নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈজ্ঞানিক

কখগ

ডক্টর এক্স

ব্লগে লেখা প্রতিটি পোস্ট আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী মাত্র।

ডক্টর এক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষকে বুঝতে হলে – পর্ব ১

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

নারীকে বোঝবার ক্ষেত্রে পুরুষের প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ থাকতে বাধ্য যদি নারীও পুরুষকে বোঝবার ক্ষেত্রে সমানভাবে সচেতন না হয়। যদিও পুরুষের আবেগ বোঝবার ক্ষেত্রে নারীর প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত ইন্টুউশন তাকে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে এরপরও নারী-পুরুষের জীবনের ব্যপারে দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্যান্য মৌলিক পার্থক্যের কারণে তাদের মাঝে যোগাযোগের ঘাটতি সচেতনতা ছাড়া পুরণ করা সম্ভব নয়। আর পুরুষকে বোঝার ব্যপারে এই মৌলিক ঘাটতি অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে সাহায্য না করে বরং তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়ত হয়ে দাড়িয়েছে বাধা। এতে যেমন নিজের এই বিশেষ গুণটির প্রতি নারী বিশ্বাস হারিয়েছে তেমনি পুরুষকে বোঝবার এবং তার সাথে মানসিক ভাবে কানেক্ট করবার ক্ষেত্রেও নারী প্রায়ই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষকে আবেগহীন বলে তার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এর দায়ভার। নারী-পুরুষ এমনকি যে কোন সম্পর্কের ব্যপারে প্রথমেই একটি ব্যপার বুঝতে পারা খুবই জরূরি। যোগাযোগের ব্যর্থতার জন্য উভয়ই সমানভাবে দায়ী। আর পুরুষকে বোঝবার জন্য নারীকে একটু সাহায্য করবার জন্যই এবার পুরুষকে নিয়ে লিখবার প্রচেষ্টা। আশা করি পুরুষের ব্যপারে নারীর কিছু প্রশ্নের উত্তর এখান থকে মিলবে। পুরুষের ব্যপারে নারীর কিছু সাধারণ এবং প্রচলিত প্রশ্নের ব্যাখ্যাসমেত এই লেখাটি মোট তিন পর্বের ভেতর শেষ করবার ইচ্ছা রয়েছে।



প্রশ্নঃ পুরুষ এত দুর্বোধ্য কেন ?



অধিকাংশ নারী জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে হয়তবা বিস্মিত হয়েছে যে কেন তার জীবনের পুরুষ এত দুর্বোধ্য, কেনই বা সে ক্ষেত্রবিশেষে তার সাথে এমন বাজে ব্যবহারই বা করে। উত্তরটা খুবই সহজ। বেশিরভাগ পুরুষের মাঝেই রয়েছে পুরুষালী এনার্জি যা নাকি নারীর আবেগীয় এনার্জি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তাই নারীর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই তা আপত্তিকর। শতকরা আশি ভাগ পুরুষ যেমন চরিত্রের দিক থেকে পুরুষোচিত তেমনি বেশিরভাগ নারীর মধ্যেই রয়েছে নারীময়তা। আর তাদের এই মৌলিক পার্থক্য তাদের সম্পর্কের ঘনিষ্টতার পথে সৃষ্টি করতে পারে বেশ কিছু সমস্যার। প্রায়ই তাদের মাঝের কমিউনিকেশন দেখে মনে হয় যে তারা দুজন যেন দুই ভিন্ন গ্রহের প্রাণী, একে অন্যের সাথে এমন ভাষায় তারা যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে যা অপরের কাছে একদমই বোধগম্য নয়।



নারীর কাছে অনেক সময়ই তার জীবনের পুরুষটিকে প্রচন্ড মাত্রায় আপত্তিকর অথবা আবেগহীন মনে হতে পারে যা তাকে বেশ গভীরভাবে আহত এমনকি ক্ষুদ্ধও করে থাকে, ঠিক যেমন মেয়েলি এনার্জি পুরুষকে গভীরভাবে আহত করতে সক্ষম। তবে একে অন্যকে একবার বুঝতে শিখলে তাদের মাঝের এই মৌলিক পার্থক্যই হতে পারে তাদের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ট এবং গভীর করবার ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় আশীর্বাদ। নারী-পুরুষের মৌলিক পার্থক্যগুলোর ব্যপারে একে অন্যকে আরো সচেতন করে তোলাই হবে এই সিরিজের প্রধানতম লক্ষ্য।



প্রশ্নঃ কেন অধিকাংশ পুরুষ এত অনমনীয়/কঠোর/জেদী ?



