নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

টানিম

তড়িৎ প্রকৌশলী। টুইটার : https://twitter.com/mztanim88

টানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ ও উনার মৃত্যু নিয়ে নতুন ব্যবসা

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০





নিউইয়র্কের একজন পুস্তক ব্যবসায়ী 'হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলি' নামক বইয়ে চেয়ার নিয়ে যে গল্প ফেঁদেছেন, তা পড়ে আমি এই চেয়ার কাহিনী না লিখে পারলাম না। মনগড়া গল্প সংবলিত বইটি সম্পূর্ণ পড়ে মনে হয়েছে লেখক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। আমেরিকার মতো আধুনিক দেশে বসবাস করেও পুস্তক ব্যবসায়ীর মনমানসিকতা বিস্তৃত হওয়ার পরিবর্তে যে সংকুচিত হয়েছে তার প্রমাণ এই বইটি। মিথ্যা তথ্যে ভরপুর বইটি সাময়িকভাবে হয়তো কিছু পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে, তবে তা দিয়ে সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব নয়।



বইয়ের শেষে ২৩৪ থেকে ২৭০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদগুলো পুনঃমুদ্রণ করে এবং তা বইয়ে ছাপিয়ে লেখক কি প্রমাণ করতে চেয়েছেন? তবে সন্দেহাতীতভাবে বোঝা যায় তিনি ওই সব হলুদ সাংবাদিকতার সঙ্গে নিজের একাত্দতা ঘোষণা করে হুমায়ূন আহমেদ ও তার প্রাণপ্রিয় পরিবারকে হেয় করার একটি ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছেন।



লেখক আমেরিকাতে এত বছর অবস্থান করেও আমেরিকার চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। হুমায়ূন আহমেদের ভয়াবহ চতুর্থ স্তরের কোলন ক্যান্সার থেকেও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তার চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়া। প্রথম অপারেশনের মাত্র আট দিন পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি পৌঁছলেন। পারিবারিক এই কঠিন সময়গুলোতে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও পুত্রসম মাজহারুল ইসলাম দিনরাত হুমায়ূন আহমেদের সেবায় রত ছিলেন। শাওনের মা এমপি তহুরা আলীও সঙ্গে ছিলেন।



১৯ জুন হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রাতে গিয়েছিলাম হুমায়ূন আহমেদের বাসায় কিন্তু উপরতলায় যে রুমে তিনি ছিলেন, আমরা সেই রুমে যাইনি। কারণ অপারেশনের পর রোগীদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তখন যে কোনো ভাইরাসে খুব সহজে তারা আক্রান্ত হন। ওই দিন রাতে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন শাওনের মা ও মাজহারুল ইসলাম ছাড়া অন্য কাউকে দেখিনি।



যাই হোক, পরদিন হুমায়ূন আহমেদ দুই বিছানার মাঝে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেছিলেন এবং স্ত্রী শাওন সব সময়ের মতো তার হাত ম্যাসাজ করছিলেন। হঠাৎ হুমায়ূন আহমেদের চেয়ারের সামনের পা দুটি বাঁকা হয়ে মেঝের দিকে ছড়িয়ে যেতে থাকলে স্ত্রী শাওন চিৎকার দিয়ে উঠেন। মাজহারুর ইসলাম ফ্রেসরুম থেকে দৌড়ে আসেন। শাওনের মা তহুরা আলীসহ অন্যরা দ্রুত সেই ঘরে আসেন এবং তাদের সহযোগিতায় চেয়ার থেকে বিছানায় নেওয়া হয়। ঘটনাটি আমি নানা সূত্রে জেনেছি, সবগুলো সূত্রের ভাষ্য একরকম। এখানকার প্লাস্টিকের চেয়ারগুলো খুবই হালকা এবং একটু বেশি চাপ পড়লেই পাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।



আমাদের ফ্লোরিডা যাওয়ার আগে রুমা সাহা একদিন বাসায় এসে আমাকে বললেন, আমরা যেন হুমায়ূন আহমেদ পরিবারকে গাড়ি বা অন্য কিছু দিয়ে সহযোগিতা না করি, আমি খুবই বিস্মিত হয়ে রুমাকে বলেছিলাম, তিনি ক্যান্সার রোগী এবং এটা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাদের সাহায্য করা আমাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার কারণ হুমায়ূন আহমেদ যদি সাহায্য চান, হাজার হাজার গাড়ি তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যাবে। আমি রুমা সাহাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই বলে যে, যে বাড়িতে একজন ক্যান্সার রোগী থাকে সেই বাড়ির সবাই রোগী। একজন ক্যান্সার রোগীর মনোবল বৃদ্ধি করা কোনো সহজ ব্যাপার না যখন তিনি জানেন যে তার আয়ু এখন এই পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ। পরে শুনেছি হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবিগুলো প্রদর্শনীতে বিক্রির কথা ছিল এবং সেখান থেকে ৪০% রুমা সাহাদের পাওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন হুমায়ূন আহমেদ। সে কারণের ক্ষিপ্ত হন রুমা সাহা দম্পতি। হায়রে, ছবি বিক্রি নিয়েও ব্যবসা!



