নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

সময় জুড়ে শুধু শুন্যতা ...

টানিম

তড়িৎ প্রকৌশলী। টুইটার : https://twitter.com/mztanim88

টানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন রানা চৌধুরী স্যার । আমাদের সবার পরিচিত ।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭





ছবিটি দেখে চিনতে পারছেন ? আমারা যারা এইচ.এস.সি তে সায়েন্সে ছিলাম তাদের কাছে খুব পরিচিত পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের মলাট । স্যার এর একটা লেখা চোখে পড়তেই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । লেখাটা উনার বই নিয়ে । অবশ্যই পড়বেন ।



আমার যে সকল বন্ধু বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন ( অন্তত: উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ) বা আছো তাদেরকে আমার লেখার নিচের দীর্ঘ অংশটুকু পড়ে মূল্যবান মতামত দেওয়ার অনুরোধ করছি। কারণ, তাদের মতামত ও পরামর্শই আমাদের চলার পথের পাথেয়। আমরা আমাদের যৌবনে, সদ্য স্বাধীন দেশে ইচ্ছানুযায়ী অনেক পেশা গ্রহণের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকতাকে গ্রহণ করেছিলাম একটা আদর্শ হিসেবে । ইনশাল্লাহ আমৃত্যু আমরা শিক্ষক থাকতে চাই , যদিও যথানিয়মে চকিুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেছি ।



“ আলহামদুল্লিাহ । আল্লাহ এর অশেষ রহমতে অবশেষে আমাদের রচিত পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র বইটি বেরুলো। বইটি পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নয় । কেন বইটি অনুমোদন পেল না সেটা আমরা জানি না , আমাদের জানানো হয়নি। যদিও মূল্যায়নের জন্য যথারীতি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা শুনেছি অনুমোদনের জন্য ১৩ খানা বই জমা পড়েছিল। ১০ খানা বই এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের খানা সম্ভবত: ১৩ তম স্থান অধিকার করেছে। এতদিন প্রথম দিক থেকে প্রথম ছিলাম , এবার শেষ দিক থেকে প্রথম ! এরপরও সারা দেশের অনেক শিক্ষক , শিক্ষার্থী ও অভিবাবক বিস্মিত হয়ে আমাদেরকে বইটি প্রকাশের অনুরোধ করেন ।



পদার্থবিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানের সূত্র, তত্ত্ব, ব্যাখ্যা , প্রতিপাদন অগ্রগতি কারো অনুমোদনের উপর নির্ভর করে না । পৃথিবীর শত শত দেশে শত শত বছর ধরে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা কোটি কোটি ছাত্র-ছাত্রীকে কারো অনুমোদন ব্যতীতই বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি তথা সভ্যতাকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে এসছেন।



তবে বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের প্রয়োজন, চাহিদা ও সংস্কৃতির নিরিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ পর্যন্ত কোন্ কোন্ বিষয়ে কতটুকু শিক্ষা দেওয়া হবে তা শিক্ষাক্রম ( Curriculum) আকারে নির্ধারণ করে দেন ।আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু কীভাবে তা পড়ানো হবে, শ্রেণিকক্ষে কীভাবে উপস্থাপনা করা হবে তা ঐ পর্যায়ের শিক্ষকদের উপরই নির্ভর করে ।আর অভিজ্ঞ শিক্ষক ও ব্যক্তিবর্গ তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও সাহায্যার্থে পুস্তক রচনা করেন । আমাদের দেশেও তাই ছিল। বিভিন্নজন বিভিন্ন পুস্তক রচনা করেছেন। আমাদের দেশে ১৯৯৮ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বই এর অনুমোদনের ব্যাপারটা শুরু হয়।

বাংলা মাধ্যম চালু হওয়ার আগে বিগত শতাব্দির বিশের দশকে লেখা বসু ও চ্যাটার্জির পদার্থবিজ্ঞান, লাডলি মোহন মিত্রের রসায়ন, এ.সি মিত্রের জীববিজ্ঞান আর দাশ ও মুখার্জির গণিতের বইগুলো পড়েই এই উপমহাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। আমরা পেয়েছি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, গবেষক ও বিভিন্ন বিষয়ের প্রাত:স্মরণীয় শিক্ষকদের।

বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান শুরু হলে ড. মুসলিম উদ্দীন, কামিনী মোহন সাহা, তোফাজ্জল হোসেন, নাসির উদ্দিন প্রামাণিক, ড. আবুল কাসেম প্রমুখ পদার্থবিজ্ঞানের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক রচনা শুরু করেন। পরবর্তীকালে পদার্থবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আধুনিকতার সূচনা করেন মোহাম্মদ ইসহাক ও নুরুন্নবী তালুকদার। প্রায় একই সময়ে ১৯৮২ সাল থেকে আমরা তিন বন্ধু আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতার আলোকে , ক্লাশ রুমের পড়ানোর মতো করে এবং চলিত ভাষায় পদার্থবিজ্ঞান এর পাঠ্যপুস্তক রচনা করি ।আল্লাহ এর অশেষ শুকুর যে এর পর থেকে আমাদের বই এর বিভিন্ন সংস্করণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করে। তাদের পরামর্শমতো আমরা নিয়মিত বইএর উন্নতি সাধনের চেষ্টা করে আসছি। এর পর থেকে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নিজস্ব যে মাধ্যমিক স্তরের বই আছে , সেখানেও আমরা অন্যতম প্রণেতা। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত বোর্ডের মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান যা ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে , তা আমাদের তিন বন্ধুরই রচিত । নতুন সিলেবাসে সদ্য প্রকাশিত ( ২০১৩ ) বোর্ডের মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞানের বই লেখার জন্য অনুরুদ্ধ হয়ে আমরা দুজন তাতেও অংশ নেই ।

এই বইটি বোর্ডে জমা দেওয়া বই এর বর্ধিত সংস্করণ। আমরা শতভাগ শিক্ষাক্রম তথা সিলেবাস অনুসরণ করেছি। বইটি অনুমোদন না হওয়ার পরও যখন আমাদের প্রকাশক সুশিক্ষক ড. ভক্তিময় সরকার অনেক সাহস ও ততোধিক ব্যবসায়িক ঝুকি নিয়ে বইটি প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করলেন, তখন আমরা সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত বিষয়বস্তু উপস্থাপনায় ও সাজানোতে , অনুশীলনী তৈরিতে , শিক্ষর্থিীর উপলব্ধি, অনুধাবন ও ভবিষ্যৎ উচ্চ শিক্ষার কথা বিবেচনা করে কিছুটা স্বাধীনতা গ্রহণ করেছি।

আমাদের দেশের বাস্তবতায় এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক কোনো প্রান্তিক স্তর নয় । উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আমাদের দেশের বিজ্ঞানের প্রায় সকল ছাত্র-ছাত্রী প্রকৌশল শাস্ত্র বা চিকিৎসা বিজ্ঞান বা বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করে ।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে উন্নত বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তাদের শিক্ষাক্রম তথা সিলেবাস তৈরি করে। কাজেই এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে সর্বোপরি শিক্ষক হিসেবে আমাদের চিন্তা চেতনায় রাখতে হয় আমাদের সন্তানেরা , শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমন শিক্ষা লাভ করে যাতে তারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের উপযোগী করে তুলতে পারে। আমাদের শিক্ষাক্রমের সীমানার মধ্যে থেকেও আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে সে চেষ্টা করেছি ।

এখন আমাদের দেশের জ্ঞানী , বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষকতার মহৎ পেশায় নিয়োজিত নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকেরা এবং আমাদের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ , আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বিচার করবে বইটি আমাদের পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত শিক্ষাক্রম অনুসারে লেখা হয়েছে কী না ? এই বই পড়ে পদার্থাবজ্ঞান উপলব্ধি ও অনুধাবনে , শিক্ষার্থীদের সুপ্ত সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে কী না ?”




