সবকিছুর প্রতি আকর্ষণই একজন পুরুষকে সবচাইতে বেশি শক্তি যুগিয়ে থাকে। আর ফেমিনিন এনার্জিই পুরুষকে তার সার্বক্ষনিক চিন্তার বাইরে বের করে নিজের শারীরিক সত্তার সাথে সংযোগ স্থাপনের সবচাইতে বড় প্রেরণা। সঙ্গীত, প্রকৃতি, নারী অথবা সাহিত্য -এসবকিছুর মাঝে পুরুষ প্রতিনিয়ত যেন নারীময় দীপ্তিই খুঁজে বেড়িয়েছে।



আর শুধু বাহ্যিকভাবে সুন্দরী একজন নারীই যে পুরুষকে আকৃষ্ট করে এমন কিন্তু নয়। বরং আপন মহিমায় স্বাচ্ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসী যে কোন নারীর ভেতরের দীপ্তিই পুরুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে সবসময়, কখনো বেশি-কখনো কম, তবে এই আকর্ষণ উপস্থিত সবসময়, আর পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া একটি মেয়ের দিকে খনিকের জন্য হলেও চোখ তুলে তাকাবার জন্য সেটুকুই যথেষ্ট। আর এটুকু আকর্ষণ যেমন স্বাভাবিক, তেমনি স্বাস্থ্যকরও। এটা ঠিক দুটি বিপরীত মেরুর একের প্রতি অপরের আকর্ষণের প্রতীক। আর এতে লজ্জিত হওয়া মানে নিজের ব্যক্তিত্বের সবচাইতে বড় সত্য নিয়ে লজ্জিত হওয়া। পুরুষ আর নারী আলাদা হবার কারণ এটাই। প্রকৃতি তথা সৃষ্টির অন্যতম বড় সত্যও এটাই।



আর নারীর প্রতি আপনার আকর্ষণকে নিয়ে অস্বাচ্ছন্দবোধ করলে বুঝতে হবে যে আপনি আপনার চরিত্রের সবচাইতে মৌলিক গুনটি নিয়ে লজ্জিত। আপনার যদি মনে হয় যে আপনার অভিপ্রায়ের লক্ষ্যবস্তু হওয়াও একজন নারীর জন্য অমর্যাদাকর তবে আপনি খুব সম্ভবত আপনার পুরুষোচিত আকাঙ্ক্ষাকে অবচেতনেই জোড়পূর্বক দমনের চেষ্টা করছেন। আপনার পুরুষালী ব্যক্তিত্বের একটা বড় অংশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার মনের অজান্তে। আর নিজের ব্যক্তিত্বের সবচাইতে মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো বর্জনের মাধ্যমে আপনার নিজস্ব ব্যক্তিত্বকে ঠেলে দিচ্ছেন দূর্যোগের দিকে।



নিজের ব্যক্তিত্বের এই মৌলিক চাহিদা নিয়ে যে কোন নেতিবাচক মনোভাব আসলে মূলত আপনার ব্যক্তিত্বের খুব গভীরে বসবাসকারী কোন ভয় এর প্রতীক, জীবনের কোন এক পর্যায়ে হয়তবা আপনাকে শেখানো হয়েছে যে নারীর প্রতি এমন আকর্ষণ স্বাভাবিক নয় বরং তা অশুভ। বরং যে কোন নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক এবং সুন্দর, তা শারীরিক হোক কিংবা মানসিক। এমনকি আধ্যাতিক স্বাধীনতার প্রতি পুরুষের যেই খোঁজ বা চাহিদা তার বড় অন্যতম প্রেরণা নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ।



নারীর প্রতি পুরুষের এই আকর্ষণ মূলত তার নিজেকে পূর্ণতা দেবার আরেকটি চাহিদা থেকেই তৈরি। আর নিজস্ব অভিপ্রায়ের ব্যপারে স্বীকারোক্তি আরেক কথায় জীবনকে আলিঙ্গন করতে চাওয়ারই স্বীকারোক্তি। আর ভালোবাসার মাধ্যমে প্রতিটি পরিপূরক এনার্জি এক হবার মাধ্যমেই জীবনে পূর্ণতা এবং সত্যিকারের স্বাধীনতা সম্ভব। আর শেষ পর্যন্ত পুরুষের প্রতিটা চাহিদার মূলে আছে তার ভেতরের অসীম ভালোবাসা দিতে চাইবার প্রেরণা থেকে উদ্ভূত স্পন্দন। আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণের মূল কারণ এটাই, তার হৃদয়ের সব ভালবাসা দেবার অপরিহার্য চাহিদা, ভালোবাসার মাধ্যমে এক হবার আকাঙ্ক্ষা।