বইমেলার প্রথম দিনে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা ছবির উদ্বোধন হওয়ার কথা। নিষাদ এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করবে। আমি আমাদের আমেরিকার লেখক পাঠকদের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অপর প্রান্তে দেখি রুমা সাহা, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত এবং বিশ্বজিৎ সাহা কথা বলছেন। জ্যোতিদা আমাকে দেখে ডেকে বললেন, তুমি নিষাদকে আনার ব্যবস্থা কর (এই কথা বলার উদ্দেশ্য, নিনিত ও নিষাদ আমাদের সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ। হুমায়ূন আহমেদ যখন হাসপাতালে যেতেন তখন ওরা আমাদের বাসায় থাকত। তাছাড়া নিষাদের স্কুল আমাদের বাসার পাশে ছিল এবং আমি তাকে সেখানে ভর্তি করে দেই)। আমি কিছু বলার আগেই রুমা সাহা চিৎকার করে বলে উঠলো, নিষাদকে আমরা আনবো না। আমরা ওদের কোনো পাবলিসিটি দেব না। খুবই অবহেলার সঙ্গে নিষাদকে ছাড়াই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হলো।



যাই হোক বলছিলাম চেয়ার কাহিনী। বাঙালিরা তিলকে তাল করে তার প্রমাণ এই চেয়ার। পুস্তক ব্যবসায়ীর লেখায় তিনি গায়ের জোরে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, হুমায়ূন আহমেদ চেয়ার থেকে পড়েছেন তাই মারা গেছেন। সাঈদীর চেহারা চাঁদে দেখা গেছে, এই কথা যদি বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে তাহলে এই চেয়ার কাহিনী বিশ্বাস করা আমাদের দেশের মানুষের জন্য তেমন কোনো কঠিন বিষয় না। চেয়ার থেকে তো তিনি ধপাস করে পড়ে যাননি। তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী তার সামনেই ছিল এবং তাকে ধরে ফেলা হয়েছে। তখনই তাকে বলা হয়েছিল হাসপাতালে যাওয়ার কথা। তিনি রাজি হননি। ভোরবেলার দিকে যখন রাজি হলেন তখন তার স্কুলজীবনের বন্ধু ফানসু মণ্ডল তিনি সার্বক্ষণিক হুমায়ূন আহমেদ পরিবারকে সঙ্গ দিয়েছেন। তিনি এসে বন্ধুকে নিয়ে বেলভিউয়ের দিকে রওনা হন। দুই ব্লক যাওয়ার পরই হুমায়ূন আহমেদ গাড়িতে বসে থাকতে কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন গাড়ি থামিয়ে ৯১১ কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। এখানে আবার ভীষণ কঠিন নিয়ম। অ্যাম্বুলেন্স সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী ওরা কাছের জ্যামাইকা হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে যান।



আমি প্রতিদিন সকালে ইন্টারনেটে বাংলাদেশের খবর পড়ি। সেদিন একটু দেরিতেই খবর পড়ছিলাম। মনে হয় সোয়া ১টার মতো বাজে। হঠাৎ একটা খবরে চমকে উঠলাম। চেঁচিয়ে নুরুদ্দিনকে (আমার স্বামী) বললাম হুমায়ূন আহমেদ জ্যামাইকা হাসপাতালে। নুরুদ্দিন সঙ্গে সঙ্গে শাওনকে ফোন করল। শাওন বিস্তারিত জানালো এবং বলল বেলভিউতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। যতদ্রুত সম্ভব তৈরি হয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পেঁৗছে গেলাম। ইমারজেন্সির বাইরে জ্যোতিদা (জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত) দাঁড়িয়ে ছিলেন। জানলাম পূরবীদি (পূরবী বসু) সহ ওনাদের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল। মাজহারুল ইসলাম চিন্তিত মুখে বললেন, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে দেরি হচ্ছে। আমাকে বললেন, ভেতরে যান। স্যারকে দেখে আসেন। আমি ভেতরে পৌঁছে সাদা পর্দা ফাঁক করে দেখলাম হুমায়ূন আহমেদ শুয়ে আছেন এবং শাওন পাশে দাঁড়িয়ে। আরেকদিকে দাঁড়িয়ে আছেন লেখক পূরবী বসু। তিনি ক্যাটস্ক্যান করার প্রস্তুতির জন্য এক ধরনের লিকুইড ওষুধ খাওয়াচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদকে। শাওন ক্রমাগত হুমায়ূন আহমেদকে সাহস নিয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, জেব, তুমি একটুও চিন্তা করো না। সব ঠিক হয়ে যাবে।