পুরুষ মনস্তাত্বিকের অন্যতম গুণ হলো তার মনঃসংযোগ কেন্দ্রীভূত করবার ক্ষমতা। পুরুষেরা একটা কাজ সূক্ষ্মতরভাবে শেষ করবার জন্য এই গুণটিকে কাজে লাগিয়ে থাকে। তার এনার্জি তাই একটিমাত্র লাইনে চলতে থাকে। কোন একটা কাজে মনোনিবেশ করা/ডুবে থাকা যে কোন একজন পুরুষকে তার কাজে বাধা প্রদান করে দেখুন, হয় সে খেয়ালই করবে না নয়তবা সে ক্ষুদ্ধ ও বিরক্তও হয়ে উঠতে পারে।



অন্যদিকে নারী সাধারণত এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার এনার্জি একটামাত্র লাইনে আটকে থাকে না। সে বরং একটা আবেগ/চিন্তা/কাজ থেকে অন্যটায় খুব সহজেই চলতে পারে। এ কারণে মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষেত্রে নারী প্রকৃতিগতভাবেই পুরুষের তুলনায় ভাল। আর একের অধিক কাজ একসাথে করবার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য তাই তার ভেতরের মেয়েলি এনার্জি ব্যবহার করার ক্ষমতা হয়ে উঠতে পারে আশীর্বাদস্বরুপ। মাল্টিটাস্কিং এর ক্ষেত্রে পুরুষের পারফেকশনিস্ট মনোভাব মাঝে মাঝেই তাকে বিপর্যয়ের সামনে ঠেলে দিতে পারে।



প্রশ্নঃ পুরুষকে নিয়ে নারীর হাজার বছরের প্রশ্ন- কেন সে আমার প্রতি আরো অধিক মনোযোগ দেয় না?



পুরুষের সক্রিয়তা নির্ভর করে তার মনোনিবেশ এবং কার্যোদ্ধারের ক্ষমতার ওপর। পুরুষালি এনার্জি তাই যাবতীয় বিক্ষেপ এড়িয়ে যা না করলেই নয় সেদিকে মনোনিবেশ করবার ক্ষেত্রেই নিজেকে উৎসর্গ করে। লক্ষ্যে অটুট থেকে কার্যসাধন করাটাই তার জীবনে পরিতৃপ্তি অর্জনের একমাত্র উপায়।



একটু মনে করে দেখুন, যখন একজন পুরুষ টেলিভিশনের কোন একটা প্রোগ্রাম দেখছে অথবা অফিসের কোন একটা প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত- তখন তার জন্য পৃথিবীর অন্য সবকিছু যেন থেমে যায়। এবং এর মাঝে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্কও পড়ে। এমনকি তার কাজটা যদি গাড়ি পরিস্কার করবার মতো বিরক্তিকরও হয়ে থাকে, পুরুষালি এনার্জি সেখানেই মনোনিবেশ করবে এবং বাকি পৃথিবীকে রুদ্ধ করে রাখাটাই তার জন্য সহজতর।



পুরুষের এই মনোনিবেশ করবার ক্ষমতা তার সবচাইতে বড় শক্তি এবং গুণ, কিন্তু এটা এমন একটা গুণ যা খুব সহজেই তার দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে যখন তা তার জীবনের অন্তরঙ্গ সম্পর্কগুলো এড়িয়ে যাবার ক্ষেত্রে সে মনের অজান্তে ব্যবহার করা শুরু করে।



নারী এনার্জি কোন রকম মনস্তাত্বিক চাপ ছাড়াই যেমন স্রোতের মত প্রবাহিত হতে পারে তেমনি একটি থেকে আরেকটি কাজেও সে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই চলতে এবং ফিরে আসতে সক্ষম। নিজের রুমটি গোছাতে গোছাতে ফোনে প্রেমিকের সাথে কথা বলা একটি মেয়ের জন্য কোন ব্যপারই নয়। অফিসের একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করা এবং স্বামীর সাথে কথোপকথন, এই দুইয়ের মাঝে একজন নারী খুব সহজেই যাওয়া আসা করতে সক্ষম।