পুরুষোচিত সত্তার অধিকারী যে কোন পুরুষ তার পরিপূরক এনার্জি অর্থাৎ নারীময় সত্তার অধিকারী একজন নারীর প্রতিই শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করবে। আর এই আকর্ষণ সে অনুভব করতে পারে একটি দিনে কয়েকবার এবং একের অধিক নারীর প্রতি। আর এই অনুভুতি দমন না করে বরং একে সুন্দর এবং মার্জিত উপায়ে উপভোগ করা উচিৎ। পুরুষের জন্য নারী এনার্জি আশীর্বাদস্বরুপ। এমনকি অন্য রূপেও নারী এনার্জি পুরুষের হৃদয়ে রেখে যেতে সক্ষম তার উদ্দীপনার স্বাক্ষর।



শারীরিক আকর্ষণ কিন্তু শারীরিক মিলন হতে সম্পুর্ণ আলাদা একটা ব্যপার। একজন মানুষের সাথে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ট হওয়া এবং তার ব্যক্তিত্বের দীপ্তিময়তার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবার মাঝের পার্থক্য আপনাকে বুঝতে হবে। ভালোবাসা এবং একে অপরের প্রতি কিছু দায়িত্বের মাধ্যমে ঘনিষ্ট হয়ে ওঠা দুজন মানুষের মধ্যের একটি প্রতিশ্রুতি বা কমিটমেন্টের ব্যপার। যেখানে আরেকজনের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ এনার্জি অথবা দীপ্তির প্রতি আকর্ষণের ওপর ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের কোন কতৃত্ব নেই বললেই চলে। এই আকর্ষণকে বরং দুজন ব্যক্তির মাঝে বয়ে যাওয়া পরিপূরক এনার্জির মিলিত হবার বাসনা বলা যা, যা মুক্তভাবে চলাচল করতে সক্ষম। আর একজন নারী যখন তার নিজের ব্যক্তিত্বকে নিয়ে একদম স্বাচ্ছন্দ এবং দ্বিধাহীন, তখন পুরুষের জন্য সে যেন ঠিক সমুদ্রের উষ্ণ হাওয়ার পরশের মত। আর নারীর এই দীপ্তি বা প্রভা অনুভব করবার জন্য যে তার সাথে ঘনিষ্ট হতে হবে এমন কোন কথা নেই।



বেশিরভাগ পুরুষকেই নারীর ব্যক্তিত্বের এই প্রভা কয়েক ঘন্টা এমনকি কয়েক দিনের জন্যও দিয়ে যেতে পারে অসীম প্রেরণা। আর পুরুষের মধ্যে যোগানো নারীর উদ্দীপনাকে তাই প্রকৃতির এক বিশেষ কৃপা হিসাবেই দেখা উচিৎ প্রতিটি পুরুষের। তবে এই বিশেষ কোন নারীকে অর্জন করতে চাওয়া সম্পুর্ণ আলাদা একটি ব্যপার, যা নির্ভর করে দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যপারটি তাদের দুজনের জন্য কতটা উপকারী তার ওপর। অন্যদিকে শুধুমাত্র একজন সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী নারীর কাছাকাছি হবার মাধ্যমে একজন পুরুষ যে পরিমাণ প্রেরণা/উদ্দীপনা পেতে সক্ষম তাকে আমরা যতটা সুন্দর ভাবে দেখতে পারবো তার আউটপুটও হবে সুন্দর এবং শোভনীয়।



আর এখানেই আসে এ লেখার মূল কথা। সকল আকর্ষণকে নিজের ব্যক্তিত্বের জন্য শক্তিতে রুপান্তর করা, যোগ ব্যয়ামের একটি খুব সাধারণ এবং মৌলিক রীতি অনুসরণ করে। পরবর্তীতে যখনই আপনি কোন নারীর প্রতি যে কোন ধরনের আকর্ষণ অনুভব করবেন যার ওপর আপনার কতৃত্ব নেই, আপনার দেহের প্রতিটা পেশী শিথিল করুন, আর তার নারীময় দীপ্তির ঢেউটিকে বয়ে যেতে দিন আপনার ভেতর দিয়ে। পূর্ণ এবং গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করুন, তার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য আপনাকে যেই আনন্দ বা উদ্দীপনা যোগায় তাকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা না করে। আপনার দেহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উদ্দীপনাটিকে অনুভব করুন। তার দিকে তাকিয়ে থাকা দরকার নেই, এমনকি তার সাথে কোন কথোপকথনও জরুরী নয়। তবে যখনই আপনি কোন নারীর প্রতি এরকম বিশেষ আবেগ অনুভব করছেন সচেতনতার সাথে আপনি সেই এনার্জি বা শক্তিটিকে রুপান্তর করে ফেলতে পারেন প্রেরণাদায়ক শক্তি কিংবা চরম উদ্দীপনায়। আর এই উদ্দীপনা বা প্রেরণা আপনি নিজের সাথে রেখে দিতে পারেন বহুদিন। দিনশেষে পুরুষের অস্তিত্বের জন্য প্রকৃতির সবচাইতে বড় প্রেরণার উৎস যে নারী এবং তার অস্তিত্বের অসাধারণ দীপ্তি , তা আরও একবার নাই বা বললাম।