'হুমায়ূন আহমেদ চেয়ার থেকে পড়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে' এই তথ্য প্রমাণের জন্য কিছু মহল হাত ধুয়ে উঠেপড়ে লাগলো। তারা রটালো জ্যামাইকা হাসপাতালে শাওন কেন সঙ্গে যায়নি। পুস্তক ব্যবসায়ী লিখলেন শাওন বিকাল ৫টায় জ্যামাইকা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এর চেয়ে নির্জলা মিথ্যা আর কি হতে পারে? আমি হাসপাতালে যাই বেলা ১টায়। আমি গিয়ে শাওনকে পেয়েছি। এই মিথ্যাচার নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যমূলক। মূল ঘটনা যেটা ছিল, আগের রাতে শাওন সারা রাত একফোঁটা ঘুমুতে পারেনি। হুমায়ূন আহমেদ নিজে তাকে ওই মুহূর্তে হাসপাতালে যেতে নিষেধ করেছিলেন। বলেছিলেন, তুমি বিশ্রাম নাও। প্রয়োজন হলে তোমাকে ডাকা হবে। ফানসু ও মাজহার তো সঙ্গেই যাচ্ছেন। শাওন সাড়ে ১১টার দিকে ফানসু মণ্ডলের গাড়িতে হাসপাতালে চলে যায়। পুস্তক ব্যবসায়ীর বইয়ে জ্যামাইকা হাসপাতালের ঘটনায় আমি ও আমার স্বামী জাদুর ভোজবাজির মতো অদৃশ্য ছিলাম।



যাই হোক, হুমায়ূন আহমেদকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভালোবাসে। অথচ তার মৃত্যুর পর তার প্রাণপ্রিয় পরিবারের ওপর কিছু মহল যে নির্দয় আচরণ করল, এটা ভাবলে আমার ইচ্ছা হয় হাতে যদি আলাউদ্দিনের চেরাগ থাকত তাহলে হুমায়ূন আহমেদকে এক ঘন্টার জন্য হলেও জীবিত করে এসব কাপুরুষকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যেত।



পুস্তক ব্যবসায়ীর বইয়ের ২৩৯ পাতায় একটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা আছে, 'কীভাবে বা কী কারণে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে গেলেন সেটা এখনো অস্পষ্ট।' এটা পড়ে আমার মনে হলো হুমায়ূন আহমেদ তার নিজের ঘরে শত্রু পরিবেষ্টিত ছিলেন এবং কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে দিয়েছে। আরও লেখা হয়েছে, জ্যামাইকা হাসপাতালে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিটিস্ক্যান ছাড়া কিছু করা হয়নি। এই তথ্যটাও সঠিক নয় কারণ তখন জ্যামাইকা হাসপাতালে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা করা হবে না বলে ঠিক করা হয় এবং বেলভিউতে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করা হয়। এর মধ্যে প্রথমেই তার ব্যথা নিরাময়ের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়, এঙ্রে করা হয় এবং রক্তের আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর কিছু মহল সাংবাদিকতা ছেড়ে শার্লোক হোমসের ভূমিকায় এবং নীহার রঞ্জন গুপ্তের কিরিটির ভূমিকায় রহস্য ভেদ করতে কোমর বেঁধে নেমে গিয়েছিলেন। ওদের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে অবিলম্বে যোগদান করা উচিত। ওখানে তাদের ভবিষ্যৎ অতি উজ্জ্বল। আবার হয়তো দেখা যাবে, দায়ী কে? চেয়ার! এ নামে হয়তো একটা মুভিও তৈরি হয়ে যেতে পারে।



হুমায়ূন আহমেদের প্রধান সার্জন ড. জর্জ মিলার আগস্ট ৭, ২০১২ তারিখে পূরবী বসুকে লেখা একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর জন্য বাহ্যিক কোনো উপাদান (চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার) দায়ী নয়। শুধু সার্জারি পরবর্তী জটিলতায় তিনি মারা গেছেন। (নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, পূরবী বসু)।



দুই মলাটের ভেতর কিছু কষ্টকল্পিত বানোয়াট গল্প আর ব্যক্তিগত কুৎসা জুড়ে দিলেই যেমন তা 'বই' হয় না, তেমনি তার রচনাকারীকেও কোনোমতেই লেখক গণ্য করতে পারেন না বিবেকবান কোনো মানুষ।