কিন্তু পুরুষের জন্য তার মনোনিবেশ স্থানান্তর করা প্রচন্ড কঠিন একটা ব্যপার, কারণ তারা প্রায়ই তাদের পুরুষালি এনার্জির মাঝে আটকা পড়ে যায়। বেশিরভাগ পুরুষের জন্যই তার লক্ষ্যে বিরতি দিয়ে তার প্রেমিকাকে সময় এবং মনোযোগ দিয়ে পুনরায় তার কাজে ফিরে যাওয়াটা মারাত্মক কষ্টসাধ্য, যেখানে নারী এই কাজটা অবচেতন এবং অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করতে সক্ষম।



এ কারনেই পুরুষ প্রেমিককে নিয়ে বিপুল সংখ্যক নারীর প্রশ্ন, তার দিকে প্রেমিকের মনোযোগ কম হবার কারণ কি ? তার সমস্যা কোথায় ? বেশিরভাগ সময়ই নারী এটাকে ব্যক্তিগতভাবে নেবে এবং সে বিশ্বাস করবে যে তার প্রেমিক তাকে এড়িয়ে চলছে। মনে রাখতে হবে যে, নারীর পৃথিবীতে সে সঠিক। অর্থাৎ মেয়েদের ক্ষেত্রে যখন একটি মেয়ে বন্ধু তার আরেকটি মেয়ে বন্ধুকে এড়িয়ে চলে তখন তা একটা নির্দিষ্ট বার্তা তাকে পৌছে দেয়। এবং বেশিরভাগ মেয়ে/নারী তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রচন্ড সচেতন। অথচ পুরুষের জন্য টেলিভিশনের একটা প্রোগ্রাম কিংবা অফিসের কোন প্রজেক্টে মনোনিবেশ প্রকৃতিগতভাবেই তার স্বভাব। এভাবেই তারা তাদের কাজ অথবা লক্ষ্য অর্জন করতে অভ্যস্ত। পুরুষালি এনার্জির প্রকৃতিই এমন।



নারী প্রশ্ন করবে – "পুরুষ কি স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দেয়া শিখতে পারেনা ? সে কি আরো নমনীয় হতে পারেনা ? কেন তার সবসময় এত কঠোর এবং সিঙ্গেল-মাইন্ডেড/একরোখা হয়ে থাকতে হবে ?"



অন্যদিকে পুরুষের চিন্তা একথা ভেবে যে, "আমি ব্যস্ত হলে কেন সে আহত হয় ? সে কি বুঝতে পারেনা যে এটা ব্যক্তিগত কিছু নয় ? কি ঝামেলা !! যতবারই আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হই ঠিক ততবার সে ক্ষিপ্ত হয়। সে কি কখনো বদলাবে না?"



পুরুষের একটা কাজ সম্পাদন করবার ক্ষমতার ওপর যদি আপনি বিশ্বাস করতে চান, তবে আপনার চেষ্টা করা উচিৎ তার লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করবার এই ক্ষমতাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গ্রহণ করে নেয়া। তার মনস্তাত্বিকের এই বিশেষ গুণটি ছাড়া সে যে কাজে হাত দিবে তা হয়তবা সে শেষ করতে ব্যর্থ হবে। এবং স্বভাবতই একসময় আপনার মনে হবে যে, সম্পর্কের দায়িত্বের ব্যপারেও তার মনোনিবেশ করবার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলছে। তার ওপর থেকে ধীরে ধীরে আপনিই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করবেন।

ভাববার বিষয় এই যে, আপনি এটা আশা করতে পারেন না যে, একজন পুরুষ একইসাথে তার লক্ষ্য অর্জন করবে অথচ সেখানে পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করবে না। পুরুষের জন্য এমনটা করা মানে তার মাঝের নারী এনার্জিতে প্রবেশ করা যা হয়তবা তার মনোনিবেশে ব্যঘাত ঘটাবে এবং লক্ষ্য অর্জনে সে ব্যর্থ হবে। চূড়ান্তভাবে যার ফলাফল হবে আপনার সম্পর্কের জন্য ভয়াবহ।



আলোচনা-সমালোচনা কাম্য

পরের পর্ব Click This Link



https://www.facebook.com/DoctorXBD

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ইন্টারেস্টিং একটা ফিচার। আপাতত বুকমার্ক করে গেলাম। পরে আবার সময় নিয়ে আসব।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে কাল্পনিক_ভালোবাসা। পুরোটা পড়া হলে অবশ্যই আপনার মতামত জানাবেন আশা করছি।

শুভ কামনা।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

চিন্তা দানব বলেছেন: অসাধারণ লেখা । এত সুন্দর গুছিয়ে লেখার জন্য প্রশংসার দাবিদার।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। লেখা গোছানো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। চেষ্টা থাকবে সামনেও গোছানো লেখা উপহার দেবার।