https://www.facebook.com/DoctorXBD

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

কামাল উদ্দিন ফারুকী জুয়েল বলেছেন: Dhonyobad diye nilam agei.

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: না পড়েই ধন্যবাদ দিলেন নাকি ঠিক বুঝলাম না। হাহা। তারপরেও আপনাকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

সেইসাথে অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।

২| ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

ইয়ার শরীফ বলেছেন: চিন্তা ও জ্ঞানের খোরাক জুগিয়েছে আপনার সুন্দর এই পোস্ট,
আরও আগে এরকম বিশয়ে জানা থাকলে খুবই ভালো হত।

জাই হোক সময় নিয়ে ধিরে আবারো পরব।
শুভেচ্ছা নিন, আর আমাদের জন্য নিয়মিত লিখে জাবেন তা সে যতই অল্প হোক

ধন্যবাদ আবারো

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় পাঠক। এরকম মন্তব্যই লিখে যাবার ক্ষেত্রে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যায়। আর এই ভালোলাগাটির জন্য আমার আন্তরিক ভালোলাগা রইলো আবারো।

ভালো থাকবেন সবসময়। শুভ কামনা।

৩| ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

কামাল উদ্দিন ফারুকী জুয়েল বলেছেন: Porar agei dhonyobad diyecchilam, porhar pore abaro dhonyobad janalam antorikvabei.

Apnar postguli ami nijer patheyo kore niyecchi.

Antorik kritoggota niben.

২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

ডক্টর এক্স বলেছেন: এই বিশেষ "ভালো লাগা" অনুভূতিটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক। পাঠককে তৃপ্তি দেয়াতেই লেখার সার্থকতা। ভবিষ্যতেও যেন প্রত্যাশা অনুযায়ী লিখে যেতে পারি সেই দোয়া করবেন।

ভালো থাকবেন।

৪| ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

বাপ্পী২০১১ বলেছেন: :-& :-& :-& :-& :-& :) :) :) ;)

৫| ২০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

বাপ্পী২০১১ বলেছেন: অনেক জটিল কথা সহজ করে লেখার চেষ্টা করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: চেষ্টা থাকে মুলত সকল পাঠক যেন সহজেই বুঝতে পারে সেভাবে লেখবার, সফলতা পাঠকের ফিডব্যাক কিংবা আলোচনা-সমালোচনার ওপর নির্ভর করে। আর এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন আর আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।

অনেক অনেক শুভ কামনা।

৬| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

স্বপনবাজ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট!
প্রেরণা হোক সমস্ত আকর্ষনের ফসল! আপনাকে ধন্যবাদ!

২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

ডক্টর এক্স বলেছেন: এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় পাঠক।

৭| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

মানুষ হীন কেউ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। এই কথা গুলো আমার মনের মাঝে অনেক দিন ধরে ঘুরছিলো। কিন্তু এতো সুন্দর ভাবে লিখার জন্য ধন্যবাদ। আচ্ছা ঠিক এই বিষয়ের উপরে কি কনো বই রিকোমান্ড করতে পারেন আমাকে? এ ধরনের কিছু ভালো বইয়ের নাম বললে উপক্রিত হবো।আবারো ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই খুব আনন্দিত হলাম। পাঠককে তৃপ্তি দেয়ার জন্যই হাজার হোক লিখে যাওয়ার চেষ্টা করা। এ বিষয়ের ওপর দু-ধরনের বই আছে - যার একটি একদম টেক্সটবুক সাইকোলজি এবং অন্যটি হলো স্পিরিচুয়ালিটি। আমি যদিও সাইকোলজির প্রতি আগ্রহ বেশি তবে সাধারণ পাঠককে ছুঁয়ে যাবার জন্য আসলে আধ্যাতিক বইগুলো বেশি কার্যকর। তাই আপনাকে ওশোর লেখা "অন লাভ" বইটি রিকমেন্ড করতে পারি এ ব্যপারে পড়া শুরু করবার জন্য। তাছাড়া আধ্যাতিক মনোবিজ্ঞানের ওপরও কিছু বই আছে, সেগুলো খুঁজলেও পড়বার মতো অনেক বই পেয়ে যাবেন।