লেখক : মুনিয়া মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট, হুমায়ূন আহমেদ। মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।



ধন্যবাদ : বাংলাদেশ প্রতিদিন কে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

েবনিটগ বলেছেন: boi tar link ache?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

টানিম বলেছেন: অচিরেই পাবেন । ধন্যবাদ

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ আমাদের প্রিয় লেখক। প্রিয় একজন মানুষ তাকে নিয়ে টানা হেছরা করা কষ্টদায়ক ব্যাপার ।তাকে নিয়ে ব্যবসা করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

টানিম বলেছেন: সেটাই সেলিম ভাই । আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

সত্যচারী বলেছেন: এত প্রমানাদি হাতে নিয়েও জনাবা মুনিয়া আদালটের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন? এটাওতো পাঠকদের কাছে অস্পষ্ট।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

টানিম বলেছেন: একটু সময় দিন ভাই । হবে সব হবে ।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

আয়রন ম্যান বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে কোন ধরণের মিথ্যাচার কাম্য নয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরটা সকালেই পড়েছিলাম।
কিছুক্ষণ আগেও বইয়ের লেখক বিশ্বজিত দা এর সাথে আমার কথা হয়েছে । প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছি। অবশ্য এর আগেও উক্ত বই এবং হুমায়ুন আহমেদের ব্যাপারে তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন- সব প্রমাণ তার কাছে আছে। সঠিক সময়েই প্রমাণ নিয়ে হাজির হবেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

টানিম বলেছেন: ওহ । তাইলে তো আরও অনেক কাহিনি বাকি আছে । দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

কাউসার রানা বলেছেন: আরে ভাই যে মানুষটা মরে গেছে তাকে নিয়ে কেন আপনারা ব্যবসা করতে চাইছেন ?

তবে হ্যাঁ কারন যাই হোক বিশ্বজিৎ এবং শাওন এর মধ্যে কোন একটা বিষয় নিয়ে ব্যপোক জটিলতা আছে, যেটা কেউ প্রকাশ করছেন না।
সোজা কথায় ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ....................

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

টানিম বলেছেন: সোজা কথায় ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ধন্যবাদ কাউসার রানা ,

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধন্যবাদ ++++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৭

টানিম বলেছেন: Tnx to All ...

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০১

মুহসিন বলেছেন: আশ্চর্য! টানাহেঁচড়া না করে লেখকের আত্মা শান্তিতে থাকুক এটা কামনা করাটাই কি আমাদের দরকার নয়?

আজকে হুমায়ূন আহমেদের "দেয়াল" রচনাটি পড়লাম। অসাধারণ।

এবইটি পড়ে কয়েকজন মানুষের উপর আমার শ্রদ্ধা জন্মে গেলো। আপনাদের জন্মাবে কিনা জানিনাঃ

১। হুমায়ূন আহমেদ নিজে (নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে নিরেট সত্যকে তুলে ধরার চেষ্ট করার জন্য)
২। কর্ণেল তাহের ও তার পরিবার (মুক্তিযুদ্ধ, সাহসিকতা ও মানবিকতার জন্য)
৩। আন্ধা হাফেজ (বাড়াবাড়িকে সহ্য না করতে পারার জন্য)
৪। মেজর খালেদ মোশাররফ (সাহসিকতা ও রক্তপাতহীনতার জন্য)
৫। তৎকালীন আইজি প্রিজন নুরুজ্জামান (তার তাৎক্ষণিক রিপোর্ট ও উৎকন্ঠিত যোগাযোগের জন্য)
৬। আদর্শলিপি প্রেসের উত্তরাধিকারী শফিক (যদিও জানিনা বাস্তবে উনি ছিলেন কিনা)
৭। আদর্শলিপি প্রেসের প্রাক্তন মালিক রাধানাথবাবু (ঐ)

তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, মৃত্যুর আগে হুমায়ূন আহমেদ সবচেয়ে অসাধারণ এক সৃষ্টি জাতিকে উপহার দিয়ে গেলেন। এত সুন্দর গল্পময় ভঙ্গিতে উপস্থাপনা উনার বাকি গল্পগুলোতে এতখানি ব্যক্তিত্বময়, এত জীবন্ত হয়ে উঠতে আমি দেখিনি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৪

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এইটা আমাদের আরেক রোগ মৃত মানুষকে নিয়ে ব্যবসা করতে চাই...

চায় তিনি নেতা হোক, পীর হোক, লেখক হোক...

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

টানিম বলেছেন: হুম । বহু পুরাতন রোগ । ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.