শুভ কামনা রইলো।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

জনাব মাহাবুব বলেছেন: বিরাট গবেষণামূলক পোষ্ট। B-) B-) B-) B-)

পোষ্টে +++++++++++++++++

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্য এবং + এর জন্য।

কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

শহিদশানু বলেছেন: সন্দুর গবেষনা মূলক একটি পোষ্ট। কষ্ট করে লেখার জন্য ধন্যবাদ ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে পড়বার এবং মন্তব্য করবার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ! তবে দুক্ষেত্রেই সহনশীলতা আর বিশ্বাস গুরুত্বপুর্ণ !
এই দুটা জিনিস থাকলে সব ই সহজ !

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিকই বলেছেন, সহনশীলতা আর বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ট্রেডিশনালি এগুলোকে যেভাবে দেখা হয় আমি তার থেকে একটু অন্যভাবে দেখতে আগ্রহী। যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো, ট্রেডিশনালি আমরা এই ব্যপারগুলো অন্যের কাছে আশা করে থাকি। সেটা না করে যদি এই জিনিসগুলো আমরা অর্জন করবার দিকে মনোনিবেশ করি তবে তা আরো খাঁটি হয়। এবং এতে আসলে ব্যক্তিগত লেভেলে প্রচুর এফোর্ট দরকার।

কৃতজ্ঞতা জানবেন আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভ কামনা।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: আপুরা প্রিয়তে নিয়ে রাখতে পারেন। ;) ;) ;)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: হা হা হা, এ লেখাটিতে কিন্তু ছেলেদেরও মেয়েদের ব্যপারে অনেক কিছু বোঝার আছে।

কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন। শুভ কামনা।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

ইখতামিন বলেছেন:
দারুণ পোস্ট

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

খাটাস বলেছেন: আপনার প্রতি টি লেখাই অসাধারণ। সমালোচনা করার মত এখন ও কিছু পাই নি। সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব গুলোর জন্য। শুভ কামনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

ডক্টর এক্স বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। পাঠকের ভালো লাগাতেই লেখকের সবচাইতে বড় পরিতৃপ্তি। সাথে থাকবেন আর দোয়া করবেন যেন আরো সুন্দর লেখা উপহার দিতে পারি।

খুব শিঘ্রই সামনের পর্বগুলো পেয়ে যাবেন আশা করছি। ভালো থাকবেন সবসময়।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং আলোচনা। কিছু কিছু পয়েন্ট খুব যৌক্তিক মনে হয়েছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো অধিক যুক্তি তুলে ধরার ইচ্ছা আছে।

ভালো থাকবেন সবসময়।

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বকবক

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১

ডক্টর এক্স বলেছেন: হা হা, আরো বকবক।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

দিশার বলেছেন: তৃতীয় প্রশ্ন টা ভালো লাগলো।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা দিশার। আরো ১০ টার মত প্রশ্নের উত্তর দেবার ইচ্ছে আছে।

অসংখ্য শুভ কামনা।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

আরজু পনি বলেছেন:
খাঁন রোজেন বলেছেন: আপুরা প্রিয়তে নিয়ে রাখতে পারেন।
তার আগেই প্রিয়তে নিয়েছি /:)

অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ।।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আসলে সেরকম ভালো লাগার মত লেখা লিখতে পেরেছি কিনা সেটা নিয়ে আমি নিজেও সন্দিহান। তবে সামনের পর্বগুলো আরো সুন্দর করে লেখবার প্রেরণা পাচ্ছি আপনার মত গুণী মানুষের এমন মন্তব্যের পর। কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: মেয়েদের জন্য পড়া অতি আবশ্যক, ছেলেদের পড়া উচিত ;)

ভাল লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম। ভাল থাকবেন

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন আমার। সামনেও আরো নতুন কিছু জানাতে পারি যেন সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ভালো থাকবেন সবসময়।

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

সুবিদ্ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং...