আমার কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি।

৮| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

মানুষ হীন কেউ বলেছেন: ওশোর লিখা বইটির নাম কি আশোলেই অন লাভ? ওশো নিজের ওয়েব সাইটে এই নামের কোনো বই পেলাম না তবে প্রচুর বই আছে। http://www.osho.com/library/the-books.aspx
বইয়ের নাম না আবার একটু দেখে প্লিজ বলেন।
আমি কিছু দিন আগে বই পড়লাম। আমার মনে হয় আপনার ভালো লাগবে।
Click This Link

২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: বাহ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। ডন মিগুয়েলের এই বইটি আমার অন্যতম প্রিয়। তবে আমি মূলত পড়েছি এর পরের ভার্শনটি অর্থাৎ "ফোর এগ্রিমেন্টস কম্প্যানিয়ন" বইটি। আপনার কাছে যদি এ বইটি [সফট কপি] থাকে আর তা যদি আমাকে দিতে পারেন তবে কৃতজ্ঞ থাকবো।

আর ওশোর বইটি মূলত তার অন্যান্য বই হতে ভালোবাসা এবং মানব-মানবীর ওপর সেলেক্টেড কিছু লেখা নিয়ে। খুব সম্ভব আমার কাছে বইটি আছে। আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলে মেইল করে দেবো বইটি পেলে।

৯| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

মোঃ আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। ভবিষতে আরো নানা অজানা বিষয়ে আলোকপাতের অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: আপনাকেউ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। চেষ্টা থাকবে সবসময়ই নতুন কোন বিষয় নিয়ে লিখে যাবার। সাথে থাকবেন আর আলোচনা সমালোচনা করে যাবেন।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা রইলো।

১০| ২০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মানুষ হীন কেউ বলেছেন: দু;ক্ষিত আমার কাছে ঐ বইটি নেই। এমনকি পুরো নেট খুজেও পেলাম না :( আমারো বইটি পড়ার ইচ্ছা হয়েছিলো। সাধারনত যেকনো বই নেট এ পাওয়া যায় যদি না বইটির কনো ডিজিটাল ভারসন না বের হয়ে থাকে। আমার মনে হয় বইটির ডিজিটাল ভাড়সন এখনো বের হয় নাই।

[email protected] আমার ইমেইল। প্লিজ ওশোর বইটি পারলে সেনড করেন। অগ্রিম ধন্যবাদ।

ওশোর দ্যা বুক অফ সিকরেট বইটি আমার কাছে আছে। পিডিএফ ও কিন্ডেল দুটি ভরসনই আছে। লাগলে বলবেন। :)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১২

ডক্টর এক্স বলেছেন: আমিও বইটি অনেক খুজেছিলাম গত বছর। শেষমেশ একটি সংক্ষিপ্ত ভার্শন পেয়েছিলামও। অবশ্যই আপনাকে পাঠিয়ে দেবো খুঁজে পেলে। আর ওশোর বইটি আমাকে পাঠিয়ে দিলে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো। তাই আমিও অগ্রিম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।
আমার ইমেইল [email protected]

ভালো থাকবেন সবসময়।

১১| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

zaki642 বলেছেন: লেখাটি পড়ে নিজের অনেক ভুল বুঝতে পারলাম। আফসোস্‌ হচ্ছে, আরও ৫/৬ বছর আগে এরকম লেখা কেন পেলাম না। এরকম লেখার জন্যই ব্লগে আসি।

লেখাটা পড়ে বুঝতে আমার একটু সময় লেগেছে। বাক্যগুলো সরল হলে আরও ভালো হত।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাঠক এই মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে লেখা আরও সরল এবং সহজ ভাষায় লেখবার।

আর আসলে ভুল বলে কিছু নেই, বরং ভুল না করলে সঠিকের মূল্য বোঝবার ক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়নি, তাই জীবনের প্রতিটা ভুলকেই সুন্দর করে গ্রহণ করা উচিৎ আর তা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ অধিক অনুশোচনা ছাড়াই।

কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার। আর ভালো থাকবেন সবসময়।

১২| ২১ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: :#)

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২১

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা রইলো।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দারুন পোস্ট ! অনেক কিছু জানলাম ও শিখলাম ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২২

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

মহাকাল333 বলেছেন: ডক্টর এক্স,লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.