এই সেই রানা স্যার ,





ধন্যবাদ সবাইকে ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০১

টানিম বলেছেন: কোন মন্তব্য নেই !!!!!

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৭

আমি আবুল হুসেঈন বলতেছি বলেছেন: সত্যিই মানুষ গড়ার কারিগর।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

টানিম বলেছেন: হুম । ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: হুম।আপনাকে ধন্যবাদ যথাসময়ে এই পোষ্ট করার জন্য।আমাদের শিক্ষা র মেরুদণ্ড কে ভেঙে দেয়ের জন্য মাধ্যমিক ওঁ উচ্চমাধ্যমিক এর বই এর নতুন সিলেবাস ই যেথেস্ট।কারন অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা কে করা হয় যুগউপযগী আর আমাদের বেলায় হল যত পিছনে যাওয়া যায়।কখন ও কখনও মনে হয় এই সরকার দেশটার বিভিন্ন সেক্টর কে ধ্বংস করার পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে এবং তারা শেষ পর্যন্ত সফল ওঁ হয়েছে। আমি নিজেও তপন এর বই পরেছি।আর এখন তাদের বই এনসিটিবি কর্তৃক অনুমোদন পায় নি এটা একটা অদ্ভুত সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কি হতে পারে।অবশ্যই নতুন লেখক দের বই কে অনুমোদন করা হ্যেছে।আর আমি নিজেও অই বইগুলি দেখেছি,যেই গুলি পড়ে শক্ষারথী রা যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়তে যাবে,তখন তারা অথৈ জলে পড়বে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪

টানিম বলেছেন: দুরন্ত-পথিক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য । আমিও উনার বই পড়েছি । কি অবাক কান্ড এখন উনার বই অনুমোদন পায় না ? আমি খুব বিস্মিত বোধ করছি ভাই । কি আর করা । আমরা দেখে দেখে যাই । আমাদের সরকার আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে ।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমার বাসার খুব কাছেই স্যার পড়াতেন , আমার মেঝবোন পড়তো ! আমি অবশ্য অন্য স্যারের কাছে পড়েছি!

স্যারকে চিনতে পেরে ভালোলাগছে,,,,,,,,,,,

:)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ বটগাছ ।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২১

খাটাস বলেছেন: স্যার পোষ্ট টা মনে হয় ভাল। সময় নাই পড়ে পড়ব। রেখে দিলাম।


একটা প্রস্নঃ আপনার নাম কি সাগর আজিজ?

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

টানিম বলেছেন: খাটাস নারে ভাই । আমার নাম তানিম । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন ।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: স্যার কিতা আওয়ামী লীগ করেনা।

এত বছর যেই লোকের বই কোটি কোটি পলাপাইন পড়ল আজ তার বই পাঠের যোগ্য হয়ে গেলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

টানিম বলেছেন: হ। সেটাই প্রশ্ন । সে মনে লয় আ:লীগ করে না । ধন্যবাদ

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই তপনের এই বইটা ছিল কলেজ লাইফের পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে সহজ বই। উনার এই বইটা অনুমোদন পাইনি দেখে সত্যই খারাপ লাগলো।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

টানিম বলেছেন: ধন্যবাদ উৎকৃষ্টতম বন্ধু । ভালো থাকুন

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আর কিছু বলার নাই.......

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১০

টানিম বলেছেন: বুঝলাম । ধন্যবাদ

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯

টানিম বলেছেন: lol ...

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আল-মুনতাজার বলেছেন: ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে পড়া অবস্থায় রানা স্যার ছিলেন আমাদের সবার প্রয় স্যার।আর আমরাই ছিলাম ১ম ব্যাচ যারা তার প্রকাশিত বইটি আমরা হাতে পেয়েছিলাম।বই হাতে পেয়ে খুব খুশী হয়েছিলাম যেমন মা তার হারান পুত্রকে ফিরে পায়।স্যারকে খুব মনে পড়ে,কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের ভয়ানক অভিশাপ আমাকে স্যার থেকে অনেক দূরে রেখেছে ।স্যার যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন,আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০

টানিম বলেছেন: যার যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন,আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.