ভালো লাগলো পড়তে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো লেগেছে জেনে খুবই আনন্দিত বোধ করছি। সামনেও ভালো লেকবার চেষ্টা করে যাবো।

অনেক অনেক শুভ কামনা।

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

আমার জীবন বলেছেন: নারীরা তো কোর আই সেভেন প্রোসেসর দেখি B:-/ মাল্টিটাস্কিং এ খুবই দক্ষ। আর আমরা সিঙ্গেল কোর আগের যুগের পেন্টিয়াম প্রোসেসর! /:)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

ডক্টর এক্স বলেছেন: হা হা, ঠিক বলেছেন। আসলে তাদের দুজনকেই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন গুণের অধিকারী করা হয়েছে। তবে চাইলে তারা দুজনেই আবার একে অন্যের গুণগুলো রপ্ত করা শিখতে পারে। অর্থাৎ প্রসেসর আপগ্রেড করবার অপশন আছে সবার ক্ষেত্রেই।

ভালো থাকবেন। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

চিরতার রস বলেছেন: "নারীকে বুঝতে হলে" এজাতীয় কোন পোস্ট দেওয়ার দুঃসাহস আপনি দেখান কিনা এইটা দেখার অপেক্ষার আছি B-)) B-)) B-))

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: যদিও আমি সবসময় একটি কথা বলি যে, অন্যকে বোঝার সবথেকে ভালো উপায় হলো নিজেকে বোঝা তারপরেও মৌলিক কিছু ব্যপার থাকে যা জেনে রাখলে সবার জন্য সুবিধা। এই লেখায় শুধু পুরুষকে বোঝার জন্য নয় বরং খেয়াল করলেই দেখবেন যে নারীকে বোঝার জন্যও অনেক রকম ক্লু এর ছড়াছড়ি আছে এবং পরের পর্বগুলোতেও থাকবে। তাই বলতে পারেন ঐ দুঃসাহস আমি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছি। হা হা।

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপনাকে চিরতার রস। শুভ কামনা রইলো।

১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

মেঘ_বালিকা বলেছেন: নারীর হাজার বছরের প্রশ্ন- কেন সে আমার প্রতি আরো অধিক মনোযোগ দেয় না? .....ঠিক তাই। অফিসের শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমার তো সারাক্ষন এচ্ছে করে একটু পর পর ফোনে কথা বলি। কিন্তু সে তো ব্যস্ত থাকলে বলে একটু পরই ফোন দিচ্ছি...এই ৫ মিনিটের মধ্যে। ফোন টা রেখে সে পুরো ভুলে যায়। কি যে রাগ লাগে। কিন্তু এমন না যে সে ইচ্ছে করে কাজ টা করল বা কথা বলতে চাইছে না...তাও না। সত্যি আজব। X((

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: ঠিক বলেছেন, নারী-পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণের ফলে তাদের একের কাছে অন্যকে প্রচন্ড দুর্বোধ্য এবং আজব বলে মনে হয়, যা তাদের কমিউনিকেশন গ্যাপেরও প্রধান কারণ। আর তারা তাদের এই মৌলিক পার্থক্যগুলোর ব্যপারে সচেতন হলে তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো উন্নত হয়ে উঠবে বলেই আমার ধারণা।

আমার ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভ কামনা।

১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

সিস্টেম বলেছেন: গুড জব

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: থ্যংকস এ লট। শুভ কামনা।

১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার এই বিষয়ক লেখা গুলো যাতে মিস না করে যাই তাই আপনাকে অনুসরনে নিলাম।

মন দিয়েই পড়েছি। অনেক সময়ই সঙ্গীর কাজের সঠিক কারণ বুঝতে ব্যর্থ হই। দেখা যাক এই পোস্ট টি কতোটা সহায়তা করে সঙ্গীকে বোঝা ক্ষেত্রে।

এই পার্ট পড়ে যা বুঝলাম --

পুরুষদের এনার্জি আর মেয়েদের এনার্জি লেভেল এক নয় , তাই কিছুটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়ে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে।

আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকলে সমস্যা টা কমানো যায় নারী পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা রইলো।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ডক্টর এক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। আসলেই পুরুষের আর নারীর এনার্জি লেভেল সম্পূর্ণ ভিন্ন। যদিও এ ব্যপারে সমাজ বিজ্ঞানীরা কাজ শুরু করেছেন খুব বেশিদিন হয়নি তারপরেও ধীরে ধীরে তাদের মাঝের মৌলিক পার্থক্যগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়ে উঠছে।
অবশ্যই মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকলে প্রচুর সমস্যার সমাধান সম্ভব, আর একে অন্যকে বুঝতে শিখলে প্রচুর পরিমাণ সমস্যাই হয়ত তৈরি হবে না। যাই হোক, সাম্নের পর্বগুলোতে আরো নতুন কিছু জানাবার আশা রইলো।

অসংখ্য শুভ কামনা।

২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

জুন বলেছেন: একটু মনে করে দেখুন, যখন একজন পুরুষ টেলিভিশনের কোন একটা প্রোগ্রাম দেখছে অথবা অফিসের কোন একটা প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত- তখন তার জন্য পৃথিবীর অন্য সবকিছু যেন থেমে যায়। এবং এর মাঝে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্কও পড়ে। এমনকি তার কাজটা যদি গাড়ি পরিস্কার করবার মতো বিরক্তিকরও হয়ে থাকে, পুরুষালি এনার্জি সেখানেই মনোনিবেশ করবে এবং বাকি পৃথিবীকে রুদ্ধ করে রাখাটাই তার জন্য সহজতর।
আপনি আমার স্বামীর চরিত্রটি এমন করে কি ভাবে ফুটিয়ে তুল্লেন :-* :|
ভীষন তাজ্জবের একটি ইমো মিস করছি।
প্রিয়তে নিলাম, রাত্রে বাসায় ফিরলে দেখাবো :||
+

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: হা হা, ধন্যবাদ আপনাকে। তেমন তাজ্জব হবার মত আসলে এটা কিছু নয়। কম-বেশি সব পুরুষের জন্যই কথাটা খাটে। তারপরেও উনার প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলবেন না যেন।

কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার। আর ভালো থাকবেন সবসময়।

২১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি তো এই ভুলে যাওয়া বা ভীষণ কাজে পূর্ণ ভাবে মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ব্যাপার গুলো উপভোগ করি ...।

পরবর্তীতে যখন মনে পরে যায় তখন সেটা পূরণের চেষ্টা অনেক বেশী হয় ।আর কাজের সফলতার অংশীদার হতে পারি ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

ডক্টর এক্স বলেছেন: পারস্পরিক বোঝাপড়া আর সহযোগিতার মনোভাব যে কোন সম্পর্কের সফলতার সবচাইতে বড় উপাদান। আর এদিক থেকে যে ভাইয়া ভাগ্যবান তাতে কোন সন্দেহ নেই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা মনিরা আপা। আমাকে নিয়মিত প্রেরণা দিয়ে আসছে এমন গুটিকয়েকজনের মাঝে আপনি অন্যতম।
অনেক অনেক শুভ কামনা।

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

তাসজিদ বলেছেন: কিছু আমার কাছে ত মনে হয় নারীকেই বোঝা বেশি কষ্টকর।

যেহেতু নারী আর একজনকে জন্ম দেয়, তাই তার মাঝে রহসসময়তা বেশি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

ডক্টর এক্স বলেছেন: রহস্যগুলো আসলে আমাদের নিজেদের মাঝে, নিজেকে বুঝতে শিখলে অন্যকে বোঝবার ব্যপারে যে আপনি এগিয়ে যাবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই, আমার আগের ব্লগগুলো পড়ে দেখলে এ ব্যপারে হয়ত আমার মনোভাব বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।

শুভ কামনা রইলো।

২৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

ভীরু বলেছেন: তাহলে সিঙ্গল কোর প্রসেসরের উচিত সংসার সামলানো আর মাল্টিকোর প্রসেসরের উচিত বাইরের জগৎ সামলানো। একথায় মাতৃতান্ত্রিক।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

ডক্টর এক্স বলেছেন: মোটেই তা নয়, বরং নারী-পুরুষ এক অন্যের এই গুণগুলো সঠিকভাবে স্টাডি করে তার ব্যক্তিত্বের মাঝে সেগুলোর বিকাশ ঘটাতে পারে। আর তাছাড়া সংসার সামলানোকে হয়তবা আপনার এত সহজ মনে করা উচিত হচ্ছে না। সংসার সামলানোর জন্য যে মাল্টিকোর প্রসেসরের একান্ত প্রয়োজন সে ব্যাপারে অন্তত আমার কোন সন্দেহ নেই। এ নিয়ে মুক্ত মনে আরেকটু চিন্তা করে দেখার অনুরোধ রইলো।

কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভ কামনা।

২৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

ঘাষফুল বলেছেন: ভাল লাগল। তবে আরও একটু সহজ হলে বেশি ভাল লাগত....কেন যেন কঠিন লাগল..... /:)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

ডক্টর এক্স বলেছেন: আরো সহজ ভাষায় লেখবার চেষ্টা থাকবে ভবিষ্যতে অবশ্যই। সমালোচনা চালিয়ে যাবেন। এতে নিজের ভুলগুলো চোখে পড়বে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.